তাসনিম মহসিন, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে

‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’ ১৭ অক্টোবর রংপুরের পীরগঞ্জে হামলার সময়ের বর্ণনা এভাবেই দিলেন কেশব সরকার। ৪০ বছর বয়সী এই জেলের স্মৃতিতে এমন দৃশ্য আর নেই।
রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা একসঙ্গে বাস করে আসছে দীর্ঘদিন। কিন্তু এবার দুর্গাপূজার পরপর রামনাথপুরের উত্তর জেলেপাড়ায় যা ঘটল, তার ক্ষত থেকে যাবে দীর্ঘদিন। সরকারি-বেসরকারি নানা সহায়তা এখন আসছে। বিধ্বস্ত ভূমিতেই আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। কিন্তু সেদিনের সেই দৃশ্য, সেই আতঙ্ক রয়ে গেছে, রয়ে যাবে দীর্ঘদিন।
গত ১৭ অক্টোবর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুরের জেলেপল্লিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ২৪টি পরিবারের বসতঘরে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এই দুঃসময়ে দীর্ঘদিনের মুসলিম প্রতিবেশীদের কাছে আশ্রয় পেলেও জেলেপল্লির মানুষদের প্রত্যাশাটা কিছুটা বেশি ছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন, হামলাকারীদের সামনে তাঁদের হয়ে প্রতিবেশী মুসলিমেরা হয়তো দাঁড়াবেন। কিন্তু তেমনটি হয়নি। অবশ্য এমন মারমুখী পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা এক-দুজনের পক্ষে সম্ভবও নয়। সেটা তাঁরা বোঝেন; কিন্তু তাতে তৈরি হওয়ার ক্ষতের ওপর প্রলেপ পড়ে না।
ফেরা যাক কেশব সরকারের বয়ানে। সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে উত্তর জেলেপল্লির এ বাসিন্দা বলেন, ‘সন্ধ্যায় যখন সমস্যা শুরু হয়। তখন আমরা সবাই মন্দিরের সামনে চলে আসি। আমাদের মহৎ (নেতা) তখন বলেন, “যে যার বাড়িতে চলে যান। যা হয় দেখা যাবে। সমস্যা তো আর আমাদের সঙ্গে না। ” ফলে সবাই যে যার বাড়িতে চলে যায়।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, যখন হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়। শত শত লোক “নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর” বলে হামলা চালায়।’
গতকাল সোমবার রাতে রামনাথপুরের উত্তর জেলেপাড়ার মন্দিরের সামনে গেলে সেখানে জেলেপল্লির মানুষদের জটলা দেখা যায়। পীরগঞ্জ উপজেলার পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুধীর চন্দ্র রায়, পৌরসভার পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুনীল চন্দ্র এবং পৌরসভার পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপুল চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পাওয়া নিয়ে বৈঠক চলছিল তখন।

সেখানে উপস্থিত ভাদই রানি (৪৮) আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। আলাপে আলাপে জানালেন, পেশায় শ্রমিক এই নারীর স্বামী বেশ আগেই মারা গেছেন। বয়স্ক শাশুড়ি থাকেন তাঁর সঙ্গে। দুই ছেলে, দুই মেয়ের সবার বিয়ে হয়েছে। চার ছেলেমেয়ের চার নাতিনাতনি। দুই ছেলে পেশায় জেলে। দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। পূজার সময়ে স্বামী সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন রামনাথপুরের উত্তর জেলেপাড়ায়। সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু সেদিনের ঘটনাই সব ওলটপালট করে দিল। না কাউকে হারাতে হয়নি। কিন্তু এক ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
হামলার সময় কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন—জানতে চাইলে ভাদই রানি বলেন, ‘আমাদের চারপাশেই ধানখেত। যখন হামলা হয়, তখন বুড়ো শাশুড়ি, ছেলেমেয়ে, নাতিনাতনিদের নিয়ে পাশের ধানখেতে লুকাই। খুবই ভয়ের মধ্যে ছিলাম, কী হয়। এ যাত্রায় বাঁচতে পারব কি না, তা নিয়েও ছিল সংশয়।’
সেই যে লুকালেন, তারপর অনেক ক্ষণ সেখানেই ছিলেন। প্রশাসনের লোকেদের উপস্থিতি বাড়লে কিছুটা আশ্বস্ত হন। তখন সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন ধানখেত থেকে। বললেন, ‘প্রশাসনের লোকের উপস্থিতি বাড়লে, আমরা বাসায় ফিরে আসি।’
এ এলাকার হিন্দু-মুসলিম একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বসবাস করছে দীর্ঘদিন। যে যার ধর্ম পালন করছে। সাম্প্রদায়িক মনোভাব যে নেই, তা নয়। কিন্তু এটি এত দিন এমন কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেনি কখনো। বাজারেই কথা হয়েছিল রামনাথপুর ১৩ নম্বর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই প্রথম পীরগঞ্জে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।’
একই কথা বললেন কৃষক লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনোয়ারুল মণ্ডল। এমন কিছু এর আগে দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। বছরের পর বছর হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে আসছি। তারা মাছ ধরে, মাছ ব্যবসা করে। আর সেই মাছ আমরাই কিনে থাকি। ফলে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভরশীল।’
সেই নির্ভরশীলতার ভিতে একটা বড় দাগ পড়ল এবার। জেলেপল্লির নিরীহ মানুষগুলোর প্রশ্ন—এমন একটি হামলা হলো, প্রতিবেশী মুসলিম পরিবারগুলো কোনো প্রতিবাদ করল না কেন? আবার এও মানছেন যে, প্রতিবেশী কয়েকটি মুসলিম পরিবার ঠিকই আক্রান্তদের আশ্রয় দিয়েছিল। এ অবস্থায় প্রশাসন কি আরও কিছু করতে পারত?
সুধীর চন্দ্র রায় ও বিপুল চন্দ্র সরকারের দাবি, এ হামলা ছিল পরিকল্পিত। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ হামলা চালানো হয়েছে। বিপুল চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেলে একজন ফোন করে দক্ষিণ জেলেপল্লির কথা জানায়। এ ঘটনা জানার পরপরই সন্ধ্যার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকারের একান্ত সহকারীকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। সেই সঙ্গে সুরক্ষা দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
সমস্যা তো হয়েছিল দক্ষিণ জেলেপল্লিতে উত্তর জেলেপল্লিতে হামলা হবে—এর ধারণা কীভাবে পেলেন? এর উত্তরে বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তাদের হামলাটি ছিল পরিকল্পিত এবং সংখ্যালঘুর ওপর।’
এদিকে পীরগঞ্জের জেলেপল্লিতে হামলার ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তার সুস্পষ্ট ধারণা নেই ১৩ নম্বর ইউনিয়নের মুসলিম জনগোষ্ঠীরও। আর জেলেপল্লির হিন্দু জনগোষ্ঠীর দাবি আন্দোলন যারা করেছে, তারাই হামলা চালিয়েছে। একটা অবিশ্বাস যে ঢুকে পড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর শুশ্রূষার জন্য সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী হিসেবে মুসলিম প্রতিবেশীদেরই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’ ১৭ অক্টোবর রংপুরের পীরগঞ্জে হামলার সময়ের বর্ণনা এভাবেই দিলেন কেশব সরকার। ৪০ বছর বয়সী এই জেলের স্মৃতিতে এমন দৃশ্য আর নেই।
রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা একসঙ্গে বাস করে আসছে দীর্ঘদিন। কিন্তু এবার দুর্গাপূজার পরপর রামনাথপুরের উত্তর জেলেপাড়ায় যা ঘটল, তার ক্ষত থেকে যাবে দীর্ঘদিন। সরকারি-বেসরকারি নানা সহায়তা এখন আসছে। বিধ্বস্ত ভূমিতেই আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। কিন্তু সেদিনের সেই দৃশ্য, সেই আতঙ্ক রয়ে গেছে, রয়ে যাবে দীর্ঘদিন।
গত ১৭ অক্টোবর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুরের জেলেপল্লিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ২৪টি পরিবারের বসতঘরে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এই দুঃসময়ে দীর্ঘদিনের মুসলিম প্রতিবেশীদের কাছে আশ্রয় পেলেও জেলেপল্লির মানুষদের প্রত্যাশাটা কিছুটা বেশি ছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন, হামলাকারীদের সামনে তাঁদের হয়ে প্রতিবেশী মুসলিমেরা হয়তো দাঁড়াবেন। কিন্তু তেমনটি হয়নি। অবশ্য এমন মারমুখী পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা এক-দুজনের পক্ষে সম্ভবও নয়। সেটা তাঁরা বোঝেন; কিন্তু তাতে তৈরি হওয়ার ক্ষতের ওপর প্রলেপ পড়ে না।
ফেরা যাক কেশব সরকারের বয়ানে। সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে উত্তর জেলেপল্লির এ বাসিন্দা বলেন, ‘সন্ধ্যায় যখন সমস্যা শুরু হয়। তখন আমরা সবাই মন্দিরের সামনে চলে আসি। আমাদের মহৎ (নেতা) তখন বলেন, “যে যার বাড়িতে চলে যান। যা হয় দেখা যাবে। সমস্যা তো আর আমাদের সঙ্গে না। ” ফলে সবাই যে যার বাড়িতে চলে যায়।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, যখন হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়। শত শত লোক “নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর” বলে হামলা চালায়।’
গতকাল সোমবার রাতে রামনাথপুরের উত্তর জেলেপাড়ার মন্দিরের সামনে গেলে সেখানে জেলেপল্লির মানুষদের জটলা দেখা যায়। পীরগঞ্জ উপজেলার পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুধীর চন্দ্র রায়, পৌরসভার পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুনীল চন্দ্র এবং পৌরসভার পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপুল চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পাওয়া নিয়ে বৈঠক চলছিল তখন।

সেখানে উপস্থিত ভাদই রানি (৪৮) আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। আলাপে আলাপে জানালেন, পেশায় শ্রমিক এই নারীর স্বামী বেশ আগেই মারা গেছেন। বয়স্ক শাশুড়ি থাকেন তাঁর সঙ্গে। দুই ছেলে, দুই মেয়ের সবার বিয়ে হয়েছে। চার ছেলেমেয়ের চার নাতিনাতনি। দুই ছেলে পেশায় জেলে। দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। পূজার সময়ে স্বামী সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন রামনাথপুরের উত্তর জেলেপাড়ায়। সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু সেদিনের ঘটনাই সব ওলটপালট করে দিল। না কাউকে হারাতে হয়নি। কিন্তু এক ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
হামলার সময় কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন—জানতে চাইলে ভাদই রানি বলেন, ‘আমাদের চারপাশেই ধানখেত। যখন হামলা হয়, তখন বুড়ো শাশুড়ি, ছেলেমেয়ে, নাতিনাতনিদের নিয়ে পাশের ধানখেতে লুকাই। খুবই ভয়ের মধ্যে ছিলাম, কী হয়। এ যাত্রায় বাঁচতে পারব কি না, তা নিয়েও ছিল সংশয়।’
সেই যে লুকালেন, তারপর অনেক ক্ষণ সেখানেই ছিলেন। প্রশাসনের লোকেদের উপস্থিতি বাড়লে কিছুটা আশ্বস্ত হন। তখন সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন ধানখেত থেকে। বললেন, ‘প্রশাসনের লোকের উপস্থিতি বাড়লে, আমরা বাসায় ফিরে আসি।’
এ এলাকার হিন্দু-মুসলিম একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বসবাস করছে দীর্ঘদিন। যে যার ধর্ম পালন করছে। সাম্প্রদায়িক মনোভাব যে নেই, তা নয়। কিন্তু এটি এত দিন এমন কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেনি কখনো। বাজারেই কথা হয়েছিল রামনাথপুর ১৩ নম্বর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই প্রথম পীরগঞ্জে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।’
একই কথা বললেন কৃষক লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনোয়ারুল মণ্ডল। এমন কিছু এর আগে দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। বছরের পর বছর হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে আসছি। তারা মাছ ধরে, মাছ ব্যবসা করে। আর সেই মাছ আমরাই কিনে থাকি। ফলে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভরশীল।’
সেই নির্ভরশীলতার ভিতে একটা বড় দাগ পড়ল এবার। জেলেপল্লির নিরীহ মানুষগুলোর প্রশ্ন—এমন একটি হামলা হলো, প্রতিবেশী মুসলিম পরিবারগুলো কোনো প্রতিবাদ করল না কেন? আবার এও মানছেন যে, প্রতিবেশী কয়েকটি মুসলিম পরিবার ঠিকই আক্রান্তদের আশ্রয় দিয়েছিল। এ অবস্থায় প্রশাসন কি আরও কিছু করতে পারত?
সুধীর চন্দ্র রায় ও বিপুল চন্দ্র সরকারের দাবি, এ হামলা ছিল পরিকল্পিত। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ হামলা চালানো হয়েছে। বিপুল চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেলে একজন ফোন করে দক্ষিণ জেলেপল্লির কথা জানায়। এ ঘটনা জানার পরপরই সন্ধ্যার সময় জাতীয় সংসদের স্পিকারের একান্ত সহকারীকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। সেই সঙ্গে সুরক্ষা দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
সমস্যা তো হয়েছিল দক্ষিণ জেলেপল্লিতে উত্তর জেলেপল্লিতে হামলা হবে—এর ধারণা কীভাবে পেলেন? এর উত্তরে বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তাদের হামলাটি ছিল পরিকল্পিত এবং সংখ্যালঘুর ওপর।’
এদিকে পীরগঞ্জের জেলেপল্লিতে হামলার ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তার সুস্পষ্ট ধারণা নেই ১৩ নম্বর ইউনিয়নের মুসলিম জনগোষ্ঠীরও। আর জেলেপল্লির হিন্দু জনগোষ্ঠীর দাবি আন্দোলন যারা করেছে, তারাই হামলা চালিয়েছে। একটা অবিশ্বাস যে ঢুকে পড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর শুশ্রূষার জন্য সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী হিসেবে মুসলিম প্রতিবেশীদেরই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’
২৬ অক্টোবর ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’
২৬ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’
২৬ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

‘হাজারো লাঠি ও ইট দিয়ে টিনের বাড়িতে হামলা করে। এমন শব্দ হতে থাকে যে, মানুষ ঘর ছেড়ে যে যার মতো পালায়। ধানের উচ্চতা বেশি থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ধানখেতে শুয়ে লুকায়। আবার কিছু মানুষ প্রতিবেশী মুসলিমদের বাড়িতেও লুকায়।’
২৬ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে