আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিং কেন জনপ্রিয় হচ্ছে?
শাহাদাত হোসেন: দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ব্যাংকঋণ থেকে বঞ্চিত, এই বাস্তবতায় সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প উন্নত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সাধারণ ব্যাংকিং সেবা ও সঞ্চয়ে আগ্রহী করার পাশাপাশি আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা—যেমন ইএফটি এবং আরটিজিএসের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, মোবাইল টপআপ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণ, বিভিন্ন ভিসার ফি পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর বিভিন্ন ভাতা বিতরণ, বিল পেমেন্ট, সরকারি বিভিন্ন সেবার ফি জমা করা, বিমার প্রিমিয়াম জমা করা, টিউশন ফি জমা, শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন সেবা চালু করেছে, যার ফলে এজেন্ট ব্যাংকিং দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আপনার ব্যাংকের ভূমিকা কী?
শাহাদাত হোসেন: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মধুমতি এজেন্ট ব্যাংকিং ‘ঘরের পাশে সারা দেশে’ স্লোগান নিয়ে কাজ করছে। ৬২৫টি এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে আমরা সাড়ে ৩ লাখের বেশি জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করছি, মধুমতি এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি আমরা আর্থিক সাক্ষরতা কার্যক্রম—উঠান বৈঠক, গ্রাহকের সঙ্গে চা-চক্র, ব্যাংকিং মেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প উন্নত জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ে আগ্রহী করার পাশাপাশি পল্লি এবং কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসের সঙ্গে আঙুলের ছাপ শনাক্তের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে গ্রাহক শনাক্তের মাধ্যমে পেপারলেস হিসাব খোলার প্রচলন শুরু করি। বাংলাদেশে মধুমতি ব্যাংক প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন ও মাইক্রো ইনস্যুরেন্স সেবা দেওয়া শুরু করে।
আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিদ্যমান সেবায় গ্রাহকেরা কী বলছেন?
শাহাদাত হোসেন: গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য আমরা বিভিন্ন আধুনিক সেবা প্রচলনে সন্তুষ্ট হলেও ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। গ্রামীণ ঋণ বিতরণ এবং ঋণের কিস্তি সংগ্রহ খুবই কষ্টসাধ্য এবং নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন। কৃষি এবং পল্লিঋণের ক্ষেত্রে এজেন্ট কমিশনের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ ফি আরোপ করার অনুমতি পেলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বেগবান হবে।
উঠান বৈঠক, গ্রাহকের সঙ্গে চা-চক্র, ব্যাংকিং মেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প উন্নত জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ে আগ্রহী করার পাশাপাশি পল্লি এবং কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মুনাফা নাকি লোকসান হচ্ছে?
শাহাদাত হোসেন: গত ১০ বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটিএম ব্যাংকিংয়ের মতো এজেন্ট ব্যাংকিংও একটা চ্যানেল, এইটার লাভ বা লোকসান হিসাব করা উচিত না। এটাও ঠিক, ব্যাংক কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়, তাই লোকসান না হয়ে মোটামুটি মুনাফায় থাকলেই এই চ্যানেল নিয়ে সবাই খুশি। সঠিকভাবে চিন্তা করলে সব এজেন্ট ব্যাংকিংই লাভজনক; কারণ, এই চ্যানেল দিয়ে আপনি কম খরচে আমানত সংগ্রহ করতে পারেন এবং আপনার ব্যাংকের ব্র্যান্ডিংকে অনন্য উচ্চতায় এবং জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: শহর নাকি গ্রামে বাড়তি সাড়া পাচ্ছেন?
শাহাদাত হোসেন: সীমিত সুযোগ বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিবেচনায় শহর থেকে গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বাড়তি সাড়া পাচ্ছি। তবে ইদানীং এজেন্ট ব্যাংকিং শহরেও ভালো সাড়া পাচ্ছে; বিশেষ করে টাকা উত্তোলনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে খরচ বেশি থাকায় শহরের জনগোষ্ঠীও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করছেন।
আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিং কেন জনপ্রিয় হচ্ছে?
শাহাদাত হোসেন: দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ব্যাংকঋণ থেকে বঞ্চিত, এই বাস্তবতায় সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প উন্নত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সাধারণ ব্যাংকিং সেবা ও সঞ্চয়ে আগ্রহী করার পাশাপাশি আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা—যেমন ইএফটি এবং আরটিজিএসের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, মোবাইল টপআপ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণ, বিভিন্ন ভিসার ফি পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর বিভিন্ন ভাতা বিতরণ, বিল পেমেন্ট, সরকারি বিভিন্ন সেবার ফি জমা করা, বিমার প্রিমিয়াম জমা করা, টিউশন ফি জমা, শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন সেবা চালু করেছে, যার ফলে এজেন্ট ব্যাংকিং দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আপনার ব্যাংকের ভূমিকা কী?
শাহাদাত হোসেন: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মধুমতি এজেন্ট ব্যাংকিং ‘ঘরের পাশে সারা দেশে’ স্লোগান নিয়ে কাজ করছে। ৬২৫টি এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে আমরা সাড়ে ৩ লাখের বেশি জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করছি, মধুমতি এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি আমরা আর্থিক সাক্ষরতা কার্যক্রম—উঠান বৈঠক, গ্রাহকের সঙ্গে চা-চক্র, ব্যাংকিং মেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প উন্নত জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ে আগ্রহী করার পাশাপাশি পল্লি এবং কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসের সঙ্গে আঙুলের ছাপ শনাক্তের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে গ্রাহক শনাক্তের মাধ্যমে পেপারলেস হিসাব খোলার প্রচলন শুরু করি। বাংলাদেশে মধুমতি ব্যাংক প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন ও মাইক্রো ইনস্যুরেন্স সেবা দেওয়া শুরু করে।
আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিদ্যমান সেবায় গ্রাহকেরা কী বলছেন?
শাহাদাত হোসেন: গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য আমরা বিভিন্ন আধুনিক সেবা প্রচলনে সন্তুষ্ট হলেও ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। গ্রামীণ ঋণ বিতরণ এবং ঋণের কিস্তি সংগ্রহ খুবই কষ্টসাধ্য এবং নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন। কৃষি এবং পল্লিঋণের ক্ষেত্রে এজেন্ট কমিশনের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ ফি আরোপ করার অনুমতি পেলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বেগবান হবে।
উঠান বৈঠক, গ্রাহকের সঙ্গে চা-চক্র, ব্যাংকিং মেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প উন্নত জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ে আগ্রহী করার পাশাপাশি পল্লি এবং কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মুনাফা নাকি লোকসান হচ্ছে?
শাহাদাত হোসেন: গত ১০ বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটিএম ব্যাংকিংয়ের মতো এজেন্ট ব্যাংকিংও একটা চ্যানেল, এইটার লাভ বা লোকসান হিসাব করা উচিত না। এটাও ঠিক, ব্যাংক কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়, তাই লোকসান না হয়ে মোটামুটি মুনাফায় থাকলেই এই চ্যানেল নিয়ে সবাই খুশি। সঠিকভাবে চিন্তা করলে সব এজেন্ট ব্যাংকিংই লাভজনক; কারণ, এই চ্যানেল দিয়ে আপনি কম খরচে আমানত সংগ্রহ করতে পারেন এবং আপনার ব্যাংকের ব্র্যান্ডিংকে অনন্য উচ্চতায় এবং জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারেন।
আজকের পত্রিকা: শহর নাকি গ্রামে বাড়তি সাড়া পাচ্ছেন?
শাহাদাত হোসেন: সীমিত সুযোগ বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিবেচনায় শহর থেকে গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বাড়তি সাড়া পাচ্ছি। তবে ইদানীং এজেন্ট ব্যাংকিং শহরেও ভালো সাড়া পাচ্ছে; বিশেষ করে টাকা উত্তোলনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে খরচ বেশি থাকায় শহরের জনগোষ্ঠীও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
৯ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১১ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১৯ ঘণ্টা আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১৯ ঘণ্টা আগে