বগুড়া প্রতিনিধি
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে ডেকে নেওয়া হয় ভাড়া বাসায়। ঘরে ঢোকার পর ভেতরে থাকা নারীরা মিসড কল দিয়ে ঘরের বাইরে থাকা চক্রের পুরুষ সদস্যদের ঘরে ডেকে নেন। তাঁরা এসে আপত্তিকর অবস্থার ছবি তোলেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন এবং ঘটনার বিষয় বাইরে প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন। এভাবেই মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করে আসছিল বগুড়ার ৮ সদস্যের একটি চক্র।
গতকাল শুক্রবার এই চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারান সাবেক সেনাসদস্য জাকির হোসেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও শাজাহানপুর পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন বগুড়ার কৈগাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মো. মিলনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আশা (২৪) এবং একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা কামাল ওরফে কমল (২৫)।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন)।
হত্যার শিকার জাকির হোসেন (৪৫) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাচিয়াখালী গ্রামের মৃত আনোয়ারুল হোসেন জমাদ্দারের ছেলে। বর্তমানে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শাকপালা ক্যান্টনমেন্ট পাড়ার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বাসায় ভাড়া থাকেন। পৌর এলাকার ফুলতলায় তাঁর একটি চায়ের স্টল রয়েছে। জাকির হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলামের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গতকাল নিজের চায়ের স্টলে ছিলেন জাকির হোসেন। সেখান থেকে কৌশলে দুজন নারী তাঁকে ডেকে নিয়ে কৈগাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। তারপর ভেতর থেকে তাঁরা মোবাইল ফোনে মিসড কল দিয়ে চক্রের পুরুষ সদস্যদের ভেতরে ডেকে নেন। সেখানে জাকির হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আপত্তিকর ছবি তুলে প্রচার করা হবে বলে হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। জাকির হোসেন তাঁর কাছে থাকা ২ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে বিকাশে আরও ১০ হাজার টাকা তাঁদের দেন।
এরপর বাইরে বারান্দায় এলে জাকির হোসেন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন পেছন থেকে ধাওয়া করে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন আশরাফুল। এ সময় জাকির হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই শাজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪১)। অন্যদিকে সারা রাত অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং শাজাহানপুর থানার পুলিশ সদস্যরা।
ডিবির ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, এ চক্রে আটজন সদস্য রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এক নম্বর আসামি আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগের একটি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে ডেকে নেওয়া হয় ভাড়া বাসায়। ঘরে ঢোকার পর ভেতরে থাকা নারীরা মিসড কল দিয়ে ঘরের বাইরে থাকা চক্রের পুরুষ সদস্যদের ঘরে ডেকে নেন। তাঁরা এসে আপত্তিকর অবস্থার ছবি তোলেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে টাকা আদায় করেন এবং ঘটনার বিষয় বাইরে প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন। এভাবেই মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করে আসছিল বগুড়ার ৮ সদস্যের একটি চক্র।
গতকাল শুক্রবার এই চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারান সাবেক সেনাসদস্য জাকির হোসেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও শাজাহানপুর পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন বগুড়ার কৈগাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মো. মিলনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আশা (২৪) এবং একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা কামাল ওরফে কমল (২৫)।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন)।
হত্যার শিকার জাকির হোসেন (৪৫) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাচিয়াখালী গ্রামের মৃত আনোয়ারুল হোসেন জমাদ্দারের ছেলে। বর্তমানে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শাকপালা ক্যান্টনমেন্ট পাড়ার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বাসায় ভাড়া থাকেন। পৌর এলাকার ফুলতলায় তাঁর একটি চায়ের স্টল রয়েছে। জাকির হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলামের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গতকাল নিজের চায়ের স্টলে ছিলেন জাকির হোসেন। সেখান থেকে কৌশলে দুজন নারী তাঁকে ডেকে নিয়ে কৈগাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। তারপর ভেতর থেকে তাঁরা মোবাইল ফোনে মিসড কল দিয়ে চক্রের পুরুষ সদস্যদের ভেতরে ডেকে নেন। সেখানে জাকির হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আপত্তিকর ছবি তুলে প্রচার করা হবে বলে হুমকি দিয়ে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। জাকির হোসেন তাঁর কাছে থাকা ২ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে বিকাশে আরও ১০ হাজার টাকা তাঁদের দেন।
এরপর বাইরে বারান্দায় এলে জাকির হোসেন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন পেছন থেকে ধাওয়া করে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন আশরাফুল। এ সময় জাকির হোসেনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাতেই শাজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪১)। অন্যদিকে সারা রাত অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং শাজাহানপুর থানার পুলিশ সদস্যরা।
ডিবির ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, এ চক্রে আটজন সদস্য রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এক নম্বর আসামি আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগের একটি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫