নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে টাস্কফোর্স গঠনসহ বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ করে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ে আলোচনা সভা করতে অর্থ উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বরাবর এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। এতে সই করেছেন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। ডিবিএ সচিব মো. দিদারুল গনী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রায় ৭০ বছর ধরে পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৯৯২-৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রায় ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই দুটি সংস্থার সৃষ্টি, লক্ষ্য, কার্যকাল, ঐতিহ্য ও ভূমিকা বিবেচনা করলে ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার’ পুঁজি গঠনের উৎস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি খাত থেকে অনেক দূরে। দুঃখজনক বিষয় হলো, এই সুদীর্ঘ সময়ে এসেও আমাদের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত একটি শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের খাত হিসেবে এবং একটি সর্ব সাধারণের টেকসই আয়ের খাত হিসেবে তৈরি হয়ে ওঠেনি।
চিঠিতে আরও উল্লেখ রা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকিং, অর্থনীতি, সংবিধান প্রভৃতি খাতের সংস্কারের জন্য কয়েকটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও নীতি অনুসরণ করে পুঁজিবাজারের মতো একটি বৃহৎ খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে আপনি শিগগিরই পুঁজিবাজার খাতের সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের কথা বিবেচনা করবেন।
পুঁজিবাজার খাতের সংস্কারের জন্য বেশকিছু সুপারিশ জানিয়েছে ডিবিএ। ডিবিএ বলছে, বিএসইসি পুঁজিবাজার খাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে সুবিধা দিতে সফল হয়নি। আমাদের বাজার সম্পূর্ণ ইক্যুইটি নির্ভর। ইক্যুইটি ব্যতীত আমাদের বাজারে আর কোনো পণ্য নেই। গত ২০ বছর ধরে বন্ড মার্কেট আলোচনায় থাকলেও এর বিকাশে কার্যকর কিছুই করা হয়নি। পুঁজিবাজার থেকে সুফল পেতে আমাদের বিএসইসিকে পণ্যের উন্নয়ন বিকাশকরণ, নিয়ম-নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে বিচ্যুতি, অপরাধমূলক কার্যক্রম, ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের তদন্ত কাজে এবং এনফোর্সমেন্টের দায়িত্বে নিযুক্ত থাকাটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের একটি স্বীকৃত পন্থা।
সংগঠনটি জানিয়েছে, উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মডেল থেকে দেখা যায় যে, তারা নিয়ম-নীতি প্রণয়নে উদার, কিন্তু ব্যবহার ও বাস্তবায়নে কঠোর। উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত এই মডেলটি আমাদের পুঁজিবাজার খাতের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। এই মডেল অনুসরণ করে তারা এসইসির নিচে একটি স্বনিয়ন্ত্রক সংস্থা (এসআরও) প্রতিষ্ঠা করেছে, যে সংস্থাটি সব বাজার মধ্যস্থতাকারীর সমন্বয়ে কাজ করে এবং স্বনিয়ন্ত্রক ও সহায়কের প্রথম সারিতে থেকে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং উচ্চ পর্যায়ের অন্যায় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসিতে প্রেরণ করে।
এই মডেল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী ৫-১০ বছরের জন্য পুঁজিবাজারের কৌশল নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী পণ্য বিকাশের জন্য মনোনিবেশ করে।
কিছু দীর্ঘস্থায়ী পুরনো সমস্যা আমাদের বাজার বৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে আছে। যেমন—সময় অনুপযোগী এবং পুরোনো মার্জিন অ্যাকাউন্ট নীতি, বিনিয়োগকারীর জন্য প্রতিকূল মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা, আইপিওর যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ডেরিভেটিভস, বিকল্প, ভবিষ্যৎ, বন্ড ট্রেডিং, মর্টগেজ-ব্যাকড সিকিউরিটাইজেশন ইত্যাদি পণ্যের ব্যাপারে কোনো ধরনের দিক-নির্দেশনার অনুপস্থিতি।
সরকারের বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে পণ্যের বিকাশ অত্যাবশ্যক এবং অপরিহার্য। স্থানীয় এবং এনআরবিদের জন্য ‘সঞ্চয়কে বিনিয়োগে’ রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের কাজ করা উচিত।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে টাস্কফোর্স গঠনসহ বেশকিছু বিষয়ে সুপারিশ করে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। এ ছাড়া পুঁজিবাজার নিয়ে আলোচনা সভা করতে অর্থ উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বরাবর এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। এতে সই করেছেন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। ডিবিএ সচিব মো. দিদারুল গনী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রায় ৭০ বছর ধরে পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৯৯২-৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রায় ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে এ খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই দুটি সংস্থার সৃষ্টি, লক্ষ্য, কার্যকাল, ঐতিহ্য ও ভূমিকা বিবেচনা করলে ‘বাংলাদেশ পুঁজিবাজার’ পুঁজি গঠনের উৎস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি খাত থেকে অনেক দূরে। দুঃখজনক বিষয় হলো, এই সুদীর্ঘ সময়ে এসেও আমাদের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত একটি শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের খাত হিসেবে এবং একটি সর্ব সাধারণের টেকসই আয়ের খাত হিসেবে তৈরি হয়ে ওঠেনি।
চিঠিতে আরও উল্লেখ রা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকিং, অর্থনীতি, সংবিধান প্রভৃতি খাতের সংস্কারের জন্য কয়েকটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও নীতি অনুসরণ করে পুঁজিবাজারের মতো একটি বৃহৎ খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে আপনি শিগগিরই পুঁজিবাজার খাতের সংস্কারের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের কথা বিবেচনা করবেন।
পুঁজিবাজার খাতের সংস্কারের জন্য বেশকিছু সুপারিশ জানিয়েছে ডিবিএ। ডিবিএ বলছে, বিএসইসি পুঁজিবাজার খাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে সুবিধা দিতে সফল হয়নি। আমাদের বাজার সম্পূর্ণ ইক্যুইটি নির্ভর। ইক্যুইটি ব্যতীত আমাদের বাজারে আর কোনো পণ্য নেই। গত ২০ বছর ধরে বন্ড মার্কেট আলোচনায় থাকলেও এর বিকাশে কার্যকর কিছুই করা হয়নি। পুঁজিবাজার থেকে সুফল পেতে আমাদের বিএসইসিকে পণ্যের উন্নয়ন বিকাশকরণ, নিয়ম-নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে বিচ্যুতি, অপরাধমূলক কার্যক্রম, ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের তদন্ত কাজে এবং এনফোর্সমেন্টের দায়িত্বে নিযুক্ত থাকাটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের একটি স্বীকৃত পন্থা।
সংগঠনটি জানিয়েছে, উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মডেল থেকে দেখা যায় যে, তারা নিয়ম-নীতি প্রণয়নে উদার, কিন্তু ব্যবহার ও বাস্তবায়নে কঠোর। উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত এই মডেলটি আমাদের পুঁজিবাজার খাতের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। এই মডেল অনুসরণ করে তারা এসইসির নিচে একটি স্বনিয়ন্ত্রক সংস্থা (এসআরও) প্রতিষ্ঠা করেছে, যে সংস্থাটি সব বাজার মধ্যস্থতাকারীর সমন্বয়ে কাজ করে এবং স্বনিয়ন্ত্রক ও সহায়কের প্রথম সারিতে থেকে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং উচ্চ পর্যায়ের অন্যায় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসিতে প্রেরণ করে।
এই মডেল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী ৫-১০ বছরের জন্য পুঁজিবাজারের কৌশল নির্ধারণ করে এবং সেই অনুযায়ী পণ্য বিকাশের জন্য মনোনিবেশ করে।
কিছু দীর্ঘস্থায়ী পুরনো সমস্যা আমাদের বাজার বৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে আছে। যেমন—সময় অনুপযোগী এবং পুরোনো মার্জিন অ্যাকাউন্ট নীতি, বিনিয়োগকারীর জন্য প্রতিকূল মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা, আইপিওর যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ডেরিভেটিভস, বিকল্প, ভবিষ্যৎ, বন্ড ট্রেডিং, মর্টগেজ-ব্যাকড সিকিউরিটাইজেশন ইত্যাদি পণ্যের ব্যাপারে কোনো ধরনের দিক-নির্দেশনার অনুপস্থিতি।
সরকারের বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে পণ্যের বিকাশ অত্যাবশ্যক এবং অপরিহার্য। স্থানীয় এবং এনআরবিদের জন্য ‘সঞ্চয়কে বিনিয়োগে’ রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের কাজ করা উচিত।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
২ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
২ ঘণ্টা আগে