কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ‘স্বভাবকবি’ রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও তাঁর বড় ভাই কদু রহমানকে (৪৫) আসামি করে থানায় মামলা করেছেন কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায়। গত রোববার রাতে মামলা রেকর্ড হয় বলে জানিয়েছেন নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান।
গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে নিজ গ্রামে কবির ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি এখনো নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর বড় ভাই কদু রহমান পলাতক।
রোববার রাতে মামলা রেকর্ড হওয়ার পরদিন সোমবার রাতে অভিযুক্ত রফিকুলের স্ত্রী ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সম্পর্ক নেই। পূর্বশত্রুতার জেরেই হামলা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’
মামলার বাদী কবির ছেলে যুগল চন্দ্র বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষয় এখানে নেই। ছয় মাস আগে কদুর (রফিকুলের বড় ভাই) সঙ্গে বাবার বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে এটি ঘটেছে।’
ঘটনার বর্ণনায় যুগল চন্দ্র জানান, কবির আরেক ছেলের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক ছেলের টাকা নিয়ে ঝামেলা ছিল। ছয় মাস আগে কবির বাড়ির আঙিনায় এ নিয়ে সালিস বসে। সেখানে দুইজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। সেখানে কবি ও কবির স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। পাশের গ্রামের রফিকুল ও তাঁর ভাই কদু রাস্তার মাটি কাটার কাজ করেন। সালিস চলাকালে তাঁরাও এসে হাজির হন। এ সময় কদু পাশের গ্রামের ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কবির স্ত্রী কোনো কিছু না জেনে একজনের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে তাঁকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কবির স্ত্রীকে ‘অকথ্য ভাষায়’ গালিগালাজ করেন কদু রহমান। এতে কবি ক্ষুব্ধ হয়ে কদুকে ঘুষি মারতে উদ্যত হন। তখন রফিকুল কবিকে হুমকি দিয়ে বলেন, ছয় মাস পরে হলেও তিনি এর প্রতিশোধ নেবেন।
এর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবি বলেন, ‘শনিবার সকালে আমার বাড়ির পশ্চিমে ডুবুরির ব্রিজের পাশে রফিকুল নামে এক যুবক আমার ওপর আকস্মিক হামলা করে। হামলায় আমার পিঠে ও ঘাড়ে অনেকগুলো ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আমি এখন নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি আছি।’
হামলার কারণ জানতে চাইলে ওই সময় কবি বলেছিলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার ওপর হামলা করেছে। তার সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে তার বড় ভাইয়ের সাথে ছয় মাস আগে আমার তর্কাতর্কি হয়েছিল। এ নিয়ে তার বড় ভাইয়ের ইন্ধনে আমার ওপর হামলা করে থাকতে পারে।’
কবি বলেন, ‘এমপি সাহেবকে বিষয়টা জানাইছি। খবর পেয়ে ওসি সাহেব আমাকে দেখতে এসেছিলেন। আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপর কী হয়েছে তা জানি না।’
কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের তিন ভাইয়ের এক ভাইকে মারলেও কষ্ট পাইতাম না। কিন্তু বৃদ্ধ বাবাকে এভাবে মেরেছে, এতে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি।’
ওসি আশিকুর রহমান বলেন, কবির ওপর হামলার খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কবির সারা পিঠ ক্ষত। তাঁর সুচিকিৎসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, ‘সংস্কৃতিচর্চা বন্ধ করে দেওয়ার যে আয়োজন দেশব্যাপী চলছে, তার সঙ্গে এ ঘটনাকে পৃথক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নুর মোহাম্মদ তালুকদার, মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, খুশী কবির, রানা দাশগুপ্ত, এম এম আকাশ, রোবায়েত ফেরদৌস, সালেহ আহমেদ, জোবায়দা নাসরিন, পারভেজ হাসেম, দীপায়ন খীসা, জীবনানন্দ জয়ন্ত, সেলু বাসিত, এ কে আজাদ, জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, অলক দাস গুপ্ত, আবদুল আলীম, আবদুর রাজ্জাক এবং গৌতম শীল। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের ‘স্বভাবকবি’ রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও তাঁর বড় ভাই কদু রহমানকে (৪৫) আসামি করে থানায় মামলা করেছেন কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায়। গত রোববার রাতে মামলা রেকর্ড হয় বলে জানিয়েছেন নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান।
গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে নিজ গ্রামে কবির ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি এখনো নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর বড় ভাই কদু রহমান পলাতক।
রোববার রাতে মামলা রেকর্ড হওয়ার পরদিন সোমবার রাতে অভিযুক্ত রফিকুলের স্ত্রী ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওসি আশিকুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সম্পর্ক নেই। পূর্বশত্রুতার জেরেই হামলা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’
মামলার বাদী কবির ছেলে যুগল চন্দ্র বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষয় এখানে নেই। ছয় মাস আগে কদুর (রফিকুলের বড় ভাই) সঙ্গে বাবার বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে এটি ঘটেছে।’
ঘটনার বর্ণনায় যুগল চন্দ্র জানান, কবির আরেক ছেলের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক ছেলের টাকা নিয়ে ঝামেলা ছিল। ছয় মাস আগে কবির বাড়ির আঙিনায় এ নিয়ে সালিস বসে। সেখানে দুইজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। সেখানে কবি ও কবির স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। পাশের গ্রামের রফিকুল ও তাঁর ভাই কদু রাস্তার মাটি কাটার কাজ করেন। সালিস চলাকালে তাঁরাও এসে হাজির হন। এ সময় কদু পাশের গ্রামের ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কবির স্ত্রী কোনো কিছু না জেনে একজনের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে তাঁকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কবির স্ত্রীকে ‘অকথ্য ভাষায়’ গালিগালাজ করেন কদু রহমান। এতে কবি ক্ষুব্ধ হয়ে কদুকে ঘুষি মারতে উদ্যত হন। তখন রফিকুল কবিকে হুমকি দিয়ে বলেন, ছয় মাস পরে হলেও তিনি এর প্রতিশোধ নেবেন।
এর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবি বলেন, ‘শনিবার সকালে আমার বাড়ির পশ্চিমে ডুবুরির ব্রিজের পাশে রফিকুল নামে এক যুবক আমার ওপর আকস্মিক হামলা করে। হামলায় আমার পিঠে ও ঘাড়ে অনেকগুলো ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আমি এখন নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি আছি।’
হামলার কারণ জানতে চাইলে ওই সময় কবি বলেছিলেন, ‘আমি জানি না কেন আমার ওপর হামলা করেছে। তার সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে তার বড় ভাইয়ের সাথে ছয় মাস আগে আমার তর্কাতর্কি হয়েছিল। এ নিয়ে তার বড় ভাইয়ের ইন্ধনে আমার ওপর হামলা করে থাকতে পারে।’
কবি বলেন, ‘এমপি সাহেবকে বিষয়টা জানাইছি। খবর পেয়ে ওসি সাহেব আমাকে দেখতে এসেছিলেন। আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপর কী হয়েছে তা জানি না।’
কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের তিন ভাইয়ের এক ভাইকে মারলেও কষ্ট পাইতাম না। কিন্তু বৃদ্ধ বাবাকে এভাবে মেরেছে, এতে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি।’
ওসি আশিকুর রহমান বলেন, কবির ওপর হামলার খবর পেয়ে তাঁকে দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কবির সারা পিঠ ক্ষত। তাঁর সুচিকিৎসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, ‘সংস্কৃতিচর্চা বন্ধ করে দেওয়ার যে আয়োজন দেশব্যাপী চলছে, তার সঙ্গে এ ঘটনাকে পৃথক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নুর মোহাম্মদ তালুকদার, মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, খুশী কবির, রানা দাশগুপ্ত, এম এম আকাশ, রোবায়েত ফেরদৌস, সালেহ আহমেদ, জোবায়দা নাসরিন, পারভেজ হাসেম, দীপায়ন খীসা, জীবনানন্দ জয়ন্ত, সেলু বাসিত, এ কে আজাদ, জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, অলক দাস গুপ্ত, আবদুল আলীম, আবদুর রাজ্জাক এবং গৌতম শীল। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণা, ভারতে সোনা চোরাচালান এবং ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করে।
২ দিন আগেঢাকার পল্লবীতে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চাকরির লোভ দেখিয়ে ও ব্যবসায়িক অংশীদারির আশ্বাস দিয়ে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করিয়ে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিত চক্রটি।
৪ দিন আগেফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
১০ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
১৪ দিন আগে