দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রকাশ পেলো জনপ্রিয় শিল্পী সাহস মোস্তাফিজের ভিন্নধর্মী গান ‘নিরঞ্জনের গল্প’। আজব রেকর্ডস এর পরিবেশনায় এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন রফিকুল ইসলাম ফরহাদ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে এই গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। গানটি আজব রেকর্ডস এর ইউটিউব ও ফেসবুক চ্যানেল, এপল মিউজিক, স্পটিফাই, স্বাধীনসহ সব মিউজিক স্ট্রিমিং এপ-এ দেখা যাচ্ছে।
গানটির শিল্পী সাহস মোস্তাফিজ বলেন, ‘নিরঞ্জন একটি কল্পিত চরিত্র। তবে ২০২১ সালের একটি ঘটনার সঙ্গে এই চরিত্রটি মিলে যায়। ওই বছর দুর্গাপূজার সময় ধর্মীয় সহিংসতায় সারা দেশে বেশ কিছু নিন্দনীয় ঘটনা ঘটে, যা বাঙালি জাতীয়তা বোধকে করুণভাবে নাড়া দেয়। ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং সহিংসতা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য কাম্য নয়। এই গানে নিরঞ্জন নামের একটি রূপক চরিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষের প্রাণের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।’
সাহস আরও বলেন, ‘এই গানের মাধ্যমে আমরা বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশে আর কোনো নিরঞ্জন যেন ধর্মীয় সহিংসতার স্বীকার হয়ে হারিয়ে না যায়। আমরা চাই, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে এক হয়ে একটা সুন্দর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে। নিরঞ্জন আমার, আপনার সবার বন্ধু, ভাই কিংবা বোনের প্রতীকী উপস্থাপন।’
নিরঞ্জন কিংবা স্বপ্নের বিবর্তন অন্য গানের থেকে একটু ভিন্ন স্বাদের। এই গান দুটিতে সাহস গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। সাহস বলেন, ‘আমি পেশায় কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট এবং সংগীত পরিবারের সন্তান। আমি জানি, সঠিকভাবে একটি গল্প বলতে পারলে অনেক কঠিন কথা সহজে বলা হয়ে যায়। তাই আমি গান লেখার ক্ষেত্রে গল্প বলার ঢংটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। এতে করে শ্রোতার মনে গানের পরিস্থিতিটা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।’
গানটির প্রযোজক শিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘গান এমন একটি শিল্প মাধ্যম, যা দিয়ে সমাজের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরা সম্ভব। নিরঞ্জন সাহসের অন্যতম সেরা একটি সৃষ্টি। ও গানে গানে ঘুনে ধরা সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা চাই, এই গান শুনে মানুষ নিজের ভাই হারানোর বেদনা অনুভব করুক। সকল সহিংসতার পথ থেকে সরে আসুক।’
সংগীতায়োজক রফিকুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, ‘দু বছর আগে যে সহিংস পরিস্থিতিতে নিরঞ্জনের গল্প লিখতে হয়েছিল, তা যেন দেশে আর কখনোই ফিরে না আসে। গানটির সংগীতায়োজন করতে গিয়ে আমি অনেক বার অশ্রুসিক্ত হয়েছি। আমার মনে হয়েছে এই গান শুনে অনেকেই দেশ ও সমাজের জন্য ভিন্ন দৃষ্টি নিয়ে কাজ করবে।’
বাংলাদেশ যখন আর একবার হিন্দু ধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজা উদ্যাপনের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে গানটি প্রকাশ করলেন সাহস। গানের মধ্য দিয়েই মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে চান এই শিল্পী। গানে গানেই তাই তিনি বললেন, ‘দেশটা জুড়ে আগুন খেলার এই যেন হয় শেষ।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সহিংসতা বিরোধী কনসার্টে নিজের লেখা ও সুর করা এই গানটি প্রথম গেয়েছিলেন শিল্পী সাহস। ওই দিনই গানটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। গানটি লেখা হয়েছিল কনসার্টের ঠিক আগের রাতে, যেমনটি গানের শুরুতে লেখা হয়েছে- ‘কাল রাতে একটি গান লিখতে বসেছিলাম আজকের এই মঞ্চে গাইব বলে...!’
গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা মেডিকেল ও শাঁখারি বাজারের বিভিন্ন স্থানে। ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিল্পীর বোন মনিফা মোস্তাফিজ মন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশান ডিজাইনে অধ্যয়নরত মন নিজেও একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। তবে ভিডিও নির্মাণ এই প্রথম।
সাহস দীর্ঘদিন ধরে গানের জগতে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লেখা ও সুর করার ক্ষেত্রেও তাঁর সমান পারদর্শিতা। ভাওয়াইয়া গানে শিশুকাল থেকেই তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বেশ কিছু জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর আগে বাপ্পা মজুমদারের সংগীতায়োজনে সাহসের গাওয়া গান ‘স্বপ্নের বিবর্তন’ বেশ প্রশংসিত হয়।
দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রকাশ পেলো জনপ্রিয় শিল্পী সাহস মোস্তাফিজের ভিন্নধর্মী গান ‘নিরঞ্জনের গল্প’। আজব রেকর্ডস এর পরিবেশনায় এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন রফিকুল ইসলাম ফরহাদ।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে এই গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। গানটি আজব রেকর্ডস এর ইউটিউব ও ফেসবুক চ্যানেল, এপল মিউজিক, স্পটিফাই, স্বাধীনসহ সব মিউজিক স্ট্রিমিং এপ-এ দেখা যাচ্ছে।
গানটির শিল্পী সাহস মোস্তাফিজ বলেন, ‘নিরঞ্জন একটি কল্পিত চরিত্র। তবে ২০২১ সালের একটি ঘটনার সঙ্গে এই চরিত্রটি মিলে যায়। ওই বছর দুর্গাপূজার সময় ধর্মীয় সহিংসতায় সারা দেশে বেশ কিছু নিন্দনীয় ঘটনা ঘটে, যা বাঙালি জাতীয়তা বোধকে করুণভাবে নাড়া দেয়। ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং সহিংসতা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য কাম্য নয়। এই গানে নিরঞ্জন নামের একটি রূপক চরিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষের প্রাণের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।’
সাহস আরও বলেন, ‘এই গানের মাধ্যমে আমরা বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশে আর কোনো নিরঞ্জন যেন ধর্মীয় সহিংসতার স্বীকার হয়ে হারিয়ে না যায়। আমরা চাই, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে এক হয়ে একটা সুন্দর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে। নিরঞ্জন আমার, আপনার সবার বন্ধু, ভাই কিংবা বোনের প্রতীকী উপস্থাপন।’
নিরঞ্জন কিংবা স্বপ্নের বিবর্তন অন্য গানের থেকে একটু ভিন্ন স্বাদের। এই গান দুটিতে সাহস গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। সাহস বলেন, ‘আমি পেশায় কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট এবং সংগীত পরিবারের সন্তান। আমি জানি, সঠিকভাবে একটি গল্প বলতে পারলে অনেক কঠিন কথা সহজে বলা হয়ে যায়। তাই আমি গান লেখার ক্ষেত্রে গল্প বলার ঢংটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। এতে করে শ্রোতার মনে গানের পরিস্থিতিটা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।’
গানটির প্রযোজক শিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘গান এমন একটি শিল্প মাধ্যম, যা দিয়ে সমাজের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরা সম্ভব। নিরঞ্জন সাহসের অন্যতম সেরা একটি সৃষ্টি। ও গানে গানে ঘুনে ধরা সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা চাই, এই গান শুনে মানুষ নিজের ভাই হারানোর বেদনা অনুভব করুক। সকল সহিংসতার পথ থেকে সরে আসুক।’
সংগীতায়োজক রফিকুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, ‘দু বছর আগে যে সহিংস পরিস্থিতিতে নিরঞ্জনের গল্প লিখতে হয়েছিল, তা যেন দেশে আর কখনোই ফিরে না আসে। গানটির সংগীতায়োজন করতে গিয়ে আমি অনেক বার অশ্রুসিক্ত হয়েছি। আমার মনে হয়েছে এই গান শুনে অনেকেই দেশ ও সমাজের জন্য ভিন্ন দৃষ্টি নিয়ে কাজ করবে।’
বাংলাদেশ যখন আর একবার হিন্দু ধর্মীয় সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পূজা উদ্যাপনের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে গানটি প্রকাশ করলেন সাহস। গানের মধ্য দিয়েই মানুষের বিবেককে নাড়া দিতে চান এই শিল্পী। গানে গানেই তাই তিনি বললেন, ‘দেশটা জুড়ে আগুন খেলার এই যেন হয় শেষ।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত সহিংসতা বিরোধী কনসার্টে নিজের লেখা ও সুর করা এই গানটি প্রথম গেয়েছিলেন শিল্পী সাহস। ওই দিনই গানটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। গানটি লেখা হয়েছিল কনসার্টের ঠিক আগের রাতে, যেমনটি গানের শুরুতে লেখা হয়েছে- ‘কাল রাতে একটি গান লিখতে বসেছিলাম আজকের এই মঞ্চে গাইব বলে...!’
গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ঢাকা মেডিকেল ও শাঁখারি বাজারের বিভিন্ন স্থানে। ভিডিও নির্মাণ করেছেন শিল্পীর বোন মনিফা মোস্তাফিজ মন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশান ডিজাইনে অধ্যয়নরত মন নিজেও একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী। তবে ভিডিও নির্মাণ এই প্রথম।
সাহস দীর্ঘদিন ধরে গানের জগতে সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লেখা ও সুর করার ক্ষেত্রেও তাঁর সমান পারদর্শিতা। ভাওয়াইয়া গানে শিশুকাল থেকেই তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বেশ কিছু জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর আগে বাপ্পা মজুমদারের সংগীতায়োজনে সাহসের গাওয়া গান ‘স্বপ্নের বিবর্তন’ বেশ প্রশংসিত হয়।
ফেসবুকে শাকিব খান লেখেন, ’দিন-রাত পর্দার আড়ালে থেকে শুটিং স্পটে নিরলসভাবে কাজ করে যান কিছু মানুষ। তারা ক্যামেরার সামনে থাকেন না, কিন্তু প্রত্যেকটি দৃশ্যের পেছনে থাকে তাদের নিঃশব্দ শ্রম।
১৯ ঘণ্টা আগেনব্বইয়ের দশকের শেষভাগে উপমহাদেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঢেউ বয়ে যাচ্ছিল। সেই অস্থির সময়ে বেড়ে ওঠা এক তরুণের জীবনের খণ্ডচিত্র নিয়ে নির্মিত হয়েছে ২৫ মিনিট ব্যপ্তির এই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি।
২১ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালে শোবিজ তারকাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল)। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় আয়োজন। দুই বছর পর আবারও ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মাঠে নামছেন তারকারা। চারটি দলের অংশগ্রহণে বসুন্ধরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ মে শুরু হচ্ছে ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’
১ দিন আগেআজ পয়লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ১৯৮১ সাল থেকে মহান মে দিবস পালন করে আসছে নাট্যদল আরণ্যক। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিনটি আরণ্যক স্মরণ করবে গান, আবৃত্তি, নাটক, আলোচনাসহ নানা আয়োজনে।
১ দিন আগে