ঢাকা: বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ কবরীর সিনেমায় অভিষেক হয় ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ দিয়ে। খ্যাতিমান নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচিত হয়ে উঠেন কবরী। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে তার পরিচয়, কাজের অভিজ্ঞতাসহ সুভাষ দত্তের চলচ্চিত্রে প্রথম সুযোগ পাওয়া নিয়ে কবরী বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন। কবরীর ভাষ্য ও নথি ঘেঁটে জানা যায় সুভাষ দত্তের কাছে কতটা ঋনী ছিলেন কবরী।
তাকে কিভাবে আবিস্কার করলেন তা নিয়ে কবরী বলেন,‘সুভাষ দা তার ছবির জন্য নতুন একজন নায়িকা খুঁজছিলেন। আমার পরিবার ছিল সাংস্কৃতিক পরিবার। চট্টগ্রামের সবাই আমাদের জানতেন। বাবাকে সবাই চিনতেন। কামাল নামে বাবার একজন বন্ধু ছিলেন। খুবই সংস্কৃত অনুরাগী মানুষ ছিলেন তিনি। তাকে সত্য দা চিনতেন। সত্য দা’র সঙ্গে আবার সুভাষ দা’র পরিচয় ছিল। তাকে আমার ছবি দেখালেন, পরে আমাকে ডাকলেন। আমার সঙ্গে কথা বললেন। তখন আমার একটি মাত্র সমস্যা ধরা পড়লো। আমার কথায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিকতা। পরে অনেক মহড়া করে নাচ, গান, অভিনয়, ভাষা ঠিক করতে হয়েছে। দাদাই আমাকে প্রথম সুযোগ দিয়েছেন। ‘সুতরাং’ ছাড়াও ‘আবির্ভাব’ নামে দাদার আরেকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। সুভাষ দা’র কারণে আমি সবার কবরী হয়েছি।’
সুভাষ দত্তের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বলেন, ‘দাদা আমার গুরু, নমস্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন আপনভোলা মানুষ, নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। মাঝেমধ্যে তাঁর বাড়িতে মহড়া দিতে যেতাম। বউদি আমাকে ভীষণ আদর করতেন। তিনি ভালো রান্না করতেন। আমি পাশে বসে অবাক হয়ে তা দেখতাম। দাদা-বউদির কথা মনে এলে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে। একবার দাদার বাড়িতে মহড়া করতে গিয়ে দুই-তিন দিন ছিলাম। তাঁর বাড়ি ছিল পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে। ওই এলাকায় ছিল বানরের উপদ্রব। একদিন দুপুরবেলা বউদি হাঁড়িপাতিল ধুয়ে সবে বারান্দায় রেখেছেন, এর মধ্যে বানরের দল এসে সেগুলো নিয়ে এক লাফে উঠে গেল গাছে। তখন হাড়িপাতিল ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের কাছে বউদির কী কাকুতি-মিনতি। বানরদের এটা সাধেন, ওটা সাধেন। শেষ অবধি তাদের কলা দেওয়ার পর হাঁড়িপাতিল ফিরে পাওয়া গেল। আসলে দাদা-বউদির কাছে আমার কত যে ঋণ! দাদা তো আমার শিক্ষক ছিলেন। শব্দের উচ্চারণ বলে দিতেন। প্রতিটি কাজের নির্দেশনা তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি। আমার বুদ্ধি, জানাশোনা, ভালো-মন্দ বোঝা - সবই দাদার অবদান। একবার দাদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নায়িকা হিসেবে আমাকে তিনি কেন পছন্দ করেছিলেন? আমার তো পটলচেরা চোখ ছিল না। নাকটাও খাড়া নয়। দাদা বললেন, তোমার নতুন দাঁত উঠেছিল তো। তাতে তোমার হাসিটা চমৎকার ছিল। ওই ঢেউখেলানো দাঁতের হাসির জন্যই তোমাকে নিয়েছি।’
ঢাকা: বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ কবরীর সিনেমায় অভিষেক হয় ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘সুতরাং’ দিয়ে। খ্যাতিমান নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচিত হয়ে উঠেন কবরী। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে তার পরিচয়, কাজের অভিজ্ঞতাসহ সুভাষ দত্তের চলচ্চিত্রে প্রথম সুযোগ পাওয়া নিয়ে কবরী বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন। কবরীর ভাষ্য ও নথি ঘেঁটে জানা যায় সুভাষ দত্তের কাছে কতটা ঋনী ছিলেন কবরী।
তাকে কিভাবে আবিস্কার করলেন তা নিয়ে কবরী বলেন,‘সুভাষ দা তার ছবির জন্য নতুন একজন নায়িকা খুঁজছিলেন। আমার পরিবার ছিল সাংস্কৃতিক পরিবার। চট্টগ্রামের সবাই আমাদের জানতেন। বাবাকে সবাই চিনতেন। কামাল নামে বাবার একজন বন্ধু ছিলেন। খুবই সংস্কৃত অনুরাগী মানুষ ছিলেন তিনি। তাকে সত্য দা চিনতেন। সত্য দা’র সঙ্গে আবার সুভাষ দা’র পরিচয় ছিল। তাকে আমার ছবি দেখালেন, পরে আমাকে ডাকলেন। আমার সঙ্গে কথা বললেন। তখন আমার একটি মাত্র সমস্যা ধরা পড়লো। আমার কথায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিকতা। পরে অনেক মহড়া করে নাচ, গান, অভিনয়, ভাষা ঠিক করতে হয়েছে। দাদাই আমাকে প্রথম সুযোগ দিয়েছেন। ‘সুতরাং’ ছাড়াও ‘আবির্ভাব’ নামে দাদার আরেকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। সুভাষ দা’র কারণে আমি সবার কবরী হয়েছি।’
সুভাষ দত্তের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বলেন, ‘দাদা আমার গুরু, নমস্য ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন আপনভোলা মানুষ, নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। মাঝেমধ্যে তাঁর বাড়িতে মহড়া দিতে যেতাম। বউদি আমাকে ভীষণ আদর করতেন। তিনি ভালো রান্না করতেন। আমি পাশে বসে অবাক হয়ে তা দেখতাম। দাদা-বউদির কথা মনে এলে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে। একবার দাদার বাড়িতে মহড়া করতে গিয়ে দুই-তিন দিন ছিলাম। তাঁর বাড়ি ছিল পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে। ওই এলাকায় ছিল বানরের উপদ্রব। একদিন দুপুরবেলা বউদি হাঁড়িপাতিল ধুয়ে সবে বারান্দায় রেখেছেন, এর মধ্যে বানরের দল এসে সেগুলো নিয়ে এক লাফে উঠে গেল গাছে। তখন হাড়িপাতিল ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের কাছে বউদির কী কাকুতি-মিনতি। বানরদের এটা সাধেন, ওটা সাধেন। শেষ অবধি তাদের কলা দেওয়ার পর হাঁড়িপাতিল ফিরে পাওয়া গেল। আসলে দাদা-বউদির কাছে আমার কত যে ঋণ! দাদা তো আমার শিক্ষক ছিলেন। শব্দের উচ্চারণ বলে দিতেন। প্রতিটি কাজের নির্দেশনা তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি। আমার বুদ্ধি, জানাশোনা, ভালো-মন্দ বোঝা - সবই দাদার অবদান। একবার দাদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নায়িকা হিসেবে আমাকে তিনি কেন পছন্দ করেছিলেন? আমার তো পটলচেরা চোখ ছিল না। নাকটাও খাড়া নয়। দাদা বললেন, তোমার নতুন দাঁত উঠেছিল তো। তাতে তোমার হাসিটা চমৎকার ছিল। ওই ঢেউখেলানো দাঁতের হাসির জন্যই তোমাকে নিয়েছি।’
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৫’। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উৎসবের প্রথম দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরিবেশিত হবে যাত্রাপালা
৬ ঘণ্টা আগে২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল মৌ খানের। তবে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘বান্ধব’। ছয় বছর আগে মুক্তির জন্য ছাড়পত্র পেলেও এত দিন আটকে ছিল সিনেমাটি। অবশেষে আগামী ৩ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সুজন বড়ুয়া পরিচালিত বান্ধব।
১৭ ঘণ্টা আগেসিকুয়েলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তামিল নির্মাতা সি প্রেম কুমার। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘৯৬’ ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছিল ২০১৮ সালে। সাত বছর পর সিনেমাটির দ্বিতীয় পর্ব নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রেম কুমার। এরই মধ্যে চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেগান নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত থাকেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী দেবলীনা সুর। দুর্গাপূজা এলে সেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় আরও। দেবলীনা জানান, এবার দুর্গাপূজাতেও টিভি থেকে শুরু করে পূজামণ্ডপ পর্যন্ত রয়েছে তাঁর ব্যস্ততা। সেই সঙ্গে রয়েছে নিজের নতুন গান প্রকাশ।
১৭ ঘণ্টা আগে