খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
খুবি: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবির) সঙ্গে যৌথ গবেষণায় সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি।
যৌথ এই গবেষণার সম্ভাব্যতা নিয়ে গত সোমবার রাত ৮টায় তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে ওয়েবিনারে এক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দ্রুত বিস্তার লাভকারী ধ্বংসাত্মক মিলিবাগ ও ফল আর্মি ওয়ার্ম নিয়ে কাজ করার জন্য খুবির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি। এ গবেষণাকাজের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করবে ইউএসডিএ বাংলাদেশ মিশন ও ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন।
এ ছাড়া এই গবেষণা সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য আইপিএম ইনোভেশন ডিরেক্টর ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি খুলনা ও পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক আইপিএম ইনোভেশন ল্যাব তৈরি করতে সহায়তা করবে। মূল গবেষণায় বায়োকন্ট্রোল এজেন্ট প্যারাসাইটিক ইনসেক্ট মাল্টিপ্লিকেশন ও ফিল্ড ইনোকুলেশন করা হবে।
তাদের প্রজেক্টের আওতায় তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একগুচ্ছ শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। পরে এই গবেষণা প্রকল্পের টেকনোলজিক্যাল পেটেন্ট কোনো প্রাইভেট কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই যৌথ গবেষণা প্রকল্পের ফেসিলেটেটর ও সংযোগকারী হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল দাস কাজ করছেন। এ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাগারে উৎপাদন করা হবে পরজীবী (প্যারাসাইট), আর তা মাঠের ফসলে বা ফল গাছে ছেড়ে দিলে দ্রুত বংশ বিস্তার করে ক্ষতিকর বালাই খেয়ে সাবাড় করবে। ফলে কীটনাশক ছাড়াই ফসল বা বৃক্ষ বালাইমুক্ত হবে।
এ ধরনের জৈবিক প্রযুক্তি সমন্বিত পোকা দমনে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভুট্টা, নারকেল, পেয়ারা, পেঁপে, লেবুগাছে সাম্প্রতিককালে যে মিলিবাগ ও ফল আর্মি ওয়ার্মের মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তা রোধে এই জৈব প্রযুক্তি উপকারে আসবে এবং এসব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এই প্রজেক্টের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা বিধ্বংসী ফল আর্মি ওয়ার্ম ও মিলিবাগের মারাত্মক সংক্রমণ থেকে জৈবিকভাবে মুক্ত হবেন।
পাশাপাশি তিনি এ ধরনের যৌথ গবেষণার উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির গবেষক দলকে ইনসেক্টস্তেরিলিটি টেকনোলজি নিয়েও কাজ করতে অনুরোধ জানান।
ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির গবেষক দলের পক্ষ থেকে আইপিএম ইনোভেশন ল্যাবের ডিরেক্টর ড. মুনিয়াপ্পান ফিচারড স্পিকার হিসেবে তাঁর প্রকল্পের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানান এবং তাঁরাও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় দুটির উপাচার্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়া সেমিনারে পবিপ্রবির উপাচার্য ও এগ্রিকালচারাল স্কুলের ডিন, খুবির অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও আইপিএম ইনোভেশন ল্যাবের ডিরেক্টর ড. মুনিয়াপ্পান রঙ্গাস্বামি ও তাঁর গবেষক দল এই সমঝোতার বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
খুবি: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবির) সঙ্গে যৌথ গবেষণায় সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি।
যৌথ এই গবেষণার সম্ভাব্যতা নিয়ে গত সোমবার রাত ৮টায় তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে ওয়েবিনারে এক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দ্রুত বিস্তার লাভকারী ধ্বংসাত্মক মিলিবাগ ও ফল আর্মি ওয়ার্ম নিয়ে কাজ করার জন্য খুবির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি। এ গবেষণাকাজের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করবে ইউএসডিএ বাংলাদেশ মিশন ও ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন।
এ ছাড়া এই গবেষণা সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য আইপিএম ইনোভেশন ডিরেক্টর ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটি খুলনা ও পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক আইপিএম ইনোভেশন ল্যাব তৈরি করতে সহায়তা করবে। মূল গবেষণায় বায়োকন্ট্রোল এজেন্ট প্যারাসাইটিক ইনসেক্ট মাল্টিপ্লিকেশন ও ফিল্ড ইনোকুলেশন করা হবে।
তাদের প্রজেক্টের আওতায় তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একগুচ্ছ শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। পরে এই গবেষণা প্রকল্পের টেকনোলজিক্যাল পেটেন্ট কোনো প্রাইভেট কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই যৌথ গবেষণা প্রকল্পের ফেসিলেটেটর ও সংযোগকারী হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিমুল দাস কাজ করছেন। এ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাগারে উৎপাদন করা হবে পরজীবী (প্যারাসাইট), আর তা মাঠের ফসলে বা ফল গাছে ছেড়ে দিলে দ্রুত বংশ বিস্তার করে ক্ষতিকর বালাই খেয়ে সাবাড় করবে। ফলে কীটনাশক ছাড়াই ফসল বা বৃক্ষ বালাইমুক্ত হবে।
এ ধরনের জৈবিক প্রযুক্তি সমন্বিত পোকা দমনে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভুট্টা, নারকেল, পেয়ারা, পেঁপে, লেবুগাছে সাম্প্রতিককালে যে মিলিবাগ ও ফল আর্মি ওয়ার্মের মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তা রোধে এই জৈব প্রযুক্তি উপকারে আসবে এবং এসব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এই প্রজেক্টের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা বিধ্বংসী ফল আর্মি ওয়ার্ম ও মিলিবাগের মারাত্মক সংক্রমণ থেকে জৈবিকভাবে মুক্ত হবেন।
পাশাপাশি তিনি এ ধরনের যৌথ গবেষণার উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির গবেষক দলকে ইনসেক্টস্তেরিলিটি টেকনোলজি নিয়েও কাজ করতে অনুরোধ জানান।
ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির গবেষক দলের পক্ষ থেকে আইপিএম ইনোভেশন ল্যাবের ডিরেক্টর ড. মুনিয়াপ্পান ফিচারড স্পিকার হিসেবে তাঁর প্রকল্পের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানান এবং তাঁরাও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় দুটির উপাচার্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ ছাড়া সেমিনারে পবিপ্রবির উপাচার্য ও এগ্রিকালচারাল স্কুলের ডিন, খুবির অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও আইপিএম ইনোভেশন ল্যাবের ডিরেক্টর ড. মুনিয়াপ্পান রঙ্গাস্বামি ও তাঁর গবেষক দল এই সমঝোতার বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের বেসরকারি কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। তবে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের জন্য তা শিথিল করা হয়েছে। ফলে এমবিবিএস চিকিৎসক, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও আইনজীবীরা
৫ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
৩ দিন আগে