মো. সৈয়দুর রহমান
সারা দেশে বিপুল উৎসাহ ও আনন্দের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে। ঈদে অনেকের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বাড়ি ফিরেছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলেই প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যাগ হাতে বের হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অনেকের জন্য, বিশেষ করে যাঁরা আর্থিক সংকটে আছেন বা পড়াশোনার চাপ নিয়ে আছেন, বাড়ি ফেরাটা তাঁদের সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে এক অদ্ভুত ধরনের একাকিত্বের জায়গা। বন্ধুরা যখন বাড়ি ফেরার আনন্দঘন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন, তখন ক্যাম্পাসে থেকে তাঁদের সময় কাটে পড়াশোনা কিংবা ভবিষ্যতের চিন্তায়।
এবারের ঈদে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন হলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্র আশিকুর রহমান রাফি। ছোটবেলায় মা হারানোর পর তাঁর ঈদের আনন্দ যেন মলিন হয়ে গেছে। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাড়ি ফিরতে তাঁর আর কোনো তাগিদ নেই। রাফি বলেন, ‘এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের তৃতীয় ঈদ। বন্ধুরা যখন বাড়ি ফেরার তাড়া দেয়, তখন আমি জানি, হলই আমার বাড়ি, এখানেই ঈদ। অনেক কষ্ট ও সংগ্রাম পেরিয়ে আমি এখানে এসেছি। ভবিষ্যতেও সংগ্রাম করেই আমাকে চলতে হবে, আবেগপ্রবণ হতে পারি না।’ রাফির মতে, যারা পরিবার থেকে দূরে, তাদের উচিত নিজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেওয়া।
বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী বায়জিদ হোসেন বাদশার ঈদের স্মৃতি এবার একটু ভিন্ন ছিল। তিনি ঈদের আগের রাতে রাস্তায় ঘুরে শহরের উৎসাহিত মানুষদের দেখতে বের হন। সকালে সেন্ট্রাল মসজিদে নামাজ পড়ে হলে ফিরে এসে বলেন, ‘সবকিছু যেন সাধারণ দিনের মতোই মনে হয়েছিল, শুধু ক্যাম্পাসে শূন্যতা ছাড়া।’
ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য হল প্রশাসন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে। সেমাই, ডিম খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট, পোলাও, গরুর মাংস—এসব ছিল মেনুতে। স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী মো. সানি সরকার বলেন, ‘হল প্রশাসনের ভালো উদ্যোগের ফলে সেমাই আর নুডলস খেয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছি। ঈদে ক্যাম্পাস সাধারণত অনেক ফাঁকা থাকে। এ বছর ক্যাম্পাসে ঈদের র্যালি আর হলের খাবারের আয়োজনই ছিল বিশেষ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষিকা রাইসা ইমরান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন হলগুলোতে থাকে এক অদ্ভুত রকমের শান্তি। ছাত্রীদের আনাগোনা নেই। তারপরও কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে হল কর্তৃপক্ষ ঈদের আয়োজন করে। লাচ্ছা সেমাই, পোলাও বা রোস্ট বাসার মতো না হলেও হলের ছোট আয়োজনেও আন্তরিকতা থাকে। ছাত্রীরা হাসিমুখে ‘ঈদ মোবারক’ বলে খাবারের প্যাকেট নিয়ে যান।
সারা দেশে বিপুল উৎসাহ ও আনন্দের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে। ঈদে অনেকের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বাড়ি ফিরেছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলেই প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ব্যাগ হাতে বের হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অনেকের জন্য, বিশেষ করে যাঁরা আর্থিক সংকটে আছেন বা পড়াশোনার চাপ নিয়ে আছেন, বাড়ি ফেরাটা তাঁদের সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে এক অদ্ভুত ধরনের একাকিত্বের জায়গা। বন্ধুরা যখন বাড়ি ফেরার আনন্দঘন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন, তখন ক্যাম্পাসে থেকে তাঁদের সময় কাটে পড়াশোনা কিংবা ভবিষ্যতের চিন্তায়।
এবারের ঈদে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন হলেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্র আশিকুর রহমান রাফি। ছোটবেলায় মা হারানোর পর তাঁর ঈদের আনন্দ যেন মলিন হয়ে গেছে। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাড়ি ফিরতে তাঁর আর কোনো তাগিদ নেই। রাফি বলেন, ‘এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের তৃতীয় ঈদ। বন্ধুরা যখন বাড়ি ফেরার তাড়া দেয়, তখন আমি জানি, হলই আমার বাড়ি, এখানেই ঈদ। অনেক কষ্ট ও সংগ্রাম পেরিয়ে আমি এখানে এসেছি। ভবিষ্যতেও সংগ্রাম করেই আমাকে চলতে হবে, আবেগপ্রবণ হতে পারি না।’ রাফির মতে, যারা পরিবার থেকে দূরে, তাদের উচিত নিজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেওয়া।
বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী বায়জিদ হোসেন বাদশার ঈদের স্মৃতি এবার একটু ভিন্ন ছিল। তিনি ঈদের আগের রাতে রাস্তায় ঘুরে শহরের উৎসাহিত মানুষদের দেখতে বের হন। সকালে সেন্ট্রাল মসজিদে নামাজ পড়ে হলে ফিরে এসে বলেন, ‘সবকিছু যেন সাধারণ দিনের মতোই মনে হয়েছিল, শুধু ক্যাম্পাসে শূন্যতা ছাড়া।’
ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য হল প্রশাসন বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে। সেমাই, ডিম খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট, পোলাও, গরুর মাংস—এসব ছিল মেনুতে। স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী মো. সানি সরকার বলেন, ‘হল প্রশাসনের ভালো উদ্যোগের ফলে সেমাই আর নুডলস খেয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে আবারও ঘুমিয়ে পড়েছি। ঈদে ক্যাম্পাস সাধারণত অনেক ফাঁকা থাকে। এ বছর ক্যাম্পাসে ঈদের র্যালি আর হলের খাবারের আয়োজনই ছিল বিশেষ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষিকা রাইসা ইমরান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন হলগুলোতে থাকে এক অদ্ভুত রকমের শান্তি। ছাত্রীদের আনাগোনা নেই। তারপরও কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে হল কর্তৃপক্ষ ঈদের আয়োজন করে। লাচ্ছা সেমাই, পোলাও বা রোস্ট বাসার মতো না হলেও হলের ছোট আয়োজনেও আন্তরিকতা থাকে। ছাত্রীরা হাসিমুখে ‘ঈদ মোবারক’ বলে খাবারের প্যাকেট নিয়ে যান।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম) স্কিম নিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে এই স্কিম সংশোধন করে মাউশি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে
৮ ঘণ্টা আগেএসএসসি ও সমমানের উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল তুলনামূলক খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিগত ১৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন।
২ দিন আগেপ্রতিদিনই আমাদের জীবনে ইতিবাচক -নেতিবাচক বিভিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা প্রায়ই নেতিবাচক ঘটনাগুলোতেই বেশি মনোযোগ দিই। ভালো যে অনেক কিছুই ঘটছে, তা হয়তো টেরই পাই না। দিন শেষে আমরা ক্লান্ত, অভিযোগে ভরা, হতাশ। অথচ এ মানসিকতার বদল আনতে পারে একটি ছোট, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস...
২ দিন আগেইতালিতে ইউনিভার্সিটি অব মিলান ডিএসইউ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এ বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।
২ দিন আগে