নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ না দেওয়ার চর্চা আছে। এমন অনেক কোম্পানি বোনাস শেয়ার দিলেও ব্যবসা সম্প্রসারণের অজুহাত দেখিয়ে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তবু তাদের মুনাফা বাড়ে না। তবে বহুজাতিক বা বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভিন্ন চর্চা দেখা যায়। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণেই সেগুলো ভালো মুনাফা করে এবং লভ্যাংশও দেয় বলে বিশ্লেষকেরা জানান।
বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার। অথচ ১৯ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে তালিকাভুক্ত। গত বছর এই কোম্পানি ৯৬ কোটি টাকার মুনাফা করেছে। এর মধ্যে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিশোধিত মূলধনের সঙ্গে ব্যবসার কোনো সম্পর্ক নেই। ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ৫০ টাকা মুনাফা করেছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এরকম আয় করে থাকে। কারণ, বিদেশি কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা রয়েছে, সঠিক তথ্য দেয়, সঠিকভাবে পরিচালনা করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশি কোম্পানিগুলো সব ফ্রড। এরা মিথ্যা তথ্য দেয়, কারচুপি করে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এসব করে না। তারা ব্যবসা করে বিনিয়োগকারীদের দেয় এবং নিজেরা টাকা নিয়ে যায়।’
ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি ৪৯ টাকা ৮৯ পয়সা হিসেবে ৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। গত আট বছরের ইতিহাসে ৩০০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নেই, যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া দূরহ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে আবার থাকে বোনাস শেয়ার।
এ বছর মুনাফার বিপরীতে ইউনিলিভারের পর্ষদ ৩০০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ৩০ টাকা করে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পুঁজিবাজারের হাজার কোটি টাকার অনেক ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না। বাকি ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৩৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।
এর আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৬০ টাকা ৬৪ পয়সা হিসেবে নিট ৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছিল। ওই বছর ২৪০ শতাংশ নগদ ও ৬০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য ইউনিলিভার আগামী ১৪ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ এপ্রিল। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত যেসব বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার ধারণ করবেন, তাঁরাই এই লভ্যাংশ পাবেন।
বছরটিতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ২১ পয়সা। গতকাল ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা কমে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২ হাজার ১৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ না দেওয়ার চর্চা আছে। এমন অনেক কোম্পানি বোনাস শেয়ার দিলেও ব্যবসা সম্প্রসারণের অজুহাত দেখিয়ে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তবু তাদের মুনাফা বাড়ে না। তবে বহুজাতিক বা বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভিন্ন চর্চা দেখা যায়। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণেই সেগুলো ভালো মুনাফা করে এবং লভ্যাংশও দেয় বলে বিশ্লেষকেরা জানান।
বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার। অথচ ১৯ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে তালিকাভুক্ত। গত বছর এই কোম্পানি ৯৬ কোটি টাকার মুনাফা করেছে। এর মধ্যে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করবে। ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিশোধিত মূলধনের সঙ্গে ব্যবসার কোনো সম্পর্ক নেই। ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ৫০ টাকা মুনাফা করেছে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এরকম আয় করে থাকে। কারণ, বিদেশি কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা রয়েছে, সঠিক তথ্য দেয়, সঠিকভাবে পরিচালনা করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশি কোম্পানিগুলো সব ফ্রড। এরা মিথ্যা তথ্য দেয়, কারচুপি করে। বিদেশি কোম্পানিগুলো এসব করে না। তারা ব্যবসা করে বিনিয়োগকারীদের দেয় এবং নিজেরা টাকা নিয়ে যায়।’
ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি ৪৯ টাকা ৮৯ পয়সা হিসেবে ৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। গত আট বছরের ইতিহাসে ৩০০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নেই, যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া দূরহ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে আবার থাকে বোনাস শেয়ার।
এ বছর মুনাফার বিপরীতে ইউনিলিভারের পর্ষদ ৩০০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ৩০ টাকা করে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পুঁজিবাজারের হাজার কোটি টাকার অনেক ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না। বাকি ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৩৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।
এর আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৬০ টাকা ৬৪ পয়সা হিসেবে নিট ৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছিল। ওই বছর ২৪০ শতাংশ নগদ ও ৬০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য ইউনিলিভার আগামী ১৪ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ এপ্রিল। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত যেসব বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার ধারণ করবেন, তাঁরাই এই লভ্যাংশ পাবেন।
বছরটিতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ২১ পয়সা। গতকাল ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা কমে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২ হাজার ১৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্ট করা ফার্মাসিউটিক্যাল ওষুধ আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা বিশাল, কিন্তু দেশ এখনো তা কাজে লাগাতে পারছে না। বর্তমানে আর্থিক খাতের মোট লেনদেনের ২৭-২৮ শতাংশ হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে, বাকিটা প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর পেছনে রয়েছে সহায়ক নীতিমালার ঘাটতি, গ্রাহকের আস্থার সংকট, দুর্বল অবকাঠামো, সমন্বয়ের অভাব আর সাইবার...
১৬ ঘণ্টা আগেবন্ড সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা কনটেইনারপ্রতি ঘুষ নিয়ে প্রাপ্যতার বাইরে বিপুল কাপড় খালাস দিয়েছেন, যার ফলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবাসমতী ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানিতে এবার নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে ভারত। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি) গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে নন-বাসমতী চালের রপ্তানি নীতিতে এ পরিবর্তন আনে। এর ফলে এখন থেকে নন-বাসমতী চাল রপ্তানির প্রতিটি চুক্তি..
১৭ ঘণ্টা আগে