আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে দৈনন্দিন লেনদেনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিনিয়োগকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং শেয়ার কেনাবেচার প্রবণতা বেড়েছে। ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের উল্লেখযোগ্য হারে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফাও তুলে নেওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোটারিগোষ্ঠীর অদৃশ্য কারসাজির তৎপরতাও উধাও হয়ে গেছে। ফলে আগের মতো আর লাগামহীন উত্থান বা ক্রমাগত দরপতনের দৃশ্যায়ন মঞ্চস্থ হচ্ছে না। এতে এই বাজারে বিনিয়োগসংশ্লিষ্টদের হাহাকারও কমে এসেছে। সব মিলিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ ছন্দে রয়েছে পুঁজিবাজার।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার এখন ভালো আচরণ করছে। আগামী দিনে আরও ভালো পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা রয়েছে। তবে সংস্কারের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্বের হাতে পুঁজিবাজারের দায়িত্ব অর্পণ করা না গেলে সুন্দর পুঁজিবাজারের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) সুমন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে বাজার ভালো মনে হচ্ছে। এই ওঠানামা থাকবেই। ওঠানামা না থাকলে বাজার হলো না। তবে শতভাগ আস্থা ফিরে না আসায় কেউ কেউ অল্পতেই মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।’
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই পুঁজিবাজারে তেজিভাব দেখা দেয়। ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ১৯৭, বুধবার ১৯২, বৃহস্পতিবারে রেকর্ড ৩০৬ এবং বিদায়ী সপ্তাহে প্রথম কর্মদিবস রোববারে ৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায় সূচক। চার কর্মদিবসে সূচকে যোগ হয় ৭৮৬ পয়েন্ট।
এমন উত্থানের পর মূল্য সংশোধন প্রত্যাশিত ছিল, হয়েছেও তা-ই। সোমবার ৮৩ ও মঙ্গলবার ৬৪ পয়েন্ট অর্থাৎ দুই দিনে সূচক কমে ১৪৭ পয়েন্ট। তবে সংশোধন লম্বা হয়নি। বুধবারই ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হয়। আর গতকাল বৃহস্পতিবার ফের সংশোধনের মধ্য দিয়ে সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। এতে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে।
এক সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজারের লেনদেনেও জোয়ার এসেছে। পাঁচ কর্মদিবস পর গতকালই লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে, তা-ও কেবল ১ কোটি টাকা কম। গতকাল দিনভর হাতবদল হয়েছে ৯৯৯ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের আচরণ খুবই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, সূচকের বর্তমান অবস্থান অর্থনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কোনো দিন সূচক বাড়বে, কোনো দিন কমবে—এটাই স্বাভাবিক। গত কয়েক বছর শুধু পুঁজিবাজারে খারাপ শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমেছে। এখন সেখান থেকে বেরিয়ে ভালো শেয়ারের দিকে মানুষ আসছে।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, টেকসই পুঁজিবাজার প্রয়োজন। বাজারে বাড়া-কমা থাকবে। এটা কোনো দিন বন্ধ হবে না। পুঁজিবাজারে প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসন থাকলেই পুঁজিবাজার ভালো থাকবে।
তবে পুঁজিবাজারের বর্তমান আচরণের মধ্যেও অস্বাভাবিকতা দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন। তিনি বলেন, ওঠানামা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আগের ধারাই অব্যাহত রয়েছে। বাজারের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন নীতিসংস্কার।
পুঁজিবাজারে দৈনন্দিন লেনদেনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিনিয়োগকারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং শেয়ার কেনাবেচার প্রবণতা বেড়েছে। ভালো মৌল ভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের উল্লেখযোগ্য হারে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফাও তুলে নেওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোটারিগোষ্ঠীর অদৃশ্য কারসাজির তৎপরতাও উধাও হয়ে গেছে। ফলে আগের মতো আর লাগামহীন উত্থান বা ক্রমাগত দরপতনের দৃশ্যায়ন মঞ্চস্থ হচ্ছে না। এতে এই বাজারে বিনিয়োগসংশ্লিষ্টদের হাহাকারও কমে এসেছে। সব মিলিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ ছন্দে রয়েছে পুঁজিবাজার।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার এখন ভালো আচরণ করছে। আগামী দিনে আরও ভালো পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা রয়েছে। তবে সংস্কারের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্বের হাতে পুঁজিবাজারের দায়িত্ব অর্পণ করা না গেলে সুন্দর পুঁজিবাজারের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) সুমন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে বাজার ভালো মনে হচ্ছে। এই ওঠানামা থাকবেই। ওঠানামা না থাকলে বাজার হলো না। তবে শতভাগ আস্থা ফিরে না আসায় কেউ কেউ অল্পতেই মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।’
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই পুঁজিবাজারে তেজিভাব দেখা দেয়। ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ১৯৭, বুধবার ১৯২, বৃহস্পতিবারে রেকর্ড ৩০৬ এবং বিদায়ী সপ্তাহে প্রথম কর্মদিবস রোববারে ৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায় সূচক। চার কর্মদিবসে সূচকে যোগ হয় ৭৮৬ পয়েন্ট।
এমন উত্থানের পর মূল্য সংশোধন প্রত্যাশিত ছিল, হয়েছেও তা-ই। সোমবার ৮৩ ও মঙ্গলবার ৬৪ পয়েন্ট অর্থাৎ দুই দিনে সূচক কমে ১৪৭ পয়েন্ট। তবে সংশোধন লম্বা হয়নি। বুধবারই ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হয়। আর গতকাল বৃহস্পতিবার ফের সংশোধনের মধ্য দিয়ে সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। এতে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে।
এক সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজারের লেনদেনেও জোয়ার এসেছে। পাঁচ কর্মদিবস পর গতকালই লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে, তা-ও কেবল ১ কোটি টাকা কম। গতকাল দিনভর হাতবদল হয়েছে ৯৯৯ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের আচরণ খুবই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, সূচকের বর্তমান অবস্থান অর্থনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কোনো দিন সূচক বাড়বে, কোনো দিন কমবে—এটাই স্বাভাবিক। গত কয়েক বছর শুধু পুঁজিবাজারে খারাপ শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমেছে। এখন সেখান থেকে বেরিয়ে ভালো শেয়ারের দিকে মানুষ আসছে।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, টেকসই পুঁজিবাজার প্রয়োজন। বাজারে বাড়া-কমা থাকবে। এটা কোনো দিন বন্ধ হবে না। পুঁজিবাজারে প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসন থাকলেই পুঁজিবাজার ভালো থাকবে।
তবে পুঁজিবাজারের বর্তমান আচরণের মধ্যেও অস্বাভাবিকতা দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন। তিনি বলেন, ওঠানামা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আগের ধারাই অব্যাহত রয়েছে। বাজারের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন নীতিসংস্কার।
আজ দেশের মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর মধ্যে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি দাম কমেছে ইউরোরও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়।
২৩ মিনিট আগেবাণিজ্যিক বিমানের সাফল্য পরিমাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে এর উৎপাদন সংখ্যা। এই ক্ষেত্রে বোয়িং ৭৩৭ কিংবা এয়ারবাস এ৩২০-এর মতো প্রযুক্তিতে ঠাসা উড়োজাহাজের কথাই আগে মাথায় আসে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো—এগুলোর কোনোটিই ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত বাণিজ্যিক বিমান নয়।
৩২ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, তাঁর দেশে আবারও বিশ শতকের ত্রিশ দশকের মতো মহামন্দা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, মার্কিন আদালত যদি তাঁর ব্যাপক শুল্ক আরোপের ক্ষমতা আরোপের ক্ষমতা খর্ব করে তাহলে এই বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়া ও বে টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় চায় সরকার। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে