বিনোদন ডেস্ক

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে। অভিনেত্রীর এমন প্রয়াণে নেমেছে শোকের ছায়া। সহশিল্পীরা জানাচ্ছেন শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিতে স্মরণে আঁকছেন তাঁর ছবি...

তার মতো শিল্পী পেতে হলে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে
মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, প্রযোজক ও অভিনেতা
আমার প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে অঞ্জনা। তাই আমাকে অভিভাবক মানত সে। সবাইকে বলত—উনি আমার গুরু। সব সময় ফোন করে আমার খোঁজখবর নিত, আমার বাসায় আসত, যতক্ষণ থাকত, হইহুল্লোড় করত, আনন্দ করত। ভীষণ হাসিখুশি আর মিশুক মানুষ ছিল অঞ্জনা। সব সময় সেজেগুজে থাকতে ভালোবাসত, মন খরাপ করাটা তার স্বভাবেই ছিল না। নিজে যেমন হাসিখুশি থাকতে চাইত, সবাইকে তেমনি হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করত। বড় অসময়ে চলে গেল অঞ্জনা। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একটা বাতি নিভে গেল। খুব ভালো নাচতে পারত সে। নৃত্যশিল্পী থেকেই নায়িকা হয়েছে অঞ্জনা। তার মতো একজন শিল্পী পেতে হলে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন অঞ্জনা
উজ্জল, অভিনেতা
অঞ্জনা দীর্ঘদিন যাবৎ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা এখন পরিণত অবস্থানে আছি, তাঁদের মধ্যে অঞ্জনা ছিলেন অন্যতম। অঞ্জনা শুধু নায়িকা নন, বিশেষায়িত নৃত্যশিল্পীদের একজন ছিলেন। সেখান থেকেই চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তখন সিনেমায় মানুষের মন জয় করা কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজটি অঞ্জনা করেছেন। অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। দর্শকের সামনে তাঁর প্রতিভার জানান দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে কখনো জেলাসি ছিল না, ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা ছিল। তাঁর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি। তাঁর কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন তিনি। আর মানুষ হিসেবে খুব সহজ-সরল ছিলেন। সবার সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর জন্য অনেক দোয়া। যেখানেই থাকেন তিনি যেন ভালো থাকেন।

একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম
সাবিনা ইয়াসমীন, সংগীতশিল্পী
অঞ্জনা যে এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে একটুও বুঝতে পারিনি। ওকে কোনো দিন অসুস্থ দেখিনি, শরীর খারাপ দেখিনি, ওষুধ খেতে দেখিনি। আমরা অনেক ছোটবেলার বান্ধবী। ৬-৭ বছর বয়স থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম। বড় হওয়ার পরেও দেশের বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে একসঙ্গে রুম শেয়ার করেছি। একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেছি। একেবারে অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু ছিলাম আমরা। ওর আত্মা যেন চিরশান্তিতে থাকে, এটাই চাই।

মনে দুঃখ থাকলেও সব সময় হাসিমুখে থাকতেন
রোজিনা, অভিনেত্রী
অঞ্জনাদি খুব ডিফারেন্ট একজন শিল্পী ছিলেন। এত ভালো মনের মানুষ ছিলেন, হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন সব সময়। ওনার সঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছি, আউটডোর শুটিংয়ে গিয়েছি একসঙ্গে। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে আমার। একটি স্মৃতি খু্ব মনে পড়ছে। রাজ্জাক ভাইয়ের প্রোডাকশন ও পরিচালনায় ‘অভিযান’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রায় এক মাস বড় জাহাজে ছিলাম। সারাক্ষণ সুখ-দুঃখের কথা হতো আমাদের। অভিনয়জীবনের বাইরেও আমাদের ব্যক্তিগত অনেক বিষয় থাকে। অনেক চাওয়া থাকে, অপূর্ণতা থাকে, মান-অভিমান থাকে, দুঃখ থাকে। এসব নিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা হতো। মনের মধ্যে দুঃখ থাকলেও মানুষের সামনে এলে সব সময় হাসিমুখে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র সবার ভালো সম্পর্ক ছিল। অঞ্জনাদির চলে যাওয়া আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে শূন্যতা তৈরি করল। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর যে কাজ রয়ে গেল, সেই কাজের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।

সবাই বলত আমি আর অঞ্জনা দুই বোন
নূতন, অভিনেত্রী
অঞ্জনা যেখানে যেত সব জায়গায় হাসিখুশি থাকত। কারও সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার সে করেনি। অঞ্জনার সঙ্গে আমার হাজারটা স্মৃতি রয়েছে। কত মজা করেছি আমরা। ব্যক্তি অঞ্জনা খুব ভালো মানুষ ছিল। একেবারে বাচ্চাদের মতো ছিল। সবাই বলত, আমি আর অঞ্জনা দুই বোন। আমার সেই বোন চলে গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। কী এমন হলো যে হঠাৎ করে অঞ্জনা আমাদের ছেড়ে চলে গেল!

আমরা শিল্পী হারিয়েছি, আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষ হারিয়েছে
মিশা সওদাগর, অভিনেতা
অঞ্জনা আপা ছিলেন পুরোপুরি স্পোর্টসওম্যান, একজন ভালো মানুষ। উনি ছিলেন ডাউন টু আর্থ। শাবানা আপা থেকে শুরু করে একেবারে জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গেও একই রকম ব্যবহার করতেন। তাঁর কাছে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাঁর বিরাট অবদান। তিন শর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা শিল্পী হারিয়েছি আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছে।

অঞ্জনা আপার চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে
শাবনূর, অভিনেত্রী
প্রিয় অঞ্জনা আপার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা গুণী এই শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমার জন্মদিনে, আমাদের দুজনের একসঙ্গে তোলা কিছু ছবি দিয়ে উইশ করে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন।’ আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত, শীর্ষস্থানীয় এক মহাতারকা তিনি।

অঞ্জনার বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা
মতিন রহমান, পরিচালক
অঞ্জনার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা। সাধারণত কোনো শিল্পীর মধ্যে এই গুণটি আমি অন্তত খুঁজে পাই না। একজন শিল্পী যখন সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যায়, তার যখন চারদিকে সম্মান বেড়ে যায়, তখন সেই শিল্পী পেছনের কথা মনে রাখে না। নিজেকে প্রকাশ করতেই ব্যস্ত থাকে। অঞ্জনা ছিল ব্যতিক্রম। সব সময় সে পেছনের কথা বলত। কে তার জন্য কতটুকু করেছে, সেটা সব সময় স্মরণ করত। সে ছিল অসম্ভব মেধাবী, সরল ও পরিশ্রমী শিল্পী। তাঁর বিদেহী আত্মার পরম শান্তি কামনা করি।
একনজরে অঞ্জনা
জন্ম: ২৭ জুন ১৯৬৫, ঢাকা।
অভিনয় শুরু: ১৯৭৬ সালে, বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ সিনেমা দিয়ে।
প্রথম নায়ক: সোহেল রানা।
মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা: শামসুদ্দিন টগরের ‘দস্যু বনহুর’।
পরিচিতি পান: আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’ সিনেমার মাধ্যমে।
আলোচিত সিনেমা: ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’, ‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘অভিযান’, ‘মহান’, ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরিণীতা’ ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য অর্জন: বাংলাদেশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়।
জাতীয় পুরস্কার: দুইবার। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’ সিনেমার জন্য।
মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে। অভিনেত্রীর এমন প্রয়াণে নেমেছে শোকের ছায়া। সহশিল্পীরা জানাচ্ছেন শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিতে স্মরণে আঁকছেন তাঁর ছবি...

তার মতো শিল্পী পেতে হলে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে
মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, প্রযোজক ও অভিনেতা
আমার প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে অঞ্জনা। তাই আমাকে অভিভাবক মানত সে। সবাইকে বলত—উনি আমার গুরু। সব সময় ফোন করে আমার খোঁজখবর নিত, আমার বাসায় আসত, যতক্ষণ থাকত, হইহুল্লোড় করত, আনন্দ করত। ভীষণ হাসিখুশি আর মিশুক মানুষ ছিল অঞ্জনা। সব সময় সেজেগুজে থাকতে ভালোবাসত, মন খরাপ করাটা তার স্বভাবেই ছিল না। নিজে যেমন হাসিখুশি থাকতে চাইত, সবাইকে তেমনি হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করত। বড় অসময়ে চলে গেল অঞ্জনা। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একটা বাতি নিভে গেল। খুব ভালো নাচতে পারত সে। নৃত্যশিল্পী থেকেই নায়িকা হয়েছে অঞ্জনা। তার মতো একজন শিল্পী পেতে হলে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন অঞ্জনা
উজ্জল, অভিনেতা
অঞ্জনা দীর্ঘদিন যাবৎ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা এখন পরিণত অবস্থানে আছি, তাঁদের মধ্যে অঞ্জনা ছিলেন অন্যতম। অঞ্জনা শুধু নায়িকা নন, বিশেষায়িত নৃত্যশিল্পীদের একজন ছিলেন। সেখান থেকেই চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তখন সিনেমায় মানুষের মন জয় করা কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজটি অঞ্জনা করেছেন। অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। দর্শকের সামনে তাঁর প্রতিভার জানান দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে কখনো জেলাসি ছিল না, ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা ছিল। তাঁর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি। তাঁর কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন তিনি। আর মানুষ হিসেবে খুব সহজ-সরল ছিলেন। সবার সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর জন্য অনেক দোয়া। যেখানেই থাকেন তিনি যেন ভালো থাকেন।

একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম
সাবিনা ইয়াসমীন, সংগীতশিল্পী
অঞ্জনা যে এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে একটুও বুঝতে পারিনি। ওকে কোনো দিন অসুস্থ দেখিনি, শরীর খারাপ দেখিনি, ওষুধ খেতে দেখিনি। আমরা অনেক ছোটবেলার বান্ধবী। ৬-৭ বছর বয়স থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম। বড় হওয়ার পরেও দেশের বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে একসঙ্গে রুম শেয়ার করেছি। একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেছি। একেবারে অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু ছিলাম আমরা। ওর আত্মা যেন চিরশান্তিতে থাকে, এটাই চাই।

মনে দুঃখ থাকলেও সব সময় হাসিমুখে থাকতেন
রোজিনা, অভিনেত্রী
অঞ্জনাদি খুব ডিফারেন্ট একজন শিল্পী ছিলেন। এত ভালো মনের মানুষ ছিলেন, হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন সব সময়। ওনার সঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছি, আউটডোর শুটিংয়ে গিয়েছি একসঙ্গে। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে আমার। একটি স্মৃতি খু্ব মনে পড়ছে। রাজ্জাক ভাইয়ের প্রোডাকশন ও পরিচালনায় ‘অভিযান’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রায় এক মাস বড় জাহাজে ছিলাম। সারাক্ষণ সুখ-দুঃখের কথা হতো আমাদের। অভিনয়জীবনের বাইরেও আমাদের ব্যক্তিগত অনেক বিষয় থাকে। অনেক চাওয়া থাকে, অপূর্ণতা থাকে, মান-অভিমান থাকে, দুঃখ থাকে। এসব নিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা হতো। মনের মধ্যে দুঃখ থাকলেও মানুষের সামনে এলে সব সময় হাসিমুখে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র সবার ভালো সম্পর্ক ছিল। অঞ্জনাদির চলে যাওয়া আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে শূন্যতা তৈরি করল। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর যে কাজ রয়ে গেল, সেই কাজের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।

সবাই বলত আমি আর অঞ্জনা দুই বোন
নূতন, অভিনেত্রী
অঞ্জনা যেখানে যেত সব জায়গায় হাসিখুশি থাকত। কারও সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার সে করেনি। অঞ্জনার সঙ্গে আমার হাজারটা স্মৃতি রয়েছে। কত মজা করেছি আমরা। ব্যক্তি অঞ্জনা খুব ভালো মানুষ ছিল। একেবারে বাচ্চাদের মতো ছিল। সবাই বলত, আমি আর অঞ্জনা দুই বোন। আমার সেই বোন চলে গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। কী এমন হলো যে হঠাৎ করে অঞ্জনা আমাদের ছেড়ে চলে গেল!

আমরা শিল্পী হারিয়েছি, আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষ হারিয়েছে
মিশা সওদাগর, অভিনেতা
অঞ্জনা আপা ছিলেন পুরোপুরি স্পোর্টসওম্যান, একজন ভালো মানুষ। উনি ছিলেন ডাউন টু আর্থ। শাবানা আপা থেকে শুরু করে একেবারে জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গেও একই রকম ব্যবহার করতেন। তাঁর কাছে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাঁর বিরাট অবদান। তিন শর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা শিল্পী হারিয়েছি আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছে।

অঞ্জনা আপার চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে
শাবনূর, অভিনেত্রী
প্রিয় অঞ্জনা আপার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা গুণী এই শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমার জন্মদিনে, আমাদের দুজনের একসঙ্গে তোলা কিছু ছবি দিয়ে উইশ করে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন।’ আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত, শীর্ষস্থানীয় এক মহাতারকা তিনি।

অঞ্জনার বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা
মতিন রহমান, পরিচালক
অঞ্জনার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা। সাধারণত কোনো শিল্পীর মধ্যে এই গুণটি আমি অন্তত খুঁজে পাই না। একজন শিল্পী যখন সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যায়, তার যখন চারদিকে সম্মান বেড়ে যায়, তখন সেই শিল্পী পেছনের কথা মনে রাখে না। নিজেকে প্রকাশ করতেই ব্যস্ত থাকে। অঞ্জনা ছিল ব্যতিক্রম। সব সময় সে পেছনের কথা বলত। কে তার জন্য কতটুকু করেছে, সেটা সব সময় স্মরণ করত। সে ছিল অসম্ভব মেধাবী, সরল ও পরিশ্রমী শিল্পী। তাঁর বিদেহী আত্মার পরম শান্তি কামনা করি।
একনজরে অঞ্জনা
জন্ম: ২৭ জুন ১৯৬৫, ঢাকা।
অভিনয় শুরু: ১৯৭৬ সালে, বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ সিনেমা দিয়ে।
প্রথম নায়ক: সোহেল রানা।
মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা: শামসুদ্দিন টগরের ‘দস্যু বনহুর’।
পরিচিতি পান: আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’ সিনেমার মাধ্যমে।
আলোচিত সিনেমা: ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’, ‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘অভিযান’, ‘মহান’, ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরিণীতা’ ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য অর্জন: বাংলাদেশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়।
জাতীয় পুরস্কার: দুইবার। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’ সিনেমার জন্য।
মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।
বিনোদন ডেস্ক

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে। অভিনেত্রীর এমন প্রয়াণে নেমেছে শোকের ছায়া। সহশিল্পীরা জানাচ্ছেন শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিতে স্মরণে আঁকছেন তাঁর ছবি...

তার মতো শিল্পী পেতে হলে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে
মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, প্রযোজক ও অভিনেতা
আমার প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে অঞ্জনা। তাই আমাকে অভিভাবক মানত সে। সবাইকে বলত—উনি আমার গুরু। সব সময় ফোন করে আমার খোঁজখবর নিত, আমার বাসায় আসত, যতক্ষণ থাকত, হইহুল্লোড় করত, আনন্দ করত। ভীষণ হাসিখুশি আর মিশুক মানুষ ছিল অঞ্জনা। সব সময় সেজেগুজে থাকতে ভালোবাসত, মন খরাপ করাটা তার স্বভাবেই ছিল না। নিজে যেমন হাসিখুশি থাকতে চাইত, সবাইকে তেমনি হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করত। বড় অসময়ে চলে গেল অঞ্জনা। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একটা বাতি নিভে গেল। খুব ভালো নাচতে পারত সে। নৃত্যশিল্পী থেকেই নায়িকা হয়েছে অঞ্জনা। তার মতো একজন শিল্পী পেতে হলে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন অঞ্জনা
উজ্জল, অভিনেতা
অঞ্জনা দীর্ঘদিন যাবৎ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা এখন পরিণত অবস্থানে আছি, তাঁদের মধ্যে অঞ্জনা ছিলেন অন্যতম। অঞ্জনা শুধু নায়িকা নন, বিশেষায়িত নৃত্যশিল্পীদের একজন ছিলেন। সেখান থেকেই চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তখন সিনেমায় মানুষের মন জয় করা কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজটি অঞ্জনা করেছেন। অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। দর্শকের সামনে তাঁর প্রতিভার জানান দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে কখনো জেলাসি ছিল না, ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা ছিল। তাঁর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি। তাঁর কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন তিনি। আর মানুষ হিসেবে খুব সহজ-সরল ছিলেন। সবার সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর জন্য অনেক দোয়া। যেখানেই থাকেন তিনি যেন ভালো থাকেন।

একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম
সাবিনা ইয়াসমীন, সংগীতশিল্পী
অঞ্জনা যে এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে একটুও বুঝতে পারিনি। ওকে কোনো দিন অসুস্থ দেখিনি, শরীর খারাপ দেখিনি, ওষুধ খেতে দেখিনি। আমরা অনেক ছোটবেলার বান্ধবী। ৬-৭ বছর বয়স থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম। বড় হওয়ার পরেও দেশের বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে একসঙ্গে রুম শেয়ার করেছি। একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেছি। একেবারে অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু ছিলাম আমরা। ওর আত্মা যেন চিরশান্তিতে থাকে, এটাই চাই।

মনে দুঃখ থাকলেও সব সময় হাসিমুখে থাকতেন
রোজিনা, অভিনেত্রী
অঞ্জনাদি খুব ডিফারেন্ট একজন শিল্পী ছিলেন। এত ভালো মনের মানুষ ছিলেন, হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন সব সময়। ওনার সঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছি, আউটডোর শুটিংয়ে গিয়েছি একসঙ্গে। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে আমার। একটি স্মৃতি খু্ব মনে পড়ছে। রাজ্জাক ভাইয়ের প্রোডাকশন ও পরিচালনায় ‘অভিযান’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রায় এক মাস বড় জাহাজে ছিলাম। সারাক্ষণ সুখ-দুঃখের কথা হতো আমাদের। অভিনয়জীবনের বাইরেও আমাদের ব্যক্তিগত অনেক বিষয় থাকে। অনেক চাওয়া থাকে, অপূর্ণতা থাকে, মান-অভিমান থাকে, দুঃখ থাকে। এসব নিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা হতো। মনের মধ্যে দুঃখ থাকলেও মানুষের সামনে এলে সব সময় হাসিমুখে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র সবার ভালো সম্পর্ক ছিল। অঞ্জনাদির চলে যাওয়া আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে শূন্যতা তৈরি করল। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর যে কাজ রয়ে গেল, সেই কাজের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।

সবাই বলত আমি আর অঞ্জনা দুই বোন
নূতন, অভিনেত্রী
অঞ্জনা যেখানে যেত সব জায়গায় হাসিখুশি থাকত। কারও সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার সে করেনি। অঞ্জনার সঙ্গে আমার হাজারটা স্মৃতি রয়েছে। কত মজা করেছি আমরা। ব্যক্তি অঞ্জনা খুব ভালো মানুষ ছিল। একেবারে বাচ্চাদের মতো ছিল। সবাই বলত, আমি আর অঞ্জনা দুই বোন। আমার সেই বোন চলে গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। কী এমন হলো যে হঠাৎ করে অঞ্জনা আমাদের ছেড়ে চলে গেল!

আমরা শিল্পী হারিয়েছি, আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষ হারিয়েছে
মিশা সওদাগর, অভিনেতা
অঞ্জনা আপা ছিলেন পুরোপুরি স্পোর্টসওম্যান, একজন ভালো মানুষ। উনি ছিলেন ডাউন টু আর্থ। শাবানা আপা থেকে শুরু করে একেবারে জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গেও একই রকম ব্যবহার করতেন। তাঁর কাছে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাঁর বিরাট অবদান। তিন শর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা শিল্পী হারিয়েছি আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছে।

অঞ্জনা আপার চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে
শাবনূর, অভিনেত্রী
প্রিয় অঞ্জনা আপার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা গুণী এই শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমার জন্মদিনে, আমাদের দুজনের একসঙ্গে তোলা কিছু ছবি দিয়ে উইশ করে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন।’ আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত, শীর্ষস্থানীয় এক মহাতারকা তিনি।

অঞ্জনার বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা
মতিন রহমান, পরিচালক
অঞ্জনার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা। সাধারণত কোনো শিল্পীর মধ্যে এই গুণটি আমি অন্তত খুঁজে পাই না। একজন শিল্পী যখন সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যায়, তার যখন চারদিকে সম্মান বেড়ে যায়, তখন সেই শিল্পী পেছনের কথা মনে রাখে না। নিজেকে প্রকাশ করতেই ব্যস্ত থাকে। অঞ্জনা ছিল ব্যতিক্রম। সব সময় সে পেছনের কথা বলত। কে তার জন্য কতটুকু করেছে, সেটা সব সময় স্মরণ করত। সে ছিল অসম্ভব মেধাবী, সরল ও পরিশ্রমী শিল্পী। তাঁর বিদেহী আত্মার পরম শান্তি কামনা করি।
একনজরে অঞ্জনা
জন্ম: ২৭ জুন ১৯৬৫, ঢাকা।
অভিনয় শুরু: ১৯৭৬ সালে, বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ সিনেমা দিয়ে।
প্রথম নায়ক: সোহেল রানা।
মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা: শামসুদ্দিন টগরের ‘দস্যু বনহুর’।
পরিচিতি পান: আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’ সিনেমার মাধ্যমে।
আলোচিত সিনেমা: ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’, ‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘অভিযান’, ‘মহান’, ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরিণীতা’ ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য অর্জন: বাংলাদেশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়।
জাতীয় পুরস্কার: দুইবার। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’ সিনেমার জন্য।
মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে। অভিনেত্রীর এমন প্রয়াণে নেমেছে শোকের ছায়া। সহশিল্পীরা জানাচ্ছেন শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিতে স্মরণে আঁকছেন তাঁর ছবি...

তার মতো শিল্পী পেতে হলে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে
মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, প্রযোজক ও অভিনেতা
আমার প্রযোজিত ও অভিনীত ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে অঞ্জনা। তাই আমাকে অভিভাবক মানত সে। সবাইকে বলত—উনি আমার গুরু। সব সময় ফোন করে আমার খোঁজখবর নিত, আমার বাসায় আসত, যতক্ষণ থাকত, হইহুল্লোড় করত, আনন্দ করত। ভীষণ হাসিখুশি আর মিশুক মানুষ ছিল অঞ্জনা। সব সময় সেজেগুজে থাকতে ভালোবাসত, মন খরাপ করাটা তার স্বভাবেই ছিল না। নিজে যেমন হাসিখুশি থাকতে চাইত, সবাইকে তেমনি হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করত। বড় অসময়ে চলে গেল অঞ্জনা। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একটা বাতি নিভে গেল। খুব ভালো নাচতে পারত সে। নৃত্যশিল্পী থেকেই নায়িকা হয়েছে অঞ্জনা। তার মতো একজন শিল্পী পেতে হলে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন অঞ্জনা
উজ্জল, অভিনেতা
অঞ্জনা দীর্ঘদিন যাবৎ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা এখন পরিণত অবস্থানে আছি, তাঁদের মধ্যে অঞ্জনা ছিলেন অন্যতম। অঞ্জনা শুধু নায়িকা নন, বিশেষায়িত নৃত্যশিল্পীদের একজন ছিলেন। সেখান থেকেই চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তখন সিনেমায় মানুষের মন জয় করা কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজটি অঞ্জনা করেছেন। অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। দর্শকের সামনে তাঁর প্রতিভার জানান দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে কখনো জেলাসি ছিল না, ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা ছিল। তাঁর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্রের জন্য বিরাট ক্ষতি। তাঁর কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন তিনি। আর মানুষ হিসেবে খুব সহজ-সরল ছিলেন। সবার সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর জন্য অনেক দোয়া। যেখানেই থাকেন তিনি যেন ভালো থাকেন।

একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম
সাবিনা ইয়াসমীন, সংগীতশিল্পী
অঞ্জনা যে এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে একটুও বুঝতে পারিনি। ওকে কোনো দিন অসুস্থ দেখিনি, শরীর খারাপ দেখিনি, ওষুধ খেতে দেখিনি। আমরা অনেক ছোটবেলার বান্ধবী। ৬-৭ বছর বয়স থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। একই ওস্তাদের কাছে আমরা ক্ল্যাসিকাল শিখতাম। বড় হওয়ার পরেও দেশের বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে একসঙ্গে রুম শেয়ার করেছি। একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেছি। একেবারে অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু ছিলাম আমরা। ওর আত্মা যেন চিরশান্তিতে থাকে, এটাই চাই।

মনে দুঃখ থাকলেও সব সময় হাসিমুখে থাকতেন
রোজিনা, অভিনেত্রী
অঞ্জনাদি খুব ডিফারেন্ট একজন শিল্পী ছিলেন। এত ভালো মনের মানুষ ছিলেন, হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন সব সময়। ওনার সঙ্গে অনেক সিনেমায় কাজ করেছি, আউটডোর শুটিংয়ে গিয়েছি একসঙ্গে। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে আমার। একটি স্মৃতি খু্ব মনে পড়ছে। রাজ্জাক ভাইয়ের প্রোডাকশন ও পরিচালনায় ‘অভিযান’ সিনেমার শুটিংয়ে প্রায় এক মাস বড় জাহাজে ছিলাম। সারাক্ষণ সুখ-দুঃখের কথা হতো আমাদের। অভিনয়জীবনের বাইরেও আমাদের ব্যক্তিগত অনেক বিষয় থাকে। অনেক চাওয়া থাকে, অপূর্ণতা থাকে, মান-অভিমান থাকে, দুঃখ থাকে। এসব নিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা হতো। মনের মধ্যে দুঃখ থাকলেও মানুষের সামনে এলে সব সময় হাসিমুখে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র সবার ভালো সম্পর্ক ছিল। অঞ্জনাদির চলে যাওয়া আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে শূন্যতা তৈরি করল। বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর যে কাজ রয়ে গেল, সেই কাজের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।

সবাই বলত আমি আর অঞ্জনা দুই বোন
নূতন, অভিনেত্রী
অঞ্জনা যেখানে যেত সব জায়গায় হাসিখুশি থাকত। কারও সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার সে করেনি। অঞ্জনার সঙ্গে আমার হাজারটা স্মৃতি রয়েছে। কত মজা করেছি আমরা। ব্যক্তি অঞ্জনা খুব ভালো মানুষ ছিল। একেবারে বাচ্চাদের মতো ছিল। সবাই বলত, আমি আর অঞ্জনা দুই বোন। আমার সেই বোন চলে গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। কী এমন হলো যে হঠাৎ করে অঞ্জনা আমাদের ছেড়ে চলে গেল!

আমরা শিল্পী হারিয়েছি, আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষ হারিয়েছে
মিশা সওদাগর, অভিনেতা
অঞ্জনা আপা ছিলেন পুরোপুরি স্পোর্টসওম্যান, একজন ভালো মানুষ। উনি ছিলেন ডাউন টু আর্থ। শাবানা আপা থেকে শুরু করে একেবারে জুনিয়র শিল্পীদের সঙ্গেও একই রকম ব্যবহার করতেন। তাঁর কাছে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তাঁর বিরাট অবদান। তিন শর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা শিল্পী হারিয়েছি আর পৃথিবী একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছে।

অঞ্জনা আপার চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে
শাবনূর, অভিনেত্রী
প্রিয় অঞ্জনা আপার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা গুণী এই শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আমার জন্মদিনে, আমাদের দুজনের একসঙ্গে তোলা কিছু ছবি দিয়ে উইশ করে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন।’ আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত, শীর্ষস্থানীয় এক মহাতারকা তিনি।

অঞ্জনার বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা
মতিন রহমান, পরিচালক
অঞ্জনার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল কৃতজ্ঞতা জানানোর ক্ষমতা। সাধারণত কোনো শিল্পীর মধ্যে এই গুণটি আমি অন্তত খুঁজে পাই না। একজন শিল্পী যখন সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যায়, তার যখন চারদিকে সম্মান বেড়ে যায়, তখন সেই শিল্পী পেছনের কথা মনে রাখে না। নিজেকে প্রকাশ করতেই ব্যস্ত থাকে। অঞ্জনা ছিল ব্যতিক্রম। সব সময় সে পেছনের কথা বলত। কে তার জন্য কতটুকু করেছে, সেটা সব সময় স্মরণ করত। সে ছিল অসম্ভব মেধাবী, সরল ও পরিশ্রমী শিল্পী। তাঁর বিদেহী আত্মার পরম শান্তি কামনা করি।
একনজরে অঞ্জনা
জন্ম: ২৭ জুন ১৯৬৫, ঢাকা।
অভিনয় শুরু: ১৯৭৬ সালে, বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ সিনেমা দিয়ে।
প্রথম নায়ক: সোহেল রানা।
মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা: শামসুদ্দিন টগরের ‘দস্যু বনহুর’।
পরিচিতি পান: আজিজুর রহমানের ‘অশিক্ষিত’ সিনেমার মাধ্যমে।
আলোচিত সিনেমা: ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’, ‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘অভিযান’, ‘মহান’, ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরিণীতা’ ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য অর্জন: বাংলাদেশ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়।
জাতীয় পুরস্কার: দুইবার। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’ সিনেমার জন্য।
মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ঢাকা।

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১৭ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফফারা সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
কাফফারা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পর অনুশোচনায় ভুগছে ইমাম। তার স্ত্রী তাকে অপরাধবোধের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইমামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়হান উদ্দিন, স্ত্রীর চরিত্রে ফারহানা হামিদ। এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে রায়হানের। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তানভীর চৌধুরী ও বরকত হোসেন পলাশ।
নির্মাতা তানভীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর কায়রো উৎসবে প্রদর্শিত হবে কাফফারা। প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত থাকবেন তিনি। ২১ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।
এ প্রসঙ্গে ফারহানা বলেন, ‘গল্পটা নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব আর বোঝাপড়ার। সিনেমাটি কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য গর্বের আর আনন্দের খবর। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলী অনেক পরিশ্রম করেছেন, যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। তাই এই প্রাপ্তি সবার জন্যই অনুপ্রেরণার।’

কাফফারা সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়া পুলক, এম এ মারুফ, মনিসা অর্চি প্রমুখ।
এ বছর কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত আরেক সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। বানিয়েছেন এবাদুর রহমান। যৌনতা, নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে বাঙালি বিলাস।
২০১৮ সালে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ফারহানার। পরিচিতি পান ‘সদরঘাটের টাইগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে। এ বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিমের বিপরীতে।

মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন তানভীর চৌধুরী। গত মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাফফারা সিনেমার পোস্টার শেয়ার করে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
কাফফারা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। একটি মর্মান্তিক ঘটনার পর অনুশোচনায় ভুগছে ইমাম। তার স্ত্রী তাকে অপরাধবোধের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ইমামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়হান উদ্দিন, স্ত্রীর চরিত্রে ফারহানা হামিদ। এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে রায়হানের। সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন তানভীর চৌধুরী ও বরকত হোসেন পলাশ।
নির্মাতা তানভীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর কায়রো উৎসবে প্রদর্শিত হবে কাফফারা। প্রদর্শনীর সময় উপস্থিত থাকবেন তিনি। ২১ নভেম্বর বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসর।
এ প্রসঙ্গে ফারহানা বলেন, ‘গল্পটা নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক দ্বন্দ্ব আর বোঝাপড়ার। সিনেমাটি কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে—এটা আমাদের জন্য গর্বের আর আনন্দের খবর। ডিরেক্টর থেকে শুরু করে প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশলী অনেক পরিশ্রম করেছেন, যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। তাই এই প্রাপ্তি সবার জন্যই অনুপ্রেরণার।’

কাফফারা সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়া পুলক, এম এ মারুফ, মনিসা অর্চি প্রমুখ।
এ বছর কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রদর্শিত হয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত আরেক সিনেমা ‘বাঙালি বিলাস’। বানিয়েছেন এবাদুর রহমান। যৌনতা, নারীবাদ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাজনীতিকে একত্র করে নির্মিত হয়েছে বাঙালি বিলাস।
২০১৮ সালে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘ইতি তোমারই ঢাকা’ দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু ফারহানার। পরিচিতি পান ‘সদরঘাটের টাইগার’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে। এ বছর ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজেও প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে তিনি অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিমের বিপরীতে।

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।

সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।

২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। তবে, সিনেমা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আক্ষেপ আছে অভিনেত্রীর। তাই ‘তুফান ২’ নির্মিত হলে আরও সতর্ক থাকতে চান তিনি।
মুক্তির পরপর তুফান সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব বানানোর কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা। তবে এখনো আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত মাসে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায়, ২০২৭ সালের কোনো এক ঈদে মুক্তি পাবে তুফান ২। নাবিলা জানালেন, তুফান ২ নিয়ে নির্মাতাদের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। তবে সিকুয়েল হলে অভিনয় করতে রাজি আছেন তিনি। নাবিলা বলেন, ‘তুফান একটি ভালো সিনেমা। সুন্দরভাবে দর্শক এটা গ্রহণ করেছে। তুফান ২ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাই মুখিয়ে আছি। তবে আরেকটু সতর্ক থাকব, যাতে নিজের চরিত্রটিকে আরও স্টাবলিশ করা যায়। আরও ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।’
তুফান সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে ছিলেন দুই নায়িকা। নাবিলার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। নাবিলা অভিনয় করেছেন কস্টিউম ডিজাইনার জুলি চরিত্রে। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হলেও, চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল কম। নাবিলা জানান, সময়স্বল্পতার কারণে তাঁর অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং হয়নি। তবে পরবর্তী পর্বে নিজের চরিত্র নিয়ে আরও সচেতন হতে চান অভিনেত্রী। নাবিলা বলেন, ‘চিত্রনাট্যে আমার চরিত্রটি যেভাবে ছিল, শুটিং সেভাবে হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না।

সময়টা খুব কম ছিল। আমার অংশের শুটিং শেষে হয়েছিল। প্রথম অংশ অনেক সময় নিয়ে করার ফলে শেষ দিকে কম সময় পাওয়া গেছে। প্রযোজকের দিক থেকে নানা রকম রেসট্রিকশন থাকে, বাজেটের বিষয় থাকে। এসব কারণেই আমার অংশের বেশ কিছু দৃশ্যের শুটিং করা যায়নি। তাই দিনশেষে মন খারাপের একটা জায়গা থেকেই যায়।’
‘বনলতা সেন’ নামের আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাবিলা। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এতে আরও অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
নাবিলা এখন ব্যস্ত উপস্থাপনা নিয়ে। গতকাল থেকে তাঁর সঞ্চালনায় প্রচার শুরু হয়েছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’। এই অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে নাবিলার সঙ্গে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের দুজন রন্ধনশিল্পী।

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে ইডিপাস নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। আগামীকাল ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রদর্শনী।
সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদে ইডিপাস নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নির্দেশক বলেন, ‘সময় আমাদের চালিত করে। ইডিপাসকে মঞ্চে আনবার ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়টি আমাকে ভাবিয়েছে। আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক বিরাট শূন্যতা অনুভব করি। মনে হয়েছে, অনন্ত রাত্রির ঘোর অন্ধকারে আমরা নিমজ্জিত। আমাদের কি কোনো নেতৃত্ব নেই? এই নিয়তি কি অনতিক্রম্য? প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস রচিত ইডিপাস আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বহীনতায় নিমজ্জিত এক জনপদের গল্প। নিয়তিকে অতিক্রমের আর্তনাদ ইডিপাসকে মহান করে তোলে, কিন্তু সে নিয়তিকে জয় করতে পারে না। ক্ল্যাসিকের শক্তি সর্বকালের-সর্বমানবের। তাই মূল পাঠে পরিবর্তন না করেও চরিত্র ও কোরাসের ব্যবহারে আমরা কিছু পরীক্ষণের প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি, দৃশ্যকাব্যর এই প্রযোজনা দর্শককে প্রাচীন থিবস নগরীর রাজপ্রাসাদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়ে যাবে।’
ইডিপাস চরিত্রে অভিনয় করছেন এইচ এম মোতালেব। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন ঝুমু মজুমদার, আহাদ বিন মুর্তজা, নাইমুল ইসলাম সিয়াম, মো. মুন্না মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, রিমন সাহা, উৎপল চন্দ্র বর্মন, কান্তা কামরুন, ওমর ফারুক খান ফাহিম প্রমুখ।

প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে ইডিপাস নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। আগামীকাল ৭ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাটকটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রদর্শনী।
সৈয়দ আলী আহসানের অনুবাদে ইডিপাস নির্দেশনা দিয়েছেন হাবিব মাসুদ। নির্দেশক বলেন, ‘সময় আমাদের চালিত করে। ইডিপাসকে মঞ্চে আনবার ক্ষেত্রেও বর্তমান সময়টি আমাকে ভাবিয়েছে। আজকের বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক বিরাট শূন্যতা অনুভব করি। মনে হয়েছে, অনন্ত রাত্রির ঘোর অন্ধকারে আমরা নিমজ্জিত। আমাদের কি কোনো নেতৃত্ব নেই? এই নিয়তি কি অনতিক্রম্য? প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিস রচিত ইডিপাস আমার কাছে মনে হয়েছে নেতৃত্বহীনতায় নিমজ্জিত এক জনপদের গল্প। নিয়তিকে অতিক্রমের আর্তনাদ ইডিপাসকে মহান করে তোলে, কিন্তু সে নিয়তিকে জয় করতে পারে না। ক্ল্যাসিকের শক্তি সর্বকালের-সর্বমানবের। তাই মূল পাঠে পরিবর্তন না করেও চরিত্র ও কোরাসের ব্যবহারে আমরা কিছু পরীক্ষণের প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি, দৃশ্যকাব্যর এই প্রযোজনা দর্শককে প্রাচীন থিবস নগরীর রাজপ্রাসাদে কিছুক্ষণের জন্য হলেও নিয়ে যাবে।’
ইডিপাস চরিত্রে অভিনয় করছেন এইচ এম মোতালেব। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন ঝুমু মজুমদার, আহাদ বিন মুর্তজা, নাইমুল ইসলাম সিয়াম, মো. মুন্না মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, রিমন সাহা, উৎপল চন্দ্র বর্মন, কান্তা কামরুন, ওমর ফারুক খান ফাহিম প্রমুখ।

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১৭ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।
মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’
ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ জোহরান কে মামদানি। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে শক্তিশালী পারিবারিক আবহ। জোহরানের মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা মীরা নায়ার, বিশ্ব সিনেমার এক সাহসী নাম। তাঁর সিনেমায় নেই বাণিজ্যিক ঝলকানি, আছে মানুষ, সমাজ, বেদনা, দেশান্তর আর আত্মসংগ্রামের গল্প। ‘সালাম বম্বে’, ‘মনসুন ওয়েডিং’, ‘মিসিসিপি মাসালা’র মতো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সিনেমার নির্মাতা তিনি। জোহরানের বাবা প্রখ্যাত গুজরাটি লেখক অধ্যাপক মাহমুদ মামদানি। তিনি উগান্ডা থেকে আগত ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন চিন্তাবিদ।
মায়ের কারণে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে বেড়ে ওঠা জোহরানের। ছোটবেলা থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন মায়ের চলচ্চিত্র জগৎ। মীরার জন্ম ভারতের ওডিশায় বাঙালি-অধ্যুষিত রাউরকেল্লাতে। তাঁর জীবন ও কর্মে তাই রয়েছে বাংলা ও বাঙালিয়ানার প্রভাব। ছেলে জোহরান মামদানিকেও বাংলা ভাষা শিখিয়েছেন তিনি। পরিচয় করিয়েছেন বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে। এমনকি বাঙালি পরিবারের আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার গল্পে নির্মিত মীরা নায়ারের ‘নেমসেক’ সিনেমা নির্মাণের সিদ্ধান্তেও ছিল ছেলের ভূমিকা। ২০০৭ সালে যখন মীরার কাছে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য অর্ডার অব দ্য ফিনিক্স’ পরিচালনার প্রস্তাব আসে, দ্বিধায় পড়ে যান তিনি। ওই সময় কিশোর জোহরান নিজে হ্যারি পটারের ভক্ত হয়েও মাকে বলেছিলেন ‘নেমসেক’ বানাতে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান। ছেলের বিজয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত মীরা নায়ার। আনন্দিত বাবা মাহমুদ মামদানিও। ইনস্টাগ্রামে ছেলের ছবি শেয়ার করে মীরা লিখেছেন, ‘সে শুধু আমার ছেলে নয়, সে আমাদের সময়ের আশার প্রতীক।’
ভোটের প্রচারের সময় জোহরান জীবনধারণের খরচ কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, দীর্ঘদিন যাঁরা শহরে ভাড়াবাড়িতে রয়েছেন, তাঁদের ভাড়া মওকুফের কথাও বলেছেন। ছেলেকে নিয়ে মীরা বলেন, ‘আমার ছেলের সাহস ও বাচনভঙ্গি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওর যেটা আমার ভালো লাগে, তা হলো ও এই বিশ্বের বিভিন্নতাকে দ্ব্যর্থহীনভাবে গ্রহণ করেছে। ও যে আশা দেখিয়েছে, তাতে আশাবাদী আমি। এই বিশ্বকে দেখার একটা দূরদৃষ্টি রয়েছে ওর মধ্যে। আর সেটা ক্ষমতার লোভ নয়। সে সব সময় সাম্য, ন্যায়বিচার এবং খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে থেকেছে।’
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সালাম বোম্বে!’ জিতে নেয় কান চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যামেরা দ’র। অস্কারেও মনোনয়ন পায় সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে। মুম্বাইয়ের পথশিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। নির্মাতা হিসেবে ভেনিস গোল্ডেন লায়ন (২০০১), ভারত সরকারের পদ্মভূষণসহ (২০১২) অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন মীরা নায়ার।

ভক্ত-প্রিয়জনদের কান্নায় ভাসিয়ে চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ি থেকে হাসপাতালের বিছানা, সিসিইউ, আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট...কোনোভাবেই রাখা গেল না তাঁকে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৫
মিসরের কায়রো অপেরা হাউসে ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ৪৬তম কায়রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে বাংলাদেশের ‘কাফফারা’ সিনেমার। উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল প্যানোরামা বিভাগে স্থান করে নিয়েছে ফারহানা হামিদ অভিনীত সিনেমাটি।
১৭ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা মুক্তির পর আলোচিত হয়ে ওঠেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গত বছর রায়হান রাফীর ‘তুফান’ মুক্তির পর নাবিলাকে নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়। তুফানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের অমর সৃষ্টি ‘ইডিপাস’। অনেকবার এটি মঞ্চে এসেছে। এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে দৃশ্যকাব্য থিয়েটার। মানব নিয়তি, ভাগ্য ও আত্মচেতনার গভীর অনুসন্ধান নিয়ে রচিত এই শাশ্বত ট্র্যাজেডি এবার সমকালীন দর্শন থেকে নতুন ব্যাখ্যায় মঞ্চে উঠতে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে