সিনেমা হল এবং ওটিটি—ঈদ উৎসবে দুই মাধ্যমেই আছেন সাদিয়া আয়মান। ‘উৎসব’ সিনেমা ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে। কাজ দুটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
ঈদে মুক্তি পেয়েছে আপনার অভিনীত ‘উৎসব’। দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
আমি খুব লাকি যে আমার প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’র মতো দ্বিতীয় সিনেমা ‘উৎসব’ও ঈদে মুক্তি পেয়েছে। দর্শক সিনেমাটি খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছে। আমরা অনেক বছর ধরে এ রকম কোনো কনটেন্ট দেখি না, যেটায় মানুষ হাসবে, কোনো দৃশ্যে আবার চোখ ভিজে যাবে। শুটিংয়ের সময়ই মনে হয়েছিল, উৎসব সবার ভালো লাগবে। প্রতিদিন দর্শকসংখ্যা বাড়ছে, তারা হল থেকে তৃপ্তি নিয়ে বের হচ্ছে—এটাই আমাদের প্রাপ্তি।
এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই...
গত অক্টোবরে দিকে তানিম ভাই আমাকে কল করেন। তিনি জানান, হরর কমেডি ঘরানার একটি পারিবারিক সিনেমা বানাবেন। এরপর যখন পুরো কাস্টিং সম্পর্কে জানতে পারি, তখন আর কোনো কিছু ভাবিনি। কাজটির সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। তখনো জানতাম না আমার কী চরিত্র, কতটুকু স্ক্রিন প্রেজেন্স। চিত্রনাট্য পাওয়ার পর খুশি হয়ে যাই। কারণ এত গুণী শিল্পীর মাঝে আমার চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসব নব্বইয়ের দশকের গল্প। ওই সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে?
এতে আমি আর সৌম্য অভিনয় করেছি জাহিদ হাসান ও আফসানা মিমির তরুণ বয়সের চরিত্রে। প্রথমে একটু ভয়ে ছিলাম। কারণ আমি তো সেই সময়ে বেড়ে ওঠা মানুষ নই। তবে, সেই সময়ের অনেক কাজ দেখেছি। তাই এতে অভিনয়ে সুবিধা হয়েছে। চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো করার। জাহিদ ভাই ও মিমি আপার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি। মিমি আপা আমাকে বলেছেন, ‘তোকে একদম আমার মতোই লেগেছে। মনে হয়েছে তুই আমার ছোটবেলা।’ আর জাহিদ ভাই সিনেমা মুক্তির আগেই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে আরেকজন ভালো অভিনেত্রী আমরা পাচ্ছি।’
প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি ওটিটিতেও আপনি আছেন। ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজ নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রিলিজের পর সেটা আরও বেড়েছে। এখানে আমার চরিত্রের নাম সুন্দরী। এটা নিয়ে একটা মজার বিষয় আছে। কেউ নাম জিজ্ঞেস করলেই আমার চরিত্রটি দুইবার করে নাম বলে। চিত্রনাট্যে শুধু একবার ছিল, আমি নিজ থেকে এমনটা করেছি। এখন তো এটাই ট্যাগলাইন হয়ে গেছে! কেউ কেউ আমাকে আমবাগানের সুন্দরী বলেও ডাকছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। পুরো কৃতিত্ব নির্মাতা অমিতাভ রেজাকে দিতে চাই। শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল, তিনি নিশ্চয়ই আমার জন্য এমন চরিত্র ভেবেছেন, যেটা আমার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবে।
মোশাররফ করিমের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উনি যেমন ভালো অভিনেতা, তেমনি একজন ভালো মানুষ। উনি আমার এলাকার মানুষ, বরিশালের। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কোনোভাবেই মনে হয়নি, এটা আমাদের প্রথম কাজ। সারাক্ষণ মনে হয়েছে, উনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে একদিন শুধু স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ে বসেছিলাম। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন একটু ভয় কাজ করলেও শুটিংয়ে যাওয়ার পর একেবারেই সহজ হয়ে গিয়েছিল।
অনেকে মাল্টিকাস্টিং গল্পে কাজ করতে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু উৎসব ও বোহেমিয়ান ঘোড়া দুটিই এ ধরনের কাজ। এ নিয়ে আপনার কী মতামত?
আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আমার অভিনয় যদি ভালো হয়, তাহলে দর্শক আমাকে ঠিকই খুঁজে নেবে। একটি কাজে কতজন শিল্পী কাজ করছেন সেটা মুখ্য নয়। বরং এটা জরুরি যে আপনি কেমন করছেন! মাল্টিকাস্টিং কাজ তো আমাদের দেশে এমনিতেই কম হয়। আমি মনে করি, এ ধরনের কাজ আরও বেশি হওয়া উচিত। একটি কাজে যখন ভালো শিল্পীরা যুক্ত হন, তখন সেই কাজের মানও বেড়ে যায়। দর্শকের কাছেও উপভোগ্য হয়। বোহেমিয়ান ঘোড়া ও উৎসবের দর্শক প্রতিক্রিয়া সেটাই প্রমাণ করে।
ঈদে মুক্তি পেয়েছে আপনার অভিনীত ‘উৎসব’। দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
আমি খুব লাকি যে আমার প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’র মতো দ্বিতীয় সিনেমা ‘উৎসব’ও ঈদে মুক্তি পেয়েছে। দর্শক সিনেমাটি খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তারা নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করতে পারছে। আমরা অনেক বছর ধরে এ রকম কোনো কনটেন্ট দেখি না, যেটায় মানুষ হাসবে, কোনো দৃশ্যে আবার চোখ ভিজে যাবে। শুটিংয়ের সময়ই মনে হয়েছিল, উৎসব সবার ভালো লাগবে। প্রতিদিন দর্শকসংখ্যা বাড়ছে, তারা হল থেকে তৃপ্তি নিয়ে বের হচ্ছে—এটাই আমাদের প্রাপ্তি।
এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই...
গত অক্টোবরে দিকে তানিম ভাই আমাকে কল করেন। তিনি জানান, হরর কমেডি ঘরানার একটি পারিবারিক সিনেমা বানাবেন। এরপর যখন পুরো কাস্টিং সম্পর্কে জানতে পারি, তখন আর কোনো কিছু ভাবিনি। কাজটির সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। তখনো জানতাম না আমার কী চরিত্র, কতটুকু স্ক্রিন প্রেজেন্স। চিত্রনাট্য পাওয়ার পর খুশি হয়ে যাই। কারণ এত গুণী শিল্পীর মাঝে আমার চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসব নব্বইয়ের দশকের গল্প। ওই সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে?
এতে আমি আর সৌম্য অভিনয় করেছি জাহিদ হাসান ও আফসানা মিমির তরুণ বয়সের চরিত্রে। প্রথমে একটু ভয়ে ছিলাম। কারণ আমি তো সেই সময়ে বেড়ে ওঠা মানুষ নই। তবে, সেই সময়ের অনেক কাজ দেখেছি। তাই এতে অভিনয়ে সুবিধা হয়েছে। চেষ্টা করেছি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো করার। জাহিদ ভাই ও মিমি আপার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছি। মিমি আপা আমাকে বলেছেন, ‘তোকে একদম আমার মতোই লেগেছে। মনে হয়েছে তুই আমার ছোটবেলা।’ আর জাহিদ ভাই সিনেমা মুক্তির আগেই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে আরেকজন ভালো অভিনেত্রী আমরা পাচ্ছি।’
প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি ওটিটিতেও আপনি আছেন। ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজ নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। রিলিজের পর সেটা আরও বেড়েছে। এখানে আমার চরিত্রের নাম সুন্দরী। এটা নিয়ে একটা মজার বিষয় আছে। কেউ নাম জিজ্ঞেস করলেই আমার চরিত্রটি দুইবার করে নাম বলে। চিত্রনাট্যে শুধু একবার ছিল, আমি নিজ থেকে এমনটা করেছি। এখন তো এটাই ট্যাগলাইন হয়ে গেছে! কেউ কেউ আমাকে আমবাগানের সুন্দরী বলেও ডাকছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। পুরো কৃতিত্ব নির্মাতা অমিতাভ রেজাকে দিতে চাই। শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল, তিনি নিশ্চয়ই আমার জন্য এমন চরিত্র ভেবেছেন, যেটা আমার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবে।
মোশাররফ করিমের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উনি যেমন ভালো অভিনেতা, তেমনি একজন ভালো মানুষ। উনি আমার এলাকার মানুষ, বরিশালের। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কোনোভাবেই মনে হয়নি, এটা আমাদের প্রথম কাজ। সারাক্ষণ মনে হয়েছে, উনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে একদিন শুধু স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ে বসেছিলাম। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন একটু ভয় কাজ করলেও শুটিংয়ে যাওয়ার পর একেবারেই সহজ হয়ে গিয়েছিল।
অনেকে মাল্টিকাস্টিং গল্পে কাজ করতে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু উৎসব ও বোহেমিয়ান ঘোড়া দুটিই এ ধরনের কাজ। এ নিয়ে আপনার কী মতামত?
আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আমার অভিনয় যদি ভালো হয়, তাহলে দর্শক আমাকে ঠিকই খুঁজে নেবে। একটি কাজে কতজন শিল্পী কাজ করছেন সেটা মুখ্য নয়। বরং এটা জরুরি যে আপনি কেমন করছেন! মাল্টিকাস্টিং কাজ তো আমাদের দেশে এমনিতেই কম হয়। আমি মনে করি, এ ধরনের কাজ আরও বেশি হওয়া উচিত। একটি কাজে যখন ভালো শিল্পীরা যুক্ত হন, তখন সেই কাজের মানও বেড়ে যায়। দর্শকের কাছেও উপভোগ্য হয়। বোহেমিয়ান ঘোড়া ও উৎসবের দর্শক প্রতিক্রিয়া সেটাই প্রমাণ করে।
বর্ষা মৌসুমে দেশে ব্যস্ততা কম থাকে শিল্পীদের। এই মৌসুমের বিকল্প হিসেবে শিল্পীরা ব্যস্ত হচ্ছেন বিদেশের কনসার্টে। চলতি মাসেই ইউরোপের পাঁচটি দেশে সংগীত পরিবেশন করতে ঢাকা ছেড়েছেন বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পী। এ ছাড়া কানাডায় গান শোনাবেন সংগীতশিল্পী মিলা ও ব্যান্ড অ্যাশেজ।
১৬ ঘণ্টা আগেগজলশিল্পী মেজবাহ আহমেদের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষা ব্যবহার ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সংগীতশিল্পী পার্থ মজুমদার। গতকাল বিকেলে ফেসবুকে পার্থ মজুমদার জানান, মেসেঞ্জারে ফোন করে মেজবাহ আহমেদ তাঁর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন, এমনকি থাপড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে‘চ্যালেঞ্জ’ সিনেমা দিয়ে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেন টালিগঞ্জের দেব ও শুভশ্রী। বক্স অফিসে হিট হয় সিনেমাটি, দর্শক পছন্দ করে নতুন এই জুটির কেমেস্ট্রি। এরপর জুটি বেঁধে একের পর এক অভিনয় করেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘রোমিও’, ‘খোকাবাবু’র মতো ব্যবসাসফল সিনেমায়। অভিনয়ের সূত্র ধরে একে অপরের কাছে এসেছিলেন তাঁরা।
১৭ ঘণ্টা আগেএবার ঈদের চমক পারিবারিক গল্পের সিনেমা ‘উৎসব’। মুক্তির পর থেকে প্রতিদিন বেড়েছে দর্শক। দুই সপ্তাহ পরেও দর্শকের আগ্রহ ধরে রেখেছে সিনেমাটি। অভিনয়শিল্পীরাও প্রতিদিন সিনেমার প্রচারে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন হলে।
২ দিন আগে