সাগর খান, আদমদীঘি (বগুড়া)

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা। তাঁদের স্লোগান একটাই—‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই, আগে মার তারপর জরিমানা’। আর সব কর্মকাণ্ডকে বৈধ করতে রয়েছে তাঁদের নিয়েই গঠিত ১৪ সদস্যের বিচারক কমিটি। সেই কমিটির আদেশই এ গ্রামের আইন।
সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের ছেলে আমিনুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করার পর সামনে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের দৌরাত্ম্যে টিকতে না পেরে গ্রামছাড়া হয়েছে প্রায় ৪০ পরিবার। আমিনুলও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি এক জমি বেচাকেনা নিয়ে এই চক্রের হাতে আসে দুই লাখ টাকা। টাকাগুলো দলনেতা শাহিনের কাছেই গচ্ছিত ছিল। ভাগাভাগি নিয়ে ২২ মার্চ রাতে গ্রামের একটি ক্লাবঘরের সামনে সালিস বসে। সালিসে আমিনুলের সঙ্গে শাহিনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জেরে বৈঠক শেষে শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিনুলকে। ক্লাবঘরটি ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করে এ চক্র।
এ ঘটনায় আমিনুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে তহিদুল, শাহিনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ইসলাম, আবু বকর ও ওয়াহেদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বর্তমানে হত্যার মূল আসামিসহ অন্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
গতকাল সোমবার ওই গ্রামে গেলে একের পর এক মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের লুটপাট, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কাহিনি। তুচ্ছ ঘটনায়ও তহিদুল-শাহিন গ্রুপ বিচার-সালিস বসিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ৩০-৪০টি পরিবার প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি, মুরইল, সান্তাহার, নওগাঁসহ বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।
চক্রের সদস্যরা পলাতক থাকার কারণে গ্রামের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। গ্রামছাড়া লোকজন একের পর এক নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরে দেখেন, তাঁদের বাড়িতে দরজা-জানালা ভাঙাসহ জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে আছে। ফিরে আসা আলিম উদ্দিন জানান, তাঁর কাছ থেকে তহিদুল-শাহিন গ্রুপ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, ওই গ্রুপের অত্যাচারে তাঁর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি এখন নিঃস্ব।
আফজাল হোসেন নামের একজন জানালেন, তিনি শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। তিনি দেড় বছর আগে নিজ গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমিনুলের স্ত্রী রুখসানা বেগম বলেন, ‘গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে আমার স্বামী প্রথম দিকে ছেদ্দা গ্রুপে ছিলেন, পরে শাহিন গ্রুপে যোগ দেন। ২২ মার্চ মোবাইলে কল করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার সময় আমি মোবাইলে জানতে পারি, আমার স্বামীকে খুন করে ক্লাবঘরের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি, আমার স্বামীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার পরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই পক্ষের সেসব দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা হয়। কিন্তু তারপরও দুই লাখ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি জানতে পেরেছেন।এদিকে ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে হাহাকারে দিন কাটছে আমিনুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের।
১৯৭১ সালে সহযোদ্ধা বন্ধু মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের হারিয়ে যে দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রণা হয়েছিল, আজ ৫২ বছর পর ছেলে হত্যার পর আবার নতুন করে সেই শোক-যন্ত্রণা জাপটে ধরেছে। তিনি বলেন, ‘’৭১-এর ঘাতকদের চেয়েও নির্মম ওরা।’ কমান্ডার আবুল কাশেমকে সান্ত্বনা দেওয়ার যেন কেউ নেই। কিছুদিন আগেই হারিয়েছেন স্ত্রীকে। এবার হারালেন ছেলেকে। আর সেই মৃত্যু কোনো রোগে-শোকে নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা।
আরও খবর পড়ুন:

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা। তাঁদের স্লোগান একটাই—‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই, আগে মার তারপর জরিমানা’। আর সব কর্মকাণ্ডকে বৈধ করতে রয়েছে তাঁদের নিয়েই গঠিত ১৪ সদস্যের বিচারক কমিটি। সেই কমিটির আদেশই এ গ্রামের আইন।
সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের ছেলে আমিনুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করার পর সামনে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের দৌরাত্ম্যে টিকতে না পেরে গ্রামছাড়া হয়েছে প্রায় ৪০ পরিবার। আমিনুলও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি এক জমি বেচাকেনা নিয়ে এই চক্রের হাতে আসে দুই লাখ টাকা। টাকাগুলো দলনেতা শাহিনের কাছেই গচ্ছিত ছিল। ভাগাভাগি নিয়ে ২২ মার্চ রাতে গ্রামের একটি ক্লাবঘরের সামনে সালিস বসে। সালিসে আমিনুলের সঙ্গে শাহিনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জেরে বৈঠক শেষে শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিনুলকে। ক্লাবঘরটি ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করে এ চক্র।
এ ঘটনায় আমিনুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে তহিদুল, শাহিনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ইসলাম, আবু বকর ও ওয়াহেদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বর্তমানে হত্যার মূল আসামিসহ অন্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
গতকাল সোমবার ওই গ্রামে গেলে একের পর এক মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের লুটপাট, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কাহিনি। তুচ্ছ ঘটনায়ও তহিদুল-শাহিন গ্রুপ বিচার-সালিস বসিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ৩০-৪০টি পরিবার প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি, মুরইল, সান্তাহার, নওগাঁসহ বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।
চক্রের সদস্যরা পলাতক থাকার কারণে গ্রামের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। গ্রামছাড়া লোকজন একের পর এক নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরে দেখেন, তাঁদের বাড়িতে দরজা-জানালা ভাঙাসহ জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে আছে। ফিরে আসা আলিম উদ্দিন জানান, তাঁর কাছ থেকে তহিদুল-শাহিন গ্রুপ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, ওই গ্রুপের অত্যাচারে তাঁর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি এখন নিঃস্ব।
আফজাল হোসেন নামের একজন জানালেন, তিনি শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। তিনি দেড় বছর আগে নিজ গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমিনুলের স্ত্রী রুখসানা বেগম বলেন, ‘গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে আমার স্বামী প্রথম দিকে ছেদ্দা গ্রুপে ছিলেন, পরে শাহিন গ্রুপে যোগ দেন। ২২ মার্চ মোবাইলে কল করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার সময় আমি মোবাইলে জানতে পারি, আমার স্বামীকে খুন করে ক্লাবঘরের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি, আমার স্বামীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার পরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই পক্ষের সেসব দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা হয়। কিন্তু তারপরও দুই লাখ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি জানতে পেরেছেন।এদিকে ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে হাহাকারে দিন কাটছে আমিনুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের।
১৯৭১ সালে সহযোদ্ধা বন্ধু মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের হারিয়ে যে দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রণা হয়েছিল, আজ ৫২ বছর পর ছেলে হত্যার পর আবার নতুন করে সেই শোক-যন্ত্রণা জাপটে ধরেছে। তিনি বলেন, ‘’৭১-এর ঘাতকদের চেয়েও নির্মম ওরা।’ কমান্ডার আবুল কাশেমকে সান্ত্বনা দেওয়ার যেন কেউ নেই। কিছুদিন আগেই হারিয়েছেন স্ত্রীকে। এবার হারালেন ছেলেকে। আর সেই মৃত্যু কোনো রোগে-শোকে নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা।
আরও খবর পড়ুন:
সাগর খান, আদমদীঘি (বগুড়া)

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা। তাঁদের স্লোগান একটাই—‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই, আগে মার তারপর জরিমানা’। আর সব কর্মকাণ্ডকে বৈধ করতে রয়েছে তাঁদের নিয়েই গঠিত ১৪ সদস্যের বিচারক কমিটি। সেই কমিটির আদেশই এ গ্রামের আইন।
সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের ছেলে আমিনুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করার পর সামনে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের দৌরাত্ম্যে টিকতে না পেরে গ্রামছাড়া হয়েছে প্রায় ৪০ পরিবার। আমিনুলও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি এক জমি বেচাকেনা নিয়ে এই চক্রের হাতে আসে দুই লাখ টাকা। টাকাগুলো দলনেতা শাহিনের কাছেই গচ্ছিত ছিল। ভাগাভাগি নিয়ে ২২ মার্চ রাতে গ্রামের একটি ক্লাবঘরের সামনে সালিস বসে। সালিসে আমিনুলের সঙ্গে শাহিনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জেরে বৈঠক শেষে শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিনুলকে। ক্লাবঘরটি ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করে এ চক্র।
এ ঘটনায় আমিনুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে তহিদুল, শাহিনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ইসলাম, আবু বকর ও ওয়াহেদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বর্তমানে হত্যার মূল আসামিসহ অন্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
গতকাল সোমবার ওই গ্রামে গেলে একের পর এক মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের লুটপাট, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কাহিনি। তুচ্ছ ঘটনায়ও তহিদুল-শাহিন গ্রুপ বিচার-সালিস বসিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ৩০-৪০টি পরিবার প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি, মুরইল, সান্তাহার, নওগাঁসহ বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।
চক্রের সদস্যরা পলাতক থাকার কারণে গ্রামের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। গ্রামছাড়া লোকজন একের পর এক নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরে দেখেন, তাঁদের বাড়িতে দরজা-জানালা ভাঙাসহ জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে আছে। ফিরে আসা আলিম উদ্দিন জানান, তাঁর কাছ থেকে তহিদুল-শাহিন গ্রুপ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, ওই গ্রুপের অত্যাচারে তাঁর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি এখন নিঃস্ব।
আফজাল হোসেন নামের একজন জানালেন, তিনি শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। তিনি দেড় বছর আগে নিজ গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমিনুলের স্ত্রী রুখসানা বেগম বলেন, ‘গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে আমার স্বামী প্রথম দিকে ছেদ্দা গ্রুপে ছিলেন, পরে শাহিন গ্রুপে যোগ দেন। ২২ মার্চ মোবাইলে কল করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার সময় আমি মোবাইলে জানতে পারি, আমার স্বামীকে খুন করে ক্লাবঘরের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি, আমার স্বামীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার পরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই পক্ষের সেসব দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা হয়। কিন্তু তারপরও দুই লাখ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি জানতে পেরেছেন।এদিকে ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে হাহাকারে দিন কাটছে আমিনুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের।
১৯৭১ সালে সহযোদ্ধা বন্ধু মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের হারিয়ে যে দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রণা হয়েছিল, আজ ৫২ বছর পর ছেলে হত্যার পর আবার নতুন করে সেই শোক-যন্ত্রণা জাপটে ধরেছে। তিনি বলেন, ‘’৭১-এর ঘাতকদের চেয়েও নির্মম ওরা।’ কমান্ডার আবুল কাশেমকে সান্ত্বনা দেওয়ার যেন কেউ নেই। কিছুদিন আগেই হারিয়েছেন স্ত্রীকে। এবার হারালেন ছেলেকে। আর সেই মৃত্যু কোনো রোগে-শোকে নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা।
আরও খবর পড়ুন:

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা। তাঁদের স্লোগান একটাই—‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই, আগে মার তারপর জরিমানা’। আর সব কর্মকাণ্ডকে বৈধ করতে রয়েছে তাঁদের নিয়েই গঠিত ১৪ সদস্যের বিচারক কমিটি। সেই কমিটির আদেশই এ গ্রামের আইন।
সম্প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের ছেলে আমিনুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করার পর সামনে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের চিত্র। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁদের দৌরাত্ম্যে টিকতে না পেরে গ্রামছাড়া হয়েছে প্রায় ৪০ পরিবার। আমিনুলও সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি এক জমি বেচাকেনা নিয়ে এই চক্রের হাতে আসে দুই লাখ টাকা। টাকাগুলো দলনেতা শাহিনের কাছেই গচ্ছিত ছিল। ভাগাভাগি নিয়ে ২২ মার্চ রাতে গ্রামের একটি ক্লাবঘরের সামনে সালিস বসে। সালিসে আমিনুলের সঙ্গে শাহিনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জেরে বৈঠক শেষে শাহিন ও তাঁর সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিনুলকে। ক্লাবঘরটি ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করে এ চক্র।
এ ঘটনায় আমিনুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে তহিদুল, শাহিনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ইসলাম, আবু বকর ও ওয়াহেদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বর্তমানে হত্যার মূল আসামিসহ অন্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
গতকাল সোমবার ওই গ্রামে গেলে একের পর এক মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের লুটপাট, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের কাহিনি। তুচ্ছ ঘটনায়ও তহিদুল-শাহিন গ্রুপ বিচার-সালিস বসিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ৩০-৪০টি পরিবার প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি, মুরইল, সান্তাহার, নওগাঁসহ বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।
চক্রের সদস্যরা পলাতক থাকার কারণে গ্রামের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। গ্রামছাড়া লোকজন একের পর এক নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। ফিরে দেখেন, তাঁদের বাড়িতে দরজা-জানালা ভাঙাসহ জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে আছে। ফিরে আসা আলিম উদ্দিন জানান, তাঁর কাছ থেকে তহিদুল-শাহিন গ্রুপ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, ওই গ্রুপের অত্যাচারে তাঁর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি এখন নিঃস্ব।
আফজাল হোসেন নামের একজন জানালেন, তিনি শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। তিনি দেড় বছর আগে নিজ গ্রাম ছেড়ে আদমদীঘি সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে তহিদুল-শাহিন গ্রুপের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমিনুলের স্ত্রী রুখসানা বেগম বলেন, ‘গ্রামের দুই গ্রুপের মধ্যে আমার স্বামী প্রথম দিকে ছেদ্দা গ্রুপে ছিলেন, পরে শাহিন গ্রুপে যোগ দেন। ২২ মার্চ মোবাইলে কল করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার সময় আমি মোবাইলে জানতে পারি, আমার স্বামীকে খুন করে ক্লাবঘরের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি, আমার স্বামীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার পরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই পক্ষের সেসব দ্বন্দ্বের মীমাংসা করা হয়। কিন্তু তারপরও দুই লাখ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় তহিদুল-শাহিন গ্রুপের নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি জানতে পেরেছেন।এদিকে ছেলে হত্যার বিচার না পেয়ে হাহাকারে দিন কাটছে আমিনুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেমের।
১৯৭১ সালে সহযোদ্ধা বন্ধু মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের হারিয়ে যে দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রণা হয়েছিল, আজ ৫২ বছর পর ছেলে হত্যার পর আবার নতুন করে সেই শোক-যন্ত্রণা জাপটে ধরেছে। তিনি বলেন, ‘’৭১-এর ঘাতকদের চেয়েও নির্মম ওরা।’ কমান্ডার আবুল কাশেমকে সান্ত্বনা দেওয়ার যেন কেউ নেই। কিছুদিন আগেই হারিয়েছেন স্ত্রীকে। এবার হারালেন ছেলেকে। আর সেই মৃত্যু কোনো রোগে-শোকে নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা।
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা।
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা।
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৫ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রাম। এই গ্রামের লক্ষ্মীকে বিদায় করে দিয়ে দখলে নিয়েছে ‘অসুর’। এটা এখন ‘অসুরপুর’। আর ‘অসুরের দলের’ নাম তহিদুল-শাহিন বাহিনী। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলেই নির্যাতন শুরু করেন এ গ্রুপের সদস্যরা।
২৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৫ দিন আগে