সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। সেখান থেকে গত বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগীত ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, এখন গান গাওয়া অনেক সহজ, কোনো সাধনার প্রয়োজন হয় না। চাইলেই হওয়া যায় সংগীতশিল্পী। আরও জানালেন গান এখন হয়ে গেছে দেখার বিষয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। মুঠোফোনে ফাহমিদা নবীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
ফেসবুকে গান নিয়ে নিজের আক্ষেপ বা বিরক্তির কথা জানালেন। পুরো বিষয়টি যদি খোলাসা করে বলতেন?
এখন সবাই শিল্পী। গান গাইতে এখন আর কোনো চিন্তাভাবনার প্রয়োজন পড়ে না। সাহস, ভয়, সাধনা—কিচ্ছু দরকার নাই। সহজের পেছনেই ছুটবে সবাই—এটাই স্বাভাবিক। তাই তো গাইতে না জানলেও প্রফেশনালি গান রিলিজ দিচ্ছে। গান যে দেখার বিষয় সেটা বুঝতেও আমাদের দেরি হলো। ইন্ডাস্ট্রি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে এখন এই বিষয়গুলো মেনে নিতে হবে। আমরা সব সময় জেনেছি, গানটা ভালোভাবে গাইতে হবে, আর তার জন্য প্রয়োজন সাধনা। সংগীতের যেকোনো বিষয়ে না জেনে করার সাহস দেখানো উচিত না। কিন্তু এখন তো সবকিছু উল্টো দেখছি। সবাই এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেসুরোভাবে গান গাইছে! তাদের মনের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ভয়ও নেই। অডিয়েন্সরা যখন শিল্পী হয়ে যায় এবং সে যখন রুল করতে থাকে, সেটা খুব চিন্তার বিষয়। সব মিলিয়ে কেমন একটা বিশৃঙ্খলা চারদিকে। সংগীতাঙ্গনের এই সমস্যাগুলো অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। খারাপ জিনিস সব সময় একটা সময় পর বিষাক্তভাবে ছড়িয়ে যায়। ভাইরাসের মতো। সংগীতের ক্ষেত্রেও তেমনটা হচ্ছে।
কারা করছে এমন? উদাহরণ দিতে পারবেন?
নাম বলতে চাইছি না। ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন।
শুধু কি শিল্পীদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হচ্ছে?
গান লেখার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখতে পাই। যারা গান লিখছে তারা ভাবছে ভাইরাল গান না লিখতে পারলে তো পিছিয়ে যাব। সে ওই গানটিই লিখতে চাইছে, যেটা দিয়ে ভাইরাল হওয়া যাবে। সবাই এখন মানুষের চাহিদা পূরণে ব্যস্ত, এখনকার শিল্পী, লেখক, সুরকার সবাই। আগে নিজের মতো করে নতুন কিছু সৃষ্টি করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর একটা প্রয়াস ছিল। ভালো কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের রুচিকে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস ছিল। এখন হচ্ছে উল্টো। সবাই সৃষ্টি করার আগে থেকে মানুষকে ভয় পাচ্ছে। আমরা ভয় পেতাম গাওয়ার সময় সুর না চলে যায়, তাল যেন মিস না করি। আর এখন ভয় হলো, আমার জনপ্রিয়তা না হারিয়ে যায়। সবার মাঝে হারিয়ে যাওয়ার ভয়। গান ভাইরাল না হলে আমার অস্তিত্বের কী হবে, এই অস্তিত্বের টানাটানিতে সবাই এখন চিন্তিত। আগে বিষয়টা অস্তিত্বের ছিল না, ছিল মেধার বিকাশ আর সৃষ্টিশীলতার।
আপনি কখনো এই ট্রেন্ডে তাল মেলানোর চেষ্টা করেছেন?
আমরা হাতে গোনা কিছু মানুষ তো সব ঠিক করে দিতে পারব না। তাই একসময় এই বিষয়গুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। না মেনে নিলে তো বলবে তোমার প্রয়োজন নেই। বাসায় গিয়ে ঘুমাও। নিজের সম্মানটা তো নিজের রক্ষা করতে হবে। কিন্তু যে প্রক্রিয়াটা চলছে তার সঙ্গে আর কোপআপ করতে পারছি না।
সব মিলিয়ে সংগীতাঙ্গনের নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কী বলবেন?
নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমার অনেক চিন্তা। অনেকেই আমাদের প্রজন্মের শিল্পীদের আইডলজি নিয়ে চলছে। ভালো গাইতে হলে সাধনা করতে হবে, এটা তারা বোঝে এবং সেভাবেই চলছে। তারা সংগীতচর্চা করছে বলে ভাইরাল সমাজের সঙ্গে মিশতে পারছে না। তাদের নিয়ে তাই আমার অনেক ভয়। জানি না সামনে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আমি তো অনেক গান করেছি। একটা সময়কে, প্রজন্মকে রিপ্রেজেন্ট করি। এ ছাড়া সংগীত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে খুব কষ্ট হয়।
সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
ভালো করতে হলে নিজেদের মধ্যে একতা থাকতে হবে। সেটা কি আছে আমাদের মধ্যে? নাই তো! সবাই এককভাবেই চিন্তা করে। আমাকেই বড় হতে হবে, আমিই বড়—সবার মাঝেই যেন একই চিন্তা ঘুরছে। যে লিখছে তাকে নিয়েও সমস্যা, যে সুর করছে, যে গাইছে তাদের নিয়েও সমস্যা। এতগুলো সমস্যা নিয়ে তো এগিয়ে যাওয়া যায় না। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ঠিক হতে হবে। কারণ আমাদের সবাইকে একটা চেইনে কাজ করতে হয়। গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও দর্শক প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে কেমন সময় কাটছে?
খুব ভালো সময় কাটছে। পয়লা বৈশাখে এখানে শো ছিল। এখন একটু ঘুরে বেড়াচ্ছি। আগামী মাসে নিউইয়র্কে একটা শো আছে। আমি যে ধরনের ভাবনাকে ধারণ করি, সে ধরনের আয়োজনে একটা শো করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের নাম গান গল্প। গানের পাশাপাশি গল্প করব, আমার বই নিয়েও কথা বলব। সেই অনুষ্ঠান শেষ করে দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফেসবুকে গান নিয়ে নিজের আক্ষেপ বা বিরক্তির কথা জানালেন। পুরো বিষয়টি যদি খোলাসা করে বলতেন?
এখন সবাই শিল্পী। গান গাইতে এখন আর কোনো চিন্তাভাবনার প্রয়োজন পড়ে না। সাহস, ভয়, সাধনা—কিচ্ছু দরকার নাই। সহজের পেছনেই ছুটবে সবাই—এটাই স্বাভাবিক। তাই তো গাইতে না জানলেও প্রফেশনালি গান রিলিজ দিচ্ছে। গান যে দেখার বিষয় সেটা বুঝতেও আমাদের দেরি হলো। ইন্ডাস্ট্রি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে এখন এই বিষয়গুলো মেনে নিতে হবে। আমরা সব সময় জেনেছি, গানটা ভালোভাবে গাইতে হবে, আর তার জন্য প্রয়োজন সাধনা। সংগীতের যেকোনো বিষয়ে না জেনে করার সাহস দেখানো উচিত না। কিন্তু এখন তো সবকিছু উল্টো দেখছি। সবাই এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেসুরোভাবে গান গাইছে! তাদের মনের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ভয়ও নেই। অডিয়েন্সরা যখন শিল্পী হয়ে যায় এবং সে যখন রুল করতে থাকে, সেটা খুব চিন্তার বিষয়। সব মিলিয়ে কেমন একটা বিশৃঙ্খলা চারদিকে। সংগীতাঙ্গনের এই সমস্যাগুলো অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। খারাপ জিনিস সব সময় একটা সময় পর বিষাক্তভাবে ছড়িয়ে যায়। ভাইরাসের মতো। সংগীতের ক্ষেত্রেও তেমনটা হচ্ছে।
কারা করছে এমন? উদাহরণ দিতে পারবেন?
নাম বলতে চাইছি না। ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন।
শুধু কি শিল্পীদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হচ্ছে?
গান লেখার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখতে পাই। যারা গান লিখছে তারা ভাবছে ভাইরাল গান না লিখতে পারলে তো পিছিয়ে যাব। সে ওই গানটিই লিখতে চাইছে, যেটা দিয়ে ভাইরাল হওয়া যাবে। সবাই এখন মানুষের চাহিদা পূরণে ব্যস্ত, এখনকার শিল্পী, লেখক, সুরকার সবাই। আগে নিজের মতো করে নতুন কিছু সৃষ্টি করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর একটা প্রয়াস ছিল। ভালো কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের রুচিকে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস ছিল। এখন হচ্ছে উল্টো। সবাই সৃষ্টি করার আগে থেকে মানুষকে ভয় পাচ্ছে। আমরা ভয় পেতাম গাওয়ার সময় সুর না চলে যায়, তাল যেন মিস না করি। আর এখন ভয় হলো, আমার জনপ্রিয়তা না হারিয়ে যায়। সবার মাঝে হারিয়ে যাওয়ার ভয়। গান ভাইরাল না হলে আমার অস্তিত্বের কী হবে, এই অস্তিত্বের টানাটানিতে সবাই এখন চিন্তিত। আগে বিষয়টা অস্তিত্বের ছিল না, ছিল মেধার বিকাশ আর সৃষ্টিশীলতার।
আপনি কখনো এই ট্রেন্ডে তাল মেলানোর চেষ্টা করেছেন?
আমরা হাতে গোনা কিছু মানুষ তো সব ঠিক করে দিতে পারব না। তাই একসময় এই বিষয়গুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। না মেনে নিলে তো বলবে তোমার প্রয়োজন নেই। বাসায় গিয়ে ঘুমাও। নিজের সম্মানটা তো নিজের রক্ষা করতে হবে। কিন্তু যে প্রক্রিয়াটা চলছে তার সঙ্গে আর কোপআপ করতে পারছি না।
সব মিলিয়ে সংগীতাঙ্গনের নতুন প্রজন্মকে নিয়ে কী বলবেন?
নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমার অনেক চিন্তা। অনেকেই আমাদের প্রজন্মের শিল্পীদের আইডলজি নিয়ে চলছে। ভালো গাইতে হলে সাধনা করতে হবে, এটা তারা বোঝে এবং সেভাবেই চলছে। তারা সংগীতচর্চা করছে বলে ভাইরাল সমাজের সঙ্গে মিশতে পারছে না। তাদের নিয়ে তাই আমার অনেক ভয়। জানি না সামনে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আমি তো অনেক গান করেছি। একটা সময়কে, প্রজন্মকে রিপ্রেজেন্ট করি। এ ছাড়া সংগীত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে খুব কষ্ট হয়।
সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
ভালো করতে হলে নিজেদের মধ্যে একতা থাকতে হবে। সেটা কি আছে আমাদের মধ্যে? নাই তো! সবাই এককভাবেই চিন্তা করে। আমাকেই বড় হতে হবে, আমিই বড়—সবার মাঝেই যেন একই চিন্তা ঘুরছে। যে লিখছে তাকে নিয়েও সমস্যা, যে সুর করছে, যে গাইছে তাদের নিয়েও সমস্যা। এতগুলো সমস্যা নিয়ে তো এগিয়ে যাওয়া যায় না। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ঠিক হতে হবে। কারণ আমাদের সবাইকে একটা চেইনে কাজ করতে হয়। গীতিকার, সুরকার, শিল্পী ও দর্শক প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে কেমন সময় কাটছে?
খুব ভালো সময় কাটছে। পয়লা বৈশাখে এখানে শো ছিল। এখন একটু ঘুরে বেড়াচ্ছি। আগামী মাসে নিউইয়র্কে একটা শো আছে। আমি যে ধরনের ভাবনাকে ধারণ করি, সে ধরনের আয়োজনে একটা শো করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের নাম গান গল্প। গানের পাশাপাশি গল্প করব, আমার বই নিয়েও কথা বলব। সেই অনুষ্ঠান শেষ করে দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।
গত নভেম্বরে ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশ করে আদর আজাদ ও বুবলী অভিনীত ‘পিনিক’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, রোজার ঈদে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমাটি। শেষ পর্যন্ত ঈদে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। রোজার ঈদে না এলেও কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসবে পিনিক। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি
৬ ঘণ্টা আগেআজ ২৯ এপ্রিল, আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। এ উপলক্ষে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশন প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মায়া বেঙ্গল ইন মোশন’। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। সেটি আজ প্রচার করা হবে দর্শকদের জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দেখে চোখ ভিজেছিল দর্শকদের। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রায় ৯৬৯ কোটি রুপি ব্যবসা করেছিল। শুধু টাকার অঙ্ক নয়, সালমানের ক্যারিয়ারও সমৃদ্ধ করেছিল হনুমানভক্ত পবন কল্যাণ আর এক বোবা শিশুর ঘরে ফেরার এই গল্প। অনেক দিন ধরে গুঞ্জন, আসতে পারে বজরঙ্গি ভাইজান-এর সিকুয়েল। এবার সেই গুঞ্জনের
৬ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় কোরিয়ান সিরিজ ‘ডিসেন্ডেন্টস অব দ্য সান’ এবার দেখা যাবে বাংলায়। ভিউজ অ্যান্ড ভিশনসের পরিবেশনায় আগামী ১ মে থেকে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টফিতে দেখা যাবে সিরিজটির বাংলা সংস্করণ।
৬ ঘণ্টা আগে