Ajker Patrika

মোহাম্মদপুর-আদাবরে সক্রিয় সন্ত্রাসীদের ১৭টি দল

  • ছিনতাইয়ের ১১টি হটস্পট। গাবতলী স্লুইসগেট থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত চলে ছিনতাই
  • ১৩ মাসে ১৮ খুন। গণপিটুনিতেই নিহত ছয়জন। পিটুনির নামে হত্যার অভিযোগ
  • জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৯ মাসে ১৯ সংঘর্ষ, নিহত ৮ জন
  • পুলিশ বলছে, অপরাধ আগের চেয়ে কমে এসেছে। আরও কমবে বলে আশাবাদ
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ০৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি-ফ্ল্যাট দখল, মাদক কারবার, অস্ত্রের মহড়া, মারধরসহ বিভিন্ন অপরাধের পেছনে রয়েছে ১৭টি গ্রুপের সন্ত্রাসী-অপরাধীরা। এই গ্রুপগুলোর নেতৃত্বে আছেন ১৭ জন। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই ১৭ জন চলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর নির্দেশনায়। পুলিশ, র‍্যাব ও যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা। কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তার জন্য গঠিত টহল দলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য পুলিশের দাবি, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে অপরাধ আগের চেয়ে কমেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলেও কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবার অপরাধে জড়াচ্ছে।

মোহাম্মদপুর ও আদাবরে অপরাধ এখন যেন স্বাভাবিক ঘটনা। এ দুই থানায় দিনে ৮-৯টি ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসছে। অবশ্য ঝামেলার ভয়ে বেশির ভাগ ভুক্তভোগীই মামলা করেন না। ছিনতাই হচ্ছে দিনে-রাতে, বিভিন্ন স্পটে। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ১৩ মাসে খুন হয়েছে ১৮ জন। মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেনেভা ক্যাম্পে ৯ মাসে নিহত হয়েছেন আটজন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে ‘কিশোর গ্যাং’ ও ছিনতাইকারীরা মাঠপর্যায়ে অপরাধ ঘটায়। মাঠের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন ১৭ জন। তাঁরা অপরাধের পুরো নেটওয়ার্ক চালান। তাঁদের চারজন একটি রাজনৈতিক দল ও এর অঙ্গ সংগঠনের পদে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তাঁদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান ওরফে পিচ্চি হেলাল ও ইমনের অনুসারী। তবে তাঁদের মধ্যে পিচ্চি হেলালের অনুসারী বেশি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, এই ১৭ জনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৩০টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। তাঁদের দুজন বর্তমানে কারাগারে, বাকিরা আত্মগোপনে।

দেড় মিনিটে ছিনতাই

বছিলার স্বপ্নধারা হাউজিংয়ের বাসিন্দা শিরিন বেগম জানান, ১ অক্টোবর বিকেলে তিনি একটি সমিতি থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ তুলে মাকে নিয়ে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী ২ নম্বর গেটে কয়েকজন তরুণ তাঁদের কোপ দিয়ে ওই টাকা ও গয়না ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে মাত্র দেড় মিনিটে। আশপাশে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

শিরিন বেগম আরও বলেন, ওই তরুণেরা পথ আটকে প্রথমে নিজেদের মধ্যে পাতানো মারামারি করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনি সেদিনই মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। তবে আসামিরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই ছিনতাইয়ে জড়িত চক্রটি বর্তমানে কারাগারে থাকা এজাজ ওরফে হেজাজের অনুসারী। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এজাজের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে।

গাবতলী স্লুইসগেট থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত চলে ছিনতাই

গাবতলী স্লুইসগেট থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উভয় পাশে ৮টি নতুন হাউজিং ঘিরে ছিনতাইয়ের বিস্তৃতি ঘটেছে। এই হাউজিংগুলো হলো সুনিবিড় হাউজিং, তুরাগ হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, ঢাকা উদ্যান (ওয়াকওয়ে), চন্দ্রিমা মডেল টাউন, চাঁদ উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, স্বপ্নধারা ও বছিলা গার্ডেন সিটি। এসব এলাকা থেকে থানা অনেক দূরে। অপরাধীরা ঘটনা ঘটিয়ে কয়েক মিনিটেই পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব হাউজিংয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। আছে ছোট ছোট বস্তি। অপরাধীরা কয়েক দিন পরপর বাসা বদল করে। রয়েছে কয়েক শ ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ। এসব এলাকায় মাদক কারবার, ছিনতাই, জমি ও ফ্ল্যাট দখল নৈমিত্তিক ঘটনা।

সবচেয়ে বেশি ছিনতাই হয় ১১টি স্থানে। এগুলো হলো রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী এলাকা, সোনা মিয়ার টেক, বছিলা ফুটপাত, সুনিবিড় হাউজিংয়ের বেড়িবাঁধ ও বালুর মাঠ, তুরাগ হাউজিংয়ের মসজিদ এলাকা, নবীনগর হাউজিংয়ের ১ থেকে ৪ নম্বর সড়ক, ঢাকা উদ্যান ওয়াকওয়ে, চন্দ্রিমা মডেল টাউনের নদীর তীর, চাঁদ উদ্যানের ভাঙা মসজিদ এলাকা, নবোদয় হাউজিংয়ের বাজারসংলগ্ন এলাকা ও জেনেভা ক্যাম্প।

আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানার তথ্যে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৮-৯টি ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসে। তবে অনেক ভুক্তভোগী মামলা করেন না।

১৩ মাসে ১৮ খুন

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও দারুসসালাম এলাকায় গত ৯ মাসে মাদক কারবারের আধিপত্য, গণপিটুনির নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু আদাবর ও মোহাম্মদপুরে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণের বিরোধে পাঁচজন এবং তথাকথিত ‘গণপিটুনিতে’ ছয়জন নিহত হন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে আদাবরে রিপন সরদার (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেনাবাহিনীর অভিযানে ইমন ওরফে দাঁতভাঙা ইমনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘বেলচা মনির’ বাহিনীর নেতৃত্বে আদাবরের ১০ ও ১৭ নম্বর এলাকায় মাদক কারবার চলে। এই দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে রাজুর চাচাতো ভাই রিপন খুন হন।

নিহত রিপনের ছেলে ইমন সরদার দাবি করেন, তাঁর বাবা পেশায় চা-দোকানি। বেলচা মনিরের লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুধু জেনেভা ক্যাম্পে বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিমের গ্রুপের মধ্যে গত ৯ মাসে ১৯ বার সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত হয়েছেন আটজন। এদের মধ্যে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ও ডিবি একাধিকবার অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলেও মাদক কারবার এবং সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি।

এ ছাড়া গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বেড়িবাঁধে সাদেক খান আড়তের সামনে পিচ্চি হেলালের অনুসারীরা নাসির ও মুন্না নামে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পিচ্চি হেলালসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মামলা হয়।

‘গণপিটুনির’ নামে হত্যার অভিযোগ

চলতি বছরের ১৫ মে থেকে দারুসসালাম, আদাবর ও মোহাম্মদপুরে গণপিটুনিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব ছিল হত্যা।

১৫ মে ভোরে মোহাম্মদপুরের রাকিব ও মিলন নামে দুই তরুণকে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে ৭-৮ জন মিলে পিটুনি দেয়। রাকিব মারা যান, মিলনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেখানে তখন কোনো ছিনতাই হয়নি।

৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকায় ফাহিম ও ইয়ামিন নামে দুই তরুণকে পেটানো হয়। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ছাত্র ইয়ামিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভিডিও ফুটেজ দেখে একটি কারখানার এক শ্রমিক বলেন, তাঁদের কারখানার কয়েকজন শ্রমিক ওই পিটুনিতে জড়িত ছিলেন। ঘটনার পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান।

ইয়ামিনের বাবা মাহবুব মিয়া বলেন, তাঁর ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল। হঠাৎ তাদের ধরে পেটানো হয়।

১০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে নবীনগর হাউজিংয়ের সাঁকোরপাড় এলাকায় চার তরুণকে গণপিটুনির ঘটনায় সুজন ওরফে বাবুল ও হানিফ নামের দুজন নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুজন ও শরীফকে খামার থেকে তুলে এনে এবং হানিফ ও ফয়সালকে হোটেলের সামনে থেকে এনে স্থানীয় টহল দল পেটায়। নিহত দুজন ও মারধরকারীরা একই এলাকার।

নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, ঢাকা উদ্যান ও সুনিবিড় হাউজিংয়ে নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় টহল দল করা হয়েছে। এই দলের সদস্যরা রাতে মোটরসাইকেলে টহল দেন। টহল দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে মারধর ও আটকের অভিযোগ উঠেছে।

নবীনগর হাউজিংয়ের ১২ থেকে ১৬ নম্বর সড়ক পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ১০ জনের একটি টহল দল কাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এদের মধ্যে কেউ কেউ ছিনতাই ও মাদক কারবারে জড়িত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আক্তার হোসেনের বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাড়িমালিকেরা এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই কয়েকজনকে নিয়ে তাঁর স্বামী টহলের ব্যবস্থা করেছেন।

চাঁদা না দিলে গুলি

গত ২৪ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুরের শের শাহ সুরি রোডে আবাসন ব্যবসায়ী মনির আহমেদের অফিসে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এর আগে বিদেশি নম্বর থেকে ‘ক্যাপ্টেন’ পরিচয়ে তাঁর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জাবেদ ও হাসান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। জাবেদের মোবাইলে চাঁদা দাবি করা নম্বরটি ‘দ্য কাউন্ট ডাউন’ নামে সেভ করা ছিল। পুলিশ বলেছে, জাবেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন এই ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন মোড়ল। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করেছিলেন। তবে তদন্তে দেখা গেছে, জাহিদ মোড়ল মূলত পিচ্চি হেলালের অনুসারী। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার দুজনের একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জাহিদ মোড়লের বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

পুলিশ যা বলছে

পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আগের চেয়ে অপরাধ কমেছে। আগে প্রতি মাসে ২৫০টি মামলা হতো, এখন কমে ১৫০-এ নেমেছে। অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে জামিনে বের হয়ে আবার একই অপরাধে জড়াচ্ছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান বলেন, ‘মোহাম্মদপুর অনেক বড় এলাকা। এখানে জেনেভা ক্যাম্প এবং বেশ কিছু বস্তি রয়েছে। এ জন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন অপরাধের গ্রাফ নিচের দিকে। এটা আরও কমে আসবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালের মালিকানা কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই। শুধু লাইসেন্সিং হিসেবে অপারেটর নিয়োগপ্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব। আজ রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিনের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্তৃক ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগ আনা হয়।

এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সব টার্মিনাল, জেটি, ইয়ার্ড ও অন্য সব স্থাপনার একক মালিকানা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। বন্দরের কোনো টার্মিনালের মালিকানা ইতিপূর্বে কখনোই কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বন্দর কর্তৃপক্ষ বা সরকারের ছিল না বা এখনো নেই।

বাংলাদেশের প্রচলিত বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে শুধু লাইসেন্সিং হিসেবে অপারেটর নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালগুলো পরিচালনার ব্যাপারে কতিপয় সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছে। এসব অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সাধারণ জনগণ ও বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কোনো বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞাত না হয়ে মনগড়া, ধারণাভিত্তিক বা অনির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে সংবাদ পরিবেশন করা হলে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।

বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরসম্পর্কিত মনগড়া, অবাস্তব সংবাদ বন্দরের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় অন্তরায়।

বন্দরের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বজায় রাখা এবং ক্রমবর্ধমান উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য—বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), বে-টার্মিনাল ও লালদিয়ার চর পরিচালনার জন্য তিনটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা ইতিমধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভাষ্যে এসেছে।

এরই মধ্যে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৩০ দিন চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা ক্রসিংসহ বন্দর এলাকায় যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক, শ্রমিক বা সামাজিক সংগঠনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে শুরু থেকেই বন্দরের স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি), স্কপসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনও রাজপথে নামে। আগামী ১ নভেম্বর স্কপ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে বিজিবির পৃথক অভিযানে উদ্ধার ১৪ জন, তিন মানব পাচারকারী আটক

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
বিজিবির অভিযানে আটক তিনজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিজিবির অভিযানে আটক তিনজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফে একই রাতে পৃথক অভিযানে ১৪ জনকে উদ্ধার এবং মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।

আটক মানব পাচারকারীরা হলেন চক্রের মূল সদস্য আবু তাহের (৬৯), তাঁর স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৮) ও মোহাম্মদ শফি (৩২)। এ ছাড়া ফাইসেল, সাইফুল, নুরুল মোস্তফা, মো. উল্লাহ, সাইদ, হারুন ও মো. ফিরোজসহ আরও কয়েকজন পাচারকারী পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবির কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথম টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার আবু তাহেরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটজনকে উদ্ধার করা হয়। সাগরপথে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তাঁদের ওই বাড়িতে রাখা হয়েছিল। এ সময় দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। একই রাতে দ্বিতীয় অভিযানে লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ শফির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদেরও সাগরপথে বিদেশে পাচারের ওই বাড়িতে রাখা হয়। এ সময় সেখান থেকে এক মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, উদ্ধার করা ১৪ ভুক্তভোগীকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক তিন মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৫২
নিহত আবুল কালাম চোকদার। ছবি: সংগৃহীত
নিহত আবুল কালাম চোকদার। ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘ইচ্ছা তো অনেক, আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।’ তাঁর ইচ্ছা যে এভাবে বাস্তবে পরিণত হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি আপনজনেরা।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে মেট্রোরেলের পিলার থেকে সরে যাওয়া বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা যান আবুল কালাম আজাদ। মাত্র পাঁচ বছর আগে দাম্পত্যজীবন শুরু করা আজাদ (৩৫) ও প্রিয়ার (২৫) সংসার যেন অঙ্কুরেই শেষ হয়ে গেল।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির মাত্র ১০০ গজ দূরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। ঘর আলো করে আসে আবদুল্লাহ ও ফারিয়া। যাদের বয়স মাত্র ৪ ও ২ বছর।

আবুল কালাম মনোয়ারা ভিলার তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। বাড়িওয়ালা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বিকেলেও কথা হয়েছিল। খুব মিশুক ছিল ছেলেটা। পরিবারের সঙ্গে আমাদের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারছি না।’

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রিয়ার বাবা আরব আলী ইতালি থেকে মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন আর চোখের পানি ফেলছেন। রীতিমতো বিলাপ করছেন শাশুড়ি রিনা আক্তার। প্রিয়া স্বামীকে মাটিতে বিছানো খাটে শুয়ে থাকতে দেখে আর্তনাদ করছেন বারান্দা থেকে।

প্রিয়ার বোন নুসরাত বলেন, ‘কালাম ভাই ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। এখন আমার বড় বোন অসহায় হয়ে গেল। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কীভাবে থাকবে? আমার বাবা ইতালি থাকেন। আমাদের কোনো ভাই নেই। উনিই আমাদের ভাইয়ের অভাব পূরণ করেছিলেন।’

প্রিয়ার মামাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘সরকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে। আমি চাইব, আমার বোনটাকে যোগ্যতা অনুযায়ী যেন একটি চাকরির ব্যবস্থা করে। তাঁর ছেলেমেয়ের দায়িত্ব নেয়। কারণ, তাঁর আর কোনো বিকল্প উপায় নেই। সেই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা জোরালো দাবি জানাই।’

রোববার রাত ১০টায় পাঠানটুলীর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে কালামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর কালামের লাশ শরীয়তপুরে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় আইনজীবী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
মোসাদ্দেক আলী বশির। ছবি: সংগৃহীত
মোসাদ্দেক আলী বশির। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোসাদ্দেক আলী বশির (৪০) নামের এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বদরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মোসাদ্দেক আলী বশির সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখারহাটের ইছাহাক কাজীর ছেলে। তিনি ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, নিহত ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে কানাইপুর থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। বদরপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত