অনলাইন ডেস্ক
ভারত সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এবং স্থানীয়ভাবে বাম্পার ফলনের কারণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে গত দশ দিনে চালের দাম ১৬ শতাংশ কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম আরও কমতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনপ্রিয় আধাসিদ্ধ মিনিকেট চাল, প্রতি মাসে ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানি হতো। দাম পড়ত কেজি প্রতি ৬২ রুপি। সেটি এখন কমে ৫৩ রুপিতে নেমেছে।
ভারতের অন্যান্য অংশে গত ডিসেম্বরেই চালের দাম কমেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে রপ্তানি চালু থাকায় পূর্বাঞ্চলে দাম বেশি ছিল।
হাল্ডার ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চাল রপ্তানিকারক কেশব কুমার হালদার ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘ভূ–রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ গত জানুয়ারিতে বেসরকারিভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন আধাসিদ্ধ চালের আমদানি শুরু করে। এর আগে বাংলাদেশ সরকারি চুক্তির মাধ্যমে আমদানি করত। বেসরকারিভাবে আমদানি শুরু হওয়ায় চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে চালের দামে পরিবর্তন দেখা যায়।’
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার আগে বেসরকারিভাবে আধাসিদ্ধ চাল আমদানির কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ সরকার কোনো চাল আমদানি করেনি এবং প্রয়োজন হলে সরকারের মাধ্যমেই আমদানি করত, জানান হালদার।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ থাকবে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর, দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সরকার ৯২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে চাল আনার অনুমতি দেয়। এর মাধ্যমে ২ লাখ ৭৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে ভারত থেকে রপ্তানি বাড়ে।
পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চাল আমদানি করা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জন্য অনেক সাশ্রয়ী। রাইসভিলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চাল রপ্তানিকারক সুরজ আগরওয়াল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টন আধাসিদ্ধ মিনিকেট চাল উৎপাদিত হয়েছে। দেশের অন্যান্য অংশে চালের দাম কমলেও, পূর্বাঞ্চলে দাম বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পর ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে আধাসিদ্ধ চাল সরবরাহ করে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দাম কেজি প্রতি ৪৫ রুপি থেকে বেড়ে ৬২ রুপিতে দাঁড়িয়েছে।’
মিনিকেট আধাসিদ্ধ চালের দাম বেশি হওয়ায় মানুষ অন্য, সস্তা চালের দিকে ঝুঁকেছে, বলেন আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘মিনিকেট চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বাংলাদেশ বেসরকারিভাবে চাল আমদানি না করার ঘোষণা দেওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমতে পারে।’
উল্লেখ্য, ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় চালের আমদানি শুল্ক। গত বছরের ১৭ নভেম্বর ৯২ আমদানিকারককে ২ লাখ ৭৩ হাজার টন সেদ্ধ এবং ১ লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ১৬ এপ্রিল চাল আমদানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারত সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় এবং স্থানীয়ভাবে বাম্পার ফলনের কারণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে গত দশ দিনে চালের দাম ১৬ শতাংশ কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম আরও কমতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনপ্রিয় আধাসিদ্ধ মিনিকেট চাল, প্রতি মাসে ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানি হতো। দাম পড়ত কেজি প্রতি ৬২ রুপি। সেটি এখন কমে ৫৩ রুপিতে নেমেছে।
ভারতের অন্যান্য অংশে গত ডিসেম্বরেই চালের দাম কমেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে রপ্তানি চালু থাকায় পূর্বাঞ্চলে দাম বেশি ছিল।
হাল্ডার ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চাল রপ্তানিকারক কেশব কুমার হালদার ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘ভূ–রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ গত জানুয়ারিতে বেসরকারিভাবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন আধাসিদ্ধ চালের আমদানি শুরু করে। এর আগে বাংলাদেশ সরকারি চুক্তির মাধ্যমে আমদানি করত। বেসরকারিভাবে আমদানি শুরু হওয়ায় চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে চালের দামে পরিবর্তন দেখা যায়।’
ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার আগে বেসরকারিভাবে আধাসিদ্ধ চাল আমদানির কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ সরকার কোনো চাল আমদানি করেনি এবং প্রয়োজন হলে সরকারের মাধ্যমেই আমদানি করত, জানান হালদার।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল থেকে চাল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ থাকবে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক।
গত বছরের ১৭ নভেম্বর, দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সরকার ৯২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে চাল আনার অনুমতি দেয়। এর মাধ্যমে ২ লাখ ৭৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে ভারত থেকে রপ্তানি বাড়ে।
পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চাল আমদানি করা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জন্য অনেক সাশ্রয়ী। রাইসভিলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চাল রপ্তানিকারক সুরজ আগরওয়াল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার টন আধাসিদ্ধ মিনিকেট চাল উৎপাদিত হয়েছে। দেশের অন্যান্য অংশে চালের দাম কমলেও, পূর্বাঞ্চলে দাম বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পর ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে আধাসিদ্ধ চাল সরবরাহ করে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দাম কেজি প্রতি ৪৫ রুপি থেকে বেড়ে ৬২ রুপিতে দাঁড়িয়েছে।’
মিনিকেট আধাসিদ্ধ চালের দাম বেশি হওয়ায় মানুষ অন্য, সস্তা চালের দিকে ঝুঁকেছে, বলেন আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘মিনিকেট চালের চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বাংলাদেশ বেসরকারিভাবে চাল আমদানি না করার ঘোষণা দেওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমতে পারে।’
উল্লেখ্য, ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় চালের আমদানি শুল্ক। গত বছরের ১৭ নভেম্বর ৯২ আমদানিকারককে ২ লাখ ৭৩ হাজার টন সেদ্ধ এবং ১ লাখ ১৯ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ১৬ এপ্রিল চাল আমদানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশীয় মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফলের বাজারে নেমেছে স্বস্তির ছোঁয়া। আম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, পেয়ারা, আনারস, ড্রাগনের মতো ফলের প্রাচুর্যে শুধু দেশীয় ফল নয়; দাম কমেছে আমদানিকৃত আপেল, মাল্টা, আঙুরেরও।
২ ঘণ্টা আগেবেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৬ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৬ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
১০ ঘণ্টা আগে