Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

দর্শক খুব খুশি আমাকে পর্দায় দেখে

দর্শক খুব খুশি আমাকে পর্দায় দেখে

অনেক দিন ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত তিনি, তবে গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে মাঝে মাঝে পর্দায় দেখা যায় সুমাইয়া শিমুকে। নুহাশ হুমায়ূনের ২ষ সিরিজের বেসুরা পর্বে অভিনয় করেছেন তিনি। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে এটি শিমুর প্রথম কাজ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ 
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ২৯

২ষ সিরিজের বেসুরা পর্ব দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হলো আপনার। অভিজ্ঞতা কেমন?

এটিকে বলা হচ্ছে মিউজিক্যাল হরর গল্প। মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো উঠে এসেছে এতে। ভালো কাজ, দর্শকের ভালো লাগবে। ৯ জানুয়ারি চরকিতে রিলিজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমি চাই সবাই কনটেন্টটি দেখুক।

ওটিটিতে অভিষেকের জন্য বেসুরাকে বেছে নেওয়ার কারণ কী?

ওটিটি এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। আন্তর্জাতিক মানের কাজ হচ্ছে। আমাদের দেশেও ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। যেহেতু বেশ আগেই আমি অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ি, তাই এত দিন এই মাধ্যমে অভিনয় করা হয়নি। চাচ্ছিলাম একটি ভালো কনটেন্ট দিয়ে এই মাধ্যমে কাজ শুরু করতে। বেসুরার গল্পটি সত্যিই অন্য রকম। এ ছাড়া নতুন নির্মাতাদের মধ্যে নুহাশ বেশ প্রমিজিং। বেসুরার গল্প ও নুহাশের পরিচালনা—সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে কাজটি করা যায়।

এ গল্পের শুটিং তো ঢাকার বাইরে হয়েছে। আপনি গত বছর মা হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বাইরে গিয়ে শুটিং করাটা কি চ্যালেঞ্জিং ছিল?

বেসুরার শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, পাহাড়ি এলাকায় সেট ফেলে। যখন জানলাম সেখানে গিয়ে শুটিং করতে হবে, তখন কিছুটা চিন্তার মধ্যে পড়ে যাই। তখন আমার পক্ষে ঢাকার বাইরে গিয়ে শুটিং করা কঠিন ছিল। এরপর নুহাশের পরিকল্পনা শোনার পর মনে হলো, যদিও আমার কষ্ট হবে, কিন্তু কাজটি করা উচিত।

বেসুরাতে সব চরিত্রের মুখে ছন্দে ছন্দে সংলাপ শোনা গেছে। এটা কি আপনার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা?

এই প্রথম এমনভাবে সংলাপ বলা হলো। ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। এ ধরনের কাজ আগে কখনো করিনি। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে নির্মাতার সঙ্গে সবকিছু নিয়ে আলাপ করে নিয়েছিলাম। সে কীভাবে আমার চরিত্রটি পর্দায় দেখতে চায়, সেটা ভালোভাবে বুঝে নিয়েছিলাম। আমার নিজের চিন্তাও শেয়ার করেছিলাম। তাই সেটে তেমন অসুবিধা হয়নি। কারণ আমি জানতাম—পরিচালক আমার কাছে কী চাচ্ছে, আর আমাকে কী করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার অভিনয়ের প্রশংসা করছে সবাই। দর্শক আপনাকে নিয়মিত দেখতে পর্দায় দেখতে চায়...

যে সময় নিয়মিত কাজ করেছি, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার এত প্রসার ঘটেনি। ফলে দর্শকের প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ ছিল কম। অনেকে হয়তো ফোন করত। কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে দর্শকের কাছাকাছি থাকা যায়, তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। বেসুরা নিয়ে তাঁদের মন্তব্যগুলো খেয়াল করেছি। অনেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। দর্শক খুব খুশি আমাকে পর্দায় দেখে। এটা আমার জন্য ভালো লাগার ও সম্মানের বিষয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে তারকারা যেমন দর্শকের কাছাকাছি চলে এসেছেন, উল্টো চিত্রও তো আছে। অনেককেই এখন তুচ্ছ কারণে সমালোচিত হতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আপনার কী মন্তব্য?

নেতিবাচক বিষয় নিয়ে সেভাবে কিছু বলতে চাই না। দর্শকেরা কাজটি দেখার পর তারা ভালো-মন্দ দুটোই বলুক। যদি ভালো না লাগে, সেটা বাজেভাবে না বলে গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করবে। ধরুন, কারও কাছে মনে হলো আমার অভিনয়টা ভালো হয়নি, আরও উন্নতির প্রয়োজন। সেটা দর্শক বলতেই পারে। গঠনমূলক সমালোচনা আমার জন্যও ভালো। পরের কাজ করার সময় সেই সমালোচনা মাথায় থাকলে কাজ আরও ভালো হবে। একজন মানুষ যখন মন্তব্য করছেন, তিনি কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমাকে চেনেন না। আমার কাজ দেখে উনি সমালোচনা করছেন। কিন্তু খারাপ ভাষায় মন্তব্য করা আমি আশা করি না। আমরা দর্শকদের ভালো লাগার জন্যই কাজ করি। দর্শক যদি না দেখে তাহলে আমাদের কাজের মূল্যই নেই। এ কারণে আমি চাই, তাঁরা গঠনমূলক সমালোচনা করুন। যাতে আমরা নিজেদের আরও ঋদ্ধ করতে পারি।

একসময় নিয়মিত কাজ করেছেন। প্রায় প্রতিদিন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময়টা মিস করেন?

না, ওইভাবে মিস করা হয় না। যখন নিয়মিত কাজ করেছি, তখন একরকম জীবন ছিল। এখন জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে, গুরুত্বের জায়গা বদলেছে। এখন চাইলেও আগের মতো কাজ করতে পারব না। আগে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতাম, সেগুলোতে মানাবেও না। আবার এটাও সত্যি, অনেক দিন শুটিং না করলে খারাপ লাগে। কারণ অভিনয়কে ভালোবাসি। মানুষ আমাকে চেনে অভিনয়শিল্পী হিসেবে। কিন্তু বর্তমান জীবন নিয়েও আমি খুশি। তবে অভিনয়টা কম হোক বেশি হোক, করতে চাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওটিটিতে জয়া আহসানের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় কুসুম চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমায় কুসুম চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। দর্শকের জন্য সহজবোধ্য করতে গল্পের প্রেক্ষাপটকাল এগিয়ে এনেছেন নির্মাতা। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগ থেকে চল্লিশের দশকের শুরুর দিকের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে গল্প। মূল উপন্যাসে সময়টা ছিল আরও পেছনের। এতে কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। শশী ও কুমুদের চরিত্রে থাকছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আরও অভিনয় করেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

‘বিসর্জন’ ও ‘বিজয়া’র পর পুতুলনাচের ইতিকথা সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে আবীর-জয়ার পর্দার রসায়ন। এবার তাঁদের অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রি দেখা যাবে ঘরে বসে। ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশের দর্শকও সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।

jaya-2

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় জয়া আহসান জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শক দেখার সুযোগ পেলে তিনি খুব খুশি হবেন। ওটিটিতে মুক্তির মধ্য দিয়ে জয়ার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সে সময় জয়া বলেছিলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসটি ওপরের দিকেই থাকবে। এটি নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। খুব খুশি হব যদি এই সিনেমাটি আমার বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পায়। সিনেমাটি ভারতীয় একজন নির্মাণ করলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশেরও। এ দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া তাঁর গায়ে লেগেছে। বাংলাদেশের যে সকল দর্শক সাহিত্যনির্ভর সিনেমা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য দেখবার মতো একটি সিনেমা পুতুলনাচের ইতিকথা।’

এদিকে ২ নভেম্বর দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির নির্মাতা ইরানের মুর্তজা অতাশ জমজম। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এ সিনেমায় দেখা যাবে ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ফেরেশতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারকের আসনে ফেরদৌস ওয়াহিদ, লিজা ও লুইপা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আরটিভি লিটল স্টার’ শোর তিন বিচারক (বাঁ থেকে) লিজা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও লুইপা। ছবি: সংগৃহীত
‘আরটিভি লিটল স্টার’ শোর তিন বিচারক (বাঁ থেকে) লিজা, ফেরদৌস ওয়াহিদ ও লুইপা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা। গতকাল থেকে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। দেখা যাবে প্রতি শনি ও বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর প্রতিযোগিতায় প্রায় ১২ হাজার প্রতিযোগী আবেদন করে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার প্রতিযোগীকে বাছাই করেন বিচারকেরা। তাঁদের বিচার-বিশ্লেষণে ১৫০ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয় স্টুডিও রাউন্ডের জন্য। আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে ১৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হচ্ছে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বরের পরবর্তী বাছাই পর্ব। এসব রাউন্ডে থাকবে ফোক, রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীত, মডার্ন সং ও ব্যান্ড রাউন্ড।

আরজু আহমেদের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন ইমতু রাতিশ ও রুহানি সালসাবিল লাবণ্য। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ব্যবস্থাপনায় থাকবেন অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব। টিভি পর্দার পাশাপাশি আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর দেখা যাবে আরটিভির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুটোপিয়ার অদ্ভুত রাজ্যে শ্রদ্ধা কাপুর

বিনোদন ডেস্ক
‘জুটোপিয়া ২’-এর জুডি হপস চরিত্রের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত
‘জুটোপিয়া ২’-এর জুডি হপস চরিত্রের সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুর। ছবি: সংগৃহীত

অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই। ‘জুটোপিয়া ২’-এর হিন্দি সংস্করণে জুডি হপস চরিত্রে শোনা যাবে শ্রদ্ধা কাপুরের কণ্ঠ।

গতকাল মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রদ্ধা। এ চরিত্রে কণ্ঠ দিতে পেরে কতটা উচ্ছ্বসিত তিনি, জানান সে কথা। শ্রদ্ধা কাপুর বলেন, ‘হিন্দিতে জুডি হপস চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে জুটোপিয়া ২-তে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সদস্যরাও কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’

জুটোপিয়া ২-তে শ্রদ্ধার যুক্ত হওয়ার খবর জানাতে একটি বিশেষ ট্রেলার বানিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। দুই মিনিটের ওই ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে চরিত্র অনুযায়ী পোশাক খুঁজছেন শ্রদ্ধা। জুডি হপসের পোশাক পেয়েই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি। শুটিং শুরু হতেই খবর আসে, একটি আংটি হারিয়ে গেছে। জুডি হপসের মতো করে তদন্ত শুরু করে শ্রদ্ধা। আংটি খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আসে জুটোপিয়া ২-এর কিছু ঝলক। ভয়েসওভারে শোনা যায় শ্রদ্ধার কণ্ঠ। জুডি হপসের ভঙ্গিতেই সিনেমাটির বর্ণনা দিতে থাকেন তিনি। জানা গেছে, জুটোপিয়ার সিকুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ২৬ নভেম্বর। আর ভারতে দেখা যাবে ২৮ নভেম্বর থেকে।

জুটোপিয়ার প্রথম পর্ব মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে জুটোপিয়া নামের এক অদ্ভুত রাজ্যের গল্প। জুটোপিয়া জীবজন্তুদের শহর। সব প্রাণী একসঙ্গে বসবাস করে। জুডি হপস নামের এক খরগোশের ইচ্ছা পুলিশ অফিসার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে প্রথম খরগোশ হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি পায় জুডি। কিন্তু চাকরির কিছুদিন না যেতেই শহরে ঘটতে থাকে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। জুডিও দমবার পাত্র নয়। কোমর বেঁধে লেগে পড়ে রহস্য উদ্‌ঘাটনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ষষ্ঠ বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ষষ্ঠ বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া। এবারের উৎসবে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

বগুড়া উৎসবে শর্টফিল্ম, ফিচার ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেটেড ফিল্ম ও ওপেন ডোর শর্ট—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সিনেমা জমা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই সেরা নির্বাচন করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ।

প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচনের জন্য থাকছে ভিন্ন জুরিবোর্ড। বোর্ডে থাকছেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ নির্মাতা, ফিল্ম স্কলার ও কিউরেটররা। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন, মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, অন্তু আজাদ, সিনেমাটোগ্রাফার শেখ রাজিবুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, রাশিয়ার চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ আনাস্কিন সার্জে, নির্মাতা আলেক্সান্ডার মোরোও, ভারতের ফিল্ম কিউরেটর শান্তনু গাঙ্গুলি, ইরানের নির্মাতা মারিয়ম ঘাসেমি, নেপাল কালচারাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান সন্তোষ সুবেদী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত