শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি একজন। ইয়ামিন আন্দোলন চলাকালীন তাঁর জীবনের ঘটনাপ্রবাহ জানিয়েছেন আজকের পত্রিকাকে। তাঁর কথা শুনেছেন মো. সৈয়দুর রহমান।
মো. সৈয়দুর রহমান
আন্দোলনে যুক্ত হতে কোন বিষয়টি আপনাকে প্রভাবিত করেছিল?
আমরা সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে পড়ালেখা করি, শুধু একটি স্থিতিশীল চাকরির আশায়। কিন্তু যখন সেই চাকরির ক্ষেত্রেও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়, তখন ভেতরে একধরনের অসহায়ত্ব ও ক্ষোভ জন্ম নেয়। জুনের মাঝামাঝি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ জুনের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ জুলাই থেকে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। বাস্তবে তা-ই হয়।
১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে ছোট পরিসরে আলোচনা ও মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। এই আন্দোলনে আমাদের সম্পৃক্ততার মূল কারণ ছিল চাকরির অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করে আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকা অবস্থায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহজ ছিল না। ছাত্রলীগ তখন হলে একধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছিল। আন্দোলনে যখনই সময়সূচি ঘোষণা হতো, ঠিক তখনই তারা দলীয় প্রোগ্রামের নামে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখত। অনেক সময় আমাকে মিথ্যা বলতে হতো। আমি হলে নেই বা ঢাকায় আসিনি। আবার বাধ্য হয়ে প্রোগ্রামে গেলে মাঝপথে সেখান থেকে পালিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দিতাম।
আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী ছিল?
১১ জুলাই থেকে আন্দোলনের পরিস্থিতি অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। সেদিন ‘বাংলা ব্লকেড’ বাস্তবায়নে আমি মিন্টো রোডে একাই নেতৃত্ব দিই। রমনা বিভাগের ডিসি বারবার হুমকি দিয়ে ব্লকেড তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আন্দোলনের পর হলে ফিরে দেখি, পরিবেশ থমথমে। ১৬ জুলাই রাতে সহিংসতা চরমে পৌঁছায়। সেদিন আবু সাঈদসহ ৬ শিক্ষার্থী শহীদ হন। ওই রাতে নিরাপত্তার কারণে অন্য হলে আশ্রয় নিই।
সরকারের দমনপীড়নের মুখে কখনো কি মনে হয়েছে, নিজের জীবন বা ক্যারিয়ার হুমকিতে?
১৬ জুলাই আবু সাঈদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর আমার ভয়ভীতি পুরোপুরি দূর হয়ে যায়। আমাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে তখন যুক্ত হয় আবু সাঈদ ভাইয়ের জন্য সুবিচার। যদি আন্দোলন সফল না হতো, হয়তো সেখানেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটত, আমরা রয়ে যেতাম আয়নাঘরে বন্দী।
শেষের দিকে সরকারের তীব্র দমনপীড়ন কীভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন?
তখন আসলে আমরা যারা আন্দোলনের সম্মুখসারিতে ছিলাম, তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিলাম। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলায় গিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আমি তখন কীভাবে কৌশলগতভাবে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখছিলাম। ওই মুহূর্তে আমরা রেমিট্যান্স শাটডাউনের ডাক দিয়ে আন্দোলনে প্রবাসীদের যুক্ত করি। এই পদক্ষেপ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তখন থেকে আমরা আর কোনোভাবেই আপসে না যাওয়ার জন্য মনস্থির করি।
৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
গত ১৭ বছরে দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতির প্রকট ছাপ ছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে দেশের বাইরে। কিন্তু এখন আমি একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। একটি এমন দেশ, যেখানে পরিবারতন্ত্র ও একক আধিপত্যের অবসান ঘটবে। একজন চাষা, পানচাষি বা লবণচাষির ছেলেও যেন একটা নতুন দেশের স্বপ্ন দেখতে পারে, সে স্বপ্ন আমি দেখি। কোনো খাতে থাকবে না দালাল আর দুর্নীতির আধিপত্য।
আন্দোলনে যুক্ত হতে কোন বিষয়টি আপনাকে প্রভাবিত করেছিল?
আমরা সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে পড়ালেখা করি, শুধু একটি স্থিতিশীল চাকরির আশায়। কিন্তু যখন সেই চাকরির ক্ষেত্রেও বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়, তখন ভেতরে একধরনের অসহায়ত্ব ও ক্ষোভ জন্ম নেয়। জুনের মাঝামাঝি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত হয়, ৩০ জুনের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ জুলাই থেকে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। বাস্তবে তা-ই হয়।
১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে ছোট পরিসরে আলোচনা ও মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। এই আন্দোলনে আমাদের সম্পৃক্ততার মূল কারণ ছিল চাকরির অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করে আন্দোলনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকা অবস্থায় আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহজ ছিল না। ছাত্রলীগ তখন হলে একধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছিল। আন্দোলনে যখনই সময়সূচি ঘোষণা হতো, ঠিক তখনই তারা দলীয় প্রোগ্রামের নামে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখত। অনেক সময় আমাকে মিথ্যা বলতে হতো। আমি হলে নেই বা ঢাকায় আসিনি। আবার বাধ্য হয়ে প্রোগ্রামে গেলে মাঝপথে সেখান থেকে পালিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দিতাম।
আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কী ছিল?
১১ জুলাই থেকে আন্দোলনের পরিস্থিতি অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। সেদিন ‘বাংলা ব্লকেড’ বাস্তবায়নে আমি মিন্টো রোডে একাই নেতৃত্ব দিই। রমনা বিভাগের ডিসি বারবার হুমকি দিয়ে ব্লকেড তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আন্দোলনের পর হলে ফিরে দেখি, পরিবেশ থমথমে। ১৬ জুলাই রাতে সহিংসতা চরমে পৌঁছায়। সেদিন আবু সাঈদসহ ৬ শিক্ষার্থী শহীদ হন। ওই রাতে নিরাপত্তার কারণে অন্য হলে আশ্রয় নিই।
সরকারের দমনপীড়নের মুখে কখনো কি মনে হয়েছে, নিজের জীবন বা ক্যারিয়ার হুমকিতে?
১৬ জুলাই আবু সাঈদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর আমার ভয়ভীতি পুরোপুরি দূর হয়ে যায়। আমাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে তখন যুক্ত হয় আবু সাঈদ ভাইয়ের জন্য সুবিচার। যদি আন্দোলন সফল না হতো, হয়তো সেখানেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটত, আমরা রয়ে যেতাম আয়নাঘরে বন্দী।
শেষের দিকে সরকারের তীব্র দমনপীড়ন কীভাবে প্রতিরোধ করেছিলেন?
তখন আসলে আমরা যারা আন্দোলনের সম্মুখসারিতে ছিলাম, তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছিলাম। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ জেলায় গিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আমি তখন কীভাবে কৌশলগতভাবে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখছিলাম। ওই মুহূর্তে আমরা রেমিট্যান্স শাটডাউনের ডাক দিয়ে আন্দোলনে প্রবাসীদের যুক্ত করি। এই পদক্ষেপ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। তখন থেকে আমরা আর কোনোভাবেই আপসে না যাওয়ার জন্য মনস্থির করি।
৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
গত ১৭ বছরে দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতির প্রকট ছাপ ছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে দেশের বাইরে। কিন্তু এখন আমি একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। একটি এমন দেশ, যেখানে পরিবারতন্ত্র ও একক আধিপত্যের অবসান ঘটবে। একজন চাষা, পানচাষি বা লবণচাষির ছেলেও যেন একটা নতুন দেশের স্বপ্ন দেখতে পারে, সে স্বপ্ন আমি দেখি। কোনো খাতে থাকবে না দালাল আর দুর্নীতির আধিপত্য।
বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
১ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
১ দিন আগেন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে
১ দিন আগে