গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বরখাস্তকৃত শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অধিকতর তদন্তের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি গোসাইরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
তবে অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে লিখিত জবাব প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, তদন্ত কমিটি ও প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী ছাত্রীরাসহ ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়ত। প্রাইভেট পড়াকালীন সময়ে যৌন নিপীড়ন করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শ্রেণি শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানান। তাঁর পরামর্শে ভুক্তভোগীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানায়। পরে ভুক্তভোগীরা গত ১৬ মে মৌখিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানায়।
পরদিন ১৭ মে প্রধান শিক্ষক সকাল ১০টায় শিক্ষক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকেন। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পরবর্তী সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্লাসসহ বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করলেও তিনি শুনতেন না।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, প্রত্যেক ছাত্রীর বক্তব্য আলাদাভাবে শুনেছি। তদন্ত কমিটির কাছে তারা যৌন নিপীড়নের বিষয়টি জানিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য আলাদাভাবে লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, অভিযোগসহ তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের কপি গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামানকেও দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক নৈতিক স্খলন থেকে এ ধরনের অশালীন আচরণ করতে পারেন। ইউএনও, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেনেছেন, তাঁরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আজ সকালে গোসাইরহাট উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এক সভায় নির্দেশনা প্রদান করেছি, বিদ্যালয়ে বা বাসায় কোনো শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।
বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বরখাস্তকৃত শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অধিকতর তদন্তের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি গোসাইরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধান শিক্ষক।
তবে অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে লিখিত জবাব প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, তদন্ত কমিটি ও প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী ছাত্রীরাসহ ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়ত। প্রাইভেট পড়াকালীন সময়ে যৌন নিপীড়ন করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শ্রেণি শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানান। তাঁর পরামর্শে ভুক্তভোগীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানায়। পরে ভুক্তভোগীরা গত ১৬ মে মৌখিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানায়।
পরদিন ১৭ মে প্রধান শিক্ষক সকাল ১০টায় শিক্ষক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকেন। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পরবর্তী সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্লাসসহ বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করলেও তিনি শুনতেন না।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, প্রত্যেক ছাত্রীর বক্তব্য আলাদাভাবে শুনেছি। তদন্ত কমিটির কাছে তারা যৌন নিপীড়নের বিষয়টি জানিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য আলাদাভাবে লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, অভিযোগসহ তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের কপি গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামানকেও দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক নৈতিক স্খলন থেকে এ ধরনের অশালীন আচরণ করতে পারেন। ইউএনও, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেনেছেন, তাঁরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আজ সকালে গোসাইরহাট উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এক সভায় নির্দেশনা প্রদান করেছি, বিদ্যালয়ে বা বাসায় কোনো শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৫ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৯ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
২০ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫