খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’
খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১ দিন আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১ দিন আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১ দিন আগে