Ajker Patrika

জবিতে প্রকাশ্যে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২২, ০৯: ২২
জবিতে প্রকাশ্যে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়েরই মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসানের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। 

এ ঘটনায় ওই ছাত্রী নিজের নিরাপত্তা ও অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত আবিদ হাসানের দাবি, ওই ছাত্রী উল্টো তাঁকেই হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। 

জানা যায়, ওই ছাত্রী ও আবিদ হাসানের মধ্যে এ বছরের শুরুর দিকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক মাস পর আবিদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দুজনের মধ্যে কলহ শুরু হয়। আবিদ ফোনে বিভিন্ন সময় সেই ছাত্রীকে নানা হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বলে ছাত্রীর অভিযোগ। তিনি সেসবের অডিও রেকর্ড এ প্রতিবেদককে দিয়েছেন। 

এরই জের ধরে গত রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে প্রকাশ্যে সেই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন আবিদ। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় গেটের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক সময় খেয়াল করি কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আবিদ তাঁর (ভুক্তভোগী ছাত্রী) গায়ে জোরে ধাক্কা মারেন। আমি দৌড়ে সেখানে গেলে আবিদ সেখান থেকে চলে যান।’ 

এদিকে প্রকাশ্যে হেনস্তা ও বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকির ফলে শঙ্কাবোধ করছেন সেই ছাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্তের যথাযথ শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমার মতো আর কোনো মেয়ের সঙ্গে সে যেন এমন করতে না পারে। এ জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। না হলে সে পার পেয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেকের সঙ্গেই এসব করবে।’ 

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও বলেন, ‘আবিদ ও তাঁর বন্ধু ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ আমাকে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা ও হুমকি দিয়েছে, এখনো দিচ্ছে যেন বিষয়টি নিয়ে না আগাই। কিংবা অভিযোগ প্রত্যাহার করি। আমি সবার সহযোগিতা চাই।’ 

তবে আবিদ হাসান দাবি করে বলেন, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আমার প্রথমে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে সে।’ 

আবিদের বন্ধু ইফতেখার আহমেদ রিয়াদ বলেন, ‘আমি চাই, প্রকৃত দোষীর বিচার হোক। তবে বিনা কারণে যেন কেউ হেয় প্রতিপন্ন বা ভুক্তভোগী না হয়। শুরুর দিকেই আমি তাদের মধ্যকার সমস্যাগুলো শিক্ষকদের মাধ্যমে সমাধান করতে বলেছিলাম। এতটুকুই। কোনো হুমকি বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করিনি।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ওই ছাত্রীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিভাগীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমার কাছে আবেদন পাঠাবে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত