Ajker Patrika

চাকসু নির্বাচন: চলছে শেষ সময়ের প্রচারণা, ভোটার টানতে নানা প্রতিশ্রুতি

চবি প্রতিনিধি 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনার এলাকায় চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনার এলাকায় চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচার-প্রচারণা চলছে। আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। ক্যাম্পাসজুড়ে এখন এক উৎসবমুখর পরিবেশ। শেষ সময়ের প্রচারণায় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটার টানতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট, শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে জোর প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে শিবির-ছাত্রদলসহ অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) হবে ভোট গ্রহণ। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন। তাই এই নির্বাচন ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রার্থীরা তাদের ইশতেহারে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। তবে, বাস্তবায়ন করবেন কি না সেটা দেখার বিষয়। ইশতেহার বাস্তবায়নে যাঁরা কাজ করবেন তারাই নির্বাচিত হবেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী শিক্ষার্থীবান্ধব কাজগুলোও ভোট দেওয়ার সময় বিবেচনায় রাখবেন। এ ছাড়া প্যানেল দেখে নয় বরং সৎ, যোগ্য এবং চাকসু পরিচালনার জন্য দক্ষ ব্যক্তিকেই নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

১৫টি হলের জন্য পাঁচটি ভবনে ৬০টি কেন্দ্র থাকবে। ভোটগ্রহণ হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। প্রতিটি রুমে গড়ে ৪০০-৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দেবেন। একজন শিক্ষার্থী মোট ৪০টি ভোট প্রদান করবেন। সেই অনুযায়ী গোপন বুথ তৈরি করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি অনুষদ ভবনের ডিনকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৪ অক্টোবর থেকে শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না।

নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে, যারা প্রয়োজনে তিন মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবে।

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুটি করে টহল টিম। বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। পাঁচটি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টর্চ জ্বালিয়ে গাজা যুদ্ধবিরতির বার্তা দিয়ে ভাইরাল সেই সাংবাদিক নিহত

ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের বহনকারী প্রথম বাস গাজায় পৌঁছাল

যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতিক্রমেই ফের সশস্ত্র হয়েছে হামাস: ট্রাম্প

মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

পুতিনকে বলব—যুদ্ধ বন্ধ কর, নইলে ইউক্রেনকে টমাহক দেব: ট্রাম্প

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত