Ajker Patrika

খোঁজ মিললো শেহতাজের

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২১, ২২: ০০
খোঁজ মিললো শেহতাজের

মডেলিং, অভিনয়, গান, ইউটিউব নিয়ে কী দুর্দান্ত সময়ই না কাটিয়েছিলেন শেহতাজ মুনিরা হাশেম! হঠাৎ যেন চুপ হয়ে গেলেন। অনেক দিন নতুন কোনো খবর নেই। না নাটকে, না গানে—কোথাও নেই তিনি। করোনায় কাজের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে এনেছেন। তবে এই সময়টায় বসে না থেকে তৈরি করেছেন গান। সময় লেগেছে প্রায় দু্ই বছর। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। নিউইয়র্ক–প্রবাসী মুজাহিদুল আব্দুল্লাহ (মুজা) তাঁর এই গানের সংগীতায়োজন করেছেন।

শেহতাজ বললেন, ‘এটা আমার প্রথম একক গান। তাই সময় নিয়ে ভাবিনি। মান নিয়ে ভেবেছি। যতবার প্রয়োজন হয়েছে সংশোধন করেছি। গানটি লেখা হয়েছে কয়েক দফায়। কয়েকজন মিলে গানটি লিখেছি। সবার পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত সংশোধন করেছি। সেখানে সময় লেগেছে। লিরিক চূড়ান্ত করার পর সুর করার পালা। মুজা সুর করেন, পুরোটা আমার পছন্দ হয় না। আবার সংশোধন হয়। সুর চূড়ান্ত হলে আমি ভয়েজ দিই, সেটা আবার মুজার মনমতো হয় না। তিনি কারেকশন দেন। এভাবেই সময় লেগে যায়। মাঝে করোনার কারণে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। এখন গানটি আমার মনের মতো হয়েছে। তবে এখনো শিরোনাম ঠিক করতে পারিনি।’

শেহতাজ মুনিরা হাশেমশেহতাজ জানালেন, কাইনেটিক নেটওয়ার্ক থেকে প্রকাশিত হবে গানটি। বড় বাজেটের ভিডিওর পরিকল্পনা হয়েছে। এখন চলছে শুটিংয়ের প্রস্তুতি। অনেক মানুষ নিয়ে কাজটি করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই শুটিং করে ফেলতে চান।

এখন থেকে অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও সমান মনোযোগী হতে চান শেহতাজ। তাঁর মতে, ‘ওটিটি ব্যাপকভাবে ব্লাস্ট করেছে, নাটক-সিনেমা রিলিজ হচ্ছে, কিন্তু গান কমে গেছে। মাঝে ইউটিউবের জন্য বড় বাজেটের গানের ভিডিও নির্মাণ করা হলেও এখন সব ঝিমিয়ে পড়েছে। আমাদের এই গান বেশ বড় আয়োজনের। হয়তো এই গান একটা নতুন বাতাস নিয়ে আসবে।’

শেহতাজ মুনিরা হাশেমঅভিনয়ের খবর জানতে চাইলে শেহতাজ বললেন, ‘বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। করোনার কারণে শুটিং করছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুটিং করব। ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছা আপাতত নেই। চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছি। তবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’

বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখতে দেখতে কথা বলছিলেন শেহতাজ। কী দেখেন আকাশে? ‘কিছুই না। এই আকাশ দেখাটাও আমার আরেকটা অভ্যাস।’ সময় পেলেই বই নিয়ে বারান্দায় বসে যান। আকাশ দেখেন। শেহতাজ নাকি সবকিছুতে একটু এলোমেলো, নিজে স্বীকারও করলেন সেটা। তাঁর সবকিছুই দেখাশোনা করেন মা। বাইরে বা শুটিংয়ে গেলেও চাই মায়ের ছায়া। পর্দায় দেখে যে কেউই বলবে, এই মেয়ে তো বেশ ফ্যাশন সচেতন! শেহতাজ বললেন, ‘আমি কিন্তু ওসব নিয়ে একদম মাথা ঘামাই না। মন যা চায় তা-ই করি। ইচ্ছে হলে পারলারে যাই, তবে রোজ রোজ নয়। নিজের পছন্দে হেয়ারস্টাইল করি, কাউকে ফলো করি না। জিমে যাই না। তবে ডায়েট করি। ইউটিউব দেখে মাঝেমধ্যে কার্ডিও করি। রূপচর্চা নিয়ে অত মাথাব্যথা নেই আমার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত