Ajker Patrika

চলতি বছর ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় মারা গেছেন ১১৩ জন: আসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ০৩
চলতি বছর ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় মারা গেছেন ১১৩ জন: আসক

চলতি বছর (২০২১) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় মারা গেছেন ১১৩ জন। এ ছাড়া পৌর ও সিটি করপোরেশন ভোটের সংঘাতে ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে গত এক বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে এসব তথ্য জানায় আইন ও সালিস কেন্দ্র। 

আসক জানায়, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৬৭২টি ঘটনায় ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অন্যদিকে পৌর ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহিংসতায় ৮৩টি ঘটনায় ১৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া দেশজুড়ে রাজনৈতিক সংঘাতে এক বছরে ১৫৭ জনের মৃত্যুর তথ্যও তুলে ধরেছে আসক। 

সংবাদ সম্মেলনে যৌথভাবে মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ও সহকারী সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা। 

আবু আহমেদ ফয়জুল কবির জানান, গত এক বছরে সারা দেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩২১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন। ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মোট ১ হাজার ৬২৭ জন নারী এবং ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪১৩। 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সংগৃহীত আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ১২৮ জন নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন ৭৭ জন পুরুষ। এ বছর উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩ নারী ও ৫ পুরুষসহ খুন হয়েছেন মোট ৮ জন। 

সংবাদ সম্মেলনে আসক আরও জানায়, এ বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৬৪০ জন নারী, যার মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ৩৭২ জন এবং আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন। ২০২০ সালে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ৫৫৪ জন নারী। অন্যদিকে ২০২১ সালে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হন ৭২ জন নারী এবং আত্মহত্যা করেন ১৩ জন নারী। 

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৮০ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও নিখোঁজের শিকার হন ৭ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর ১ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আসকের মহাসচিব মো. নূর খান, নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল ও পরিচালক নীনা গোস্বামী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত