Ajker Patrika

মাউশির প্রকল্প: বরাদ্দের পরও গতি নেই কাজে

  • ৯ প্রকল্প ও ৩ স্কিমের বেশির ভাগেরই অগ্রগতি নেই।
  • কয়েকটির মেয়াদ শেষের পথে, বাস্তবায়ন অনিশ্চিত।
  • যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হলে দায় প্রকল্প পরিচালকের।
রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৩২
মাউশির প্রকল্প: বরাদ্দের পরও গতি নেই কাজে

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম) স্কিম নিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন স্থগিত করে অন্তর্বর্তী সরকার। পরে এই স্কিম সংশোধন করে মাউশি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে গত ১০ মাসে কাজের অগ্রগতি নেই। বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই স্কিমে আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

একই অবস্থা মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যাভ্যাস ও পঠন দক্ষতা শক্তিশালীকরণ (স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস) স্কিমের। গত অর্থবছরে এই স্কিমে ২৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও খরচ হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

শুধু এ দুটি স্কিম নয়, মাউশি অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ৯টি প্রকল্প ও ৩ স্কিমের বেশির ভাগই এখন বেহাল। টাকা বরাদ্দ থাকলেও কাজ না হওয়ায় খরচও হচ্ছে না। কাজে অগ্রগতি না থাকায় এসব প্রকল্প ও স্কিম কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে, তা-ও অনিশ্চিত।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর মাউশির বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও স্কিমের এই চিত্র উঠে এসেছে (জুলাই ২০২৪-জুন ২০২৫ পর্যন্ত) উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়। গত ২৬ জুলাই মাউশিতে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ৩০ জুলাই সভার কার্যবিবরণী স্বাক্ষরিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়িত না হলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকেরা দায়ী থাকবেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার ১০ আগস্ট আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) মাউশির বাস্তবায়নাধীন ৯ প্রকল্প ও ৩ স্কিমের মধ্যে শুধু সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি সন্তোষজনক। বাস্তবায়নাধীন অন্য আট প্রকল্প হলো—তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটিজ, আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন (পর্যায়-২, প্রথম সংশোধিত), ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন (প্রথম সংশোধিত), সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্ট।

মাউশির বাস্তবায়নাধীন তিনটি স্কিম হলো—স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস, পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন এবং ডেসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম।

এসব প্রকল্প ও স্কিম বাস্তবায়নে অগ্রগতি না থাকার বিষয়ে জানতে মাউশির ডিজিকে একাধিকবার ফোনকল ও এসএমএস করা হলেও সাড়া দেননি। একাধিকবার তাঁর কার্যালয়ে গিয়েও সাক্ষাৎ মেলেনি।

২৬ জুলাইয়ের সভার কার্যবিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, টাকা খরচের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারা, ব্যয়ের সক্ষমতা বিবেচনা না করে এডিপি-আরএডিপি প্রণয়ন, মাঠপর্যায়ের প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা না করে প্রকল্প প্রণয়ন করাসহ নানা কারণে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই। এর কোনো কোনোটির মেয়াদও শেষের পথে।

মাউশির সূত্র বলছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত প্রকল্পের মেয়াদ গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ায় এত দিন সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম প্রকল্পের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়িয়েও প্রকল্পে নিয়োগ করা জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা যায়নি। এই জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কাজ চলছে। ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটিজ প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন (পর্যায়-২, প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সূত্র বলছে, সরকারি কলেজগুলোর বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং ৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষের পথে। লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও কেনাকাটা মাত্র শুরু হয়েছে। ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পে অধিকাংশ ভবনের নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে।

তবে পারফরম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন স্কিম বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলনামূলক সন্তোষজনক। অবশ্য সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের। গত অর্থবছরে এই প্রকল্পের এডিপি/আরএডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত দেড় বছরে সার্বিক অগ্রগতি ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাউশির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, মাউশির বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর মধ্যে গত এক বছরে শুধু সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্পই সফলভাবে এগিয়েছে। প্রকল্পের ৩২০টি একাডেমিক ভবনের মধ্যে ৯৪টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, ১৮২টির নির্মাণকাজ চলছে। বাকি ভবনগুলো নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অন্যান্য অনুষঙ্গ বাস্তবায়নের হারও সন্তোষজনক।

সূত্র আরও বলছে, মাউশির বাস্তবায়নাধীন তিনটি স্কিমেরই মেয়াদ প্রায় শেষ। এ তিন স্কিমের মেয়াদ বাড়াতে হলে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের মেয়াদ বাড়াতে হবে।

প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিটি প্রকল্পের নির্মাণ, কেনাকাটা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক দায়ী থাকবেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ড্যাফোডিলে পর্তুগিজ রাজবংশের আগমন ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ড্যাফোডিলে পর্তুগিজ রাজবংশের আগমন ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ড্যাফোডিলে পর্তুগিজ রাজবংশের আগমন ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক অনন্য আন্তর্জাতিক গৌরবের মুহূর্তের সাক্ষী হলো। পর্তুগিজ রাজপরিবারের প্রধান মহামহিম HRH Dom Duarte, ব্রাগঁজা ডিউক তাঁর রাজকীয় সফরে বেলা ১১টা দিকে ডিআইইউ ক্যাম্পাস, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, বিরুলিয়া, সাভারে আগমন করেন।

এই সফরের অন্যতম আকর্ষণ ছিল লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ-এর সঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্বাক্ষর অনুষ্ঠান, যা ভবিষ্যতে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এছাড়াও এই সফরের মাধ্যমে ফেয়ার পে চার্টার এর বাংলাদেশ আম্বাসেডর হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই উদ্যোগটি মূলত যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান London Tea Exchange (LTE)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে, যেটি বিশ্বজুড়ে বিলাসবহুল চা বিপণনের পাশাপাশি নৈতিক ব্যবসা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR)-এর ক্ষেত্রেও পরিচিত একটি নাম। Fair Pay Charter বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, করপোরেট হাউস ও উদ্যোক্তা সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে—যাতে প্রতিটি দেশে ন্যায্য বেতন নীতি কার্যকর হয়।

ফেয়ার পে চার্টার এর মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য ও স্বচ্ছ বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা, সমান কাজের জন্য সমান পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা এবং বৈষম্যহীন একটি মানবিক কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে কর্মীদের ন্যায্য প্রাপ্যতা, মর্যাদা ও আর্থিক স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

এই রাজকীয় সফরের অংশ হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) এবং লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ (London Tea Exchange) এক ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য হলো চা সংস্কৃতি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে একাডেমিক, সাংস্কৃতিক ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক সহযোগিতা জোরদার করা।

এই অংশীদারিত্বের আওতায় ডিআইইউ ‘Tea Mastering’ বিষয়ে একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করবে, পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ও মাইক্রো-ক্রেডেনশিয়াল প্রোগ্রাম শুরু করবে, শিক্ষার্থীদের জন্য চা বাগান ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে এবং ক্যাম্পাসে একটি ‘Tea Corner’ স্থাপন করবে, যেখানে বিশ্ব চা ঐতিহ্যকে উদ্‌যাপন করা হবে। এই সহযোগিতা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা এবং আন্তর্জাতিক চা শিল্প সম্পর্কে ব্যবহারিক জ্ঞান বৃদ্ধিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং পর্তুগিজ রাজপরিবারের প্রধান মহামান্য Dom Duarte Pio, Duke of Braganza এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে ‘Duke of Braganza Youth Leadership & Service Program–Bangladesh Chapter’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক, যার মূল থিম হলো ‘Leadership Through Service’ বা ‘সেবার মাধ্যমে নেতৃত্ব’।

এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক সেবা, টেকসই পর্যটন এবং বৈশ্বিক নাগরিকত্বের চেতনা জাগিয়ে তোলা, যা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। এই উদ্যোগে পর্তুগালের রাজপরিবার রয়েল প্যাট্রোনেজ ও সার্টিফিকেশন প্রদান করবে, আর ডিআইইউ বাংলাদেশের জাতীয় সচিবালয় (National Secretariat) হিসেবে কাজ করবে, যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও দেশব্যাপী নেতৃত্ব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এছাড়াও, এই রাজকীয় সফরের অংশ হিসেবে ডিআইইউ ক্যাম্পাসে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘Duke of Braganza Heritage Culinary Studio’—যা একটি অগ্রণী উদ্যোগ হিসেবে আন্তর্জাতিক রন্ধনশৈলী ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার সংস্কৃতির এক মনোমুগ্ধকর সংমিশ্রণ তৈরি করবে। এটি হবে সাংস্কৃতিক বিনিময়, খাদ্য ঐতিহ্য ও টেকসই গ্যাস্ট্রোনমির এক অনন্য কেন্দ্রবিন্দু।

রাজকীয় আগমনে পর্তুগিজ রাজপরিবারের প্রধান মহামহিম HRH Dom Duarte, ব্রাগঁজা ডিউক কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার সম্মান। এরপর মহামান্য ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাঁর সফরের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও পর্তুগালের মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়ের নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।

রাজপরিবারের এই সফররত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন,‘ড্যাফোডিল সর্বদাই বৈশ্বিক শিক্ষার সংযোগ তৈরি করতে কাজ করছে। পর্তুগালের রাজপরিবারের এই সফর ও লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ড্যাফোডিলের আন্তর্জাতিক উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহামান্যা ডাচেস ইসাবেল ইনেস দে হেরেদিয়া, মহামান্য প্রিন্স আফনসো দে সান্তা মারিয়া, স্যার শেখ আলিউর রহমান, K.G.O.R., K.C., O.B.E. গ্রুপ চেয়ারম্যান, লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আর. কবির , প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, ট্রেজারার ড. হামিদুল হক খান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

অধ্যাপক ড. এম. আর. কবির (উপাচার্য,ডিআইইউ) বলেন, ‘আমরা তাঁর রাজকীয় আগমনে গর্বিত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে পর্তুগালের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতাকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই অংশীদারিত্ব শিক্ষাবিদ ও গবেষণার বিনিময়, এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং যৌথ উদ্যোগের পথ প্রসারিত করবে, যা ডিআইইউর আন্তর্জাতিক মর্যাদা আরও দৃঢ় করবে।’

সফরের অংশ হিসেবে আয়োজিত হয় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেন। দিনব্যাপী এই রাজকীয় সফরের সমাপ্তি ঘটে রাজপরিবারের সম্মানে আয়োজিত বিশেষ ন্যাশনাল লাঞ্চ-এর মধ্য দিয়ে, যেখানে পর্তুগিজ রাজপরিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রশাসন, বিদেশি অতিথি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই ঐতিহাসিক সফর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ যাত্রায় এক অনন্য অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংস্কৃতি বিনিময়ের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) হলো বাংলাদেশের এক শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা শিক্ষা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় নিবেদিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন লাগবে ৬০% উপস্থিতি

  • স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশন জারি।
  • কোর্সের পূর্ণমানের ৮০% নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০% ধারাবাহিক মূল্যায়নে।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন লাগবে ৬০% উপস্থিতি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায় এবং ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লেকচার ও ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার ফরম পূরণে কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার উল্লেখ করতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংশোধিত রেগুলেশনে এসব তথ্য রয়েছে। সংশোধিত রেগুলেশনটি গত রোববার জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান সংশোধিত রেগুলেশন অনুমোদন দেওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস।

স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সংশোধিত রেগুলেশন অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তত্ত্বীয় কোর্সের প্রশ্নপত্রের ধরন ও মূল্যায়নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সংশোধিত রেগুলেশনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ২০ নম্বরের মধ্যে ৪ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন বা কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় ১০ নম্বর থাকবে। ৩ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৪ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর মিলিয়ে মোট ১৫ নম্বর থাকবে। ২ ক্রেডিট কোর্সে অ্যাসাইনমেন্ট ও কুইজে ৩ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বরসহ মোট ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

রেগুলেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

প্রশ্নকাঠামো নিয়ে সংশোধিত রেগুলেশনে বলা হয়েছে, ৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর থাকবে ৮০, সময় ৪ ঘণ্টা। ৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৬০, সময় ৩ ঘণ্টা। ২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর ৪০, সময় ২ ঘণ্টা।

প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিআর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কর্মরত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পুপরোয়া) ২০২৬–২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আবু মিয়া আকন্দ (তুহিন) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত।

গত শুক্রবার বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সহপরিচালক আনোয়ার হাবীব কাজল; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির ব্র্যান্ডিং ও পাবলিক রিলেশন অফিসের পরিচালক আল আমিন শিকদার সিহাব এবং ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মহিউদ্দিন।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জাহিদ হাসান; সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান ফারাবী; অর্থ সম্পাদক ফারইস্ট ইউনিভার্সিটির যুগ্ম রেজিস্ট্রার মামুন-উল মতিন; সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাদিক হাসান পলাশ; দপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান; সহদপ্তর ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক তারেক ওমর; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আবু হাশেম রনি এবং সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসাইন।

ক্রীড়া সম্পাদক মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনজুর হোসাইন এবং সহক্রীড়া সম্পাদক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতিউস ফাহমিদ সৌরভ; সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান রাইসুল হক চৌধুরী এবং সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল হক; আন্তর্জাতিক ও গবেষণা সম্পাদক বিইউএইচএস নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা এনজেল।

এ ছাড়া ইসি সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের জনসংযোগ বিভাগের সহপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান, নর্দান ইউনিভার্সিটির যুগ্ম পরিচালক শেখ মাহবুব, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক সহকারী পরিচালক বদিউজ্জামান সোহেল এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফায়জ্জুল্লাহ।

সমিতির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামান টিপু, পুপরোয়ার সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান ও সদ্যবিদায়ী সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক বেলাল আহমেদ এবং পুপরোয়ার সাবেক সহসভাপতি ড. হাসান সাইমুম ওয়াহাব।

পুপরোয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধি, কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও সুনাম নির্মাণে জনসংযোগ পেশাজীবীদের ভূমিকা অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ।

নবনির্বাচিত কমিটি দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ পেশার বিকাশ, পলিসি উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পেশাগত মর্যাদা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবারও লটারিতে স্কুলে ভর্তি, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর।

আজ সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আবদুল হান্নান।

এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

আল মাহমুদ সোহেল বলেন, এবারও লটারি ভর্তি প্রক্রিয়ার কারিগরি সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক। অনলাইনে আবেদন নিয়ে লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষকেরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও শূন্যপদের তথ্য সফটওয়্যারে আপলোড করবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। ভর্তির অনলাইনে আবেদন শুরু হবে আগামী ২১ নভেম্বর, যা চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

সভা সূত্রে আরও জানা যায়, লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করবেন। আর ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম অপেক্ষমাণ এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

কর্মী নিয়োগ দেবে কেয়ার বাংলাদেশ, বেতন ৪৫ হাজার টাকা

রাস্তার পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত