এম এস রানা
আজ ১৭ জুলাই অভিনেত্রী ডলি জহুরের জন্মদিন। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী অনেক দিন হলো দেশে নেই। নেই পর্দায়। টেলিফোনে তিনি বললেন জন্মদিনের স্মৃতিকথা, জানালেন অভিনয় প্রসঙ্গে না–বলা অনেক কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা–
ডলি জহুর: ধন্যবাদ। আমি এখন মেলবোর্নে আছি। ছেলের এখানে। গত বছর জানুয়ারিতে এসেছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য যাই যাই করেও দেশে ফেরা হচ্ছে না। আমার ছেলে রিয়াসাতও যেতে দিচ্ছে না। নাতনি রাইসা আর নাতি রাইয়ানের সঙ্গে সময় কাটে বেশি। আমার নাতি রাইয়ানেরও আজ প্রথম জন্মদিন। ঘটা করে কিছুই করছি না। কেক কেটে নিজেরা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। খাওয়াদাওয়া করছি। এই তো। এখানেও লকডাউন চলছে, কাজেই বাইরে যাওয়ারও উপায় নেই।
ডলি: যখন বাবার বাসায় ছিলাম। তখন বোনেরা রান্না করত। কেক কাটা হতো। পরে যখন ছেলে বড় হলো, আলাদা সংসার সাজালাম, তখনো আমি তেমন কিছু করতাম না। ওরা বাবা-ছেলে চুপেচাপে কেক নিয়ে আসত। আমি হয়তো শুটিং শেষ করে ফিরেছি, ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসতেই হুট করে বাতি নিভিয়ে দিত। আমি চমকে উঠতাম। বাতি জ্বালাতেই দেখা যেত টেবিলে কেক সাজানো। পাশে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। একটা শাড়ি নয়তো পারফিউম। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসা হয়েছে।
ডলি: দেশে ফেরার জন্য মনটা ছটফট করছে। কিন্তু ফিরতে তো পারছি না। দেখি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চলে আসব। কত দিন আমার পরিচিত মুখগুলো দেখি না। আমার অভিনয়ের পরিবার, আমার স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা। সবাইকে খুব খুব মিস করি। পরিচিতি কত প্রিয় মুখ হারিয়ে যাচ্ছে। এখানে বসে তাদের মৃত্যূ সংবাদ পাই। মনটা হুহু করে ওঠে।
মাঝে কিছু কাজের কথা হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম ওখানে আমার তো তেমন কিছু করার নেই। ভালো ক্যারেক্টার না হলে, অভিনয়ের সুযোগ না থাকলে কি আর শুটিং করতে ইচ্ছে হয়? তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো চরিত্র বা কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না।
ডলি জহুর, অভিনেত্রী
ডলি: একদমই না। আর দেশে তো এখন আমাদের নিয়ে ভালো কোনো কাজও হচ্ছে না। দেখি তো টিভিতে। মা-খালা তো এখন লাগেই না। একটা–দুটো চরিত্র দিয়েই নাটক হয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু কাজের কথা হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম ওখানে আমার তো তেমন কিছু করার নেই। ভালো ক্যারেক্টার না হলে অভিনয়ের সুযোগ না থাকলে কি আর শুটিং করতে ইচ্ছে হয়? তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো চরিত্র বা কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না।
ডলি: দেখুন, তরুণ-তরুণীদের প্রেম ভালোবাসা নিয়েই তো জীবনের সব ক্রাইসিস নয়। আমাদের বয়সী মানুষদের নিয়েও তো ভালো নাটকের গল্প হয়, সিনেমা হয়। সারা বিশ্বে হচ্ছে। আমাদের পাশের দেশে ভারতেও হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে একদমই হচ্ছে না।
ডলি: হ্যাঁ, ভারতে তো চরিত্রাভিনয় হচ্ছে। এই যে দেখুন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যাকে নিয়ে কী অসাধারণ সব কাজ হলো। তাঁর সঙ্গে আমার আলাপও হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন. তোমরা যদি আসো তাহলে খুব ভালো হয়। সবাই মিলে ভালো কাজ করা যায়। কিন্তু তিনি তো চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।
ডলি: দেখি, দেশে আসি আগে। ভালো কাজ হলে অবশ্যই করব। তবে অবস্থা যা দেখছি, আগের মতো নিয়মিত হয়তো কাজ হবে না।
আজ ১৭ জুলাই অভিনেত্রী ডলি জহুরের জন্মদিন। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী অনেক দিন হলো দেশে নেই। নেই পর্দায়। টেলিফোনে তিনি বললেন জন্মদিনের স্মৃতিকথা, জানালেন অভিনয় প্রসঙ্গে না–বলা অনেক কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা–
ডলি জহুর: ধন্যবাদ। আমি এখন মেলবোর্নে আছি। ছেলের এখানে। গত বছর জানুয়ারিতে এসেছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য যাই যাই করেও দেশে ফেরা হচ্ছে না। আমার ছেলে রিয়াসাতও যেতে দিচ্ছে না। নাতনি রাইসা আর নাতি রাইয়ানের সঙ্গে সময় কাটে বেশি। আমার নাতি রাইয়ানেরও আজ প্রথম জন্মদিন। ঘটা করে কিছুই করছি না। কেক কেটে নিজেরা একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। খাওয়াদাওয়া করছি। এই তো। এখানেও লকডাউন চলছে, কাজেই বাইরে যাওয়ারও উপায় নেই।
ডলি: যখন বাবার বাসায় ছিলাম। তখন বোনেরা রান্না করত। কেক কাটা হতো। পরে যখন ছেলে বড় হলো, আলাদা সংসার সাজালাম, তখনো আমি তেমন কিছু করতাম না। ওরা বাবা-ছেলে চুপেচাপে কেক নিয়ে আসত। আমি হয়তো শুটিং শেষ করে ফিরেছি, ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসতেই হুট করে বাতি নিভিয়ে দিত। আমি চমকে উঠতাম। বাতি জ্বালাতেই দেখা যেত টেবিলে কেক সাজানো। পাশে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। একটা শাড়ি নয়তো পারফিউম। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসা হয়েছে।
ডলি: দেশে ফেরার জন্য মনটা ছটফট করছে। কিন্তু ফিরতে তো পারছি না। দেখি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই চলে আসব। কত দিন আমার পরিচিত মুখগুলো দেখি না। আমার অভিনয়ের পরিবার, আমার স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা। সবাইকে খুব খুব মিস করি। পরিচিতি কত প্রিয় মুখ হারিয়ে যাচ্ছে। এখানে বসে তাদের মৃত্যূ সংবাদ পাই। মনটা হুহু করে ওঠে।
মাঝে কিছু কাজের কথা হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম ওখানে আমার তো তেমন কিছু করার নেই। ভালো ক্যারেক্টার না হলে, অভিনয়ের সুযোগ না থাকলে কি আর শুটিং করতে ইচ্ছে হয়? তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো চরিত্র বা কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না।
ডলি জহুর, অভিনেত্রী
ডলি: একদমই না। আর দেশে তো এখন আমাদের নিয়ে ভালো কোনো কাজও হচ্ছে না। দেখি তো টিভিতে। মা-খালা তো এখন লাগেই না। একটা–দুটো চরিত্র দিয়েই নাটক হয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু কাজের কথা হয়েছিল। কিন্তু দেখলাম ওখানে আমার তো তেমন কিছু করার নেই। ভালো ক্যারেক্টার না হলে অভিনয়ের সুযোগ না থাকলে কি আর শুটিং করতে ইচ্ছে হয়? তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভালো চরিত্র বা কাজ না হলে আর অভিনয়ই করব না।
ডলি: দেখুন, তরুণ-তরুণীদের প্রেম ভালোবাসা নিয়েই তো জীবনের সব ক্রাইসিস নয়। আমাদের বয়সী মানুষদের নিয়েও তো ভালো নাটকের গল্প হয়, সিনেমা হয়। সারা বিশ্বে হচ্ছে। আমাদের পাশের দেশে ভারতেও হচ্ছে। অথচ আমাদের এখানে একদমই হচ্ছে না।
ডলি: হ্যাঁ, ভারতে তো চরিত্রাভিনয় হচ্ছে। এই যে দেখুন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যাকে নিয়ে কী অসাধারণ সব কাজ হলো। তাঁর সঙ্গে আমার আলাপও হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন. তোমরা যদি আসো তাহলে খুব ভালো হয়। সবাই মিলে ভালো কাজ করা যায়। কিন্তু তিনি তো চলে গেলেন না–ফেরার দেশে।
ডলি: দেখি, দেশে আসি আগে। ভালো কাজ হলে অবশ্যই করব। তবে অবস্থা যা দেখছি, আগের মতো নিয়মিত হয়তো কাজ হবে না।
ভৌতিক গল্পের প্রতি আলাদা টান রয়েছে অর্থহীন ব্যান্ডের সাইদুস সালেহীন সুমন ও ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর। দুই বন্ধু মিলে দেখেছেন অনেক হরর সিনেমা। ভৌতিক গল্পের সন্ধানে ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
৬ মিনিট আগেআবুল হায়াত ও দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘বেলা ও বিকেল’। এতে তাঁরা দুজন অভিনয় করেছেন নামভূমিকায়। আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন বিকেল চরিত্রে এবং দিলারা জামান বেলার ভূমিকায়।
১৪ মিনিট আগেতাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার একমাত্র কন্যা আইরা তেহরীম খান। মা-বাবার মতো আইরাও নাম লেখালেন শোবিজে। শুরু হলো বিজ্ঞাপন দিয়ে। প্রথম কাজে আইরা সঙ্গে পেয়েছে মা মিথিলাকে। গত শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজ্ঞাপনটি।
১৭ মিনিট আগে১৮ আগস্ট নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ৭৬তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা থিয়েটার। ১৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে শুরু হবে উৎসব, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। উৎসবে প্রদর্শিত হবে সেলিম আল দীনের দুটি নাটক ‘দেয়াল’ ও ‘নিমজ্জন’।
২১ মিনিট আগে