আব্দুর রাজ্জাক খান
আমেরিকান কবি রবার্ট ফ্রস্টের (১৮৭৪-১৯৬৩) একটি জনপ্রিয় কবিতা ‘দ্য রোড নট টেকেন’। এটি কেবল ইংরেজি সাহিত্যের একটি ক্ল্যাসিক রচনাই নয়, বরং জীবনের গভীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। কবিতায় কবি বলেন, হলুদ বনভূমির ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটি জায়গায় থেমে যান। সেখানে তিনি দুটি আলাদা পথ দেখতে পান। একসঙ্গে দুটি পথ বেছে নেওয়া সম্ভব নয়, তাই একটি পথ বেছে নিতে হয়। দীর্ঘ সময় চিন্তাভাবনার পর তিনি একটি পথ বেছে নেন। সেই পথই কবির জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়।
এই সাধারণ বিষয়টি কবি এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা জীবনের সিদ্ধান্ত, অনিশ্চয়তা ও পরিণতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। কবিতাটি থেকে আমরা বেশ কিছু মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারি।
জীবনে সব সময় বিকল্প থাকে
কবিতার শুরুতে দেখা যায়, একটি জায়গায় গিয়ে দুটি পথ আলাদা হয়ে গেছে। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমরা ঠিক এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। পড়াশোনা, পেশা, সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত উন্নতির ক্ষেত্রে আমাদের সামনে সব সময় একাধিক বিকল্প থাকে। তখন আমরা দ্বিধায় ভুগি এবং নিজেকে প্রশ্ন করি, কোনটা বেছে নেব? ফ্রস্ট দেখিয়েছেন, দ্বিধায় দাঁড়িয়ে থাকলে কোনো পথে এগোনো যায় না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া অপরিহার্য।
সাহসী সিদ্ধান্তই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়
কবি যে পথটি বেছে নেন, সেখানে মানুষ খুব কম হেঁটেছে; অর্থাৎ প্রচলিত বা নিরাপদ পথের বাইরে। এটি আমাদের শেখায়, স্রোতের সঙ্গে চললে হয়তো নিশ্চিন্ত থাকা যায়, কিন্তু ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে জীবনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। অল্প মানুষ যেসব পথ বেছে নেয়, তাতে নতুন অভিজ্ঞতা ও সুযোগ আসে, যা বড় সাফল্যের পথ খুলে দেয়।
সিদ্ধান্তের পরিণতি মেনে নিতে হয়
কবি প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো অন্য দিন আরেকটি পথ বেছে নেওয়া যাবে। কিন্তু পরে তিনি বুঝেছেন, একবার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আর আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। জীবনও ঠিক এমন—একটি সিদ্ধান্ত আমাদের পরবর্তী অসংখ্য সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সচেতন থাকা জরুরি, আর নেওয়া সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে।
জীবনের পথ অনিশ্চিত, তবু চলতে হবে
দুটি পথই প্রায় একই রকম। কোন পথ কোথায় নিয়ে যাবে, তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। এটি জীবনের অনিশ্চয়তার প্রতীক। আমরা যত পরিকল্পনা করি না কেন, ভবিষ্যৎ সব সময় অজানা থাকে। তাই অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সাহস করে এগিয়ে যেতে হয়।
ভিন্নতার মাধ্যমেই আসে পরিচিতি
কবির শেষ লাইন: ‘আমি সেই পথটি নিয়েছিলাম, যেখানে কম মানুষ হেঁটেছে, আর সেটিই সবকিছু বদলে দিয়েছে।’ ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং আলাদা পথ বেছে নেওয়ার মাধ্যমেই মানুষ নিজের পরিচয় গড়ে তোলে। ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের মূল রহস্য এখানেই নিহিত।
প্রতিটি মানুষকে নিজের পথ নিজেকেই বেছে নিতে হয়
কবিতায় কবি একাই দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অন্য কেউ এসে তাঁর জায়গায় পথ বেছে দেয়নি। এ থেকে শিক্ষা পাওয়া যায় যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আমাদেরকেই নিজের পথ নির্ধারণ করতে হবে।
‘দ্য রোড নট টেকেন’ একটি রূপক কবিতা। এটি প্রতিটি মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে যায়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্তে আমাদের দ্বিধা, সাহস, অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতের চিন্তা—সবই এতে ধরা পড়েছে। রবার্ট ফ্রস্ট আমাদের শিখিয়েছেন, জীবনে প্রতিটি সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভয় না পেয়ে নিজের বিশ্বাসের পথে হাঁটতে হবে। হয়তো সেটিই একদিন জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বয়ে আনবে।
আমেরিকান কবি রবার্ট ফ্রস্টের (১৮৭৪-১৯৬৩) একটি জনপ্রিয় কবিতা ‘দ্য রোড নট টেকেন’। এটি কেবল ইংরেজি সাহিত্যের একটি ক্ল্যাসিক রচনাই নয়, বরং জীবনের গভীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। কবিতায় কবি বলেন, হলুদ বনভূমির ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটি জায়গায় থেমে যান। সেখানে তিনি দুটি আলাদা পথ দেখতে পান। একসঙ্গে দুটি পথ বেছে নেওয়া সম্ভব নয়, তাই একটি পথ বেছে নিতে হয়। দীর্ঘ সময় চিন্তাভাবনার পর তিনি একটি পথ বেছে নেন। সেই পথই কবির জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়।
এই সাধারণ বিষয়টি কবি এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা জীবনের সিদ্ধান্ত, অনিশ্চয়তা ও পরিণতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। কবিতাটি থেকে আমরা বেশ কিছু মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারি।
জীবনে সব সময় বিকল্প থাকে
কবিতার শুরুতে দেখা যায়, একটি জায়গায় গিয়ে দুটি পথ আলাদা হয়ে গেছে। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমরা ঠিক এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। পড়াশোনা, পেশা, সম্পর্ক বা ব্যক্তিগত উন্নতির ক্ষেত্রে আমাদের সামনে সব সময় একাধিক বিকল্প থাকে। তখন আমরা দ্বিধায় ভুগি এবং নিজেকে প্রশ্ন করি, কোনটা বেছে নেব? ফ্রস্ট দেখিয়েছেন, দ্বিধায় দাঁড়িয়ে থাকলে কোনো পথে এগোনো যায় না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া অপরিহার্য।
সাহসী সিদ্ধান্তই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়
কবি যে পথটি বেছে নেন, সেখানে মানুষ খুব কম হেঁটেছে; অর্থাৎ প্রচলিত বা নিরাপদ পথের বাইরে। এটি আমাদের শেখায়, স্রোতের সঙ্গে চললে হয়তো নিশ্চিন্ত থাকা যায়, কিন্তু ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলে জীবনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। অল্প মানুষ যেসব পথ বেছে নেয়, তাতে নতুন অভিজ্ঞতা ও সুযোগ আসে, যা বড় সাফল্যের পথ খুলে দেয়।
সিদ্ধান্তের পরিণতি মেনে নিতে হয়
কবি প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো অন্য দিন আরেকটি পথ বেছে নেওয়া যাবে। কিন্তু পরে তিনি বুঝেছেন, একবার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আর আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। জীবনও ঠিক এমন—একটি সিদ্ধান্ত আমাদের পরবর্তী অসংখ্য সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সচেতন থাকা জরুরি, আর নেওয়া সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে।
জীবনের পথ অনিশ্চিত, তবু চলতে হবে
দুটি পথই প্রায় একই রকম। কোন পথ কোথায় নিয়ে যাবে, তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। এটি জীবনের অনিশ্চয়তার প্রতীক। আমরা যত পরিকল্পনা করি না কেন, ভবিষ্যৎ সব সময় অজানা থাকে। তাই অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সাহস করে এগিয়ে যেতে হয়।
ভিন্নতার মাধ্যমেই আসে পরিচিতি
কবির শেষ লাইন: ‘আমি সেই পথটি নিয়েছিলাম, যেখানে কম মানুষ হেঁটেছে, আর সেটিই সবকিছু বদলে দিয়েছে।’ ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং আলাদা পথ বেছে নেওয়ার মাধ্যমেই মানুষ নিজের পরিচয় গড়ে তোলে। ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের মূল রহস্য এখানেই নিহিত।
প্রতিটি মানুষকে নিজের পথ নিজেকেই বেছে নিতে হয়
কবিতায় কবি একাই দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অন্য কেউ এসে তাঁর জায়গায় পথ বেছে দেয়নি। এ থেকে শিক্ষা পাওয়া যায় যে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আমাদেরকেই নিজের পথ নির্ধারণ করতে হবে।
‘দ্য রোড নট টেকেন’ একটি রূপক কবিতা। এটি প্রতিটি মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলে যায়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্তে আমাদের দ্বিধা, সাহস, অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতের চিন্তা—সবই এতে ধরা পড়েছে। রবার্ট ফ্রস্ট আমাদের শিখিয়েছেন, জীবনে প্রতিটি সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভয় না পেয়ে নিজের বিশ্বাসের পথে হাঁটতে হবে। হয়তো সেটিই একদিন জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বয়ে আনবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল ওদুদ ভূঁইয়া হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাষ্ট্রীয় বাহিনী বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গ আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করে...
২ ঘণ্টা আগেডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে ১০টি প্রধান পরিকল্পনাসহ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলায় সহসভাপতি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান ইশতেহার পাঠ করেন।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ভোটার তালিকা থেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রদল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে দলীয় টেন্ট থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ...
৫ ঘণ্টা আগে