অভিনয়ের ওপর কোর্স করতে গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে যান পারসা ইভানা। দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিওতে কোর্স করেছেন তিনি। পাশাপাশি ভিন্ন এক প্রতিষ্ঠানে নাচের একটি কোর্সও করেছেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন পারসা। জানালেন কোর্সের অভিজ্ঞতা আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
কোর্স করে কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
আগে তো কখনো অভিনয়ের ওপর কোর্স করা হয়নি। সিনিয়রদের কাছ থেকেই অভিনয়টা শেখা। নাটক-সিনেমা দেখেও শেখার চেষ্টা করেছি। পরিচালকেরা যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেটা বুঝে ডেলিভারি করার চেষ্টা করতাম। তবে অভিনয়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটাও জরুরি। আমি অভিনয় শিখতে চেয়েছি, সেই চাওয়া থেকে এই কোর্স। খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, অভিনেত্রী হিসেবে এক ধাপ এগিয়েছি।
এই কোর্সের প্রশিক্ষক নাকি আপনার অনেক প্রশংসা করেছেন!
আমার শিক্ষক ছিলেন স্কট। তিনি ৩০ বছর ধরে এই কাজটাই করেন। প্রথম ক্লাসে নিজের পরিচয় ও ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কথা বলতে হয়েছিল। সবার শেষে আমি বলেছিলাম। সেই সময়ে স্যার আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে আমার কিছুই শেখানোর নেই। ইউ আর ফুল অব চার্ম।’ কোর্সের শেষ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি সব সময় বলেন আমি আপনার প্রিয় শিক্ষার্থী। কিন্তু কেন? তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার এখানে নানা বয়সের মানুষ কোর্স করতে আসে। প্রায় সবাই অভিনয়ের বাইরে কিছু না কিছু করে। যখন জিজ্ঞাসা করি, কেন অভিনয় করতে চাও? উত্তরে কেউ বলে শখ, কেউ বলে ফান আবার কেউ বলে টাইম পাস। কিন্তু তুমি বলেছিলে, শেষনিশ্বাস পর্যন্ত তুমি অভিনয়টাই করতে চাও। ওই কথাটা আমার ভালো লেগেছে।’ আমি অভিনয়টা কত পছন্দ করি, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
এবার কি আপনার কাজের ধরনে কোনো পরিবর্তন আসবে?
এই কোর্স করার পর জানার আগ্রহটা বেড়েছে। এখন থেকে যে কাজগুলো করব, আরও সিরিয়াসলি করব। আরও জেনে করব। আগের চেয়ে ডেডিকেশনটা বেশি থাকবে। এখন অভিনয় নিয়ে আমার একটাই লক্ষ্য, আরও ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। যদি একটি দৃশ্যেও সুযোগ পাই, সেটা এমনভাবে করতে চাই, যাতে দেখার পর সবাই বলে পারসা অভিনয়টা ভালো করে।
কোর্স করার পাশাপাশি অনেক জায়গায় ঘুরেছেন। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সময়টা কেমন উপভোগ করলেন?
এটা আমার জীবনের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল। সেখানে আমার মা থাকেন। কয়েকজন বন্ধুও থাকে। তাই ঘোরাঘুরিও বেশ হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন স্টেটে গিয়েছি। কানাডাতেও যাওয়া হয়েছে। সময়টা খুব ভালো কেটেছে।
দুই মাস আগে শুরু হয়েছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। এখন পর্যন্ত আপনাকে দেখা যায়নি। সামনে কি আপনাকে দেখা যাবে?
কে বলেছে আমাকে দেখা যায়নি! আমি তো আছি ব্যাচেলর পয়েন্টের সঙ্গে! ইভা চরিত্রটিকে দর্শক যতটা মিস করে, আমি মিস করি তার চেয়ে বেশি। অধিকাংশ মানুষ আমাকে ইভা হিসেবেই চেনে। এ নিয়ে খুব প্রাউড ফিল করি। ইভা চরিত্রটিকে মানুষ এত ভালোভাবে গ্রহণ করেছে, সেটা আমার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। নতুন সিজনে আমার অভিনয়ের সম্ভাবনা আছে কি না, সেটা জানি না। তবে যাঁরা এই সিজন দেখছেন, তাঁরা অবশ্যই ইভাকে খুঁজে পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশের অনেক শিল্পীই ছিলেন। সেখানে কেমন অভ্যর্থনা পেলেন?
শিল্পীরা যখন একসঙ্গে হয়, তখন অন্য রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মনে হয়, আমরা সবাই একটি পরিবার। দেশের বাইরে যে শিল্পীরা থাকেন, তাঁরা দেশকে অনেক মিস করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তাঁরা দেশকে কতটা ভালোবাসেন।
কখনো বিদেশে স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা আছে?
আপাতত নেই। আমি অভিনয় ভালোবাসি। আরও অনেক কাজ করতে চাই।
কোর্স করে কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
আগে তো কখনো অভিনয়ের ওপর কোর্স করা হয়নি। সিনিয়রদের কাছ থেকেই অভিনয়টা শেখা। নাটক-সিনেমা দেখেও শেখার চেষ্টা করেছি। পরিচালকেরা যেভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন, সেটা বুঝে ডেলিভারি করার চেষ্টা করতাম। তবে অভিনয়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটাও জরুরি। আমি অভিনয় শিখতে চেয়েছি, সেই চাওয়া থেকে এই কোর্স। খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, অভিনেত্রী হিসেবে এক ধাপ এগিয়েছি।
এই কোর্সের প্রশিক্ষক নাকি আপনার অনেক প্রশংসা করেছেন!
আমার শিক্ষক ছিলেন স্কট। তিনি ৩০ বছর ধরে এই কাজটাই করেন। প্রথম ক্লাসে নিজের পরিচয় ও ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কথা বলতে হয়েছিল। সবার শেষে আমি বলেছিলাম। সেই সময়ে স্যার আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে আমার কিছুই শেখানোর নেই। ইউ আর ফুল অব চার্ম।’ কোর্সের শেষ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি সব সময় বলেন আমি আপনার প্রিয় শিক্ষার্থী। কিন্তু কেন? তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমার এখানে নানা বয়সের মানুষ কোর্স করতে আসে। প্রায় সবাই অভিনয়ের বাইরে কিছু না কিছু করে। যখন জিজ্ঞাসা করি, কেন অভিনয় করতে চাও? উত্তরে কেউ বলে শখ, কেউ বলে ফান আবার কেউ বলে টাইম পাস। কিন্তু তুমি বলেছিলে, শেষনিশ্বাস পর্যন্ত তুমি অভিনয়টাই করতে চাও। ওই কথাটা আমার ভালো লেগেছে।’ আমি অভিনয়টা কত পছন্দ করি, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
এবার কি আপনার কাজের ধরনে কোনো পরিবর্তন আসবে?
এই কোর্স করার পর জানার আগ্রহটা বেড়েছে। এখন থেকে যে কাজগুলো করব, আরও সিরিয়াসলি করব। আরও জেনে করব। আগের চেয়ে ডেডিকেশনটা বেশি থাকবে। এখন অভিনয় নিয়ে আমার একটাই লক্ষ্য, আরও ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। যদি একটি দৃশ্যেও সুযোগ পাই, সেটা এমনভাবে করতে চাই, যাতে দেখার পর সবাই বলে পারসা অভিনয়টা ভালো করে।
কোর্স করার পাশাপাশি অনেক জায়গায় ঘুরেছেন। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সময়টা কেমন উপভোগ করলেন?
এটা আমার জীবনের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল। সেখানে আমার মা থাকেন। কয়েকজন বন্ধুও থাকে। তাই ঘোরাঘুরিও বেশ হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াসহ বিভিন্ন স্টেটে গিয়েছি। কানাডাতেও যাওয়া হয়েছে। সময়টা খুব ভালো কেটেছে।
দুই মাস আগে শুরু হয়েছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। এখন পর্যন্ত আপনাকে দেখা যায়নি। সামনে কি আপনাকে দেখা যাবে?
কে বলেছে আমাকে দেখা যায়নি! আমি তো আছি ব্যাচেলর পয়েন্টের সঙ্গে! ইভা চরিত্রটিকে দর্শক যতটা মিস করে, আমি মিস করি তার চেয়ে বেশি। অধিকাংশ মানুষ আমাকে ইভা হিসেবেই চেনে। এ নিয়ে খুব প্রাউড ফিল করি। ইভা চরিত্রটিকে মানুষ এত ভালোভাবে গ্রহণ করেছে, সেটা আমার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। নতুন সিজনে আমার অভিনয়ের সম্ভাবনা আছে কি না, সেটা জানি না। তবে যাঁরা এই সিজন দেখছেন, তাঁরা অবশ্যই ইভাকে খুঁজে পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। বাংলাদেশের অনেক শিল্পীই ছিলেন। সেখানে কেমন অভ্যর্থনা পেলেন?
শিল্পীরা যখন একসঙ্গে হয়, তখন অন্য রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মনে হয়, আমরা সবাই একটি পরিবার। দেশের বাইরে যে শিল্পীরা থাকেন, তাঁরা দেশকে অনেক মিস করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, তাঁরা দেশকে কতটা ভালোবাসেন।
কখনো বিদেশে স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা আছে?
আপাতত নেই। আমি অভিনয় ভালোবাসি। আরও অনেক কাজ করতে চাই।
বিগ বসের কল্যাণে ভারতীয় টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকা সালমান খান। এ শোর গত সিজনেও ২০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন তিনি। তবে এবার প্রায় ১০০ কোটি কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিনেমার গান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘অনেক সিনেমার কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ, সিনেমায় আমার নতুন কিছু দেওয়ার নাই। যে যা-ই বলুন, সিনেমার গান আসলে নায়ক-পরিচালকের গান হয়, আমার গান হয় না।’
৪ ঘণ্টা আগেবাংলা ব্যান্ড ও আধুনিক অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। ‘মা’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়’, ‘এত দিন পরে প্রশ্ন জাগে’সহ জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নাম।
৮ ঘণ্টা আগে‘রং দে বাসন্তি’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘তুফান’সহ অনেক জনপ্রিয় সিনেমার নির্মাতা রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা। বোম্বে টাইমসকে তিনি জানালেন নিজের পছন্দের তিনটি সিরিজের নাম। কেন পছন্দ সিরিজগুলো, জানালেন সেটাও।
৮ ঘণ্টা আগে