নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধান ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় তারা।
এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ে সফলতার পর পুলিশ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী দেশে ভয়ানক অরাজকতা সৃষ্টি করতে থাকে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে নেমে সড়কে চলাচল নিরাপত্তা, বাজারের দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ ও ডাকাত আতঙ্কের সময় রাতে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন শিক্ষার্থীকে তথাকথিত গণধর্ষণের অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কেবল সন্দেহ বা আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ঘটনাটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হওয়ায় সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গণধর্ষণের অভিযোগ এনে দুর্বৃত্তরা তাদের পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও তার কোনো প্রমাণ দৃশ্যমান ছিল না বা ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগও তোলেনি। যদিও মৃত্যুর আগে তাঁদের একজন স্বজনদের জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁদের পেটানো হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদমাধ্যমের তথ্যের সূত্রে জানানো হয়, যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ থানা এলাকায় এই শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে মহাসড়কে ট্রাফিকের, বাজারের দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ ও ডাকাত আতঙ্কের সময় রাতে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নিহতদের বিষয়ে সম্রাট শেখ নামের এক স্কাউট সদস্য বলেন, ‘ব্যাপক মারধরের শিকার তিন ছাত্রকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন মিলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। থানায় তারা ছটফট করছিল।’ জানা যায়, সায়েদাবাদ এলাকায় কোনো একটি হোটেলে তাঁদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের দুজন হলেন সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯) ও সাইফ আরাফাত শরিফ (২০)। অপরজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এঁদের মধ্যে ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার জানান, ইয়াসিন ১৫ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন। মৃত্যুর আগে ইয়াসিন তাঁকে বলেছেন ‘ওরা আমাদের এখানে আর কাজ করতে দেবে না, এ জন্যই ওরা আমাদের এভাবে অপবাদ দিয়ে মেরেছে। আমরা কোনো অন্যায় করিনি।’
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন মনে করে, যে কারণেই শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হোক না কেন, তা অসাংবিধানিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতায় এমএসএফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হঠাৎ করে মারাত্মক আকার ধারণ করা এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে, নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এমএসএফ দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ ধরনের প্রবণতা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।
তবে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ মোড়ে মারধরে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আর এতে নিশ্চিত হওয়া যায় আগেই পরিচয় জানা দুজন শিক্ষার্থী হলেও তিনি শিক্ষার্থী নন। তাঁর নাম রাহাত হাসান বিপু (৫৩)। তিনি আবাসিক হোটেল রোজ ভিউয়ের ম্যানেজার ছিলেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধান ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় তারা।
এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবি আদায়ে সফলতার পর পুলিশ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী দেশে ভয়ানক অরাজকতা সৃষ্টি করতে থাকে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে নেমে সড়কে চলাচল নিরাপত্তা, বাজারের দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ ও ডাকাত আতঙ্কের সময় রাতে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন শিক্ষার্থীকে তথাকথিত গণধর্ষণের অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কেবল সন্দেহ বা আক্রোশের বশবর্তী হয়ে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ঘটনাটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হওয়ায় সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে দায়ী ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘গণধর্ষণের অভিযোগ এনে দুর্বৃত্তরা তাদের পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও তার কোনো প্রমাণ দৃশ্যমান ছিল না বা ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগও তোলেনি। যদিও মৃত্যুর আগে তাঁদের একজন স্বজনদের জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁদের পেটানো হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদমাধ্যমের তথ্যের সূত্রে জানানো হয়, যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ থানা এলাকায় এই শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে মহাসড়কে ট্রাফিকের, বাজারের দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ ও ডাকাত আতঙ্কের সময় রাতে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নিহতদের বিষয়ে সম্রাট শেখ নামের এক স্কাউট সদস্য বলেন, ‘ব্যাপক মারধরের শিকার তিন ছাত্রকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন মিলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। থানায় তারা ছটফট করছিল।’ জানা যায়, সায়েদাবাদ এলাকায় কোনো একটি হোটেলে তাঁদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের দুজন হলেন সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯) ও সাইফ আরাফাত শরিফ (২০)। অপরজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এঁদের মধ্যে ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার জানান, ইয়াসিন ১৫ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন। মৃত্যুর আগে ইয়াসিন তাঁকে বলেছেন ‘ওরা আমাদের এখানে আর কাজ করতে দেবে না, এ জন্যই ওরা আমাদের এভাবে অপবাদ দিয়ে মেরেছে। আমরা কোনো অন্যায় করিনি।’
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন মনে করে, যে কারণেই শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হোক না কেন, তা অসাংবিধানিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতায় এমএসএফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। হঠাৎ করে মারাত্মক আকার ধারণ করা এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে, নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এমএসএফ দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ ধরনের প্রবণতা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।
তবে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদ মোড়ে মারধরে নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আর এতে নিশ্চিত হওয়া যায় আগেই পরিচয় জানা দুজন শিক্ষার্থী হলেও তিনি শিক্ষার্থী নন। তাঁর নাম রাহাত হাসান বিপু (৫৩)। তিনি আবাসিক হোটেল রোজ ভিউয়ের ম্যানেজার ছিলেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৮ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫