আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘দীপাবলি’ এবং ‘ধনতেরাস’। এই দুই দিনই সোনা বা রূপার মতো মূল্যবান ধাতু কেনার জন্য খুবই শুভ বলে মনে করেন তাঁরা। তাই হাজার হাজার ভারতীয় এ সময়টাতে সোনা ও রূপার কয়েন, বার বা গয়না কিনতে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে। তাদের বিশ্বাস, এগুলো ঘরে সম্পদ ও ভাগ্য নিয়ে আসে।
সোনার দাম আকাশ ছুঁলেও ভারতীয়রা এখনো সোনা কেনার প্রতি তাদের টান পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সোনার বাজারে গয়নার চাহিদা হয়তো এই বছর কিছুটা কমেছে তবে একদমই বন্ধ হয়নি।
দীপাবলিকে সামনে রেখে ছুটির দিনগুলোতেও দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। উৎসব উপলক্ষে ফুল আর আলোয় সাজানো দোকানগুলোর ঝলমলে সাইনবোর্ড ক্রেতাদের ডাকছে নতুন রূপে।
কুমার জুয়েলস নামে একটি পারিবারিক ব্যবসার স্বত্বাধিকারী প্রকাশ পাহলাজানি বিবিসিকে জানান, দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মনে ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট বা কিছু হারানোর ভয়) তৈরি হয়েছে। তাঁরা চিন্তিত যে দাম হয়তো আরও বাড়বে। এ কারণে এই বছর গ্রাহক আরও বেড়েছে।
গত বছরের চেয়ে ৬০ ও ৭০ শতাংশ বেড়েছে সোনা ও রূপার দাম। এ অবস্থায় বিক্রেতারা গ্রাহকের বাজেট সামলাতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
গয়না ব্যবসায়ী তানিশক গুপ্তা বলেন, “মানুষ এসে বলছে না, আমি কিনব না’। বরং বলছে, ‘আমি একটু কম করে কিনব’।”
তিনি আরও জানান, তাঁকে নতুন ধাঁচে গয়না তৈরি করতে হচ্ছে। এমন গয়না বানাতে হয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ জমকালো কিন্তু সোনার পরিমাণ কম। যেমন— ২৫০ মিলিগ্রাম সোনার কয়েন যার দাম মাত্র ৩৫ ডলার, সেটিকে এখন পাতলা করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ওজনে হালকা হলেও দেখতে বড় মনে হয়। বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের মতো খুবই হালকা কয়েনও বিক্রি হচ্ছে।
এই এলাকার আরেক বিক্রেতা পুষ্পিন্দর চৌহান বলেন, দাম বাড়ার কারণে এই বছর হালকা গয়নার চাহিদা আরও বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা শুধু উৎসবের জন্য নয়, রোজকার ব্যবহারের জন্যও হালকা গয়না চায়।
বিবিসিকে একাধিক গয়না ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশি সংখ্যক গ্রাহক গয়নার বদলে বিনিয়োগের জন্য সোনা ও রূপা কিনছেন। বুলিয়ন (সোনার বার) বাজারের তথ্যেও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)-এর মতে, ভারতের সোনার মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই গয়না হলেও, বার ও কয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কাউন্সিলের গবেষণা প্রধান কবিতা চাকো বিবিসিকে জানান, ‘গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গয়নার অংশ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, আর বিনিয়োগের চাহিদা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।’
এর অনেকটা চাহিদা আসছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডস (ইটিএফস) বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমেও। সেপ্টেম্বরে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এই বছর ইটিএফস-এ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা চাহিদা ছাড়াও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর কারণেও সোনার দাম বাড়ছে। ডব্লিউজিসির মতে, ২০২৫ সালে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।
কোঠাক সিকিউরিটিজের পণ্য বিশেষজ্ঞ কায়নাত চেনওয়ালা বলেন, আরবিআই গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদার একটি ‘প্রধান ভিত্তি’ হয়ে উঠেছে। ব্যাংকটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিতে সোনা মজুত করছে।
উৎসব এবং বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় থাকলেও সোনা ও রূপার খুচরা চাহিদা কমবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিশ বলেন, ‘ধনী শ্রেণি কেনা চালিয়ে যাবে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এটি একটি ধাক্কা। পরিমাণে কমলেও, অর্থের দিক থেকে চাহিদা বজায় থাকবে।’
সোনার দোকানের সামনে ভাবনা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এখন কেনার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হচ্ছে যে কিনব কি না।’ আপাতত তিনি কেনা বন্ধ রেখেছেন এবং দাম কমার অপেক্ষা করছেন, যাতে বিয়ের বাকি কেনাকাটা সারতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে গয়না কেনার প্রবণতা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সোনা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে সেখানে ভাবা হয়। অনেক ভারতীয়র কাছে এটি বিপদের উত্তম সঙ্গী।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আছে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাকরা এবং বাণী গম্ভীরা জানান, স্বর্ণের দাম বাড়ায় এটি মানুষের সম্পদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার কারণে কম সুদের সুবিধা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর কমানোর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় পরিবারগুলো।
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘দীপাবলি’ এবং ‘ধনতেরাস’। এই দুই দিনই সোনা বা রূপার মতো মূল্যবান ধাতু কেনার জন্য খুবই শুভ বলে মনে করেন তাঁরা। তাই হাজার হাজার ভারতীয় এ সময়টাতে সোনা ও রূপার কয়েন, বার বা গয়না কিনতে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে। তাদের বিশ্বাস, এগুলো ঘরে সম্পদ ও ভাগ্য নিয়ে আসে।
সোনার দাম আকাশ ছুঁলেও ভারতীয়রা এখনো সোনা কেনার প্রতি তাদের টান পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সোনার বাজারে গয়নার চাহিদা হয়তো এই বছর কিছুটা কমেছে তবে একদমই বন্ধ হয়নি।
দীপাবলিকে সামনে রেখে ছুটির দিনগুলোতেও দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। উৎসব উপলক্ষে ফুল আর আলোয় সাজানো দোকানগুলোর ঝলমলে সাইনবোর্ড ক্রেতাদের ডাকছে নতুন রূপে।
কুমার জুয়েলস নামে একটি পারিবারিক ব্যবসার স্বত্বাধিকারী প্রকাশ পাহলাজানি বিবিসিকে জানান, দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মনে ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট বা কিছু হারানোর ভয়) তৈরি হয়েছে। তাঁরা চিন্তিত যে দাম হয়তো আরও বাড়বে। এ কারণে এই বছর গ্রাহক আরও বেড়েছে।
গত বছরের চেয়ে ৬০ ও ৭০ শতাংশ বেড়েছে সোনা ও রূপার দাম। এ অবস্থায় বিক্রেতারা গ্রাহকের বাজেট সামলাতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
গয়না ব্যবসায়ী তানিশক গুপ্তা বলেন, “মানুষ এসে বলছে না, আমি কিনব না’। বরং বলছে, ‘আমি একটু কম করে কিনব’।”
তিনি আরও জানান, তাঁকে নতুন ধাঁচে গয়না তৈরি করতে হচ্ছে। এমন গয়না বানাতে হয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ জমকালো কিন্তু সোনার পরিমাণ কম। যেমন— ২৫০ মিলিগ্রাম সোনার কয়েন যার দাম মাত্র ৩৫ ডলার, সেটিকে এখন পাতলা করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ওজনে হালকা হলেও দেখতে বড় মনে হয়। বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের মতো খুবই হালকা কয়েনও বিক্রি হচ্ছে।
এই এলাকার আরেক বিক্রেতা পুষ্পিন্দর চৌহান বলেন, দাম বাড়ার কারণে এই বছর হালকা গয়নার চাহিদা আরও বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা শুধু উৎসবের জন্য নয়, রোজকার ব্যবহারের জন্যও হালকা গয়না চায়।
বিবিসিকে একাধিক গয়না ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশি সংখ্যক গ্রাহক গয়নার বদলে বিনিয়োগের জন্য সোনা ও রূপা কিনছেন। বুলিয়ন (সোনার বার) বাজারের তথ্যেও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)-এর মতে, ভারতের সোনার মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই গয়না হলেও, বার ও কয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কাউন্সিলের গবেষণা প্রধান কবিতা চাকো বিবিসিকে জানান, ‘গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গয়নার অংশ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, আর বিনিয়োগের চাহিদা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।’
এর অনেকটা চাহিদা আসছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডস (ইটিএফস) বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমেও। সেপ্টেম্বরে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এই বছর ইটিএফস-এ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা চাহিদা ছাড়াও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর কারণেও সোনার দাম বাড়ছে। ডব্লিউজিসির মতে, ২০২৫ সালে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।
কোঠাক সিকিউরিটিজের পণ্য বিশেষজ্ঞ কায়নাত চেনওয়ালা বলেন, আরবিআই গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদার একটি ‘প্রধান ভিত্তি’ হয়ে উঠেছে। ব্যাংকটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিতে সোনা মজুত করছে।
উৎসব এবং বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় থাকলেও সোনা ও রূপার খুচরা চাহিদা কমবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিশ বলেন, ‘ধনী শ্রেণি কেনা চালিয়ে যাবে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এটি একটি ধাক্কা। পরিমাণে কমলেও, অর্থের দিক থেকে চাহিদা বজায় থাকবে।’
সোনার দোকানের সামনে ভাবনা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এখন কেনার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হচ্ছে যে কিনব কি না।’ আপাতত তিনি কেনা বন্ধ রেখেছেন এবং দাম কমার অপেক্ষা করছেন, যাতে বিয়ের বাকি কেনাকাটা সারতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে গয়না কেনার প্রবণতা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সোনা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে সেখানে ভাবা হয়। অনেক ভারতীয়র কাছে এটি বিপদের উত্তম সঙ্গী।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আছে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাকরা এবং বাণী গম্ভীরা জানান, স্বর্ণের দাম বাড়ায় এটি মানুষের সম্পদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার কারণে কম সুদের সুবিধা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর কমানোর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় পরিবারগুলো।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘দীপাবলি’ এবং ‘ধনতেরাস’। এই দুই দিনই সোনা বা রূপার মতো মূল্যবান ধাতু কেনার জন্য খুবই শুভ বলে মনে করেন তাঁরা। তাই হাজার হাজার ভারতীয় এ সময়টাতে সোনা ও রূপার কয়েন, বার বা গয়না কিনতে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে। তাদের বিশ্বাস, এগুলো ঘরে সম্পদ ও ভাগ্য নিয়ে আসে।
সোনার দাম আকাশ ছুঁলেও ভারতীয়রা এখনো সোনা কেনার প্রতি তাদের টান পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সোনার বাজারে গয়নার চাহিদা হয়তো এই বছর কিছুটা কমেছে তবে একদমই বন্ধ হয়নি।
দীপাবলিকে সামনে রেখে ছুটির দিনগুলোতেও দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। উৎসব উপলক্ষে ফুল আর আলোয় সাজানো দোকানগুলোর ঝলমলে সাইনবোর্ড ক্রেতাদের ডাকছে নতুন রূপে।
কুমার জুয়েলস নামে একটি পারিবারিক ব্যবসার স্বত্বাধিকারী প্রকাশ পাহলাজানি বিবিসিকে জানান, দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মনে ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট বা কিছু হারানোর ভয়) তৈরি হয়েছে। তাঁরা চিন্তিত যে দাম হয়তো আরও বাড়বে। এ কারণে এই বছর গ্রাহক আরও বেড়েছে।
গত বছরের চেয়ে ৬০ ও ৭০ শতাংশ বেড়েছে সোনা ও রূপার দাম। এ অবস্থায় বিক্রেতারা গ্রাহকের বাজেট সামলাতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
গয়না ব্যবসায়ী তানিশক গুপ্তা বলেন, “মানুষ এসে বলছে না, আমি কিনব না’। বরং বলছে, ‘আমি একটু কম করে কিনব’।”
তিনি আরও জানান, তাঁকে নতুন ধাঁচে গয়না তৈরি করতে হচ্ছে। এমন গয়না বানাতে হয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ জমকালো কিন্তু সোনার পরিমাণ কম। যেমন— ২৫০ মিলিগ্রাম সোনার কয়েন যার দাম মাত্র ৩৫ ডলার, সেটিকে এখন পাতলা করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ওজনে হালকা হলেও দেখতে বড় মনে হয়। বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের মতো খুবই হালকা কয়েনও বিক্রি হচ্ছে।
এই এলাকার আরেক বিক্রেতা পুষ্পিন্দর চৌহান বলেন, দাম বাড়ার কারণে এই বছর হালকা গয়নার চাহিদা আরও বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা শুধু উৎসবের জন্য নয়, রোজকার ব্যবহারের জন্যও হালকা গয়না চায়।
বিবিসিকে একাধিক গয়না ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশি সংখ্যক গ্রাহক গয়নার বদলে বিনিয়োগের জন্য সোনা ও রূপা কিনছেন। বুলিয়ন (সোনার বার) বাজারের তথ্যেও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)-এর মতে, ভারতের সোনার মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই গয়না হলেও, বার ও কয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কাউন্সিলের গবেষণা প্রধান কবিতা চাকো বিবিসিকে জানান, ‘গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গয়নার অংশ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, আর বিনিয়োগের চাহিদা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।’
এর অনেকটা চাহিদা আসছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডস (ইটিএফস) বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমেও। সেপ্টেম্বরে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এই বছর ইটিএফস-এ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা চাহিদা ছাড়াও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর কারণেও সোনার দাম বাড়ছে। ডব্লিউজিসির মতে, ২০২৫ সালে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।
কোঠাক সিকিউরিটিজের পণ্য বিশেষজ্ঞ কায়নাত চেনওয়ালা বলেন, আরবিআই গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদার একটি ‘প্রধান ভিত্তি’ হয়ে উঠেছে। ব্যাংকটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিতে সোনা মজুত করছে।
উৎসব এবং বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় থাকলেও সোনা ও রূপার খুচরা চাহিদা কমবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিশ বলেন, ‘ধনী শ্রেণি কেনা চালিয়ে যাবে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এটি একটি ধাক্কা। পরিমাণে কমলেও, অর্থের দিক থেকে চাহিদা বজায় থাকবে।’
সোনার দোকানের সামনে ভাবনা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এখন কেনার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হচ্ছে যে কিনব কি না।’ আপাতত তিনি কেনা বন্ধ রেখেছেন এবং দাম কমার অপেক্ষা করছেন, যাতে বিয়ের বাকি কেনাকাটা সারতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে গয়না কেনার প্রবণতা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সোনা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে সেখানে ভাবা হয়। অনেক ভারতীয়র কাছে এটি বিপদের উত্তম সঙ্গী।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আছে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাকরা এবং বাণী গম্ভীরা জানান, স্বর্ণের দাম বাড়ায় এটি মানুষের সম্পদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার কারণে কম সুদের সুবিধা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর কমানোর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় পরিবারগুলো।
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘দীপাবলি’ এবং ‘ধনতেরাস’। এই দুই দিনই সোনা বা রূপার মতো মূল্যবান ধাতু কেনার জন্য খুবই শুভ বলে মনে করেন তাঁরা। তাই হাজার হাজার ভারতীয় এ সময়টাতে সোনা ও রূপার কয়েন, বার বা গয়না কিনতে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে। তাদের বিশ্বাস, এগুলো ঘরে সম্পদ ও ভাগ্য নিয়ে আসে।
সোনার দাম আকাশ ছুঁলেও ভারতীয়রা এখনো সোনা কেনার প্রতি তাদের টান পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সোনার বাজারে গয়নার চাহিদা হয়তো এই বছর কিছুটা কমেছে তবে একদমই বন্ধ হয়নি।
দীপাবলিকে সামনে রেখে ছুটির দিনগুলোতেও দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। উৎসব উপলক্ষে ফুল আর আলোয় সাজানো দোকানগুলোর ঝলমলে সাইনবোর্ড ক্রেতাদের ডাকছে নতুন রূপে।
কুমার জুয়েলস নামে একটি পারিবারিক ব্যবসার স্বত্বাধিকারী প্রকাশ পাহলাজানি বিবিসিকে জানান, দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মনে ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট বা কিছু হারানোর ভয়) তৈরি হয়েছে। তাঁরা চিন্তিত যে দাম হয়তো আরও বাড়বে। এ কারণে এই বছর গ্রাহক আরও বেড়েছে।
গত বছরের চেয়ে ৬০ ও ৭০ শতাংশ বেড়েছে সোনা ও রূপার দাম। এ অবস্থায় বিক্রেতারা গ্রাহকের বাজেট সামলাতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
গয়না ব্যবসায়ী তানিশক গুপ্তা বলেন, “মানুষ এসে বলছে না, আমি কিনব না’। বরং বলছে, ‘আমি একটু কম করে কিনব’।”
তিনি আরও জানান, তাঁকে নতুন ধাঁচে গয়না তৈরি করতে হচ্ছে। এমন গয়না বানাতে হয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ জমকালো কিন্তু সোনার পরিমাণ কম। যেমন— ২৫০ মিলিগ্রাম সোনার কয়েন যার দাম মাত্র ৩৫ ডলার, সেটিকে এখন পাতলা করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ওজনে হালকা হলেও দেখতে বড় মনে হয়। বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের মতো খুবই হালকা কয়েনও বিক্রি হচ্ছে।
এই এলাকার আরেক বিক্রেতা পুষ্পিন্দর চৌহান বলেন, দাম বাড়ার কারণে এই বছর হালকা গয়নার চাহিদা আরও বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা শুধু উৎসবের জন্য নয়, রোজকার ব্যবহারের জন্যও হালকা গয়না চায়।
বিবিসিকে একাধিক গয়না ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশি সংখ্যক গ্রাহক গয়নার বদলে বিনিয়োগের জন্য সোনা ও রূপা কিনছেন। বুলিয়ন (সোনার বার) বাজারের তথ্যেও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)-এর মতে, ভারতের সোনার মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই গয়না হলেও, বার ও কয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কাউন্সিলের গবেষণা প্রধান কবিতা চাকো বিবিসিকে জানান, ‘গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গয়নার অংশ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, আর বিনিয়োগের চাহিদা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।’
এর অনেকটা চাহিদা আসছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডস (ইটিএফস) বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমেও। সেপ্টেম্বরে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এই বছর ইটিএফস-এ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা চাহিদা ছাড়াও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর কারণেও সোনার দাম বাড়ছে। ডব্লিউজিসির মতে, ২০২৫ সালে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।
কোঠাক সিকিউরিটিজের পণ্য বিশেষজ্ঞ কায়নাত চেনওয়ালা বলেন, আরবিআই গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদার একটি ‘প্রধান ভিত্তি’ হয়ে উঠেছে। ব্যাংকটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিতে সোনা মজুত করছে।
উৎসব এবং বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় থাকলেও সোনা ও রূপার খুচরা চাহিদা কমবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিশ বলেন, ‘ধনী শ্রেণি কেনা চালিয়ে যাবে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এটি একটি ধাক্কা। পরিমাণে কমলেও, অর্থের দিক থেকে চাহিদা বজায় থাকবে।’
সোনার দোকানের সামনে ভাবনা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এখন কেনার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হচ্ছে যে কিনব কি না।’ আপাতত তিনি কেনা বন্ধ রেখেছেন এবং দাম কমার অপেক্ষা করছেন, যাতে বিয়ের বাকি কেনাকাটা সারতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে গয়না কেনার প্রবণতা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সোনা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে সেখানে ভাবা হয়। অনেক ভারতীয়র কাছে এটি বিপদের উত্তম সঙ্গী।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আছে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাকরা এবং বাণী গম্ভীরা জানান, স্বর্ণের দাম বাড়ায় এটি মানুষের সম্পদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার কারণে কম সুদের সুবিধা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর কমানোর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় পরিবারগুলো।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
৭ ঘণ্টা আগেসিটি ব্যাংক পিএলসির সাম্প্রতিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা রুবেল আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরডির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন আইআরডির উপসচিব (শুল্ক-১ ও শুল্ক-২ শাখা) পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টমস: নীতি) মু. রইচ উদ্দিন খান, প্রথম সচিব (কাস্টমস: আধুনিকায়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগুনে পুড়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের এবং কাস্টমস-সংশ্লিষ্ট যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কী ধরনের রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে, সেগুলো নিরূপণ করা কমিটির কাজ। সার্বিক ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের বিষয়টা হয়তো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেখবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণপূর্বক সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহা. মসিউর রহমান বলেন, ‘পুরো বিজনেস প্রসেসে হ্যাম্পার হবে। মেশিনপত্র পুড়ে গেছে। ফ্রেইটের অফিস, কুরিয়ারের অফিস পুড়ে গেছে। অবকাঠামো সব নতুনভাবে করতে হবে। আমরা বৈঠক করলাম, কীভাবে কার্গো ও কুরিয়ার চালু করা যায়, সেটার চেষ্টা করছি। উপদেষ্টা মহোদয় সঙ্গে আছেন, আমরা এখন পরিদর্শনে যাচ্ছি। বিকল্প উপায়ে পাশে কোনোভাবে কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা যায় কি না, সেটা দেখতে যাচ্ছি।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইআরডির যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারীকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন আইআরডির উপসচিব (শুল্ক-১ ও শুল্ক-২ শাখা) পঙ্কজ বড়ুয়া।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কাস্টমস: নীতি) মু. রইচ উদ্দিন খান, প্রথম সচিব (কাস্টমস: আধুনিকায়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) তারেক হাসান এবং ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ কামরুল হাসান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগুনে পুড়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের এবং কাস্টমস-সংশ্লিষ্ট যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কী ধরনের রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে, সেগুলো নিরূপণ করা কমিটির কাজ। সার্বিক ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের বিষয়টা হয়তো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেখবে।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণপূর্বক সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহা. মসিউর রহমান বলেন, ‘পুরো বিজনেস প্রসেসে হ্যাম্পার হবে। মেশিনপত্র পুড়ে গেছে। ফ্রেইটের অফিস, কুরিয়ারের অফিস পুড়ে গেছে। অবকাঠামো সব নতুনভাবে করতে হবে। আমরা বৈঠক করলাম, কীভাবে কার্গো ও কুরিয়ার চালু করা যায়, সেটার চেষ্টা করছি। উপদেষ্টা মহোদয় সঙ্গে আছেন, আমরা এখন পরিদর্শনে যাচ্ছি। বিকল্প উপায়ে পাশে কোনোভাবে কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা যায় কি না, সেটা দেখতে যাচ্ছি।’
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
১২ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
৭ ঘণ্টা আগেসিটি ব্যাংক পিএলসির সাম্প্রতিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা রুবেল আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তারা।
একই সঙ্গে তারা বিমানবন্দর কত দিন বন্ধ থাকবে সেই অনিশ্চয়তা রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যদি এই ঘটনায় দীর্ঘদিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে তবে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন।
দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে পণ্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট রপ্তানি হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কি পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০–২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’
মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকেরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কি পরিমাণ পণ্য ছিল।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তারা।
একই সঙ্গে তারা বিমানবন্দর কত দিন বন্ধ থাকবে সেই অনিশ্চয়তা রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যদি এই ঘটনায় দীর্ঘদিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকে তবে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও ক্ষতির মুখে পড়বেন।
দেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে পণ্য এবং বিভিন্ন ডকুমেন্ট রপ্তানি হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কি পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে সাধারণত আমাদের সদস্য কারখানাগুলো প্রায় সবাই এয়ারে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন গড়ে ২০০–২৫০টি কারখানার পণ্য রপ্তানি হয়। সে হিসেবে এই পরিমাণ কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।’
মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকলেও ক্ষতির মুখে পড়বেন রপ্তানিকারকেরা। যদি তা দ্রুতই খুলে দেওয়া হয় তবে কম ক্ষতি হবে, যদি বেশি দিন বন্ধ থাকে তবে বেশি ক্ষতি হবে।’
সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনই অনেক পণ্য থাকে এমনটা নয়। বিমানের স্থান ফাঁকা থাকার ওপর নির্ভর করে আমাদের বিভিন্ন ডেস্টিনেশনে পণ্য পাঠানো। তাই যেদিন স্থান বেশি পাই সেদিন পণ্যও বেশি দিতে পারি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি আজকে আমাদের সদস্যদের কি পরিমাণ পণ্য ছিল।’
জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমরা চাই দ্রুত বিমান চলাচল শুরু হোক। এতে আমাদের রপ্তানির জন্য পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হবে না।’
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
১২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেসিটি ব্যাংক পিএলসির সাম্প্রতিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা রুবেল আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিটি ব্যাংক পিএলসির সাম্প্রতিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা রুবেল আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
রুবেল আজিজ পারটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ডিসেম্বর ২০১১ থেকে অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সাল থেকে বনানী ক্লাবের সভাপতি, ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আইবিএআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং জনতা ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজের (ইউডব্লিউসি) ন্যাশনাল কমিটির সদস্য।
সিটি ব্যাংক পিএলসির সাম্প্রতিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা রুবেল আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
রুবেল আজিজ পারটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ডিসেম্বর ২০১১ থেকে অক্টোবর ২০১৬ পর্যন্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়া তিনি ২০১৯ সাল থেকে বনানী ক্লাবের সভাপতি, ঢাকা বোট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আইবিএআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং জনতা ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজের (ইউডব্লিউসি) ন্যাশনাল কমিটির সদস্য।
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
১২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রণীত নতুন আয়কর আইনটির মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করা হয়। তবে শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দাবি ছিল আইনটির একটি নির্ভরযোগ্য ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা আনতে একটি সরকারি ইংরেজি সংস্করণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইংরেজি সংস্করণ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এত দিন আইনটির ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। এর ফলে কর-সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হতো, যা বিনিয়োগের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত।
এনবিআর জানায়, আইনটির সরকারি ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে করব্যবস্থা নিয়ে আস্থা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগে স্পষ্টতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এসব আইন সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হবে।
বাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রণীত নতুন আয়কর আইনটির মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করা হয়। তবে শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দাবি ছিল আইনটির একটি নির্ভরযোগ্য ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা আনতে একটি সরকারি ইংরেজি সংস্করণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইংরেজি সংস্করণ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এত দিন আইনটির ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। এর ফলে কর-সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হতো, যা বিনিয়োগের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত।
এনবিআর জানায়, আইনটির সরকারি ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে করব্যবস্থা নিয়ে আস্থা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগে স্পষ্টতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এসব আইন সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হবে।
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
১২ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাস্টমসের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে তাঁরা স্ব-স্ব সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক দুদিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে কি পরিমাণ পণ্য ছিল তার সঠিক তথ্য
৭ ঘণ্টা আগেসিটি ব্যাংক পিএলসির সাম্প্রতিক পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক রুবেল আজিজকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা রুবেল আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন
৭ ঘণ্টা আগে