আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
দেশের পুঁজিবাজারে কারসাজির ইতিহাস নতুন নয়। প্রথমে গোপন তথ্য বাজারে ছড়ানো হয়, তারপর কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো, এরপর শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানির পক্ষ থেকে সংবেদনশীল গোপন তথ্য প্রকাশ করা হয়। পুরোনো এই কৌশলে দিনের পর দিন বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত পাঁচটি কোম্পানি এই পুরোনো খেলার পুনরাবৃত্তি করেছে। এর ফলে আবারও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দাম বাড়ে আগে, তথ্য আসে পরে
কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ), সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি, মনোস্পুল বাংলাদেশ ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ—এ পাঁচ কোম্পানির শেয়ারদর কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৫ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
ডিএসইর প্রশ্নের জবাবে প্রথম দিকে কোম্পানিগুলো বারবার জানিয়েছিল, তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) নেই। অথচ দাম যখন আকাশছোঁয়া, তখনই ঘোষণা এসেছে নতুন ইউনিট চালু, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি কিংবা কোম্পানির কাছ থেকে সরকারি সংস্থার পণ্য কেনার বড় অর্ডারের।
কীভাবে হয় এই কারসাজি
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক কোম্পানি নিয়মিত এমন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় তথ্য গোপনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে নেয় কোম্পানি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা শেয়ার বিক্রি করার আগমুহূর্তে এমনটা করে থাকেন। এতে মালিকানায় থাকা অল্পসংখ্যক শেয়ার বিক্রি করেই বড় অঙ্কের টাকা কোম্পানি থেকে সরিয়ে নিতে পারেন তাঁরা।
কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা একশ্রেণির বিনিয়োগকারী বা কারসাজিকারী চক্রের কাছে আগেই জানিয়ে দেয় কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা। চক্রটি প্রথমে অল্প দামে শেয়ার কিনে নেয়। পরে কিছু ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়। এতে শেয়ারটির দাম হু হু করে বাড়ে। কিন্তু এই কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি একটা পর্যায়ে গিয়ে স্থায়ী হয় না। এতে মূলত লোকসানে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুঁজিবাজার।
তথ্য গোপন ও কারসাজির চিত্র
কে অ্যান্ড কিউর শেয়ার গত ৮ জুলাই ১৯৮ টাকা ছিল, ১ সেপ্টেম্বরে তা ৩৮২ টাকায় ওঠে (৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি)। এই সময়ের মধ্যে শেয়ারটির মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো কারণ আছে কি না, দুই দফায় তা জানতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানিটি জানায়, পিএসআই ও মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানা নেই। দুই মাস পরই নতুন ইউনিট চালুর মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
একইভাবে গত ২৯ জুলাই ছিল ১৫২ টাকা ১০ পয়সা ছিল সোনালী পেপারের শেয়ারদর। সেখান থেকে ৪ সেপ্টেম্বর দাঁড়ায় ২৯৯ টাকা ৮০ পয়সায়। এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারদর বেড়েছে ১৪৭ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯৭ শতাংশ। ডিএসইর চিঠির জবাবে এই কোম্পানিও পিএসআই নেই বলে জানায়। এক মাস পর নতুন করে উৎপাদন ইউনিট চালুর তথ্য দেয়।
১৭ কার্যদিবসে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ টাকা ৮০ পয়সা বা প্রায় ৩১ শতাংশ। ‘মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানা নেই’ উত্তরের দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানি জানায়, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন মেশিনারিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনোস্পুল বাংলাদেশের শেয়ারের দাম ১৭ কার্যদিবসের ব্যবধানে ২৪ টাকা ৬০ পয়সা বা প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ে। প্রথমে কারণ নেই বললেও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানি জানায়, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন মেশিনারিজ কেনা হবে।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ৩২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর ডিএসইর চিঠির জবাবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ নেই বলে জানায় কোম্পানি। অথচ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সূত্রে জানা গেছে, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে চাহিদার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) ব্যাগ কিনবে বিসিআইসি। এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ১ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব মো. ওমর ফারুক ১৬ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। আমরা কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে নিয়ম অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো হবে।’
নিয়ন্ত্রকের সীমাবদ্ধতা
বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিগুলোর চালাকি ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, পিএসআই গোপন করা স্পষ্ট প্রতারণা। শুধু ‘রুটিন ওয়ার্ক’ হিসেবে ‘দায়সারাভাবে’ কারণ জানতে চাওয়া হলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মনে করেন, এটি শুধু কোম্পানির দোষ নয়; স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতার ঘাটতিও স্পষ্ট।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোম্পানি তথ্য প্রকাশ করতে পারে না। তবে ইনসাইডার ট্রেড হলে জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে।
বিএসইসির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, বিষয়টি সার্ভেইল্যান্স বিভাগ খতিয়ে দেখে। প্রমাণ মিললে শাস্তি হিসেবে ১ লাখ থেকে শুরু করে কোটি টাকার জরিমানাও করা হয়।
দেশের পুঁজিবাজারে কারসাজির ইতিহাস নতুন নয়। প্রথমে গোপন তথ্য বাজারে ছড়ানো হয়, তারপর কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো, এরপর শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানির পক্ষ থেকে সংবেদনশীল গোপন তথ্য প্রকাশ করা হয়। পুরোনো এই কৌশলে দিনের পর দিন বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত পাঁচটি কোম্পানি এই পুরোনো খেলার পুনরাবৃত্তি করেছে। এর ফলে আবারও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দাম বাড়ে আগে, তথ্য আসে পরে
কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ), সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি, মনোস্পুল বাংলাদেশ ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ—এ পাঁচ কোম্পানির শেয়ারদর কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ২৫ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
ডিএসইর প্রশ্নের জবাবে প্রথম দিকে কোম্পানিগুলো বারবার জানিয়েছিল, তাদের কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) নেই। অথচ দাম যখন আকাশছোঁয়া, তখনই ঘোষণা এসেছে নতুন ইউনিট চালু, উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি কিংবা কোম্পানির কাছ থেকে সরকারি সংস্থার পণ্য কেনার বড় অর্ডারের।
কীভাবে হয় এই কারসাজি
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক কোম্পানি নিয়মিত এমন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় তথ্য গোপনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে নেয় কোম্পানি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরা শেয়ার বিক্রি করার আগমুহূর্তে এমনটা করে থাকেন। এতে মালিকানায় থাকা অল্পসংখ্যক শেয়ার বিক্রি করেই বড় অঙ্কের টাকা কোম্পানি থেকে সরিয়ে নিতে পারেন তাঁরা।
কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা একশ্রেণির বিনিয়োগকারী বা কারসাজিকারী চক্রের কাছে আগেই জানিয়ে দেয় কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা। চক্রটি প্রথমে অল্প দামে শেয়ার কিনে নেয়। পরে কিছু ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়। এতে শেয়ারটির দাম হু হু করে বাড়ে। কিন্তু এই কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি একটা পর্যায়ে গিয়ে স্থায়ী হয় না। এতে মূলত লোকসানে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুঁজিবাজার।
তথ্য গোপন ও কারসাজির চিত্র
কে অ্যান্ড কিউর শেয়ার গত ৮ জুলাই ১৯৮ টাকা ছিল, ১ সেপ্টেম্বরে তা ৩৮২ টাকায় ওঠে (৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি)। এই সময়ের মধ্যে শেয়ারটির মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো কারণ আছে কি না, দুই দফায় তা জানতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানিটি জানায়, পিএসআই ও মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানা নেই। দুই মাস পরই নতুন ইউনিট চালুর মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
একইভাবে গত ২৯ জুলাই ছিল ১৫২ টাকা ১০ পয়সা ছিল সোনালী পেপারের শেয়ারদর। সেখান থেকে ৪ সেপ্টেম্বর দাঁড়ায় ২৯৯ টাকা ৮০ পয়সায়। এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারদর বেড়েছে ১৪৭ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯৭ শতাংশ। ডিএসইর চিঠির জবাবে এই কোম্পানিও পিএসআই নেই বলে জানায়। এক মাস পর নতুন করে উৎপাদন ইউনিট চালুর তথ্য দেয়।
১৭ কার্যদিবসে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ টাকা ৮০ পয়সা বা প্রায় ৩১ শতাংশ। ‘মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানা নেই’ উত্তরের দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানি জানায়, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন মেশিনারিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনোস্পুল বাংলাদেশের শেয়ারের দাম ১৭ কার্যদিবসের ব্যবধানে ২৪ টাকা ৬০ পয়সা বা প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ে। প্রথমে কারণ নেই বললেও দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানি জানায়, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন মেশিনারিজ কেনা হবে।
মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ৩২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর ডিএসইর চিঠির জবাবে মূল্যবৃদ্ধির কারণ নেই বলে জানায় কোম্পানি। অথচ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সূত্রে জানা গেছে, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে চাহিদার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) ব্যাগ কিনবে বিসিআইসি। এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ১ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব মো. ওমর ফারুক ১৬ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। আমরা কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে নিয়ম অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো হবে।’
নিয়ন্ত্রকের সীমাবদ্ধতা
বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিগুলোর চালাকি ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশ্লেষক ও পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, পিএসআই গোপন করা স্পষ্ট প্রতারণা। শুধু ‘রুটিন ওয়ার্ক’ হিসেবে ‘দায়সারাভাবে’ কারণ জানতে চাওয়া হলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মনে করেন, এটি শুধু কোম্পানির দোষ নয়; স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতার ঘাটতিও স্পষ্ট।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোম্পানি তথ্য প্রকাশ করতে পারে না। তবে ইনসাইডার ট্রেড হলে জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে।
বিএসইসির মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, বিষয়টি সার্ভেইল্যান্স বিভাগ খতিয়ে দেখে। প্রমাণ মিললে শাস্তি হিসেবে ১ লাখ থেকে শুরু করে কোটি টাকার জরিমানাও করা হয়।
আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডিস সতর্ক করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নবায়নের নীতি দেশের ব্যাংক খাতের জন্য ‘ক্রেডিট নেগেটিভ’ প্রভাব ফেলতে পারে। সংস্থার মতে, এই নীতি ঋণ আদায়ের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকের ঝুঁকি বাড়াবে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বেসরকারি খাতকে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) উত্তরণের পর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগেজনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অ্যাসেট লায়াবিলিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির (অ্যালকো) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগেদেশ থেকে প্লাস্টিকের খেলনা রপ্তানি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ১৫.২৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ এই সাত বছরে দেশ থেকে খেলনা সামগ্রী রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০০ শতাংশের বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশের খেলনা ৮৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে