মারুফ ইসলাম

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে পুতিনের বিচরণ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে কি না, তা নিয়েও চলছে জোরালো আলোচনা।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাঁর শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত খুবই ন্যায়সংগত।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও আইসিসির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সেটাই এখন পরিষ্কার হলো। পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই যথাযথ প্রতিষ্ঠান।’
তবে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত শুনে রাশিয়া স্রেফ হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, এই পরোয়ানা টয়লেট পেপারের মতোই মূল্যহীন, কোনো কার্যকারিতা নেই। কারণ রাশিয়া আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়।
আইসিসির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা পেশকভের মন্তব্যেই স্পষ্ট। আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো- পরোয়ানা তামিলে আদালতের নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই।
কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের মুখোমুখি করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয় আইসিসিকে। ১২৩টি সদস্য দেশ আইসিসির অনুরোধ ও নির্দেশনা মানতে বাধ্য।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি করিম খানও তেমনটাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুতিন যদি এই ১২৩টির যে কোনো একটিতে পা রাখেন তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব।’
তবে করিম খান যত সহজে কথাটা বলেছেন, কাজটা তত সহজ নয়। রোম স্ট্যাটিউট নামে পরিচিত আইসিসির সংবিধিতে অনুস্বাক্ষর করেছে যেসব রাষ্ট্র, তারা খুব সহজে পুতিনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রনেতাকে গ্রেপ্তার করবে বলে মনে হয় না।
এর আগে ২০০৯ সালের ৪ মার্চ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসি। তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। ওই দেশগুলো ওমরকে গ্রেপ্তার করেনি। ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ওমর আল বশির। দেশটির নতুন সরকার এখনো তাঁকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করেনি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সবার আগে বিবেচনা করার মতো বিষয় হচ্ছে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলো আইসিসির সদস্য নয়। এমনকি ভারতের মতো উদীয়মান শক্তির দেশও আইসিসিতে অনুস্বাক্ষর করেনি।
এসব কাঠামোগত বাধার পাশাপাশি আইসিসির ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পেছনে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় বাধা রয়েছে। ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল আইসিসি। একই সঙ্গে তালেবানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল।
আইসিসির এ ঘোষণার পরপরই ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আইসিসির কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা ও একজন জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউশন কর্মকর্তা ফাকিসো মোচোচোকোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তে আইসিসির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভিসা দেওয়া হবে না।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনে আইসিসির তদন্ত বন্ধ করতেও হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া ২০১৯ সালে আইসিসির কৌঁসুলির ভিসা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল মার্কিন সরকার।
এসব প্রভূত বিরোধিতা ও হুমকির কারণে আইসিসি অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে পারেনি।
তবে বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করার নজির আইসিসির ইতিহাসে নেই, এমন নয়। আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান বলেছেন, ‘অনেক ক্ষমতাধর নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ইতিহাস আইসিসির রয়েছে। অনেক শীর্ষ নেতা ভেবেছিলেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে। কিন্তু আইসিসি শেষ পর্যন্ত (অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও) তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছিল। উদাহরণ চান? মিলোসেভিক বা চার্লস টেলর বা কারাদজিক বা ম্লাডিকের কথা স্মরণ করুন।’
মিলোসেভিক ছিলেন সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন চার্লস টেলর, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন কারাদজিক ও সেনাপ্রধান ছিলেন রাতকো ম্লাডিক।
টেলরকে ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আইসিসি। এ ছাড়া যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার চলাকালে ২০০৬ সালে কারাগারে মারা গেছেন মিলোসেভিক।
কারাদজিককে ২০০৮ সালে কারাবন্দী করা হয় এবং আইসিসির আদালতে তিনি গণহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। এ ছাড়া রাতকো ম্লাডিক ২০১১ সালে গ্রেপ্তার হন এবং তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আইসিসি।
আইসিসির এসব আপাত সাফল্য সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সমালোচনার অন্ত নেই। আইসিসির বিরুদ্ধে অন্যতম সমালোচনা হচ্ছে, মিয়ানমারে জান্তা সরকারের গণহত্যার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি আইসিসি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যারও বিচার করতে পারেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। গত বছর আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান অবশ্য বাংলাদেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গাদের দেখতে।
এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই ২০০৩ সালের মার্চে ইরাকে অভিযান চালিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তোলেনি আইসিসি।
এসব কারণে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দ্বিমুখী আচরণ করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আইন সবার জন্য সমান—এই চিরন্তন বাক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে আইসিসি।
১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই জাতিসংঘের এক সম্মেলনে রোম সনদ অনুমোদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার করা। ১২৩টি দেশ সনদটিতে অনুমোদন দিয়েছিল।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার এত বছর পরেও সারা বিশ্বের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেনি আইসিসি। নানা সময়ে এ আদালতের কার্যকারিতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন আইসিসি এসব সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বিশ্বের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধন ও আগ্রাসনের মতো অপরাধের ন্যায় বিচার মিলবে না। আইসিসি একটি ‘কাগুজে বাঘ’ হয়েই ইতিহাসে থেকে যাবে।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়চে ভেলে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও দ্য ইন্টারসেপ্ট

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে পুতিনের বিচরণ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে কি না, তা নিয়েও চলছে জোরালো আলোচনা।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাঁর শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত খুবই ন্যায়সংগত।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও আইসিসির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সেটাই এখন পরিষ্কার হলো। পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই যথাযথ প্রতিষ্ঠান।’
তবে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত শুনে রাশিয়া স্রেফ হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, এই পরোয়ানা টয়লেট পেপারের মতোই মূল্যহীন, কোনো কার্যকারিতা নেই। কারণ রাশিয়া আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়।
আইসিসির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা পেশকভের মন্তব্যেই স্পষ্ট। আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো- পরোয়ানা তামিলে আদালতের নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই।
কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের মুখোমুখি করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয় আইসিসিকে। ১২৩টি সদস্য দেশ আইসিসির অনুরোধ ও নির্দেশনা মানতে বাধ্য।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি করিম খানও তেমনটাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুতিন যদি এই ১২৩টির যে কোনো একটিতে পা রাখেন তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব।’
তবে করিম খান যত সহজে কথাটা বলেছেন, কাজটা তত সহজ নয়। রোম স্ট্যাটিউট নামে পরিচিত আইসিসির সংবিধিতে অনুস্বাক্ষর করেছে যেসব রাষ্ট্র, তারা খুব সহজে পুতিনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রনেতাকে গ্রেপ্তার করবে বলে মনে হয় না।
এর আগে ২০০৯ সালের ৪ মার্চ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসি। তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। ওই দেশগুলো ওমরকে গ্রেপ্তার করেনি। ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ওমর আল বশির। দেশটির নতুন সরকার এখনো তাঁকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করেনি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সবার আগে বিবেচনা করার মতো বিষয় হচ্ছে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলো আইসিসির সদস্য নয়। এমনকি ভারতের মতো উদীয়মান শক্তির দেশও আইসিসিতে অনুস্বাক্ষর করেনি।
এসব কাঠামোগত বাধার পাশাপাশি আইসিসির ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পেছনে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় বাধা রয়েছে। ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল আইসিসি। একই সঙ্গে তালেবানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল।
আইসিসির এ ঘোষণার পরপরই ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আইসিসির কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা ও একজন জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউশন কর্মকর্তা ফাকিসো মোচোচোকোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তে আইসিসির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভিসা দেওয়া হবে না।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনে আইসিসির তদন্ত বন্ধ করতেও হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া ২০১৯ সালে আইসিসির কৌঁসুলির ভিসা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল মার্কিন সরকার।
এসব প্রভূত বিরোধিতা ও হুমকির কারণে আইসিসি অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে পারেনি।
তবে বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করার নজির আইসিসির ইতিহাসে নেই, এমন নয়। আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান বলেছেন, ‘অনেক ক্ষমতাধর নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ইতিহাস আইসিসির রয়েছে। অনেক শীর্ষ নেতা ভেবেছিলেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে। কিন্তু আইসিসি শেষ পর্যন্ত (অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও) তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছিল। উদাহরণ চান? মিলোসেভিক বা চার্লস টেলর বা কারাদজিক বা ম্লাডিকের কথা স্মরণ করুন।’
মিলোসেভিক ছিলেন সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন চার্লস টেলর, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন কারাদজিক ও সেনাপ্রধান ছিলেন রাতকো ম্লাডিক।
টেলরকে ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আইসিসি। এ ছাড়া যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার চলাকালে ২০০৬ সালে কারাগারে মারা গেছেন মিলোসেভিক।
কারাদজিককে ২০০৮ সালে কারাবন্দী করা হয় এবং আইসিসির আদালতে তিনি গণহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। এ ছাড়া রাতকো ম্লাডিক ২০১১ সালে গ্রেপ্তার হন এবং তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আইসিসি।
আইসিসির এসব আপাত সাফল্য সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সমালোচনার অন্ত নেই। আইসিসির বিরুদ্ধে অন্যতম সমালোচনা হচ্ছে, মিয়ানমারে জান্তা সরকারের গণহত্যার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি আইসিসি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যারও বিচার করতে পারেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। গত বছর আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান অবশ্য বাংলাদেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গাদের দেখতে।
এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই ২০০৩ সালের মার্চে ইরাকে অভিযান চালিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তোলেনি আইসিসি।
এসব কারণে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দ্বিমুখী আচরণ করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আইন সবার জন্য সমান—এই চিরন্তন বাক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে আইসিসি।
১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই জাতিসংঘের এক সম্মেলনে রোম সনদ অনুমোদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার করা। ১২৩টি দেশ সনদটিতে অনুমোদন দিয়েছিল।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার এত বছর পরেও সারা বিশ্বের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেনি আইসিসি। নানা সময়ে এ আদালতের কার্যকারিতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন আইসিসি এসব সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বিশ্বের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধন ও আগ্রাসনের মতো অপরাধের ন্যায় বিচার মিলবে না। আইসিসি একটি ‘কাগুজে বাঘ’ হয়েই ইতিহাসে থেকে যাবে।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়চে ভেলে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও দ্য ইন্টারসেপ্ট
মারুফ ইসলাম

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে পুতিনের বিচরণ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে কি না, তা নিয়েও চলছে জোরালো আলোচনা।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাঁর শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত খুবই ন্যায়সংগত।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও আইসিসির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সেটাই এখন পরিষ্কার হলো। পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই যথাযথ প্রতিষ্ঠান।’
তবে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত শুনে রাশিয়া স্রেফ হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, এই পরোয়ানা টয়লেট পেপারের মতোই মূল্যহীন, কোনো কার্যকারিতা নেই। কারণ রাশিয়া আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়।
আইসিসির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা পেশকভের মন্তব্যেই স্পষ্ট। আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো- পরোয়ানা তামিলে আদালতের নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই।
কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের মুখোমুখি করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয় আইসিসিকে। ১২৩টি সদস্য দেশ আইসিসির অনুরোধ ও নির্দেশনা মানতে বাধ্য।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি করিম খানও তেমনটাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুতিন যদি এই ১২৩টির যে কোনো একটিতে পা রাখেন তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব।’
তবে করিম খান যত সহজে কথাটা বলেছেন, কাজটা তত সহজ নয়। রোম স্ট্যাটিউট নামে পরিচিত আইসিসির সংবিধিতে অনুস্বাক্ষর করেছে যেসব রাষ্ট্র, তারা খুব সহজে পুতিনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রনেতাকে গ্রেপ্তার করবে বলে মনে হয় না।
এর আগে ২০০৯ সালের ৪ মার্চ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসি। তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। ওই দেশগুলো ওমরকে গ্রেপ্তার করেনি। ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ওমর আল বশির। দেশটির নতুন সরকার এখনো তাঁকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করেনি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সবার আগে বিবেচনা করার মতো বিষয় হচ্ছে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলো আইসিসির সদস্য নয়। এমনকি ভারতের মতো উদীয়মান শক্তির দেশও আইসিসিতে অনুস্বাক্ষর করেনি।
এসব কাঠামোগত বাধার পাশাপাশি আইসিসির ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পেছনে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় বাধা রয়েছে। ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল আইসিসি। একই সঙ্গে তালেবানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল।
আইসিসির এ ঘোষণার পরপরই ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আইসিসির কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা ও একজন জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউশন কর্মকর্তা ফাকিসো মোচোচোকোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তে আইসিসির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভিসা দেওয়া হবে না।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনে আইসিসির তদন্ত বন্ধ করতেও হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া ২০১৯ সালে আইসিসির কৌঁসুলির ভিসা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল মার্কিন সরকার।
এসব প্রভূত বিরোধিতা ও হুমকির কারণে আইসিসি অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে পারেনি।
তবে বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করার নজির আইসিসির ইতিহাসে নেই, এমন নয়। আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান বলেছেন, ‘অনেক ক্ষমতাধর নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ইতিহাস আইসিসির রয়েছে। অনেক শীর্ষ নেতা ভেবেছিলেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে। কিন্তু আইসিসি শেষ পর্যন্ত (অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও) তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছিল। উদাহরণ চান? মিলোসেভিক বা চার্লস টেলর বা কারাদজিক বা ম্লাডিকের কথা স্মরণ করুন।’
মিলোসেভিক ছিলেন সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন চার্লস টেলর, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন কারাদজিক ও সেনাপ্রধান ছিলেন রাতকো ম্লাডিক।
টেলরকে ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আইসিসি। এ ছাড়া যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার চলাকালে ২০০৬ সালে কারাগারে মারা গেছেন মিলোসেভিক।
কারাদজিককে ২০০৮ সালে কারাবন্দী করা হয় এবং আইসিসির আদালতে তিনি গণহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। এ ছাড়া রাতকো ম্লাডিক ২০১১ সালে গ্রেপ্তার হন এবং তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আইসিসি।
আইসিসির এসব আপাত সাফল্য সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সমালোচনার অন্ত নেই। আইসিসির বিরুদ্ধে অন্যতম সমালোচনা হচ্ছে, মিয়ানমারে জান্তা সরকারের গণহত্যার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি আইসিসি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যারও বিচার করতে পারেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। গত বছর আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান অবশ্য বাংলাদেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গাদের দেখতে।
এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই ২০০৩ সালের মার্চে ইরাকে অভিযান চালিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তোলেনি আইসিসি।
এসব কারণে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দ্বিমুখী আচরণ করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আইন সবার জন্য সমান—এই চিরন্তন বাক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে আইসিসি।
১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই জাতিসংঘের এক সম্মেলনে রোম সনদ অনুমোদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার করা। ১২৩টি দেশ সনদটিতে অনুমোদন দিয়েছিল।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার এত বছর পরেও সারা বিশ্বের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেনি আইসিসি। নানা সময়ে এ আদালতের কার্যকারিতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন আইসিসি এসব সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বিশ্বের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধন ও আগ্রাসনের মতো অপরাধের ন্যায় বিচার মিলবে না। আইসিসি একটি ‘কাগুজে বাঘ’ হয়েই ইতিহাসে থেকে যাবে।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়চে ভেলে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও দ্য ইন্টারসেপ্ট

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে পুতিনের বিচরণ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে কি না, তা নিয়েও চলছে জোরালো আলোচনা।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাঁর শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত খুবই ন্যায়সংগত।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও আইসিসির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সেটাই এখন পরিষ্কার হলো। পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই যথাযথ প্রতিষ্ঠান।’
তবে পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত শুনে রাশিয়া স্রেফ হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, এই পরোয়ানা টয়লেট পেপারের মতোই মূল্যহীন, কোনো কার্যকারিতা নেই। কারণ রাশিয়া আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়।
আইসিসির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা পেশকভের মন্তব্যেই স্পষ্ট। আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো- পরোয়ানা তামিলে আদালতের নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই।
কাউকে গ্রেপ্তার বা বিচারের মুখোমুখি করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয় আইসিসিকে। ১২৩টি সদস্য দেশ আইসিসির অনুরোধ ও নির্দেশনা মানতে বাধ্য।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলি করিম খানও তেমনটাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পুতিন যদি এই ১২৩টির যে কোনো একটিতে পা রাখেন তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব।’
তবে করিম খান যত সহজে কথাটা বলেছেন, কাজটা তত সহজ নয়। রোম স্ট্যাটিউট নামে পরিচিত আইসিসির সংবিধিতে অনুস্বাক্ষর করেছে যেসব রাষ্ট্র, তারা খুব সহজে পুতিনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রনেতাকে গ্রেপ্তার করবে বলে মনে হয় না।
এর আগে ২০০৯ সালের ৪ মার্চ সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসি। তখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। ওই দেশগুলো ওমরকে গ্রেপ্তার করেনি। ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ওমর আল বশির। দেশটির নতুন সরকার এখনো তাঁকে আইসিসির কাছে হস্তান্তর করেনি।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সবার আগে বিবেচনা করার মতো বিষয় হচ্ছে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলো আইসিসির সদস্য নয়। এমনকি ভারতের মতো উদীয়মান শক্তির দেশও আইসিসিতে অনুস্বাক্ষর করেনি।
এসব কাঠামোগত বাধার পাশাপাশি আইসিসির ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পেছনে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় বাধা রয়েছে। ২০২০ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল আইসিসি। একই সঙ্গে তালেবানদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করতে চেয়েছিল।
আইসিসির এ ঘোষণার পরপরই ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আইসিসির কৌঁসুলি ফাতু বেনসুদা ও একজন জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউশন কর্মকর্তা ফাকিসো মোচোচোকোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়াও তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তে আইসিসির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভিসা দেওয়া হবে না।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনে আইসিসির তদন্ত বন্ধ করতেও হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া ২০১৯ সালে আইসিসির কৌঁসুলির ভিসা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল মার্কিন সরকার।
এসব প্রভূত বিরোধিতা ও হুমকির কারণে আইসিসি অনেক দেশে যুদ্ধাপরাধের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে পারেনি।
তবে বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করার নজির আইসিসির ইতিহাসে নেই, এমন নয়। আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান বলেছেন, ‘অনেক ক্ষমতাধর নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ইতিহাস আইসিসির রয়েছে। অনেক শীর্ষ নেতা ভেবেছিলেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে। কিন্তু আইসিসি শেষ পর্যন্ত (অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও) তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছিল। উদাহরণ চান? মিলোসেভিক বা চার্লস টেলর বা কারাদজিক বা ম্লাডিকের কথা স্মরণ করুন।’
মিলোসেভিক ছিলেন সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন চার্লস টেলর, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন কারাদজিক ও সেনাপ্রধান ছিলেন রাতকো ম্লাডিক।
টেলরকে ২০১২ সালে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আইসিসি। এ ছাড়া যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচার চলাকালে ২০০৬ সালে কারাগারে মারা গেছেন মিলোসেভিক।
কারাদজিককে ২০০৮ সালে কারাবন্দী করা হয় এবং আইসিসির আদালতে তিনি গণহত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। এ ছাড়া রাতকো ম্লাডিক ২০১১ সালে গ্রেপ্তার হন এবং তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আইসিসি।
আইসিসির এসব আপাত সাফল্য সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সমালোচনার অন্ত নেই। আইসিসির বিরুদ্ধে অন্যতম সমালোচনা হচ্ছে, মিয়ানমারে জান্তা সরকারের গণহত্যার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি আইসিসি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যারও বিচার করতে পারেনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। গত বছর আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান অবশ্য বাংলাদেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গাদের দেখতে।
এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই ২০০৩ সালের মার্চে ইরাকে অভিযান চালিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ তোলেনি আইসিসি।
এসব কারণে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দ্বিমুখী আচরণ করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আইন সবার জন্য সমান—এই চিরন্তন বাক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে আইসিসি।
১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই জাতিসংঘের এক সম্মেলনে রোম সনদ অনুমোদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার করা। ১২৩টি দেশ সনদটিতে অনুমোদন দিয়েছিল।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার এত বছর পরেও সারা বিশ্বের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেনি আইসিসি। নানা সময়ে এ আদালতের কার্যকারিতার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন আইসিসি এসব সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বিশ্বের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধন ও আগ্রাসনের মতো অপরাধের ন্যায় বিচার মিলবে না। আইসিসি একটি ‘কাগুজে বাঘ’ হয়েই ইতিহাসে থেকে যাবে।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়চে ভেলে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও দ্য ইন্টারসেপ্ট

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরি
২০ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরি
২০ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরি
২০ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ক্ষমতা নিয়ে পুরোনো প্রশ্ন নতুন করে আলোচনায় এসেছে। রোম স্ট্যাটিউট নামে সংবিধির আওতায় জাতিসংঘের এই আদালত আদৌ পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবেন কি না সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি বিশ্ব পরি
২০ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৮ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৮ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২১ দিন আগে