মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
বিমা করেছেন, কিন্তু দুর্ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতির পর টাকা পাচ্ছেন না, এটাই যেন এখন সাধারণ চিত্র। দেশে ৪৬টি সাধারণ (নন-লাইফ) বিমা কোম্পানি গ্রাহকদের ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকার বেশি দাবি ঝুলিয়ে রেখেছে। বছরের পর বছর চিঠিপত্র, আবেদন-নালিশ, এমনকি কর্তৃপক্ষের দরজায় বারবার যাওয়ার পরও মিলছে না পাওনা অর্থ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এই ৪৬ কোম্পানির কাছে মোট দাবি দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র ২৯৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা মোট দাবির ৯ শতাংশ। অর্থাৎ বাকি ৯০ শতাংশ দাবিই অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে।
অথচ গত বছরের শেষে (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪) এই পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। অর্থাৎ নতুন করে মাত্র তিন মাসেই আরও ৫১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত দাবি যোগ হয়েছে, কিন্তু পুরোনো দাবির নিষ্পত্তি হয়নি।
বিমা খাতে এভাবে দীর্ঘমেয়াদি বকেয়া তৈরি হওয়ায় গ্রাহকের মধ্যে আস্থার সংকট গভীর হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে দাবি পরিশোধে গড়িমসি করছে, নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। কাগজপত্রের ঘাটতি, সার্ভে রিপোর্টের বিলম্ব বা পুনর্বিমার নাম করে বছরের পর বছর ঘুরিয়ে মারছে গ্রাহকদের।
সিকদার ইনস্যুরেন্স ও সেনাকল্যাণ ইনস্যুরেন্স সবচেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে; এই দুটি কোম্পানি যথাক্রমে ০.১২% ও ০.১৬% বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। ১ শতাংশের সামান্য ওপরে রয়েছে নর্দান ইসলামী (১.০৬%), স্ট্যান্ডার্ড (১.৪৪%) এবং ঢাকা ইনস্যুরেন্স (১.৫৯%)।
প্রথম প্রান্তিকের হিসাবে দেখা গেছে, ২৩টি কোম্পানি ২০ শতাংশের নিচে বিমা দাবি পরিশোধ করেছে, বাকিরা ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পরিশোধ করেছে। তবে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম জনতা ইনস্যুরেন্স, যারা ৮৫.৮১% দাবি পরিশোধ করেছে (৭ কোটি ২১ লাখ টাকার মধ্যে ৬ কোটি ১৮ লাখ)। এরপর রয়েছে ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স (৮১.১৬%), প্রাইম (৬৮.১০%), মেঘনা (৬৬.০৪%) এবং তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স (৬১.০৫%)।
বিমা কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, দাবির নিষ্পত্তিতে প্রধান বাধা হলো সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া। একাধিক কোম্পানির সিইও অভিযোগ করেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরপরই ঘটনা ঘটে গেলেও সার্ভে রিপোর্ট সময়মতো মেলে না, আবার অনেক সময় এর খরচ মূল দাবি ছাড়িয়ে যায়। তাই সার্ভে রিপোর্টকেই তারা অভিহিত করেছেন ‘সোনার হরিণ’ হিসেবে।
আইডিআরএর পরামর্শক সাইফুন্নাহার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দাবি পরিশোধের হার বাড়াতে সংস্থাটি এখন গ্রেডিং সিস্টেম চালু করেছে। কম গ্রেড পাওয়া কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রাহকদের করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমা দাবি আদায়ের জন্য গ্রাহককে অবশ্যই যথাযথ কাগজপত্রসহ নির্ভুল আবেদন করতে হবে। আবেদন জমার ৯০ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আইডিআরএতে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। তাতে সমাধান না এলে বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটির কাছে যেতে হবে এবং তাতেও কাজ না হলে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।
বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এস এম নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দাবি পরিশোধে বিমা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে আইডিআরএ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ জরুরি।
বিমা করেছেন, কিন্তু দুর্ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতির পর টাকা পাচ্ছেন না, এটাই যেন এখন সাধারণ চিত্র। দেশে ৪৬টি সাধারণ (নন-লাইফ) বিমা কোম্পানি গ্রাহকদের ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকার বেশি দাবি ঝুলিয়ে রেখেছে। বছরের পর বছর চিঠিপত্র, আবেদন-নালিশ, এমনকি কর্তৃপক্ষের দরজায় বারবার যাওয়ার পরও মিলছে না পাওনা অর্থ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এই ৪৬ কোম্পানির কাছে মোট দাবি দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র ২৯৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা মোট দাবির ৯ শতাংশ। অর্থাৎ বাকি ৯০ শতাংশ দাবিই অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে।
অথচ গত বছরের শেষে (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪) এই পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, যার মধ্যে ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। অর্থাৎ নতুন করে মাত্র তিন মাসেই আরও ৫১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত দাবি যোগ হয়েছে, কিন্তু পুরোনো দাবির নিষ্পত্তি হয়নি।
বিমা খাতে এভাবে দীর্ঘমেয়াদি বকেয়া তৈরি হওয়ায় গ্রাহকের মধ্যে আস্থার সংকট গভীর হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে দাবি পরিশোধে গড়িমসি করছে, নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। কাগজপত্রের ঘাটতি, সার্ভে রিপোর্টের বিলম্ব বা পুনর্বিমার নাম করে বছরের পর বছর ঘুরিয়ে মারছে গ্রাহকদের।
সিকদার ইনস্যুরেন্স ও সেনাকল্যাণ ইনস্যুরেন্স সবচেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে; এই দুটি কোম্পানি যথাক্রমে ০.১২% ও ০.১৬% বিমা দাবি পরিশোধ করেছে। ১ শতাংশের সামান্য ওপরে রয়েছে নর্দান ইসলামী (১.০৬%), স্ট্যান্ডার্ড (১.৪৪%) এবং ঢাকা ইনস্যুরেন্স (১.৫৯%)।
প্রথম প্রান্তিকের হিসাবে দেখা গেছে, ২৩টি কোম্পানি ২০ শতাংশের নিচে বিমা দাবি পরিশোধ করেছে, বাকিরা ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পরিশোধ করেছে। তবে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম জনতা ইনস্যুরেন্স, যারা ৮৫.৮১% দাবি পরিশোধ করেছে (৭ কোটি ২১ লাখ টাকার মধ্যে ৬ কোটি ১৮ লাখ)। এরপর রয়েছে ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স (৮১.১৬%), প্রাইম (৬৮.১০%), মেঘনা (৬৬.০৪%) এবং তাকাফুল ইসলামী ইনস্যুরেন্স (৬১.০৫%)।
বিমা কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, দাবির নিষ্পত্তিতে প্রধান বাধা হলো সার্ভে রিপোর্ট না পাওয়া। একাধিক কোম্পানির সিইও অভিযোগ করেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরপরই ঘটনা ঘটে গেলেও সার্ভে রিপোর্ট সময়মতো মেলে না, আবার অনেক সময় এর খরচ মূল দাবি ছাড়িয়ে যায়। তাই সার্ভে রিপোর্টকেই তারা অভিহিত করেছেন ‘সোনার হরিণ’ হিসেবে।
আইডিআরএর পরামর্শক সাইফুন্নাহার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দাবি পরিশোধের হার বাড়াতে সংস্থাটি এখন গ্রেডিং সিস্টেম চালু করেছে। কম গ্রেড পাওয়া কোম্পানিগুলোকে চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রাহকদের করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমা দাবি আদায়ের জন্য গ্রাহককে অবশ্যই যথাযথ কাগজপত্রসহ নির্ভুল আবেদন করতে হবে। আবেদন জমার ৯০ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আইডিআরএতে লিখিত অভিযোগ করতে হবে। তাতে সমাধান না এলে বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটির কাছে যেতে হবে এবং তাতেও কাজ না হলে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে।
বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এস এম নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দাবি পরিশোধে বিমা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে আইডিআরএ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। দ্রুত আইনি পদক্ষেপ জরুরি।
শুল্ক আরোপ নিয়ে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানের অংশ হিসেবে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আরও দ্রুত বিরল খনিজের চালান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কের জেরে এ বছর অতিরিক্ত প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার (৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ড) ব্যয় হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি। কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, মার্কিন বাণিজ্য
২ ঘণ্টা আগেরেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান ও বেকারির গ্রেডিং সেবা আধুনিকায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। ভালো সেবা না পেলে ভোক্তাদের অভিযোগের সুযোগ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিএসএসএর উপপরিচালক রুহুল আমিন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গ্রেডিং সেবা ডিজিটালাইজেশন..
৪ ঘণ্টা আগেবিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সামান্য কমাতে গিয়ে সরকার আসলে পুরো জ্বালানি নীতিকে ‘ভুল রাস্তায়’ ঠেলে দিচ্ছে, এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এই মন্তব্য এসেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংলাপে। ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের...
৬ ঘণ্টা আগে