আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর চেয়ে বেশি দাম বা প্রিমিয়াম নিয়ে শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করা হয় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে। বিনিয়োগকারীদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ পদ্ধতিতে পুঁজি সংগ্রহ করলেও কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন দিতে পারছে না কোম্পানিগুলো। বেশির ভাগের লভ্যাংশেরই অবস্থা বেহাল।
বুক বিল্ডিংয়ে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলো কাট-অফ প্রাইস অতিমূল্যায়িত করার জন্য ইস্যু ম্যানেজারের সহযোগিতায় কারসাজি করে, এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে আসার আগে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত করে মুনাফা দেখানোর অভিযোগও পুরোনো। এর মাধ্যমে অনেক কোম্পানি উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে টাকা তুলে নিয়েছে। ফলে তালিকাভুক্তির পরে শেয়ারহোল্ডারদের দিতে পারছে না সঠিক লভ্যাংশ। এ ছাড়া কমে এসেছে মুনাফার পরিমাণ।
দেখা গেছে, ২০১৫ সালে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস চালুর পরে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১৬টি কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করেছে। ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫টি (এনার্জিপ্যাক এখনো লভ্যাংশ সভা করেনি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বাদ দিলে এই লভ্যাংশের হার আরও অনেক কম। ব্যবসায়িক পারফরম্যান্স ভালো দেখিয়ে গত ৮ বছরে বুক বিল্ডিংয়ে তালিকাভুক্ত হওয়া ১৬টি কোম্পানি গড়ে ৬৮ টাকা ২৭ পয়সা (এনার্জিপ্যাক ছাড়া) করে প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করেছে।
২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের অধীনে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রানারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৭৫ টাকা, কিন্তু কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এভাবে বসুন্ধরা পেপার ৮০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ১০ পয়সা, বারাকা পতেঙ্গা ৩২ টাকার বিপরীতে ৫০ পয়সা, জেএমআই হসপিটাল ২৫ টাকার বিপরীতে ৫০ পয়সা, মীর আখতার ৬০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ২৫ পয়সা, এস্কয়ার নিট ৪৫ টাকার বিপরীতে ১ টাকা, আমান কটন ৪০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা, আমরা নেটওয়ার্ক ৩৯ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ১০ পয়সা, ইনডেক্স অ্যাগ্রো ৬২ টাকার বিপরীতে ২ টাকা, নাভানা ফার্মা ৩৪ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ৩০ পয়সা, একমি ল্যাব ৮৫ টাকা ২০ পয়সার বিপরীতে ৩ টাকা ৩০ পয়সা, এডিএন টেলিকম ৩০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ৫০ পয়সা, লুব-রেফ বাংলাদেশ ৩০ টাকায় ২ টাকা, ওয়ালটন হাই-টেক ৩১৫ টাকায় ৩০ টাকা এবং ইউনাইটেড পাওয়ার ৭২ টাকায় ৮ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আইপিও অনুমোদনের সময় আরও সূক্ষ্ম পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। ব্যালান্সশিটে ম্যানিপুলেশন করা হলে কোম্পানির সঙ্গে ইস্যু ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোর সাজার মধ্যে আনতে পারলে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে।
অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর চেয়ে বেশি দাম বা প্রিমিয়াম নিয়ে শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করা হয় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে। বিনিয়োগকারীদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ পদ্ধতিতে পুঁজি সংগ্রহ করলেও কাঙ্ক্ষিত রিটার্ন দিতে পারছে না কোম্পানিগুলো। বেশির ভাগের লভ্যাংশেরই অবস্থা বেহাল।
বুক বিল্ডিংয়ে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলো কাট-অফ প্রাইস অতিমূল্যায়িত করার জন্য ইস্যু ম্যানেজারের সহযোগিতায় কারসাজি করে, এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে আসার আগে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত করে মুনাফা দেখানোর অভিযোগও পুরোনো। এর মাধ্যমে অনেক কোম্পানি উচ্চ দরে শেয়ার ইস্যু করে টাকা তুলে নিয়েছে। ফলে তালিকাভুক্তির পরে শেয়ারহোল্ডারদের দিতে পারছে না সঠিক লভ্যাংশ। এ ছাড়া কমে এসেছে মুনাফার পরিমাণ।
দেখা গেছে, ২০১৫ সালে সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস চালুর পরে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১৬টি কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করেছে। ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫টি (এনার্জিপ্যাক এখনো লভ্যাংশ সভা করেনি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বাদ দিলে এই লভ্যাংশের হার আরও অনেক কম। ব্যবসায়িক পারফরম্যান্স ভালো দেখিয়ে গত ৮ বছরে বুক বিল্ডিংয়ে তালিকাভুক্ত হওয়া ১৬টি কোম্পানি গড়ে ৬৮ টাকা ২৭ পয়সা (এনার্জিপ্যাক ছাড়া) করে প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করেছে।
২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের অধীনে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রানারের কাট-অফ প্রাইস ছিল ৭৫ টাকা, কিন্তু কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এভাবে বসুন্ধরা পেপার ৮০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ১০ পয়সা, বারাকা পতেঙ্গা ৩২ টাকার বিপরীতে ৫০ পয়সা, জেএমআই হসপিটাল ২৫ টাকার বিপরীতে ৫০ পয়সা, মীর আখতার ৬০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ২৫ পয়সা, এস্কয়ার নিট ৪৫ টাকার বিপরীতে ১ টাকা, আমান কটন ৪০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা, আমরা নেটওয়ার্ক ৩৯ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ১০ পয়সা, ইনডেক্স অ্যাগ্রো ৬২ টাকার বিপরীতে ২ টাকা, নাভানা ফার্মা ৩৪ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ৩০ পয়সা, একমি ল্যাব ৮৫ টাকা ২০ পয়সার বিপরীতে ৩ টাকা ৩০ পয়সা, এডিএন টেলিকম ৩০ টাকার বিপরীতে ১ টাকা ৫০ পয়সা, লুব-রেফ বাংলাদেশ ৩০ টাকায় ২ টাকা, ওয়ালটন হাই-টেক ৩১৫ টাকায় ৩০ টাকা এবং ইউনাইটেড পাওয়ার ৭২ টাকায় ৮ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আইপিও অনুমোদনের সময় আরও সূক্ষ্ম পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। ব্যালান্সশিটে ম্যানিপুলেশন করা হলে কোম্পানির সঙ্গে ইস্যু ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের কঠোর সাজার মধ্যে আনতে পারলে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩৯ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করা হবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার কোটি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য ২৫ হাজার ১২০ কোটি।
২ ঘণ্টা আগেএক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি...
৩ ঘণ্টা আগেসদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কিছু প্রাথমিক চিহ্ন দেখা গেলেও কাঠামোগত সমস্যা এখনো অর্থনীতির গতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য...
৬ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক বাজারের অনিশ্চয়তা, কাঁচামালের দাম ওঠানামা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সংকটের মধ্যেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি মিলিয়ে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার; যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৬.৫ শতাংশ বেশি। এই লক্ষ্য শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের...
৬ ঘণ্টা আগে