বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত ভারতের শেয়ারবাজার থেকে ২৩ হাজার ৭১০ কোটি রুপির বেশি মূলধন তুলে নিয়েছেন। এর ফলে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট বিদেশি পুঁজি প্রত্যাহারের পরিমাণ ১ লাখ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ধারা আরও জোরালো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে জিওজিৎ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রধান বিনিয়োগ কৌশলবিদ ভি কে বিজয়কুমার মনে করেন, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও করপোরেট আয়ের পুনরুজ্জীবন ঘটলেই বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আবারও দেশে ফিরতে পারে। তিনি মনে করছেন, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এর কিছু ইঙ্গিত মিলতে পারে।
ডিপোজিটরির তথ্য অনুযায়ী, ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মাসে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতের শেয়ারবাজার থেকে ২৩ হাজার ৭১০ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি করেছেন। এর আগে জানুয়ারিতে মোট ৭৮ হাজার ২৭ কোটি রুপি শেয়ার বিক্রি হয়েছিল। এই দুই মাসের মিলে ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৩৭ কোটি রুপি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এত ব্যাপক শেয়ার বিক্রির ফলে নিফটি সূচক বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে। মর্নিংস্টার ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ইন্ডিয়ার সহযোগী পরিচালক হিমাংশু শ্রীবাস্তব জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন, পাশাপাশি কয়েকটি দেশের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে, ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদীয়মান বাজার, বিশেষ করে ভারতের প্রতি তাদের বিনিয়োগের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছেন। দেশীয় প্রেক্ষাপটে, করপোরেট আয়ের দুর্বলতা এবং ভারতীয় রুপির ধারাবাহিক অবমূল্যায়ন ভারতীয় সম্পদের আকর্ষণীয়তা কমিয়ে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শ্রীবাস্তব।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেশটির শেয়ারবাজারে বিপুল বিদেশি মূলধন প্রবেশ করেছে। তবে সম্প্রতি চীন বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগের বড় গন্তব্য হয়ে উঠেছে বলে জানান ভি কে বিজয়কুমার। তাঁর মতে, চীনা প্রেসিডেন্ট তাদের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, তা দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে।
বিজয়কুমার বলেন, ‘চীনা শেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে এখনো কম, ফলে ভারতে বিক্রি করে চীনে কেনার প্রবণতা কিছুদিন চলতে পারে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, এই প্রবণতা বেশি দিন স্থায়ী হয় না, কারণ চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাঠামোগত বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
এ ছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ঋণ বাজার থেকেও টাকা তুলে নিচ্ছেন। তারা সাধারণ ঋণ সীমা থেকে ৭ হাজার ৩৫২ কোটি রুপি এবং ভলান্টারি রিটেনশন রুট বা স্বেচ্ছামূলক ঋণ খাত থেকে ৩ হাজার ৮২২ কোটি রুপি তুলে নিয়েছেন।
সামগ্রিকভাবে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে তারা ভারতীয় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ অনেকটাই কমিয়েছেন, যেখানে সেই বছর মোট নিট প্রবাহ ছিল মাত্র ৪২৭ কোটি রুপি।
এর আগে, ২০২৩ সালে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির প্রতি আস্থার কারণে রেকর্ড ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি রুপির নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। তবে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী সুদহার বৃদ্ধির কারণে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি রুপি মূলধন ভারত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত ভারতের শেয়ারবাজার থেকে ২৩ হাজার ৭১০ কোটি রুপির বেশি মূলধন তুলে নিয়েছেন। এর ফলে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট বিদেশি পুঁজি প্রত্যাহারের পরিমাণ ১ লাখ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ধারা আরও জোরালো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে জিওজিৎ ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রধান বিনিয়োগ কৌশলবিদ ভি কে বিজয়কুমার মনে করেন, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও করপোরেট আয়ের পুনরুজ্জীবন ঘটলেই বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আবারও দেশে ফিরতে পারে। তিনি মনে করছেন, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এর কিছু ইঙ্গিত মিলতে পারে।
ডিপোজিটরির তথ্য অনুযায়ী, ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মাসে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতের শেয়ারবাজার থেকে ২৩ হাজার ৭১০ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি করেছেন। এর আগে জানুয়ারিতে মোট ৭৮ হাজার ২৭ কোটি রুপি শেয়ার বিক্রি হয়েছিল। এই দুই মাসের মিলে ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৩৭ কোটি রুপি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এত ব্যাপক শেয়ার বিক্রির ফলে নিফটি সূচক বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে। মর্নিংস্টার ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ইন্ডিয়ার সহযোগী পরিচালক হিমাংশু শ্রীবাস্তব জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন, পাশাপাশি কয়েকটি দেশের ওপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে, ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদীয়মান বাজার, বিশেষ করে ভারতের প্রতি তাদের বিনিয়োগের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছেন। দেশীয় প্রেক্ষাপটে, করপোরেট আয়ের দুর্বলতা এবং ভারতীয় রুপির ধারাবাহিক অবমূল্যায়ন ভারতীয় সম্পদের আকর্ষণীয়তা কমিয়ে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শ্রীবাস্তব।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেশটির শেয়ারবাজারে বিপুল বিদেশি মূলধন প্রবেশ করেছে। তবে সম্প্রতি চীন বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগের বড় গন্তব্য হয়ে উঠেছে বলে জানান ভি কে বিজয়কুমার। তাঁর মতে, চীনা প্রেসিডেন্ট তাদের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, তা দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে।
বিজয়কুমার বলেন, ‘চীনা শেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে এখনো কম, ফলে ভারতে বিক্রি করে চীনে কেনার প্রবণতা কিছুদিন চলতে পারে। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, এই প্রবণতা বেশি দিন স্থায়ী হয় না, কারণ চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাঠামোগত বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
এ ছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ঋণ বাজার থেকেও টাকা তুলে নিচ্ছেন। তারা সাধারণ ঋণ সীমা থেকে ৭ হাজার ৩৫২ কোটি রুপি এবং ভলান্টারি রিটেনশন রুট বা স্বেচ্ছামূলক ঋণ খাত থেকে ৩ হাজার ৮২২ কোটি রুপি তুলে নিয়েছেন।
সামগ্রিকভাবে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে তারা ভারতীয় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ অনেকটাই কমিয়েছেন, যেখানে সেই বছর মোট নিট প্রবাহ ছিল মাত্র ৪২৭ কোটি রুপি।
এর আগে, ২০২৩ সালে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির প্রতি আস্থার কারণে রেকর্ড ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি রুপির নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। তবে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী সুদহার বৃদ্ধির কারণে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি রুপি মূলধন ভারত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
৪ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
১১ ঘণ্টা আগে