নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকগুলোর যেখানে সিএসআর খাতে মোট খরচ হয়েছিল ৩০৭ কোটি, চলতি বছরের একই সময়ে সে ব্যয় অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে মাত্র ১৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ দেখা গেছে, ২০১৫ সালের প্রথম ৬ মাসে ব্যয় হয়েছিল ২৫৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে সিএসআর খরচ দাঁড়িয়েছিল ২৯৮ কোটি টাকায়, ২০২২ সালে বেড়ে ৫১৪ কোটি, ২০২৩ সালে প্রথম ও শেষ ৬ মাসে যথাক্রমে ৩০৯ কোটি ও ৩০৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসের ১৫০ কোটি টাকার ব্যয় নতুন এক নিম্নমুখী ধারার সংকেত দিচ্ছে।
ব্যাংকাররা মনে করেন, রাজনৈতিক চাপ বা আবদার কমায় সিএসআরের অর্থ খরচও কম হয়েছে। ব্যয়ের অঙ্ক অর্ধেকে নামা অস্বাভাবিক মনে হলেও কার্যত ব্যাংকগুলো সঠিক দায়িত্ববোধের জায়গাতেই রয়েছে। মূলত আগে রাজনৈতিক সরকারের সময় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রভাবশালীদের অনুরোধে ব্যাংকগুলোকে শিক্ষা, চিকিৎসা, অনুষ্ঠান বা অনুদানের নামে অর্থ ব্যয় করতে হতো। অনেক সময় এ খরচ প্রকৃত সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতার বাইরে চলে যেত। তবে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর এ চাপ অনেকটাই কমে এসেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে সিএসআর বাজেট প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইচ্ছামতো ব্যবহার হতো। কাকে দিতে হবে, কোথায় দিতে হবে—এসব বাইরে থেকে নির্ধারিত হতো। এখন সে ধরনের চাপ নেই। ব্যাংক নিজের বিবেচনায় খরচ করছে, তাই খরচ কমে গেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের নিট মুনাফার একটি অংশ সিএসআর খাতে ব্যয় করতে বাধ্য। তবে বাস্তবে এই অর্থ কোথায়, কীভাবে খরচ হলো, তা নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সেভাবে নেই। নির্দেশনা অনুযায়ী, মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে, ২০ শতাংশ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করতে হবে। এ ছাড়া বাকি ২০ শতাংশ যেমন আয়ের জন্য সহায়ক উদ্যোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করার রেওয়াজ রয়েছে।
কিন্তু প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেছে। ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যয় করেছে। শিক্ষায় ব্যয় হয়েছে মাত্র ২২.৭৫ শতাংশ (৩৪ কোটি ২৫ লাখ), স্বাস্থ্য খাতে ১৮.৬৭ শতাংশ (২৮ কোটি ১২ লাখ) এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাত্র ৩.৪৬ শতাংশ (৫ কোটি ২১ লাখ)। এ সময়ে ১৩টি ব্যাংক একেবারেই সিএসআর ব্যয় করেনি। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স, ন্যাশনাল, পদ্মা ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, এসবিএসসি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ বিষয়ে বলেন, ‘সিএসআর খরচে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। কোনো চাপের কারণে এই অর্থ অনুৎপাদনশীল খাতে চলে গেলে সামাজিক দায়বদ্ধতার মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।’
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকগুলোর যেখানে সিএসআর খাতে মোট খরচ হয়েছিল ৩০৭ কোটি, চলতি বছরের একই সময়ে সে ব্যয় অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে মাত্র ১৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ দেখা গেছে, ২০১৫ সালের প্রথম ৬ মাসে ব্যয় হয়েছিল ২৫৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে সিএসআর খরচ দাঁড়িয়েছিল ২৯৮ কোটি টাকায়, ২০২২ সালে বেড়ে ৫১৪ কোটি, ২০২৩ সালে প্রথম ও শেষ ৬ মাসে যথাক্রমে ৩০৯ কোটি ও ৩০৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, ২০২৫ সালের প্রথম ৬ মাসের ১৫০ কোটি টাকার ব্যয় নতুন এক নিম্নমুখী ধারার সংকেত দিচ্ছে।
ব্যাংকাররা মনে করেন, রাজনৈতিক চাপ বা আবদার কমায় সিএসআরের অর্থ খরচও কম হয়েছে। ব্যয়ের অঙ্ক অর্ধেকে নামা অস্বাভাবিক মনে হলেও কার্যত ব্যাংকগুলো সঠিক দায়িত্ববোধের জায়গাতেই রয়েছে। মূলত আগে রাজনৈতিক সরকারের সময় বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রভাবশালীদের অনুরোধে ব্যাংকগুলোকে শিক্ষা, চিকিৎসা, অনুষ্ঠান বা অনুদানের নামে অর্থ ব্যয় করতে হতো। অনেক সময় এ খরচ প্রকৃত সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতার বাইরে চলে যেত। তবে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর এ চাপ অনেকটাই কমে এসেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে সিএসআর বাজেট প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইচ্ছামতো ব্যবহার হতো। কাকে দিতে হবে, কোথায় দিতে হবে—এসব বাইরে থেকে নির্ধারিত হতো। এখন সে ধরনের চাপ নেই। ব্যাংক নিজের বিবেচনায় খরচ করছে, তাই খরচ কমে গেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের নিট মুনাফার একটি অংশ সিএসআর খাতে ব্যয় করতে বাধ্য। তবে বাস্তবে এই অর্থ কোথায়, কীভাবে খরচ হলো, তা নিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সেভাবে নেই। নির্দেশনা অনুযায়ী, মোট সিএসআর ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষা খাতে, ৩০ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে, ২০ শতাংশ পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করতে হবে। এ ছাড়া বাকি ২০ শতাংশ যেমন আয়ের জন্য সহায়ক উদ্যোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা ও বিনোদনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করার রেওয়াজ রয়েছে।
কিন্তু প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেছে। ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যয় করেছে। শিক্ষায় ব্যয় হয়েছে মাত্র ২২.৭৫ শতাংশ (৩৪ কোটি ২৫ লাখ), স্বাস্থ্য খাতে ১৮.৬৭ শতাংশ (২৮ কোটি ১২ লাখ) এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাত্র ৩.৪৬ শতাংশ (৫ কোটি ২১ লাখ)। এ সময়ে ১৩টি ব্যাংক একেবারেই সিএসআর ব্যয় করেনি। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স, ন্যাশনাল, পদ্মা ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, এসবিএসসি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ বিষয়ে বলেন, ‘সিএসআর খরচে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। কোনো চাপের কারণে এই অর্থ অনুৎপাদনশীল খাতে চলে গেলে সামাজিক দায়বদ্ধতার মূল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।’
প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অনুমোদন পাচ্ছে কৃষিবিদ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড নামে নতুন একটি নন-লাইফ বিমা কোম্পানি। মিরপুরের কাজীপাড়ায় সদর দপ্তর থাকা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ড. মো. আলী আফজাল। বর্তমানে দেশে ৪৬টি নন-লাইফ অর্থাৎ সাধারণ বিমা কোম্পানি রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেলন্ডনভিত্তিক বাণিজ্যিক আইন পরামর্শক সংস্থা এইচএফডব্লিউতে যুক্ত রয়েছেন আইনজীবী হেনরি ক্ল্যাক। সাগরপথে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার শিকার শিপিং কোম্পানিগুলোর পক্ষে কাজ করেন তিনি। ক্লায়েন্টদের হয়ে কীভাবে তিনি অপরাধী চক্রকে মোকাবিলা করেন, তা নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চীনের শিপইয়ার্ডে তৈরি দুটি নতুন জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল বুধবার এক সভায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়।
১১ ঘণ্টা আগেদেশের ৩৫টি টেলিভিশন চ্যানেলের স্ক্রলে বিনা খরচে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানোর বার্তা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব মো. ইব্রাহিম ভূঞা।
১১ ঘণ্টা আগে