নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম কাজীপাড়ায় ভোর রাতে ছুরিকাঘাতে নিহত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চারজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোয়েন্দাদের দাবি, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা থেকে কাজীপাড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রিকশার গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। তাঁর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। নিহত ডাক্তার বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। পরে তাঁরা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শুধু মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিরপুর মডেল ও পল্লবী থানা এলাকা এবং ঢাকা জেলার সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দলনেতা মো. রায়হান ওরফে সোহেল আপন (২৭), রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), আরিয়ান খান হৃদয় (২৩) ও সোলায়মান (২৩)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নিহত বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক এবং ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার। তিনি গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে নোয়াখালী এলাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান। তিনি গত ২৭ মার্চ সকাল সোয়া ৫টার দিকে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা থেকে কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশা যোগে রওনা হন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া স্মরণী নাভানা ফার্নিচার শোরুম ও আমসিকো ফার্নিচার শোরুমের সামনে পৌঁছালে গ্রেপ্তার চার ছিনতাইকারীরা রিকশার গতিরোধ করে চিকিৎসকের কাছ থেকে তাঁর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ওই চিকিৎসক বাধা দিলে ধারালো ছোরা দিয়ে তাঁর ডানহাটুর ওপর আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও চিৎকারের কারণে শুধু মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরে বিহঙ্গ বাসের চালক ও সহকারীর সহযোগীতায় ওই চিকিৎসককে প্রথমে স্থানীয় আল-হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ ভোর ৪টায় গ্রেপ্তার চারজনসহ মোট পাঁচজন মিরপুর পশ্চিম কাজীপাড়া এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। আসামিরা প্রত্যেকেই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার রায়হানকে (২৭) ডিবি মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম গত ২৭ মার্চ একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার করে।
চিকিৎসক বুলবুলের সঙ্গে নোয়াখালী যাওয়ার কথা ছিল রং মিস্ত্রি সোহরাবের। সোহরাবকে ঘটনার দিন ভোরে বুলবুল ফোন করে ফার্মগেট যেতে বলেন। সেখান থেকে দুজন এক সঙ্গে নোয়াখালী যেতে চেয়েছিল। তাঁর পরিবারের দাবি, চিকিৎসক বুলুলের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে বের হলে মেট্রোরেলের ৩০৫ নম্বর পিলার, সেখান থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়ার কথা। বুলবুল আহত অবস্থায় উল্টো দিকে পশ্চিম কাজীপাড়া ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে পড়েছিলেন। সেখানে বুলবুল কিভাবে গেলেন? কোনো সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখেছেন কিনা?
জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, এই বিষয়টিও আমরা আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, তাঁরা পেশাদার ছিনতাইকারী। আর চিকিৎসক বুলবুল হত্যার ঘটনাটি ‘আননোন মার্ডার কেস’ হিসেবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা হত্যার পাশাপাশি ডাকাতি মামলা হিসেবে টার্ন করবে।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে নির্দেশদাতা বা কারো ইন্ধন ছিল কিনা? কেনই বা হত্যাকাণ্ডকে ছিনতাই বলছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলে গোয়েন্দা পুলিশের কাজ ক্লু উদ্ধার করা ও কারা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করা। যেকোনো ঘটনা ঘটলে আমরা এই কাজগুলো করি। আর এই ঘটনার প্রমাণ হলো, চারজনকে গ্রেপ্তার ও নিহত চিকিৎসকের মোবাইল ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা তদন্তের সময়ে সব দিক বিবেচনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটিকে ছিনতাই মনে হচ্ছে।
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম কাজীপাড়ায় ভোর রাতে ছুরিকাঘাতে নিহত চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চারজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোয়েন্দাদের দাবি, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা থেকে কাজীপাড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় রিকশার গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। তাঁর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। নিহত ডাক্তার বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। পরে তাঁরা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শুধু মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিরপুর মডেল ও পল্লবী থানা এলাকা এবং ঢাকা জেলার সাভার থানার কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দলনেতা মো. রায়হান ওরফে সোহেল আপন (২৭), রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), আরিয়ান খান হৃদয় (২৩) ও সোলায়মান (২৩)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নিহত বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক এবং ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার। তিনি গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে নোয়াখালী এলাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পান। তিনি গত ২৭ মার্চ সকাল সোয়া ৫টার দিকে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা থেকে কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশা যোগে রওনা হন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া স্মরণী নাভানা ফার্নিচার শোরুম ও আমসিকো ফার্নিচার শোরুমের সামনে পৌঁছালে গ্রেপ্তার চার ছিনতাইকারীরা রিকশার গতিরোধ করে চিকিৎসকের কাছ থেকে তাঁর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ওই চিকিৎসক বাধা দিলে ধারালো ছোরা দিয়ে তাঁর ডানহাটুর ওপর আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও চিৎকারের কারণে শুধু মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরে বিহঙ্গ বাসের চালক ও সহকারীর সহযোগীতায় ওই চিকিৎসককে প্রথমে স্থানীয় আল-হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ ভোর ৪টায় গ্রেপ্তার চারজনসহ মোট পাঁচজন মিরপুর পশ্চিম কাজীপাড়া এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। আসামিরা প্রত্যেকেই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার রায়হানকে (২৭) ডিবি মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম গত ২৭ মার্চ একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার করে।
চিকিৎসক বুলবুলের সঙ্গে নোয়াখালী যাওয়ার কথা ছিল রং মিস্ত্রি সোহরাবের। সোহরাবকে ঘটনার দিন ভোরে বুলবুল ফোন করে ফার্মগেট যেতে বলেন। সেখান থেকে দুজন এক সঙ্গে নোয়াখালী যেতে চেয়েছিল। তাঁর পরিবারের দাবি, চিকিৎসক বুলুলের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে বের হলে মেট্রোরেলের ৩০৫ নম্বর পিলার, সেখান থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়ার কথা। বুলবুল আহত অবস্থায় উল্টো দিকে পশ্চিম কাজীপাড়া ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে পড়েছিলেন। সেখানে বুলবুল কিভাবে গেলেন? কোনো সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখেছেন কিনা?
জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, এই বিষয়টিও আমরা আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে, তাঁরা পেশাদার ছিনতাইকারী। আর চিকিৎসক বুলবুল হত্যার ঘটনাটি ‘আননোন মার্ডার কেস’ হিসেবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটা হত্যার পাশাপাশি ডাকাতি মামলা হিসেবে টার্ন করবে।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে নির্দেশদাতা বা কারো ইন্ধন ছিল কিনা? কেনই বা হত্যাকাণ্ডকে ছিনতাই বলছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলে গোয়েন্দা পুলিশের কাজ ক্লু উদ্ধার করা ও কারা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করা। যেকোনো ঘটনা ঘটলে আমরা এই কাজগুলো করি। আর এই ঘটনার প্রমাণ হলো, চারজনকে গ্রেপ্তার ও নিহত চিকিৎসকের মোবাইল ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা তদন্তের সময়ে সব দিক বিবেচনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে এটিকে ছিনতাই মনে হচ্ছে।
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৬ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
১০ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
২১ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫