তাসনিম হালিম মিম
এ দেশের নারীরা শৈশব থেকে যৌন নিপীড়নের মতো ভয়ংকর ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হন। দুঃখজনক বিষয় হলো, ছোটবেলা থেকে পরিবার বা শ্রেণিকক্ষে এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হলে ‘যৌন নিপীড়ন কী, কীভাবে সতর্ক থাকতে হয় বা কোনো বিষয়ে অস্বস্তি বোধ করলে কাকে জানাতে হবে’ এ বিষয়গুলো শেখানো হয় না।
‘সুরক্ষিত শৈশব’-এর গল্প শুনেছি। কিন্তু যৌন নিপীড়নের শিকার হননি এমন নারীর সংখ্যা বলতে গেলে খুব কম। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কিছু বিধিমালা বেঁধে দিয়েছিলেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন কী, কোন আচরণগুলো যৌন নিপীড়ন তৈরি করে, সেই আচরণ কেউ প্রদর্শন করলে কার কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া যাবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে আবার হাইকোর্ট জনসমাগমের জায়গায় যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা থাকতে হবে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
এখন পর্যন্ত এ দেশের অধিকাংশ মানুষ জানে না, যৌন নিপীড়ন একটি মারাত্মক অপরাধ। এই জ্ঞানহীনতার মাঝেই এ দেশের অধিকাংশ কন্যাশিশুর সবুজ শৈশবে কালো রং লাগে হয়তো আত্মীয়ের দ্বারা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরপর সেই আতঙ্ক-জাগানো স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হয় বাকিটা জীবন। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ালেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা আয়োজন করেছিলেন ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ নামের একটি অনুষ্ঠান। তাঁদের বক্তব্যে ফুটে উঠেছিল, কিছুদিন ধরে ঘটে যাওয়া পোশাকের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ‘পোশাকের রাজনীতি’ শব্দটার ব্যাখ্যা দরকার।
কিছুদিন আগে টি-শার্ট পরার জন্য গণপরিবহনে একজন তরুণী আরেকজন নারীর কাছে অকথ্য গালিগালাজের শিকার হন। এর কিছুদিন পরে নরসিংদী রেলস্টেশনে একটি ঘটনা ঘটে। সেখানেও মূল আক্রমণকারী নারী। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ হয়নি। নরসিংদী রেলস্টেশনে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরার জন্য একজন তরুণী যখন চূড়ান্ত হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর পক্ষে অগণিত মানুষের সমর্থন দেখা যায়। এবারে ভিকটিম ব্লেমিং এবং শ্লাট শেমিং শুধু অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ২০২২ সালে এসে নারীর বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচার ও নিপীড়নের জন্য নারীর পোশাক এবং মূলত নারীকেই দায়ী করেন। এটা করার জন্য তাঁরা নরসিংদীর মামলার শুনানিতে করা হাইকোর্টের সাধারণ প্রশ্নোত্তরের অংশ ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করেন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য। সেটা ক্লিক বেইট সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে ভুল ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনলাইনভিত্তিক ‘পোশাক দায়ী’ গোষ্ঠী যখন রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয়, তখন পোশাক-বিতর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আমরা গত ১ সেপ্টেম্বর কী বলেছিলাম?
বলেছিলাম, ‘সিডিউসড হোন বা না হোন, হামলে পড়বেন না’। নরসিংদীর অপরাধী যেহেতু নারী, তাহলে কেন আমরা এ ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ালাম? কারণ নরসিংদীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করেছে নারীর তথাকথিত ‘অশালীন পোশাক’। কোন পোশাক শালীন, কোনটা নয়—এ বিষয়ে দেশের জনগণের মতামত নিতে হলে ঠগ বাছতে গা উজাড় হয়ে যাবে। কারণ কিছু মানুষ মনে করে, বোরকাও নাকি অশালীনভাবে পরা যায়। সব হিজাবই হিজাব নয়। আর সাধারণ শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ওয়েস্টার্নের কথা বাদই দিই। এ জন্যই আমরা এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে বলতে চেয়েছি, ‘বৈচিত্র্যই সাধারণ, বৈচিত্র্যই বাংলাদেশ’।
নারীর বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনার জন্য নারীকেই দায়ী করার প্রবণতা থাকে কোনো কোনো গোষ্ঠীর। এটা আমরা জানতাম। কিন্তু অবস্থা আসলেই কতটা খারাপ তার আন্দাজ করা গেছে ১ সেপ্টেম্বরের ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ আয়োজন থেকে। পরে এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের ছবি এবং বক্তব্য অনলাইনে যতটা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব, সবটাই করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্দোলনকারীদের ধর্ষণ, এমনকি হত্যার হুমকি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করে আক্রমণ করা, আন্দোলনকারীদের ছবি ব্যবহার করে পর্নো বানানোর মতো ভয়ংকর সাইবার ক্রাইম।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া কোনো কোনো ভিডিওতে আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের অডিও সরিয়ে সেখানে যৌনকর্মীদের কথোপকথনের অডিও বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিকৃত ভিডিওটির বক্তব্য শুনলেই যে কেউ বুঝবেন, সেখানে যৌনকর্মীরা তাঁদের কষ্টের কথা বলেছেন। যাঁদের কাছে মনে হয় আমার পোশাক তো যথেষ্ট শালীন, আমি কেন আক্রমণের শিকার হব? তাঁরা তনুর কথা ভাবুন, খাদিজার কথা ভাবুন, পাঁচ বছরের পূজার কথা ভাবুন। আপনার শালীন পোশাক ঠিক এই মুহূর্তেই আরও শত শত মানুষের কাছে অশালীন।
আমরা জানতে চাই, এর শেষ কোথায়?
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এ দেশের নারীরা শৈশব থেকে যৌন নিপীড়নের মতো ভয়ংকর ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হন। দুঃখজনক বিষয় হলো, ছোটবেলা থেকে পরিবার বা শ্রেণিকক্ষে এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হলে ‘যৌন নিপীড়ন কী, কীভাবে সতর্ক থাকতে হয় বা কোনো বিষয়ে অস্বস্তি বোধ করলে কাকে জানাতে হবে’ এ বিষয়গুলো শেখানো হয় না।
‘সুরক্ষিত শৈশব’-এর গল্প শুনেছি। কিন্তু যৌন নিপীড়নের শিকার হননি এমন নারীর সংখ্যা বলতে গেলে খুব কম। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কিছু বিধিমালা বেঁধে দিয়েছিলেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন কী, কোন আচরণগুলো যৌন নিপীড়ন তৈরি করে, সেই আচরণ কেউ প্রদর্শন করলে কার কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া যাবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে আবার হাইকোর্ট জনসমাগমের জায়গায় যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা থাকতে হবে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
এখন পর্যন্ত এ দেশের অধিকাংশ মানুষ জানে না, যৌন নিপীড়ন একটি মারাত্মক অপরাধ। এই জ্ঞানহীনতার মাঝেই এ দেশের অধিকাংশ কন্যাশিশুর সবুজ শৈশবে কালো রং লাগে হয়তো আত্মীয়ের দ্বারা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এরপর সেই আতঙ্ক-জাগানো স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হয় বাকিটা জীবন। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ালেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা আয়োজন করেছিলেন ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ নামের একটি অনুষ্ঠান। তাঁদের বক্তব্যে ফুটে উঠেছিল, কিছুদিন ধরে ঘটে যাওয়া পোশাকের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ‘পোশাকের রাজনীতি’ শব্দটার ব্যাখ্যা দরকার।
কিছুদিন আগে টি-শার্ট পরার জন্য গণপরিবহনে একজন তরুণী আরেকজন নারীর কাছে অকথ্য গালিগালাজের শিকার হন। এর কিছুদিন পরে নরসিংদী রেলস্টেশনে একটি ঘটনা ঘটে। সেখানেও মূল আক্রমণকারী নারী। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ হয়নি। নরসিংদী রেলস্টেশনে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরার জন্য একজন তরুণী যখন চূড়ান্ত হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর পক্ষে অগণিত মানুষের সমর্থন দেখা যায়। এবারে ভিকটিম ব্লেমিং এবং শ্লাট শেমিং শুধু অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকল না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ২০২২ সালে এসে নারীর বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচার ও নিপীড়নের জন্য নারীর পোশাক এবং মূলত নারীকেই দায়ী করেন। এটা করার জন্য তাঁরা নরসিংদীর মামলার শুনানিতে করা হাইকোর্টের সাধারণ প্রশ্নোত্তরের অংশ ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করেন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য। সেটা ক্লিক বেইট সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে ভুল ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনলাইনভিত্তিক ‘পোশাক দায়ী’ গোষ্ঠী যখন রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয়, তখন পোশাক-বিতর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আমরা গত ১ সেপ্টেম্বর কী বলেছিলাম?
বলেছিলাম, ‘সিডিউসড হোন বা না হোন, হামলে পড়বেন না’। নরসিংদীর অপরাধী যেহেতু নারী, তাহলে কেন আমরা এ ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ালাম? কারণ নরসিংদীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিত তৈরি করেছে নারীর তথাকথিত ‘অশালীন পোশাক’। কোন পোশাক শালীন, কোনটা নয়—এ বিষয়ে দেশের জনগণের মতামত নিতে হলে ঠগ বাছতে গা উজাড় হয়ে যাবে। কারণ কিছু মানুষ মনে করে, বোরকাও নাকি অশালীনভাবে পরা যায়। সব হিজাবই হিজাব নয়। আর সাধারণ শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ওয়েস্টার্নের কথা বাদই দিই। এ জন্যই আমরা এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে বলতে চেয়েছি, ‘বৈচিত্র্যই সাধারণ, বৈচিত্র্যই বাংলাদেশ’।
নারীর বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনার জন্য নারীকেই দায়ী করার প্রবণতা থাকে কোনো কোনো গোষ্ঠীর। এটা আমরা জানতাম। কিন্তু অবস্থা আসলেই কতটা খারাপ তার আন্দাজ করা গেছে ১ সেপ্টেম্বরের ‘যেমন খুশি তেমন পরো’ আয়োজন থেকে। পরে এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের ছবি এবং বক্তব্য অনলাইনে যতটা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব, সবটাই করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্দোলনকারীদের ধর্ষণ, এমনকি হত্যার হুমকি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করে আক্রমণ করা, আন্দোলনকারীদের ছবি ব্যবহার করে পর্নো বানানোর মতো ভয়ংকর সাইবার ক্রাইম।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া কোনো কোনো ভিডিওতে আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের অডিও সরিয়ে সেখানে যৌনকর্মীদের কথোপকথনের অডিও বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিকৃত ভিডিওটির বক্তব্য শুনলেই যে কেউ বুঝবেন, সেখানে যৌনকর্মীরা তাঁদের কষ্টের কথা বলেছেন। যাঁদের কাছে মনে হয় আমার পোশাক তো যথেষ্ট শালীন, আমি কেন আক্রমণের শিকার হব? তাঁরা তনুর কথা ভাবুন, খাদিজার কথা ভাবুন, পাঁচ বছরের পূজার কথা ভাবুন। আপনার শালীন পোশাক ঠিক এই মুহূর্তেই আরও শত শত মানুষের কাছে অশালীন।
আমরা জানতে চাই, এর শেষ কোথায়?
লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. ইকবাল বাহারকে একটি হত্যা মামলায় আজ শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইকবাল বাহারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শাহিনুর বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায়...
২ দিন আগে১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
৫ দিন আগেশাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’ পাইরেসির শিকার হয়েছে টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে। এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় ইউটিউবার টিপু সুলতানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
৫ দিন আগেপুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারা দেশে আরও ১ হাজার ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৮৪৮ এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৩৩২ জন।
১২ দিন আগে