Ajker Patrika

কলার ভেতরে 'সুচ' ঢুকিয়ে যুবককে খাওয়ানোর অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৪২
কলার ভেতরে 'সুচ' ঢুকিয়ে যুবককে খাওয়ানোর অভিযোগ

বাগেরহাটের কচুয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে ফেরদাউস শেখ (১৮) নামের এক যুবককে কলার সঙ্গে সুচ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। খাদ্যনালিতে সুচ নিয়ে গত ২২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই যুবক। এ ঘটনায় ফেরদাউসের চাচাতো ভাই নিজাম শেখ কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফেরদাউস শেখ কচুয়া উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের জামাল শেখের ছেলে। 

চাচাতো ভাই নিজাম শেখ বলেন, 'জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার ছোট চাচা জামাল শেখের ছেলে ফেরদাউস শেখকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে প্রতিবেশী এশারাত শেখ, বাদশা শেখ, মোস্তফা শেখ ও হাবিব শেখ। মারধরের একপর্যায়ে পাকা কলার ভেতরে সুচ ঢুকিয়ে জোরপূর্বক ফেরদাউসকে খাওয়ানো হয়। পরে ফেরদাউসের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দেয়। অসুস্থ অবস্থায় ফেরদাউসকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।' 

নিজাম শেখ বলেন, 'খুলনা মেডিকেল কলেজ, খালিশপুর ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে টাকার অভাবে সুচিকিৎসা না পেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর খুলনা শহরের সাউথ জোন ক্লিনিকে ফেরদাউসের অপারেশন করানো হয়। এখনো আমার ভাই সুস্থ হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন তিন মাস পরে আবারও একটি অপারেশন করা লাগবে।' 

ফেরদাউসের আরেক চাচাতো ভাই ইব্রাহিম শেখ বলেন, 'খুব কষ্ট করে ভাইয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি, যার ফলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছি। বুধবার মারধরকারীদের লোকজন ফেরদাউসকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁরা কিছু টাকাও দিয়েছেন। সুচ বের করার জন্য অপারেশন করা হয়েছে। তার পরেও আমার ভাই সুস্থ হয়নি। আবারও অপারেশন লাগবে। বাঁচবে কি না, জানি না। আমরা ভাইয়ের সুস্থতাসহ, মারধরকারীদের বিচার চাই।' 

এশারাত শেখ বলেন, 'ফেরদাউস শেখদের সঙ্গে আমাদের জমিজমাসংক্রান্ত শত্রুতা রয়েছে। তবে সুচ খাওয়ানোর ঘটনায় আমরা জড়িত নই।' চিকিৎসার ব্যয় বহনের জন্য টাকা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে আর ফোন রিসিভ করেননি এশারাত শেখ।’ 

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, 'ফেরদাউসের পরিবার আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত