আমিনুল হক, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা)
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম গাইবান্ধা। ভৌগোলিক দিক থেকে রংপুর বিভাগের দক্ষিণ প্রান্তে এই জেলার অবস্থান। জেলার সাত উপজেলার মধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি—এই চার উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনাসহ ছোট ছোট নদী। এসব নদীর বুকে জেগে ওঠা ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬৫টি চর রয়েছে। এই চার উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের
মধ্যে এসব চরের বিস্তৃতি।
একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। সাক্ষরতার হার ৬৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। স্বাধীন বাংলাদেশে যেসব বিষয়ে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা। এর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সম্প্রসারণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
গাইবান্ধার চরাঞ্চলে শিক্ষার অবস্থা বেশ নাজুক। নদীবেষ্টিত এসব অঞ্চলে ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে মাত্র ১২টি। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের মাদ্রাসা আছে ৩টি। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে অনিয়মিত। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য একটিও কলেজ বা কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতেই ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে জেলার সামগ্রিক শিক্ষা ও আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে বাল্যবিবাহসহ শিশুশ্রমের মতো নেতিবাচক কাজে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার চরাঞ্চলের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না।
যারা ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারে না। এর পেছনে দারিদ্র্য, চর এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপ্রতুলতা, অভিভাবকদের অসচেতনতা, দুর্গম যাতায়াতব্যবস্থা এবং বাল্যবিবাহ প্রধানতম।
চরাঞ্চলের অভিভাবকেরা জানান, প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে আর পড়াশোনা করে না। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বাড়ির কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তান ভর্তি করিয়ে খরচ জোগান দেওয়া চরাঞ্চলের বেশির ভাগ পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। যেসব সচেতন অভিভাবকের সামর্থ্য আছে, শুধু তাঁরাই সন্তানদের শহরে আবাসিক হোস্টেল বা মেসে রেখে পড়াশোনা করাতে পারেন। অথচ চরের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনেক শিক্ষার্থী যথেষ্ট মেধাবী। গাইবান্ধার ১৬৫টি চরের শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য অভিভাবকেরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম গাইবান্ধা। ভৌগোলিক দিক থেকে রংপুর বিভাগের দক্ষিণ প্রান্তে এই জেলার অবস্থান। জেলার সাত উপজেলার মধ্যে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি—এই চার উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনাসহ ছোট ছোট নদী। এসব নদীর বুকে জেগে ওঠা ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬৫টি চর রয়েছে। এই চার উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের
মধ্যে এসব চরের বিস্তৃতি।
একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্যমতে, গাইবান্ধার চরাঞ্চলে প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। সাক্ষরতার হার ৬৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। স্বাধীন বাংলাদেশে যেসব বিষয়ে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম শিক্ষা। এর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সম্প্রসারণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
গাইবান্ধার চরাঞ্চলে শিক্ষার অবস্থা বেশ নাজুক। নদীবেষ্টিত এসব অঞ্চলে ১১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে মাত্র ১২টি। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের মাদ্রাসা আছে ৩টি। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারে অনিয়মিত। বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য একটিও কলেজ বা কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতেই ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে জেলার সামগ্রিক শিক্ষা ও আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে বাল্যবিবাহসহ শিশুশ্রমের মতো নেতিবাচক কাজে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার চরাঞ্চলের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না।
যারা ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারে না। এর পেছনে দারিদ্র্য, চর এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপ্রতুলতা, অভিভাবকদের অসচেতনতা, দুর্গম যাতায়াতব্যবস্থা এবং বাল্যবিবাহ প্রধানতম।
চরাঞ্চলের অভিভাবকেরা জানান, প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে আর পড়াশোনা করে না। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, বাড়ির কাছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তান ভর্তি করিয়ে খরচ জোগান দেওয়া চরাঞ্চলের বেশির ভাগ পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। যেসব সচেতন অভিভাবকের সামর্থ্য আছে, শুধু তাঁরাই সন্তানদের শহরে আবাসিক হোস্টেল বা মেসে রেখে পড়াশোনা করাতে পারেন। অথচ চরের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনেক শিক্ষার্থী যথেষ্ট মেধাবী। গাইবান্ধার ১৬৫টি চরের শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্য অভিভাবকেরা সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দিনব্যাপী ‘নেক্সট জেন বাংলাদেশ: ইঞ্জিনিয়ারিং টুমরো’ শীর্ষক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ এবং অ্যাডমিশন অফিসের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠি
১০ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোস্টন ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেনশিয়াল বৃত্তি ২০২৫-এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের তহবিলযুক্ত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
১১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাংবাদিক সমিতির (সোকসাস) তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও সাংবাদিক সমিতির কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। কেক কাটা ও আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটি উদ্যাপন করা হয়।
২০ ঘণ্টা আগে