আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
আজ বৃহস্পতিবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স প্রতি ব্যারেল ৬১ ডলারে লেনদেন হয়, যা আগের দিনের তুলনায় ৬ সেন্ট বা ০.১ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ফিউচার্সের দাম দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৫৮.০৯ ডলার, যা ১২ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কম। এর আড়ে গতকাল বুধবার ডব্লিউটিআইয়ের দাম ২০১৪ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।
তেলের বাজারে এই ধসের অন্যতম কারণ চাহিদা হ্রাস ও সরবরাহ বৃদ্ধির শঙ্কা। নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসএস ওয়েলথস্ট্রিটের প্রতিষ্ঠাতা সুগন্ধা সাচদেব জানান, স্বল্প মেয়াদে তেলের দামে আরও পতনের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর মতে, বাজারে দুর্বল চাহিদা ও সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৫ ডলারে নেমে আসার ঝুঁকি রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব সরবরাহ কমিয়ে তেলের বাজারকে সহায়তা করতে আগ্রহী নয় বলে মিত্র দেশ ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের জানিয়ে দিয়েছে। দেশটি কম দামের বাজারে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে প্রস্তুত রয়েছে। এ কারণে বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে।
ওপেক প্লাস জোটভুক্ত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, জোটের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ জুন মাসে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আবারও সুপারিশ করবে। উল্লেখ্য, ওপেক প্লাসের আটটি দেশ ৫ মে একটি বৈঠকে বসবে, যেখানে তারা জুন মাসের উৎপাদন পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।
সাচদেব বলেন, উৎপাদনের গতি বা মাত্রায় যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ভবিষ্যতে বাজারের অস্থিরতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে। শুল্ক আরোপের ফলে উচ্চ ব্যয় এড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই আমদানিতে জোর দেওয়াকে অর্থনীতি সংকোচনের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির জটিলতা ও অনিশ্চয়তা ফুটে উঠেছে বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন।
চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এই বছর মন্দার মুখে পড়তে পারে বলে রয়টার্সের এক জরিপে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ওপেক প্লাসের সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
২০২৫ সালের জন্য বৈশ্বিক তেলের চাহিদার পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার। আগের দৈনিক ৮ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৬ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল করেছে। এর পেছনে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা ও ভারতের দুর্বল চাহিদাকে দায়ী করা হয়েছে।
এপ্রিলে ৪০ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম প্রতি ব্যারেল ৬৮.৯৮ ডলার হবে বলে তাঁরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। মার্চে এই পূর্বাভাস ছিল ৭২.৯৪ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের গড় দামও কমে ৬৫.০৮ ডলারে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা আগের মাসে ছিল ৬৯.১৬ ডলার।
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত ২৭ লাখ ব্যারেল কমেছে। এই হ্রাসের পেছনে উচ্চ রপ্তানি ও শোধনাগারগুলোর বাড়তি চাহিদা কাজ করেছে। অথচ রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকেরা ৪ লাখ ২৯ হাজার ব্যারেল মজুত বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিলেন।
তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সৌদি আরবের সরবরাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিতও এই দরপতনে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
আজ বৃহস্পতিবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স প্রতি ব্যারেল ৬১ ডলারে লেনদেন হয়, যা আগের দিনের তুলনায় ৬ সেন্ট বা ০.১ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ফিউচার্সের দাম দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৫৮.০৯ ডলার, যা ১২ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কম। এর আড়ে গতকাল বুধবার ডব্লিউটিআইয়ের দাম ২০১৪ সালের মার্চের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।
তেলের বাজারে এই ধসের অন্যতম কারণ চাহিদা হ্রাস ও সরবরাহ বৃদ্ধির শঙ্কা। নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসএস ওয়েলথস্ট্রিটের প্রতিষ্ঠাতা সুগন্ধা সাচদেব জানান, স্বল্প মেয়াদে তেলের দামে আরও পতনের আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর মতে, বাজারে দুর্বল চাহিদা ও সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৫ ডলারে নেমে আসার ঝুঁকি রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব সরবরাহ কমিয়ে তেলের বাজারকে সহায়তা করতে আগ্রহী নয় বলে মিত্র দেশ ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের জানিয়ে দিয়েছে। দেশটি কম দামের বাজারে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে প্রস্তুত রয়েছে। এ কারণে বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে।
ওপেক প্লাস জোটভুক্ত তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, জোটের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ জুন মাসে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আবারও সুপারিশ করবে। উল্লেখ্য, ওপেক প্লাসের আটটি দেশ ৫ মে একটি বৈঠকে বসবে, যেখানে তারা জুন মাসের উৎপাদন পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।
সাচদেব বলেন, উৎপাদনের গতি বা মাত্রায় যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ভবিষ্যতে বাজারের অস্থিরতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে। শুল্ক আরোপের ফলে উচ্চ ব্যয় এড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই আমদানিতে জোর দেওয়াকে অর্থনীতি সংকোচনের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির জটিলতা ও অনিশ্চয়তা ফুটে উঠেছে বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন।
চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এই বছর মন্দার মুখে পড়তে পারে বলে রয়টার্সের এক জরিপে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ওপেক প্লাসের সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তেলের দামের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
২০২৫ সালের জন্য বৈশ্বিক তেলের চাহিদার পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার। আগের দৈনিক ৮ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৬ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল করেছে। এর পেছনে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা ও ভারতের দুর্বল চাহিদাকে দায়ী করা হয়েছে।
এপ্রিলে ৪০ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে ব্রেন্ট ক্রুডের গড় দাম প্রতি ব্যারেল ৬৮.৯৮ ডলার হবে বলে তাঁরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। মার্চে এই পূর্বাভাস ছিল ৭২.৯৪ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের গড় দামও কমে ৬৫.০৮ ডলারে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা আগের মাসে ছিল ৬৯.১৬ ডলার।
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত ২৭ লাখ ব্যারেল কমেছে। এই হ্রাসের পেছনে উচ্চ রপ্তানি ও শোধনাগারগুলোর বাড়তি চাহিদা কাজ করেছে। অথচ রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকেরা ৪ লাখ ২৯ হাজার ব্যারেল মজুত বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বলেন, অর্থনীতির দ্রুতবর্ধনশীল ও সম্ভাবনাময় হালাল খাতের বৈশ্বিক বাজার আগামী ২০৩৪ সালের মধ্যে ৯ দশমিক ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। অথচ বাংলাদেশ মাত্র ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানি করে, যার বেশির ভাগ কৃষিভিত্তিক। হালাল
৪ ঘণ্টা আগেরপ্তানি করে না—এমন প্রতিষ্ঠান পাঁচটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে প্রকৃত রপ্তানিকারকের কাছে পণ্য বা সেবা সরবরাহ করলে তা ‘প্রচ্ছন্ন রপ্তানি’ হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
৫ ঘণ্টা আগেরিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অশোক কুমার পাল গ্রেপ্তার হয়েছেন। ১৭ হাজার কোটি রুপির বেশি ব্যাংকঋণ জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে আজ শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
১৩ ঘণ্টা আগেচীনের পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে কার্যকর থাকা ৩০ শতাংশ শুল্কের ওপর এটি যোগ হবে। এর ফলে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্কের হার প্রায় ১৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। আগামী ১ নভেম্বর বা তার আগেই এই নতুন শুল্ক কার্যকর হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে