রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে করোনা মহামারির পর বিশ্বে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সংকোচন দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। বৈশ্বিক পণ্যবাণিজ্য প্রবৃদ্ধির আগের পূর্বাভাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বৈশ্বিক অর্থনীতি দুটি ভূ-রাজনৈতিক ব্লকে বিভক্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ডব্লিউটিও। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর পণ্যবাণিজ্য দশমিক ২ শতাংশ কমে যেতে পেতে পারে, যেখানে গত অক্টোবরের দেওয়া পূর্বাভাসে পণ্যবাণিজ্যে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুর পরিস্থিতির ভিত্তিতে নতুন পূর্বাভাস তৈরি করা হয়েছে।
ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, ‘আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, বৈশ্বিক পণ্যবাণিজ্যের সংকোচন আমাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয়।’
চলতি মাসেই স্টিল ও গাড়ি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অনেকগুলো দেশে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেন। তবে হঠাৎ করে কিছু দেশের জন্য তা স্থগিতও করেন। তবে চীনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ চলছে।
ডব্লিউটিওর মতে, ট্রাম্প স্থগিত করা শুল্কহার পুরো পুনর্বহাল করলে পণ্যবাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমবে এবং এর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রসম্পর্কিত বাণিজ্য বিবেচনায় নিয়ে আরও দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট হ্রাস পাবে। দুটি মিলিয়ে মোট ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমবে, যা ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ পতন।
ওকোনজো-ইওয়েলা আরও বলেন, ‘পণ্যবাণিজ্য সংকুচিত হলে তার প্রভাব বৈশ্বিক জিডিপিতেও পড়বে। বাণিজ্য বিষয়ে উদ্বেগ আর্থিক বাজারসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোও ঝুঁকিতে পড়বে।’
ডব্লিউটিও প্রধান জানান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে (ডিকাপলিং) তাঁর সবচেয়ে বড় ভয়। সংস্থাটির অনুমান, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন পণ্যবাণিজ্য ৮১ শতাংশ কমবে। স্মার্টফোনের মতো কিছু পণ্যে সাম্প্রতিক ছাড় না দিলে তা বেড়ে ৯১ শতাংশ হতে পারত।
ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে দুটি ভূ-রাজনৈতিক ব্লকে বিভক্ত করে ফেললে তার প্রভাব হবে ‘মারাত্মক ও ব্যাপক’। এর ফলে বৈশ্বিক জিডিপি দীর্ঘমেয়াদে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
আইএমএফের সাবেক নির্বাহী পরিচালক হেক্টর টরেস রয়টার্সকে বলেন, বাণিজ্যব্যবস্থায় বর্তমান অস্থিরতার কারণে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সরকারগুলোর সক্ষমতার উপরই এখন সব প্রত্যাশা নির্ভর করছে।
এদিকে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) বুধবার বলেছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে।
ডব্লিউটিওর হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতির কারণে উত্তর আমেরিকা ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে চীনা রপ্তানি ৪ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টেক্সটাইল, পোশাক ও ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির মতো খাতে শূন্যতা পূরণের সুযোগ পাবে অন্য দেশগুলো।
শুল্কের আওতায় না পড়লেও পণ্যবাণিজ্য সংকোচনের প্রভাবে পরিষেবা বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবহন, লজিস্টিকস ও ভ্রমণসংশ্লিষ্ট খাতে চাহিদা কমে যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে করোনা মহামারির পর বিশ্বে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সংকোচন দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। বৈশ্বিক পণ্যবাণিজ্য প্রবৃদ্ধির আগের পূর্বাভাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বৈশ্বিক অর্থনীতি দুটি ভূ-রাজনৈতিক ব্লকে বিভক্ত হলে দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ডব্লিউটিও। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর পণ্যবাণিজ্য দশমিক ২ শতাংশ কমে যেতে পেতে পারে, যেখানে গত অক্টোবরের দেওয়া পূর্বাভাসে পণ্যবাণিজ্যে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুর পরিস্থিতির ভিত্তিতে নতুন পূর্বাভাস তৈরি করা হয়েছে।
ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, ‘আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ, বৈশ্বিক পণ্যবাণিজ্যের সংকোচন আমাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয়।’
চলতি মাসেই স্টিল ও গাড়ি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অনেকগুলো দেশে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেন। তবে হঠাৎ করে কিছু দেশের জন্য তা স্থগিতও করেন। তবে চীনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ চলছে।
ডব্লিউটিওর মতে, ট্রাম্প স্থগিত করা শুল্কহার পুরো পুনর্বহাল করলে পণ্যবাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমবে এবং এর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রসম্পর্কিত বাণিজ্য বিবেচনায় নিয়ে আরও দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট হ্রাস পাবে। দুটি মিলিয়ে মোট ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমবে, যা ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ পতন।
ওকোনজো-ইওয়েলা আরও বলেন, ‘পণ্যবাণিজ্য সংকুচিত হলে তার প্রভাব বৈশ্বিক জিডিপিতেও পড়বে। বাণিজ্য বিষয়ে উদ্বেগ আর্থিক বাজারসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোও ঝুঁকিতে পড়বে।’
ডব্লিউটিও প্রধান জানান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে (ডিকাপলিং) তাঁর সবচেয়ে বড় ভয়। সংস্থাটির অনুমান, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন পণ্যবাণিজ্য ৮১ শতাংশ কমবে। স্মার্টফোনের মতো কিছু পণ্যে সাম্প্রতিক ছাড় না দিলে তা বেড়ে ৯১ শতাংশ হতে পারত।
ওকোনজো-ইওয়েলা বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে দুটি ভূ-রাজনৈতিক ব্লকে বিভক্ত করে ফেললে তার প্রভাব হবে ‘মারাত্মক ও ব্যাপক’। এর ফলে বৈশ্বিক জিডিপি দীর্ঘমেয়াদে ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
আইএমএফের সাবেক নির্বাহী পরিচালক হেক্টর টরেস রয়টার্সকে বলেন, বাণিজ্যব্যবস্থায় বর্তমান অস্থিরতার কারণে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সরকারগুলোর সক্ষমতার উপরই এখন সব প্রত্যাশা নির্ভর করছে।
এদিকে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) বুধবার বলেছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে।
ডব্লিউটিওর হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্কে অবনতির কারণে উত্তর আমেরিকা ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে চীনা রপ্তানি ৪ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে টেক্সটাইল, পোশাক ও ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির মতো খাতে শূন্যতা পূরণের সুযোগ পাবে অন্য দেশগুলো।
শুল্কের আওতায় না পড়লেও পণ্যবাণিজ্য সংকোচনের প্রভাবে পরিষেবা বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরিবহন, লজিস্টিকস ও ভ্রমণসংশ্লিষ্ট খাতে চাহিদা কমে যাবে।
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে ‘নতুন ধারার জালিয়াতি’ হচ্ছে— এমন অভিযোগ আসার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেএবারের ড্রয়ে প্রতি সিরিজে সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে থাকছে ৬ লাখ টাকার একটি করে পুরস্কার। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার একটি, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকার দুটি, চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৫০ হাজার টাকার দুটি এবং পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকার মোট ৪০টি পুরস্কার দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগেমোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এ হিসাব করা হয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপির আকার এখন ৪৫০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। এটি ২০২৪ সালের হিসাবের ভিত্তিতে করা। জাপানকে এই তালিকায় রাখা হলে বাংলাদেশের অবস্থান অবশ্য একধাপ নিচে নেমে আসবে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হালাল পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করবে এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
৬ ঘণ্টা আগে