Ajker Patrika

বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে না ঐশ্বরিয়ার ছবি-কণ্ঠস্বর

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪০
ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: সংগৃহীত
ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি ছাড়া বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাম-ছবি বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। এআই নির্মিত অশ্লীল-বিকৃত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরেরও অপব্যবহার হচ্ছে। তাই ভারতীয় আইন মোতাবেক ‘ব্যক্তিত্বের অধিকার’ কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ঐশ্বরিয়া।

গতকাল মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং প্রচারের অধিকার রক্ষার আবেদন করেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অভিনেত্রীর পক্ষে আইনজীবী সন্দীপ শেঠি আদালতকে জানান, ঐশ্বরিয়ার মুখ বসিয়ে ভুয়া, অশালীন ছবি ছড়ানো হচ্ছে ইন্টারনেটে। অজস্র ভুয়া, অশালীন ছবি; যেগুলোর মধ্যে বিকিনি পরিয়ে বানানো কুরুচিপূর্ণ ছবিও রয়েছে, সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ঐশ্বরিয়ার আইনজীবী আরও জানান, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, বাণিজ্যিক স্বার্থে নায়িকার নাম, ছবি, ভিডিও, কণ্ঠস্বর ব্যবহার করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে নায়িকার ব্যক্তিত্ব রক্ষার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পর্নোগ্রাফি ভিডিওতেও ঐশ্বরিয়ার ছবি বিকৃত করে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ঐশ্বরিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছেন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ব্যক্তিত্বের অধিকার রক্ষা করতে অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

ঐশ্বরিয়ার এই আবেদন আগামী ৭ নভেম্বরের জন্য জয়েন্ট রেজিস্ট্রারের কাছে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি আবার শুনানি হবে আদালতে। তবে বিচারপতি তেজস কারিয়ার বেঞ্চ বলেছেন, ঐশ্বরিয়ার ব্যক্তিত্বের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এমন লিংকগুলো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। পৃথকভাবে ইনজাংশনও জারি করা হবে।

ব্যক্তিত্ব রক্ষার আবেদন জানিয়ে এর আগে অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মর্মে ২০২৪ সালের মে মাসে জ্যাকির ছবি এবং ভিডিওর বাণিজ্যিক ব্যবহার, তাঁর ছবি বসানো পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ২০২৩ সালে অভিনেতা অনিল কাপুরের নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য সবকিছু; এমনকি বিখ্যাত ‘ঝাকাস’ সংলাপের বাণিজ্যিক ব্যবহারেও লাগাম টানেন আদালত। ২০২২ সালের নভেম্বরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একইভাবে অমিতাভ বচ্চনের অধিকার রক্ষার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত