Ajker Patrika

পুঠিয়াতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে নকল ক্রিম কারখানা

প্রতিনিধি, পুঠিয়া (রাজশাহী)
পুঠিয়াতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে নকল ক্রিম কারখানা

সরকারি নির্দেশনা থাকলেও রাজশাহীর পুঠিয়ায় রং ফরসাকারী ভেজাল ও নামীদামি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল কসমেটিক ক্রিম তৈরির কারখানাগুলো চালুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠছে ক্রিম তৈরির কারখানা। এদিকে অবৈধ ওই কারখানাগুলো বন্ধ করতে প্রায় ৫ বছর পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানব দেহের ক্ষতিকারক রং ফরসাকারী নামীদামি কোম্পানির মোড়কে নকল ও ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন করছে। পরে তা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে সারা দেশে বাজারজাত করছেন। এতে করে ওই প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে মানবদেহে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভেজাল ক্রিম কারখানা নিয়ন্ত্রণে গত ২০১৭ সালের ১৬ মে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব ফরিদ আহম্মদ স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। পরে জেলা প্রশাসক এবং পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়। ওই পত্রে ১২টি ভেজাল ও অবৈধ ক্রিম কারখানার নাম উল্লেখ করা হয়। এ গুলো হচ্ছে মডার্ন হারবাল, রূপসী গোল্ড, মেডনা স্পট ক্রিম ও হারবাল, চ্যালেঞ্জার হারবাল ও প্রসাধনী, ডিজিটাল হারবাল, সীনা স্পট ক্রিম, রোমাঞ্চ হারবাল ও স্পটক্রিম, ডায়মন্ড স্পট ক্রিম, ঝিলিক সলিউশন, লাওস স্টার গোল্ড ও আইকন হারবাল, লাকি সেভেন স্পট ক্রিম এবং জ্যোতি বিউটি হারবাল।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ক্রিম কারখানার মালিকেরা বিএসটিআই কর্তৃক নামমাত্র দু’একটি পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন নিয়েছে। পরে কারখানার মালিকেরা গোপনে কসমেটিক তৈরি করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি করছে। কারখানার মালিকেরা মানব দেহের ক্ষতিকারক স্টিলম্যান, স্টিয়ারিক অ্যাসিড, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, মাইরিস্টড, সাধারণ পানির মিশ্রণে রং ফরসাকারী ক্রিম ও বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি করছে। এ সকল পণ্য ক্রয় করে বিভিন্ন বয়সী নারীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও পাশাপাশি বিভিন্ন চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতারা প্রসাধনী কারখানার মালিকের নিকট থেকে সুবিধা নিয়ে আসছে। যার কারণে ওই অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, যেখানেই ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন করা হয় সেখানেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। সম্প্রতি উপজেলার মাইপাড়া এলাকায় ভেজাল ও অবৈধ ক্রিম কারখানায় র‍্যাবের সহায়তায় অভিযান করা হয়েছে। ওই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিগত দিনে ক্রিম কারখানা গুলো বন্ধে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের থেকে যে পরিপত্র এসেছিল সে মোতাবেক আমাদের কার্যক্রম চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত