কৃষিক্ষেত্রে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান জানতে চাই
অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশে কৃষির পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অনেকের হয়তো জানা নেই, ১৯৩৮ সালে কৃষি নিয়ে উচ্চশিক্ষা শুরু হয়েছে আমাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তখন এর নাম ছিল দ্য বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট। স্বাধীনতা লাভের পর, অর্থাৎ ১৯৭২ সালে এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা ছিলেন বেশ সিনিয়র। তখন দেশের কৃষির যত প্রতিষ্ঠান ছিল, সবকটিতেই এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা নেতৃত্বে ছিলেন। সে সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। তাই এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে স্বাধীনতা-উত্তর দেশের কৃষিতে যে পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছিল, তা এসেছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের হাত ধরে। শুধু তা-ই নয়, কৃষিবিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এখানকার শিক্ষার্থীরাই শিক্ষকতা করেছেন। এমনকি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকেরাও কিন্তু এখানকার ছাত্র ছিলেন। ফলে এ কথা বলাই যায়, বাংলাদেশের কৃষির ভিত্তি এখান থেকেই তৈরি হয়েছে।
স্মার্ট কৃষির জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা কী?
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই। কারণ, ভবিষ্যতে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে যুগোপযোগী বিষয় চালু করছি। যাতে ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়। আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একটি ফ্যাকাল্টি ছিল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারটি। এ ছাড়া আরও তিনটি নতুন ইনস্টিটিউট খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো হলো ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি, ইনস্টিটিউট অব অ্যাগ্রিকালচারাল জার্নালিজম ও ইনস্টিটিউট অব অ্যাগ্রিকালচারাল ক্লাইমাটোলজি। এ ছাড়া ভবিষ্যতে অ্যাগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফুড টেকনোলজির মতো বিষয়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করব।
কৃষি গবেষণা খাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি কেমন?
গবেষণায় যেন সময়ের চাহিদা মাথায় থাকে, সে বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানে যত গবেষণা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করেছি। আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা নতুন নতুন জাত ও টেকনোলজি উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন নিয়ে দেশে-বিদেশে কাজ করছেন।
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষায় কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
কৃষিতে উচ্চশিক্ষা পুরোটাই টেকনিক্যাল এডুকেশন। আর টেকনিক্যাল এডুকেশনের প্রাণই হলো ব্যবহারিক শিক্ষা। আমরা এখানে ব্যবহারিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই। শিক্ষকেরা এই ব্যবহারিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ নজর দেন। যে ব্যবহারিকে মাঠে যেতে হবে তাতে মাঠে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
পৃথিবীর সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শেকৃবি কতটা তাল মেলাতে পারছে বলে মনে করেন?
আমরা চেষ্টা করছি পৃথিবীর সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে। এ জন্য আমাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
শেকৃবি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে?
শেকৃবি সম্পূর্ণ পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির সহায়তায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বল দিক কী? সমাধানে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?
আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী যতটা না কৃষি বা এর প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী যেকোনোভাবে পাস করার প্রতি। কারণ, বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। এটি শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা, তা নয়। এটি পুরো দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা। আমি মনে করি, অন্য চাকরিও বিসিএসের মতো মর্যাদাপূর্ণ হলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকারের উচিত এ বিষয়ে ভাবা।
শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
ছাত্রজীবনে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা মনে করেন হালকা পড়াশোনা করলেই হবে, তাঁরা ভুল করছেন। নিজের ক্ষতি করছেন। সবারই উচিত ছাত্রজীবনে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া।
কৃষিক্ষেত্রে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান জানতে চাই
অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশে কৃষির পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অনেকের হয়তো জানা নেই, ১৯৩৮ সালে কৃষি নিয়ে উচ্চশিক্ষা শুরু হয়েছে আমাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তখন এর নাম ছিল দ্য বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট। স্বাধীনতা লাভের পর, অর্থাৎ ১৯৭২ সালে এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা ছিলেন বেশ সিনিয়র। তখন দেশের কৃষির যত প্রতিষ্ঠান ছিল, সবকটিতেই এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা নেতৃত্বে ছিলেন। সে সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। তাই এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে স্বাধীনতা-উত্তর দেশের কৃষিতে যে পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছিল, তা এসেছিল এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের হাত ধরে। শুধু তা-ই নয়, কৃষিবিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এখানকার শিক্ষার্থীরাই শিক্ষকতা করেছেন। এমনকি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকেরাও কিন্তু এখানকার ছাত্র ছিলেন। ফলে এ কথা বলাই যায়, বাংলাদেশের কৃষির ভিত্তি এখান থেকেই তৈরি হয়েছে।
স্মার্ট কৃষির জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা কী?
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট কৃষির বিকল্প নেই। কারণ, ভবিষ্যতে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে যুগোপযোগী বিষয় চালু করছি। যাতে ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়। আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একটি ফ্যাকাল্টি ছিল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারটি। এ ছাড়া আরও তিনটি নতুন ইনস্টিটিউট খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো হলো ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি, ইনস্টিটিউট অব অ্যাগ্রিকালচারাল জার্নালিজম ও ইনস্টিটিউট অব অ্যাগ্রিকালচারাল ক্লাইমাটোলজি। এ ছাড়া ভবিষ্যতে অ্যাগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফুড টেকনোলজির মতো বিষয়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করব।
কৃষি গবেষণা খাতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি কেমন?
গবেষণায় যেন সময়ের চাহিদা মাথায় থাকে, সে বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রতিষ্ঠানে যত গবেষণা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করেছি। আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা নতুন নতুন জাত ও টেকনোলজি উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন নিয়ে দেশে-বিদেশে কাজ করছেন।
শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষায় কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
কৃষিতে উচ্চশিক্ষা পুরোটাই টেকনিক্যাল এডুকেশন। আর টেকনিক্যাল এডুকেশনের প্রাণই হলো ব্যবহারিক শিক্ষা। আমরা এখানে ব্যবহারিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই। শিক্ষকেরা এই ব্যবহারিক শিক্ষায় সর্বোচ্চ নজর দেন। যে ব্যবহারিকে মাঠে যেতে হবে তাতে মাঠে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
পৃথিবীর সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শেকৃবি কতটা তাল মেলাতে পারছে বলে মনে করেন?
আমরা চেষ্টা করছি পৃথিবীর সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে। এ জন্য আমাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
শেকৃবি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এটি কীভাবে সম্ভব হয়েছে?
শেকৃবি সম্পূর্ণ পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়। ইউজিসির সহায়তায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম ডিজিটাল করা হয়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বল দিক কী? সমাধানে কী উদ্যোগ নিয়েছেন?
আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী যতটা না কৃষি বা এর প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী যেকোনোভাবে পাস করার প্রতি। কারণ, বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ। এটি শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা, তা নয়। এটি পুরো দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা। আমি মনে করি, অন্য চাকরিও বিসিএসের মতো মর্যাদাপূর্ণ হলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকারের উচিত এ বিষয়ে ভাবা।
শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
ছাত্রজীবনে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। যাঁরা মনে করেন হালকা পড়াশোনা করলেই হবে, তাঁরা ভুল করছেন। নিজের ক্ষতি করছেন। সবারই উচিত ছাত্রজীবনে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া।
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে