জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মানুষ একসময় অর্থ বলতে কেবল নগদ টাকাকেই বুঝত। আর নগদ টাকা দিয়েই চলত কেনাকাটাসহ যাবতীয় লেনদেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই গতানুগতিক ধারণা বদলে গেছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দেশের মানুষও ডিজিটাল লেনদেন শুরু করেছে। অনেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ডেবিট ও ক্রেডিট দিয়ে লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কেনাকাটা, বিদেশ ভ্রমণ, ঋণ গ্রহণ প্রভৃতি কার্যক্রমে ব্যাপক হারে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে গেছে। প্রায় ৪০টি ব্যাংক ও একটি নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করছে। তবে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক খ্যাত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সুদমুক্ত খিদমাহ কার্ড ও অন্যান্য ইসলামী ব্যাংক শরিয়া কার্ড চালু করেছে।
বিশ্বে সর্বপ্রথম ক্রেডিট কার্ডের যাত্রা শুরু ১৯২৮ সালে। তখন আধুনিক ক্রেডিট কার্ডের পূর্বসূরি হিসেবে ‘দ্য চারগা প্লেট’ নামে এক আয়তাকার ধাতব পাত ব্যবহার করা হতো। ১৯৫৮ সালে ব্যাংক অব আমেরিকা একটি মডার্ন ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন করে। এভাবেই ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত বিবর্তনের মাধ্যমে আজ ক্রেডিট কার্ড সর্বশেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালে এ দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ১৮ লাখ। করোনার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে তা ছিল সাড়ে ১৫ লাখ। যদিও বর্তমানে দেশে ডেবিট কার্ড গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি আর এটিএম কার্ডের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। আর প্রতি মাসে সাধারণত ডেবিট-ক্রেডিট উভয় কার্ডের গ্রাহকের লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী এক দশকে ব্যাপক প্রসার হবে ক্রেডিট কার্ডের। যেভাবে সরকারি-বেসরকারি সব সেবা ডিজিটালাইজড হয়ে যাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষও এই কার্ড ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে সুদের হার ৯ শতাংশের বেশি হবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আগে এই হার ছিল ১৪ শতাংশ। তবে শরিয়াহ পরিচালিত ব্যাংকগুলোর সুদের হার নির্ধারিত নয়।
এ প্রসঙ্গে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ও ঋণ বিতরণের দিক থেকে সিটি ব্যাংকের অবস্থান সবার শীর্ষে। তবে এই শীর্ষস্থান নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো তৃপ্তি নেই। বরং আমরা সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
দেশে ক্রেডিট কার্ডের সেবায় শীর্ষে রয়েছে সিটি ব্যাংক। মোট ক্রেডিট কার্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেসরকারি খাত দ্য সিটি ব্যাংকের। তাদের ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। ক্রেডিট কার্ড বিপণনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ড ঋণের স্থিতি ৭৯০ কোটি টাকা। কার্ডের সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড। বাজারে এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। কার্ডধারীদের মধ্যে ইস্টার্ণ ব্যাংকের ঋণ রয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা।
দেশের ৩৪টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে শুধু লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের। জুন শেষে লংকা-বাংলার ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬১০।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিডল্যান্ড ব্যাংকের হেড অব কার্ডস আবেদ-উর-রহমান বলেন, ‘করোনার পরেই কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এখন অনেকে আর্থিক লেনদেনের অংশ হিসেবে কেনাকাটা, বিল পে, ঋণ গ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, বিদেশ গমন প্রভৃতি কাজে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন।’
লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার বলেন, মহামারির কারণে অন্যান্য খাতের মতো ক্রেডিট কার্ড সেবা ধাক্কা খেয়েছিল। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ক্রেডিট কার্ডের বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বরং অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেশি হচ্ছে।’
মানুষ একসময় অর্থ বলতে কেবল নগদ টাকাকেই বুঝত। আর নগদ টাকা দিয়েই চলত কেনাকাটাসহ যাবতীয় লেনদেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই গতানুগতিক ধারণা বদলে গেছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দেশের মানুষও ডিজিটাল লেনদেন শুরু করেছে। অনেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ডেবিট ও ক্রেডিট দিয়ে লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কেনাকাটা, বিদেশ ভ্রমণ, ঋণ গ্রহণ প্রভৃতি কার্যক্রমে ব্যাপক হারে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে গেছে। প্রায় ৪০টি ব্যাংক ও একটি নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করছে। তবে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক খ্যাত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সুদমুক্ত খিদমাহ কার্ড ও অন্যান্য ইসলামী ব্যাংক শরিয়া কার্ড চালু করেছে।
বিশ্বে সর্বপ্রথম ক্রেডিট কার্ডের যাত্রা শুরু ১৯২৮ সালে। তখন আধুনিক ক্রেডিট কার্ডের পূর্বসূরি হিসেবে ‘দ্য চারগা প্লেট’ নামে এক আয়তাকার ধাতব পাত ব্যবহার করা হতো। ১৯৫৮ সালে ব্যাংক অব আমেরিকা একটি মডার্ন ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন করে। এভাবেই ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত বিবর্তনের মাধ্যমে আজ ক্রেডিট কার্ড সর্বশেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালে এ দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ১৮ লাখ। করোনার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে তা ছিল সাড়ে ১৫ লাখ। যদিও বর্তমানে দেশে ডেবিট কার্ড গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি আর এটিএম কার্ডের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। আর প্রতি মাসে সাধারণত ডেবিট-ক্রেডিট উভয় কার্ডের গ্রাহকের লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী এক দশকে ব্যাপক প্রসার হবে ক্রেডিট কার্ডের। যেভাবে সরকারি-বেসরকারি সব সেবা ডিজিটালাইজড হয়ে যাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষও এই কার্ড ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে সুদের হার ৯ শতাংশের বেশি হবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আগে এই হার ছিল ১৪ শতাংশ। তবে শরিয়াহ পরিচালিত ব্যাংকগুলোর সুদের হার নির্ধারিত নয়।
এ প্রসঙ্গে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ও ঋণ বিতরণের দিক থেকে সিটি ব্যাংকের অবস্থান সবার শীর্ষে। তবে এই শীর্ষস্থান নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো তৃপ্তি নেই। বরং আমরা সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
দেশে ক্রেডিট কার্ডের সেবায় শীর্ষে রয়েছে সিটি ব্যাংক। মোট ক্রেডিট কার্ডের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই বেসরকারি খাত দ্য সিটি ব্যাংকের। তাদের ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। ক্রেডিট কার্ড বিপণনের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার। ব্যাংকটির ক্রেডিট কার্ড ঋণের স্থিতি ৭৯০ কোটি টাকা। কার্ডের সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড। বাজারে এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। কার্ডধারীদের মধ্যে ইস্টার্ণ ব্যাংকের ঋণ রয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা।
দেশের ৩৪টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড রয়েছে শুধু লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের। জুন শেষে লংকা-বাংলার ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬১০।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিডল্যান্ড ব্যাংকের হেড অব কার্ডস আবেদ-উর-রহমান বলেন, ‘করোনার পরেই কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এখন অনেকে আর্থিক লেনদেনের অংশ হিসেবে কেনাকাটা, বিল পে, ঋণ গ্রহণ, ঋণ পরিশোধ, বিদেশ গমন প্রভৃতি কাজে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন।’
লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার বলেন, মহামারির কারণে অন্যান্য খাতের মতো ক্রেডিট কার্ড সেবা ধাক্কা খেয়েছিল। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ক্রেডিট কার্ডের বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বরং অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেশি হচ্ছে।’
পূবালী ব্যাংক পিএলসি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পূবালী ব্যাংক।
২৪ মিনিট আগেদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়নের স্বার্থে রেমিট্যান্সসংক্রান্ত সেবা আরও সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
৩২ মিনিট আগেআপগ্রেড কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৪ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত টেলিটকের নম্বরে সব ধরনের রিচার্জ সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আজ রোববার (২২ জুন) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেএখন থেকে ভ্রমণ হবে আরও সাশ্রয়ী ও ঝামেলামুক্ত। দেশের জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ ও গ্রামীণফোনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে