Ajker Patrika

রাবিতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিতে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি

প্রতিনিধি
রাবিতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিতে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অচলাবস্থা নিরসনে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। আজ রোববার সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকি ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, `কোভিড-১৯ অতিমাত্রার প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও বহুল আলোচিত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত অ্যাডহক নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গত দেড় মাসেরও অধিক সময় ধরে ব্যাহত করছে। এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত অথচ যোগদানকৃত নয় এমন ব্যক্তিদের কিছু সংখ্যক গত কয়েক দিন ধরে প্রশাসন ভবন অবরোধসহ ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। পদায়নের দাবিতে তাঁরা দুই দিন প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ করেছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাউকে আন্দোলনকারীদের সামনে পড়ে নাজেহাল হতে হয়েছে। এই অবস্থায় ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।'

দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়মিত উপাচার্য না নিয়োগ দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে বিপত্তি তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, `করোনা অতিমাত্রার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের মূল সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে না পারা, গবেষণা তহবিল বরাদ্দে জটিলতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদেশি স্কলারশিপ সংক্রান্ত কাজে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে।'

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিতে বিলম্বিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, `আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হচ্ছে যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। একজন নিয়মিত অভিভাবকের অভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আজ প্রায় অরক্ষিত। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতি লাঘবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক এবং অতি সত্ত্বর একজন উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসের সকল ধরনের অচলাবস্থার নিরসন করা হোক।'

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয় গত ০৬ মে। ওই দিন রাতে মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহাকে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব দেন। সেই থেকে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত