আলিফ আলাউদ্দীন
৯ আগস্ট। আমার জীবন থেকে যেন সব সুর নিয়ে চলে গেল। এখনো সেই বিকেলটার কথা মনে পড়লে আমার চোখে পানি চলে আসে। ফোনকল এল।
আমার আব্বু নেই। এক কষ্টের শূন্যতা আমাকে গ্রাস করে নিল। খুব অবাক লাগবে শুনতে, কিন্তু আমার কানে তখন আমার প্রিয় আব্বুর বেশ কিছু গানের সুর বেজে উঠেছে। বুকটা দুমড়ে–মুচড়ে যাচ্ছে। আমি তখন অসুস্থ, কিডনির অসুখ নিয়ে অনেক দিন ধরে ভুগছি। হাসপাতালে যাওয়া বারণ। কারণ, চলছে অতিমারি। তা–ও নিজেকে সামলে নিয়ে পিপিই পরে গাড়িতে করে ইউনিভার্সেল হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিলাম। আব্বুকে যখন বের করবে হাসপাতাল থেকে, তখন দেখব।
হাসপাতালের বাইরে বসে মনে হয়েছে—এই তো সব শেষ। মা–হারা হয়েছি চার বছর বয়সে, বাবা নামের বটগাছটাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম।
মার আব্বু আমাকে দেখলেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিতেন সব সময়। হাসপাতালে যখন আব্বু শুয়ে আছেন, আমি যখন তাঁকে দেখলাম, তখন আর আব্বু হাত বাড়ান না। আব্বু চুমু দেন না। নিথর দেহে শুয়ে আছেন। সন্তান হিসেবে এটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আব্বুকে যেভাবে রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি বা বাসায় গান নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি, সেই আব্বুর সঙ্গে সেদিনের আব্বুকে মেলাতে পারছিলাম না। আমি খুব ভেঙে পড়ছিলাম।
আব্বু যখন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি, তখন তাঁকে দেখতে গিয়ে নতুন করে উপলব্ধি করেছি তিনি আমাকে নিয়ে কতটা গর্ব করতেন। নার্সকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে খুব সুন্দর ইংলিশ গান গায় আর খুব ভালো ফ্রেঞ্চ জানে।’ আমি অবাক হয়ে শুনছিলাম ওই অসুখের মধ্যেও আমাকে নিয়ে আব্বু কী সুন্দর করে বললেন। ভাবলাম, আব্বুকে কিছুটা হয়তো খুশি করতে পেরেছি, জীবনে এটাই কম কী!
আব্বু যে কতটা আধুনিক ছিলেন, তা হয়তো অনেকের ধারণায় নেই। আব্বু সব ধরনের গান শুনতেন। আমার সঙ্গে ইংলিশ গান নিয়ে মতবিনিময় হতো।
আব্বু বাংলা ব্যান্ডের গানও খুব পছন্দ করতেন। আর তাই ব্যান্ডের সব খ্যাতিমান শিল্পী আব্বুর সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে আব্বুর সখ্যও ছিল দারুণ।
আমার হাজব্যান্ড ফয়সালও আব্বুর ফিল্মে টানা দুই–তিন বছর গিটার বাজিয়েছেন।
এক বছর হয়ে গেল আব্বু নেই। মানুষ আব্বুকে কতটা ভালোবাসে আর শ্রদ্ধা করে, তা মনে হয় আবারও নতুন করে জেনেছি এই এক বছরে।
আব্বুর গান শুনেই বছর পার করে দিয়েছি। আর মনে হয়েছে, কত গান দিয়ে গিয়েছেন তিনি, এই গানগুলো, অসাধারণ সৃষ্টিগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আব্বু থাকবেন তাঁর গানের মধ্য দিয়েই। আব্বু থাকবেন সবার শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।
৯ আগস্ট। আমার জীবন থেকে যেন সব সুর নিয়ে চলে গেল। এখনো সেই বিকেলটার কথা মনে পড়লে আমার চোখে পানি চলে আসে। ফোনকল এল।
আমার আব্বু নেই। এক কষ্টের শূন্যতা আমাকে গ্রাস করে নিল। খুব অবাক লাগবে শুনতে, কিন্তু আমার কানে তখন আমার প্রিয় আব্বুর বেশ কিছু গানের সুর বেজে উঠেছে। বুকটা দুমড়ে–মুচড়ে যাচ্ছে। আমি তখন অসুস্থ, কিডনির অসুখ নিয়ে অনেক দিন ধরে ভুগছি। হাসপাতালে যাওয়া বারণ। কারণ, চলছে অতিমারি। তা–ও নিজেকে সামলে নিয়ে পিপিই পরে গাড়িতে করে ইউনিভার্সেল হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিলাম। আব্বুকে যখন বের করবে হাসপাতাল থেকে, তখন দেখব।
হাসপাতালের বাইরে বসে মনে হয়েছে—এই তো সব শেষ। মা–হারা হয়েছি চার বছর বয়সে, বাবা নামের বটগাছটাও চলে গেল। আমি এতিম হয়ে গেলাম।
মার আব্বু আমাকে দেখলেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিতেন সব সময়। হাসপাতালে যখন আব্বু শুয়ে আছেন, আমি যখন তাঁকে দেখলাম, তখন আর আব্বু হাত বাড়ান না। আব্বু চুমু দেন না। নিথর দেহে শুয়ে আছেন। সন্তান হিসেবে এটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আব্বুকে যেভাবে রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি বা বাসায় গান নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি, সেই আব্বুর সঙ্গে সেদিনের আব্বুকে মেলাতে পারছিলাম না। আমি খুব ভেঙে পড়ছিলাম।
আব্বু যখন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি, তখন তাঁকে দেখতে গিয়ে নতুন করে উপলব্ধি করেছি তিনি আমাকে নিয়ে কতটা গর্ব করতেন। নার্সকে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে খুব সুন্দর ইংলিশ গান গায় আর খুব ভালো ফ্রেঞ্চ জানে।’ আমি অবাক হয়ে শুনছিলাম ওই অসুখের মধ্যেও আমাকে নিয়ে আব্বু কী সুন্দর করে বললেন। ভাবলাম, আব্বুকে কিছুটা হয়তো খুশি করতে পেরেছি, জীবনে এটাই কম কী!
আব্বু যে কতটা আধুনিক ছিলেন, তা হয়তো অনেকের ধারণায় নেই। আব্বু সব ধরনের গান শুনতেন। আমার সঙ্গে ইংলিশ গান নিয়ে মতবিনিময় হতো।
আব্বু বাংলা ব্যান্ডের গানও খুব পছন্দ করতেন। আর তাই ব্যান্ডের সব খ্যাতিমান শিল্পী আব্বুর সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে আব্বুর সখ্যও ছিল দারুণ।
আমার হাজব্যান্ড ফয়সালও আব্বুর ফিল্মে টানা দুই–তিন বছর গিটার বাজিয়েছেন।
এক বছর হয়ে গেল আব্বু নেই। মানুষ আব্বুকে কতটা ভালোবাসে আর শ্রদ্ধা করে, তা মনে হয় আবারও নতুন করে জেনেছি এই এক বছরে।
আব্বুর গান শুনেই বছর পার করে দিয়েছি। আর মনে হয়েছে, কত গান দিয়ে গিয়েছেন তিনি, এই গানগুলো, অসাধারণ সৃষ্টিগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আব্বু থাকবেন তাঁর গানের মধ্য দিয়েই। আব্বু থাকবেন সবার শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।
তিনি আগে কখনোই ঢাকায় আসেননি। বান্দরবানে যেখানে ওনার বাড়ি সেখান থেকে বান্দরবান শহরে আসতেও প্রায় এক দিন লাগে। ওনার বয়স ৬০-এর বেশি। তাঁকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনিও প্রথম ঢাকায় এলেন। মণিপুরি ঢোলের পুং গ্রুপটার খবর দিয়েছে আমার স্ত্রী।
১০ মিনিট আগেঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নতুন সিনেমা ‘বেলা’। বেলা দের এই বায়োপিকে ঋতুপর্ণা অভিনয় করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। কে এই বেলা দে? আকাশবাণী কলকাতার বিশিষ্ট সঞ্চালিকা, নির্দেশক ও লেখিকা। হাজারো নারীর অনুপ্রেরণা তিনি। বাঙালি নারীদের স্বাধীনতা আর স্বীকৃতির জন্য যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারির
১ ঘণ্টা আগেপারিবারিক সম্পর্কের ভাঙাগড়া, ভালোবাসা আর ত্যাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘দেয়াল’। শফিক রিয়ানের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আনিসুর রহমান রাজীব। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ, নওবা তাহিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম, মনিরা মিঠু প্রমুখ। আনিসুর রহমান রাজীব বলেন, ‘গল্পটা একেবারেই আমাদের চার
১ ঘণ্টা আগেতিন বছর পর ওয়েব সিরিজ নিয়ে ওটিটিতে ফিরছেন আফরান নিশো। অভিনয় করেছেন ভিকি জাহেদের পরিচালনায় ‘আকা’ সিরিজে। এতে নিশোর সঙ্গী হয়েছেন মাসুমা রহমান নাবিলা।
১১ ঘণ্টা আগে