তাসনিম মহসিন, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে

একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে, রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
১৭ অক্টোবর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুরের জেলেপল্লিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ২৪টি পরিবারের বসতঘর। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয়। এগুলোয় আসামি করা হয় পাঁচ শতাধিক লোককে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে চলছে অভিযান। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় জনজীবনে। সবখানেই একটা ভয়ের আবহ বিরাজ করছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মন থেকে ভয় কাটেনি এখনো। আর হামলাকারী হিসেবে যাদের দিকে সন্দেহের তির, তারাও অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে চেরাগপুরের পাশের বাজারে গিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম মানুষ দেখা গেছে। পুরো এলাকায় ভয়ের আবহ। একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে সবখানে। বাজারে শুধু দলীয় পরিচয়ের লোকজন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বয়স্ক মানুষ ও দোকান ব্যবসায়ীদেরই শুধু দেখা মিলল। নতুন মানুষ দেখলেই সবাই সন্দেহ, ভয় ও কৌতূহলের চোখে দেখছে। স্থানীয়রা পুলিশ দেখে অভ্যস্ত হলেও তাদের সবচেয়ে বেশি ভড়কে দিয়েছে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি।
বাজারেই কথা হলো রামনাথপুর ১৩ নম্বর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বললেন, সবাই খুবই ভয়ে রয়েছে। গ্রাম পুরুষ-শূন্য হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পীরগঞ্জে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।
একই কথা বললেন কৃষক লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনোয়ারুল মণ্ডল। একটা আতঙ্ক সবার মধ্যে কাজ করছে বলে জানালেন তিনি। এমন কিছু এর আগে দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে আসছি। তারা মাছ ধরে, মাছ ব্যবসা করে। আর সেই মাছ আমরাই কিনে থাকি। ফলে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভরশীল।’
উপস্থিত অনেকের সঙ্গেই কথা হলো। তাঁরা বলেন, ‘এখানকার পুলিশ আমাদের সবাইকে চেনে। কিন্তু আমরা এখানে প্রথমবারের মতো বিজিবি দেখেছি। তারা আমাদের চেনেও না। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে অজানা ভয় বেড়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, এখানকার মানুষ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারণ, এখানকার মানুষ তখন ধর্মীয় অবমাননার বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করছিল, আন্দোলন করছিল। সেখানে ৪০০-৫০০ মানুষ ছিল। যেখানে আন্দোলন ও বৈঠক হচ্ছিল, সেখান থেকে ঘটনাস্থল আধা মাইল দূরে। আর সেখানে যাওয়ার যে রাস্তা, তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছিল। অন্য যে পথ রয়েছে, তা তিন কিলোমিটার ঘুরে প্রধান সড়ক দিয়ে আসতে হয়। এখন বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ভিডিও ধরে এখানে ধরপাকড় চলছে। আর আগুনের সময় যে লুটপাট চলেছে, সেখানকার লুট করা গরু পাওয়া গেছে অন্য গ্রামে।
তাহলে আগুন দিল কারা? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর সেখানে উপস্থিত মানুষ দিতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন, ‘মাগরিবের পর থানার ওসি ও সেখানকার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। শত শত মানুষকে আমরা জেলেপাড়ার দিকে এগোতে দিইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেও নিয়ে আসি। কিন্তু আলোচনার মাঝখানেই দেখি উত্তর জেলেপাড়ায় আগুন জ্বলছে।’
তাহলে আগুন দিল কে
ঘটনার সূত্রপাত হয় চেরাগপুর গ্রামের সৈকত মণ্ডল ও দক্ষিণ জেলেপল্লির পরিতোষ রায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে। এলাকাবাসী জানান, শুরুতে পূজাকে কেন্দ্র করে সৈকত মণ্ডল হিন্দুধর্মের অবমাননা করে একটি ছবি পরিতোষ রায়কে পাঠান। এর জেরে পরিতোষ রায়ও মুসলিম ধর্মের অবমাননা করে সৈকতকে একটি ছবি পাঠান। সেই ছবি এলাকার নানা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেন সৈকত মণ্ডল।
১৭ অক্টোবর দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে ছবির অবমাননা নিয়ে একত্র হওয়া শুরু করে পীরগঞ্জ ১৩ নম্বর ইউনিয়ন ও এর আশপাশের লোকজন। এ সময়ে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ ডাকা হয়। বেলা ৩টার দিকে বিশাল এক জমায়েত তৈরি হয়। বিকেলের দিকে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হন। তাঁরা উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে ও যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে পরিতোষ রায়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাগরিবের পর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করি। দক্ষিণ জেলেপল্লি পরিতোষের বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তায় কোনো মানুষকে যেতে দিইনি। আমাদের আলোচনা চলছিল। জনতা শান্তও হয়ে এসেছিল। হঠাৎ সেখান থেকে আধা মাইল দূরে আড়াই ঘণ্টা পর উত্তর জেলেপল্লিতে আগুন দেওয়া হয়। উত্তর জেলেপল্লিতে যেতে হলে দক্ষিণ জেলেপল্লি হয়েই যেতে হবে। এ ছাড়া আরেকটি যে রাস্তা রয়েছে, তা অনেক ঘুরে যেতে হয়।’
তাহলে আগুন দিল কে? এর উত্তরে মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এর উত্তর আমরাও খুঁজছি। আগুন দেওয়ার সময়ে জেলেপল্লির মানুষ দুজনকে আটক করেছিল। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনা উত্তর জেলেপল্লির না। কিন্তু তাদের গ্রামে আগুন দেওয়া হলো। তাদের বাসাবাড়ি লুট করা হলো। ঘটনা শান্ত হওয়ার পর রাত ৪টার দিকে বাসায় ফেরত আসি।’

একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে, রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
১৭ অক্টোবর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুরের জেলেপল্লিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ২৪টি পরিবারের বসতঘর। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয়। এগুলোয় আসামি করা হয় পাঁচ শতাধিক লোককে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে চলছে অভিযান। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় জনজীবনে। সবখানেই একটা ভয়ের আবহ বিরাজ করছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মন থেকে ভয় কাটেনি এখনো। আর হামলাকারী হিসেবে যাদের দিকে সন্দেহের তির, তারাও অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে চেরাগপুরের পাশের বাজারে গিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম মানুষ দেখা গেছে। পুরো এলাকায় ভয়ের আবহ। একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে সবখানে। বাজারে শুধু দলীয় পরিচয়ের লোকজন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বয়স্ক মানুষ ও দোকান ব্যবসায়ীদেরই শুধু দেখা মিলল। নতুন মানুষ দেখলেই সবাই সন্দেহ, ভয় ও কৌতূহলের চোখে দেখছে। স্থানীয়রা পুলিশ দেখে অভ্যস্ত হলেও তাদের সবচেয়ে বেশি ভড়কে দিয়েছে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি।
বাজারেই কথা হলো রামনাথপুর ১৩ নম্বর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বললেন, সবাই খুবই ভয়ে রয়েছে। গ্রাম পুরুষ-শূন্য হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পীরগঞ্জে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।
একই কথা বললেন কৃষক লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনোয়ারুল মণ্ডল। একটা আতঙ্ক সবার মধ্যে কাজ করছে বলে জানালেন তিনি। এমন কিছু এর আগে দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে আসছি। তারা মাছ ধরে, মাছ ব্যবসা করে। আর সেই মাছ আমরাই কিনে থাকি। ফলে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভরশীল।’
উপস্থিত অনেকের সঙ্গেই কথা হলো। তাঁরা বলেন, ‘এখানকার পুলিশ আমাদের সবাইকে চেনে। কিন্তু আমরা এখানে প্রথমবারের মতো বিজিবি দেখেছি। তারা আমাদের চেনেও না। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে অজানা ভয় বেড়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, এখানকার মানুষ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারণ, এখানকার মানুষ তখন ধর্মীয় অবমাননার বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করছিল, আন্দোলন করছিল। সেখানে ৪০০-৫০০ মানুষ ছিল। যেখানে আন্দোলন ও বৈঠক হচ্ছিল, সেখান থেকে ঘটনাস্থল আধা মাইল দূরে। আর সেখানে যাওয়ার যে রাস্তা, তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছিল। অন্য যে পথ রয়েছে, তা তিন কিলোমিটার ঘুরে প্রধান সড়ক দিয়ে আসতে হয়। এখন বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ভিডিও ধরে এখানে ধরপাকড় চলছে। আর আগুনের সময় যে লুটপাট চলেছে, সেখানকার লুট করা গরু পাওয়া গেছে অন্য গ্রামে।
তাহলে আগুন দিল কারা? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর সেখানে উপস্থিত মানুষ দিতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন, ‘মাগরিবের পর থানার ওসি ও সেখানকার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। শত শত মানুষকে আমরা জেলেপাড়ার দিকে এগোতে দিইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেও নিয়ে আসি। কিন্তু আলোচনার মাঝখানেই দেখি উত্তর জেলেপাড়ায় আগুন জ্বলছে।’
তাহলে আগুন দিল কে
ঘটনার সূত্রপাত হয় চেরাগপুর গ্রামের সৈকত মণ্ডল ও দক্ষিণ জেলেপল্লির পরিতোষ রায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে। এলাকাবাসী জানান, শুরুতে পূজাকে কেন্দ্র করে সৈকত মণ্ডল হিন্দুধর্মের অবমাননা করে একটি ছবি পরিতোষ রায়কে পাঠান। এর জেরে পরিতোষ রায়ও মুসলিম ধর্মের অবমাননা করে সৈকতকে একটি ছবি পাঠান। সেই ছবি এলাকার নানা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেন সৈকত মণ্ডল।
১৭ অক্টোবর দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে ছবির অবমাননা নিয়ে একত্র হওয়া শুরু করে পীরগঞ্জ ১৩ নম্বর ইউনিয়ন ও এর আশপাশের লোকজন। এ সময়ে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ ডাকা হয়। বেলা ৩টার দিকে বিশাল এক জমায়েত তৈরি হয়। বিকেলের দিকে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হন। তাঁরা উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে ও যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে পরিতোষ রায়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাগরিবের পর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করি। দক্ষিণ জেলেপল্লি পরিতোষের বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তায় কোনো মানুষকে যেতে দিইনি। আমাদের আলোচনা চলছিল। জনতা শান্তও হয়ে এসেছিল। হঠাৎ সেখান থেকে আধা মাইল দূরে আড়াই ঘণ্টা পর উত্তর জেলেপল্লিতে আগুন দেওয়া হয়। উত্তর জেলেপল্লিতে যেতে হলে দক্ষিণ জেলেপল্লি হয়েই যেতে হবে। এ ছাড়া আরেকটি যে রাস্তা রয়েছে, তা অনেক ঘুরে যেতে হয়।’
তাহলে আগুন দিল কে? এর উত্তরে মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এর উত্তর আমরাও খুঁজছি। আগুন দেওয়ার সময়ে জেলেপল্লির মানুষ দুজনকে আটক করেছিল। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনা উত্তর জেলেপল্লির না। কিন্তু তাদের গ্রামে আগুন দেওয়া হলো। তাদের বাসাবাড়ি লুট করা হলো। ঘটনা শান্ত হওয়ার পর রাত ৪টার দিকে বাসায় ফেরত আসি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
২৫ অক্টোবর ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
২৫ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
২৫ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
২৫ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে